সুখে থেকো শাদা ফুল
১.
আমাদের ক্যাম্পাসে যে ছোট্ট স্পোর্টস সেন্টারটা আছে, সেটা আর কার কাছে কেমন লাগে জানি না কিন্তু আমার কাছে খারাপ লাগে না। একটা ৮০০ মিটারের ট্র্যাক, তার একপাশে বাস্কেটবল আরেকপাশে ভলিবল গ্রাউন্ড, মাঝখানে বিশাল সবুজ মাঠ, ফুটবল আর রাগবি খেলার জন্য ব্যবহার হয় সাধারণত, মাঠের পাশে ইনডোর ফ্যাসিলিটি, সেখানে আছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত দুইটা জিমনেশিয়াম, সালসা-ব্যালে ইত্যাদি শেখার জন্য একটা ডান্সরুম, কিক-বক্সিংসহ যাবতীয় ইনডোর হাতাহাতি শেখার জন্য একটা রিংরুম আর বেশ কয়েকটা চেঞ্জ রুম।
টেবিল টেনিসের একটা বোর্ড আছে ইনডোর ফ্যাসিলিটির দরজার মুখে। গ্রেট থুরিনজিয়ান ফরেস্ট রেঞ্জের ছোট্ট একটা খাদে মালভূমি কেটে বানানো হয়েছিল স্পোর্টস সেন্টারটা। মূল ক্যাম্পাস লাগোয়া। আমার গুহা থেকে দুরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের। ওখানে যাওয়ার দু'টো রাস্তা আছে। দু'ক্ষেত্রেই সিঁড়ি ভেঙ্গে মিটার পঞ্চাশেক নিচে নেমে যেতে হয়। অর্থাৎ স্পোর্টস সেন্টারের পথ ধরা মানেই শরীরের ঐচ্ছিক আর অনৈচ্ছিক পেশীগুলোর অল্পবিস্তর নড়াচড়া শুরু হয়ে যাওয়া। আমার ভাল লাগে এজন্যই। কোন কাজের মধ্যে নিজেকে সক্রিয়ভাবে ঢুকিয়ে নিতে যতোটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, তারচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি মনের অজান্তে কোনো একটা কাজে ঢুকে যাওয়া।
২.
আমার ধারণা এই বিষয়টার একটা ভালরকম প্রভাব রয়েছে আমার ব্যক্তিত্বের ওপর। খেয়াল করে দেখেছি, কোনো একটা নতুন জায়গায় গিয়ে চট করে সবকিছুর সাথে মিশে যেতে আমাকে কখনোই আলাদা করে কিছু করা লাগে না। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, যেকোন জায়গায় আমি গিয়ে চুপচাপ এক কোণে বসে নিজের মনে কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ উপর-নিচ করতে থাকলেও মানুষ ভাবে আমি তাদের সাথেই আছি।
এ বিষয়ের সুবিধা-অসুবিধা দু'টোই আছে। সুবিধা হচ্ছে, দলছাড়া হওয়ার ভয় থাকে না। দল যেদিকে যায়, সেখানে আমাকেও টেনে নিয়ে যায়। দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য আমার আলাদা করে কিছু করা লাগে না। অনেককে দেখেছি কেবলমাত্র দলের সঙ্গে টিকে থাকতে মাথা আর শরীর খাটিয়ে মরে। আমি সেদিক থেকে সৌভাগ্যবান।
আর অসুবিধা হচ্ছে, চাইলেও একা একা থাকা যায় না। কেউ না কেউ এসে ঠিকই একটা কথা পেড়ে বসবে। অবধারিতভাবে যেটা সূত্রপাত ঘটাবে এক সুপরিসর গন্ডিহীন আলোচনার। আবার এমনও হতে পারে, কারও কোনো ছোট্ট একটা বিষয়ে সাহায্য দরকার। সেই সাহায্যটা চাইবার জন্য সে যে 'কেন' ঘরের সবার মধ্যে থেকে আমাকেই খুঁজে বের করবে, সেটা বলা মুশকিল। তবে সে যে আমাকেই খুঁজে বের করবে, সেটা বলা কঠিন না।
ব্যাপারগুলো সবসময় অপছন্দনীয় না। তবে মাঝে মাঝে আমার যখন কিছু ভাল লাগে না, যখন আমি ভাবতে ভাবতে ইতালির ইস্কিয়ার দ্বীপের সাগরতলের কোনো লুকোনো গুহায় স্কুবা ডাইভিং করে চলে যাই এবং সেখানে গিয়ে কোনো একটা আরামদায়ক শ্যাওলাধরা পাথরের ওপর চুপচাপ গালে হাত দিয়ে বসে সেখানকার মেঝের প্রবালপাথরের সৌন্দর্য্য, ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট স্পুটনিক মাছেদের ঝাঁকের খেলাচ্ছলে ভেসে যাওয়া দেখতে থাকি; তখন হুট করে কেউ এসে মেশিন থেকে সিগারেট বের করার উপায় দেখিয়ে দিতে বললে কিংবা তার মোবাইলের ওয়াই-ফাইটা ক্যাম্পাসের ফ্রি নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট করে দিতে বললে, আমি হেসে দিই।
সামনের মানুষটা হয়তো জানেই না, মনে মনে আমি কোথায় ছিলাম কিংবা কি ভাবছিলাম! মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি এমন হতো যে আমরা নিজেদের চোখের সামনে একটা ভার্চুয়াল পর্দা লাগিয়ে নিয়ে নিজেদের কল্পনাগুলোকে দেখতে পেতাম এবং অন্যদের দেখাতে পারতাম! তাহলে খুব একটা দারুণ ব্যাপার ঘটতো, তাই না? আর একটা যন্ত্রের জন্য আমি খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি। সেটা হলো স্বপ্ন রেকর্ড করার যন্ত্র।
আমি ছোটবেলায় খুব একগুঁয়ে ধরনের ছিলাম। নিজে যেটা ভাল বুঝতাম, শুধু যে সেটাই করতাম তা না; কেউ ভাল কিছু বোঝাতে চাইলে, ইচ্ছে করে তার উল্টোটা করতাম। এইভাবে নিজের যতোগুলো ক্ষতি আমি করেছি, তার মধ্যে একটা হলো এইচএসসি পরীক্ষার পর বিজ্ঞানের লাইন ছেড়ে সামাজিক বিজ্ঞানের লাইনে পড়াশোনাটা ডাইভার্ট করে দেয়া।
আজকাল প্রায়ই খারাপ লাগে সেজন্য। আমি যদি বুয়েট-টুয়েটের মতো কড়া বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা নিতাম, তাহলে আমার পছন্দের যন্ত্রগুলো নিজেই বানিয়ে ফেলার একটা চেষ্টা চালানো যেতো। তাহলে আজকের এই বৃষ্টিধরা বিকেলে লাইব্রেরীর কাঁচের দেয়ালের ভেতর বসে বাইরে বৃষ্টির টুপুরটাপুর দেখার সময়, একটা বিরাট কালো মেঘের মতো মন খারাপ ভাব আমাকে গ্রাস করতে এগিয়ে আসার আগে নিশ্চই দুইবার ভাবতো।
লাইব্রেরীর যে জায়গাটায় আমি বসে আছি, সেখান থেকে মিটার পঞ্চাশেক নিচ দিয়ে চলে যাওয়া শহরের ব্যস্ততম রাস্তাটা দেখা যায়। ব্যস্ততম বলে এই রাস্তায় মিনিট-দু'মিনিটে একটা অন্তত গাড়ি চোখে পড়ে। মাঝে মাঝে দেখা যায় কাঁচঢাকা, নতুন কাঁসার বাটির মতো মসৃণ ভলভো বাস। বেশিরভাগ সময় সেই বাসগুলোতে মানুষ থাকে মাত্র একজন। বাসটির ড্রাইভার।
তবে রাস্তাটা যতোদূর দেখা যায় ততোদূরই নয়নাভিরাম। দুই পাশে অন্ধকার আর সবুজ রঙয়ের লম্বা লম্বা গাছের সারি। আমাদের লাইব্রেরীটা একটা টিলার চূড়ায়। রাস্তাটা টিলার মাঝামাঝি আর তার নিচে বনভূমি। বন আর পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত বলে, এই শহরটায় মানুষের সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। ছুটির দিন ছাড়া রাস্তায় মানুষের দেখা পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
এটা আমার জন্য এক অর্থে ভাল। নিরিবিলিতে বেশ আরামে থাকা যায়। তবে যারা আমার মতোন নির্জনতাপ্রেমিক নয়, তাদের কি মাঝে মাঝে অস্থির লাগে কিনা, আমার জানতে ইচ্ছে করে।
আরও আছে বিষয়। আমি ক্যাম্পাসে থাকি। চারপাশে অনেকগুলো ডর্মিটরি। সেগুলোতে মানুষের অভাব নেই। ক্যাম্পাসের বাইরে যারা থাকে, তাদের এই সুবিধাটা প্রায় নেই বললেই চলে। এখানেও সেই 'ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড' বা 'প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস'-এ আকাঁনো শত বছর আগের বৃটিশ রাজ্যের মতো দূরে দূরে একেকটা বাড়ি। সে যুগের মতো ঘোড়ার চল নেই। আছে অডি, বিএমডব্লিউ, ভোক্সওয়াগনের চল। প্রতিবেশির বাড়ি যাবার জন্যও সেগুলো ব্যবহারের বিকল্প নেই। অবশ্য ফিটনেস রক্ষার্থে পাড়া বেড়াতে চাইলে ভিন্ন কথা।
আমি লাইব্রেরীর কাঁচের দেয়ালের ভেতর থেকে হুস হুস করে বেরিয়ে যাওয়া একেকটা গাড়ি দেখি এবং ভেতরে বসা মানুষদের কথা ভাবার চেষ্টা করি। ওদের নিশ্চই অনেক ভাল লাগে অমন চমৎকার একটা রাস্তায় গাড়ি চালাতে। সবুজ পাতারা ঝিরঝিরিয়ে যে ওদের প্রতিনিয়ত শুভেচ্ছা জানায়।
কিন্তু সেটা কি ওরা জানে? আমার মনে হয় না। আমি অবশ্য তা নিয়ে ভাবি না। আমি তাকিয়ে দেখি ঘন গাছের পাতার ফাঁকে নাম না জানা পাখির বাসা। সে বাসা যখন বাতাসে দোলে তখন ছোট্ট একটা ছানা মাথা বাড়িয়ে উদ্বিগ্ন চোখে মায়ের জন্য অপেক্ষা করে। তার চোখে অপার বিস্ময়। সে একই সাথে চিন্তিত এবং আনন্দিত। বাতাসের দোলায় হয়তো তার ছোট্ট বুকটা একটু কেঁপে উঠেছে, কিন্তু তার শিশুমন দোলনায় দোলার আনন্দটা বুঝে নিতেও ভুল করে নি।
পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা নিজের জন্য কোনটা আনন্দের আর কোনটা কষ্টের সেটা ঠিকমতো চিনতে পারে না। যদি পারতো তাহলে অবশ্যই পৃথিবীর সমস্ত যুদ্ধ, হানাহানি, দাঙ্গা, ভুল বোঝাবুঝি, রাগ, ক্ষোভ, মান, অভিমান ৯০ শতাংশ কমে যেতো। মানুষের চেয়ে অনেক কম শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে, ভীষণভাবে প্রকৃতির ওপর নিভর্রশীল হয়েও যে অন্য প্রজাতিগুলো আজও স্বপ্ন দেখে, তারই প্রমাণ ওই নাম না জানা পাখির বাসায় দুলতে থাকা এক রত্তি ছানাটা।
অপরদিকে আমরা? পারমাণবিক চুলায় বিদ্যুত রাঁধার কৌশল আবিস্কার করেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ পৃথিবী রেখে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার সাহস পাই না।
আমাদের একটা স্বপ্ন রেকর্ড করার যন্ত্র আজ খুবই দরকার। সেটা দিয়ে আমাদের যারা সুন্দর সুন্দর স্বপ্নগুলো দেখেন, তাদের স্বপ্নগুলো অন্তত রেকর্ড করে রাখা দরকার।
কারণ আজকাল নিজেদের স্বপ্নগুলো মন খুলে প্রকাশ করার সুযোগও আর নেই। কখন যে কার কোন অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, সেই শঙ্কা ঘিরে আছে আমাদের সবাইকে। ছোট্ট পাখির ছানার চেয়ে আমরা অসহায়। তার ভয় পাওয়ার পাশাপাশি আনন্দিত হওয়ার সুযোগ ছিল। আমাদের সামনে অসীম অন্ধকারের এক অবারিত দ্বার। এক বিশাল দৈত্য হাতে কুঠার নিয়ে আমাদের তাড়া করে এনে জড়ো করেছে সেই দরজার সামনে। আমরা অপেক্ষা করছি একটা শেষ ধাক্কার। তারপর সবাই একসাথে হারিয়ে যাবো, সেই অতল গুহায়।
এই নির্মম পরিণতিটা আজকাল দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নিকষ কালো এক অন্ধকার পাতালমুখী গর্তের দিকে কে যেন আমাকে প্রতিনিয়ত ঠেলছে। আমি প্রাণপনে উল্টোমুখে বল প্রয়োগের চেষ্টা করছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং আমার আশপাশের মানুষেরা একে একে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সেই গর্তে। তাদের পতনমুহূর্তের গগনবিদারী চিৎকার প্রত্যেকবার আমার মনোবলটাকে আরেকটু চিড়ে দেয়। আমার হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
৩.
ঘাসফুলের ছোট্ট হলুদ পাঁপড়িদের গায়ে ঝরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা যখন শত টুকরোয় ভেঙ্গে স্ফটিকের মতো চারপাশে ছড়িয়ে যায়, তখন আমি মনে মনে ভাবি; আক্ষেপ নেই। অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার আগে আমি আর কিছু করতে না পারলেও, অন্তত তোমায় তো একবার ছুঁয়েছিলাম। ঠিক ওই বৃষ্টির ফোঁটার মতো করে। তাই না?
অক্ষমতার বিষাদে আক্রান্ত
এক ফোঁটা টলটলে ভালবাসা
আমার চোখ থেকে গড়িয়ে
ঠিক ততোটা দূরে গিয়ে থেমে যায়,
যতোটা পথ পাড়ি দিলে
তোমার প্রতিনিয়ত দূরে সরে যেতে থাকা
চেনজানা অবয়বটা
আরেকবার দেখা যায়।
সুখে থেকো শাদা ফুল
শিশির হয়ে ফিরে আসবো
কোনো এক শীতের ভোরে
ছুঁয়ে দিতে ভেজা চুল।
---
বিষাদমাখা কথকতার শেষ প্যারা
আর ছোট্ট একটা কবিতা
মন ভালো করে দিল বেশ।
আমার খুবই মন খারাপ গত কয়দিন থেকেই। মাঝে মাঝে লিখতে পারলে মন খারাপ ভাব কেটে যায়। এবার সেটাও হয় নি। তবে আপনার মন্তব্য পড়ে ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
'pain demands to be felt.'
- John green
বড় ভাই/আপুদের কাছে 'আপনি'ডাক শুনতে আপন লাগে না,
মন খারাপ হয়ে যায়। মনে হয়, কাছাকাছি থেকে দুরে সড়ে যাচ্ছি কোথাও; আপনাতেই।
ডাকে যদি আসলেই কিছু তফাত হয়, তাহলে আপনাকে তুমি করে ডাকতে পারি। আপনিও তুমিতে চলে আইসেন তাহলে।
আর ট্রাস্ট মি, আপনে অনেক আগে থেকেই আমার অনেক অাপন একটা মানুষ। কোনো সন্দেহ নাই।
লাইনটা মনে করায় দেয়ার জন্য আরেকটা ধইন্যা।
শাদা নাকি সাদা?
বাংলা অ্যাকাডেমির অভিধানমতে সাদা। তবে অনেক লেখককে দেখেছি শাদা লিখতে। আমার কাছেও শাদা-কেই উচ্চারণের সাথে যথার্থ মনে হয়।
বহুদিন পর একটা "মীর" "মীর" লেখা পড়লাম
ধন্যবাদ তানবীরা'পু। খুশি হলাম।
লেখা বরাবরের মতো
..... প্রার্থনা করি মন দ্রুত ভালো হয়ে যাক....... তবে সবই ক্ষণস্থায়ী......
ধন্যবাদ উচ্ছল ভাই। অন্ধকারের পথে যাত্রা ক্ষণস্থায়ী হলেই খুশি হই। ভীষণরকম খুশি হই।
অনেকদিন পর এবি'তে এসে মীরের লেখা পড়ার সৌভাগ্য হল। যথারীতি মুগ্ধতা।
থ্যাংকস্ ব্রো। আপনের লেখাটা পড়ে আমিও মুগ্ধ হয়েছি। আশা করছি এরপর থেকে ঘন ঘনই আপনের লেখা পড়ার সৌভাগ্য হবে।
খুব ভালো লাগল, যেমন লাগে--
মীর, লেখ কেন ধীর?
অনেক বেশী বেশী লেখ
মন ভালো করতে শেখ।
থ্যাংকস্ শাপলা'পু। আমারও ভাল লাগলো বহুদিন পর আপনাকে এখানে দেখে। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত পাবো আপনাকে এখানে
আর মন ভালো বা খারাপ থাকা সম্পর্কে বলবো- গত কয়েক দিনে দেশে বেশ কিছু বড় ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করি না, তারপরও ঘটনাগুলো দেশজুড়ে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হিসেবে অাবির্ভূত হওয়ায়, আমি খানিকটা খুশি। ক্রসফায়ারে নিহতদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা এবং ইসলামের নামে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যাকারী চক্রকে সমূলে বিনাশ করা গেলে পুরোপুরি খুশি হতাম। আপাতত সেই আশাতেই বুক বাঁধলাম, আরও একবার।
মন্তব্য করুন