রাতজাগা পাখি
আজ সকালে হিম কুয়াশার প্রাচীর ভেঙে
এক চিলতে রোদ্দুর হেসেছিলো আমাদের বারান্দায়;
আজ সকালে আকাশটা ভেসেছিলো আবার- আলোর বন্যায়,
আর আমি সেই ভোরের নৈসর্গিক আলোয় স্নান শেষে দেখি-
তোমার মুখে ছায়া ফেলেছে লোভী সূর্য, ওর বুকের নিরেট
আলোর রেখা কপাল-গাল ছুঁয়ে নেমে এসেছিলো তোমার ঠোঁটে,
অকস্মাৎ এক অচেনা পোর্টেট হয়ে উঠেছিলে তুমি।
আজ সকালে একমুঠো সোনালি রোদ্দুর উঁকি দিয়েছিলো
আমাদের জানালায়, কাঁচের শার্শিতে জমে থাকা শিশিরগুলো
সব উবে গিয়েছিলো তখন, আমাদের বুকের মাঝে জমাট বাঁধা
অভিমানগুলো মুছে দিতে সে হেসেছিলো আরেকবার,
সে কি জানতো অভিমানী তোমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিলো বিরহী রাত?
তোমাকে নিমেষেই মানবী করে তুলেছিলো আরেকবার।
কাল রাতে একমুঠো স্বপ্ন ভিড়েছিলো আমাদের উঠোনে,
কাল রাতে অপার্থিব এক আলোয় ভরে গিয়েছিলো আমাদের ঘর,
রিনিঝিনি কাঁকনের সুরে স্বপ্নেরা পাখা মেলেছিলো নীল চাঁদোয়ায়,
আর আমি দু’হাতে স্বপ্ন সরিয়ে বাস্তবের ডিঙায় চড়েছিলাম কেবল,
ভুলে যাওয়া রাগিনীগুলো বেজে উঠেছিলো নিরব রাতের প্রহরে,
কাল রাতে তুমিও রাতজাগা পাখি হয়েছিলে আরেকবার।
মন্তব্য করুন