চায়ের আড্ডা.....
আজকের বিকেলটা আমার জন্য একটু অন্যরকম ছিল।আসলে বিকেল থেকে সন্ধ্যা।আমরা বন্ধু'র কয়েকজন বিশিষ্ট বন্ধুর সাথে আজ মুখোমুখী পরিচয় হইল ।ভাবতেই ভাল্লাগতেসে।বাসা থেকে বের হলাম ৪ টায়।১৫-২০ মিনিটের পথ,কিন্তু ১ ঘন্টা লেগে গেল যানজটের কারণে।আমি পৌঁছে দেখলাম আমি সবার শেষে।যাই হোক সবাইরে একটা সালাম দিয়া কইলাম (সালাম দিসি কিনা মনে নাই
) আমি রুমিয়া।বাকিরাও পরিচয় দিলেন।যদিও সবাইরে চেনা যাইতেসিল
এরপর চা (চা টা আসলে কি সেইটা সাঈদ ভাই বলবে
) খেতে ঢুকলাম সবাই।সাঈদ ভাই,নীড়দা,নুশেরাপু,সিরাজী ভাই,মুকুল ভাই সবাইরে খুউবই ভাল্লাগসে।সাঈদ ভাই দেখতে যেমন লম্বা,ভালর দিক থেকেও সেইরকম লম্বা।মাসাল্লাহ।উনারে দেখলে মনে হয়না উনি এত মজা করতে পারে
।সাঈদ ভাইরে অনেক আপ্যায়ন করা হইসে।উনার কাছে ছবি আছে।পোস্টাইলে দেইখেন সবাই
।নুশেরা আপুর পাংখা হই গেসি আমি
আপু দেখতে যেমন সুন্দর,হাসিটাতো কি আর বলবো।মাশাল্লাহ্
খুব মজা করে আড্ডা দিতে পারে আপু।স্টুডেন্ট লাইফের অনেক মজার মজার গল্প করলেন।মজার একটা গল্প শুইনা আমি ঠিক করসি এখন থেকে পুস্তক রে বলবো পুশ্তক আর বাস রে বলবো বাশ
।মুকুল ভাই আড্ডার মাঝখানে চইলা গেলেন।উনার নাকি কোন এক ম্যডামের জরুরী ক্লাস ছিল
তাই তিনি আর দেরী করতে চাইলেন না :p।নীড়দা রে আমি ভাবতাম কম কথা বলেন।কিন্তু না।নীড়দা দেখি জটিল আড্ডা দেন।ধইন্না নীড়দা
অনেক ভাল্লাগসে।ব্লগের লুলপুরুষ নিয়া একটা জটিল আলোচনা হইসে
সিরাজী ভাই একটু কম কথা বলসে।কিন্তু এনজয় করসে আড্ডা
।কি বলেন সিরাজী ভাই?
আড্ডা শেষ কইরা সবাই বিদায় নিলাম।যদিও আড্ডা শেষ হয় নাই।এই জিনিস শেষ হবার না।তারপরও কি আর করা নীড়দা আর সাঈদ ভাই আমারে হাফ পথ লিফ্ট দিসে।সাঈদ ভাই না থাকলে তো আমি রাস্তাই পার হইতে পারতাম না
ধইন্না আবারো নীড়দা আর সাঈদ ভাইরে।মাসরুর রে নিয়া কি বলব.।ও আমার পুরান দোস্ত
আমার সব বন্ধুই খুব ভালো
। এই পোস্ট টা নুশেরা আপুর অনুরোধে দিলাম।বাসায় পৌঁছেই নুশেরা আপুর এসএমএস পাইলাম।"রুমিয়া আজকের আড্ডা নিয়ে তুমি পোস্ট দিছ্ছো।ভুল যেন না হয়
"। নুশেরা আপু , দিলাম পোস্ট
সাঈদ ভাই, এই পোস্টে ছবি কয়ডা লাগাই দিয়েন
পোস্ট রসালো হৈছে।
হ...
আমি আবার ইমোর পাংখা কিনা,তাই 
আড্ডাফায়িং কি চট্টগ্রামেই হইছে? সবাইকে তো চট্টগ্রামের মনে হইতাছে?!
হ নারুদা, চট্টগ্রামেই হইছে।সবাই চট্টগ্রামের।সাঈদ ভাই ঢাকা থেকে আসছে
আমার সাথে কারো চিন পরিচয় নাই
(
আমার নাম শেষ পর্যন্ত অল্প একটু করে হলেও আসলো। আমি পোস্ট পড়তেছি আর ভাবতেছি আমার কথা আসে না কেন!!!!
আর সাঈদ ভাই তোমারে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিছে??!!!!
মাশলুল, বেঁচে আছ তুমি?
বিবাহ যেহেতু হয় নাই সেহেতু বলতেই হয় যে বেঁচেই আছি!!!!
মাশলুল, বেঁচে আছ তুমি?
বিবাহ যেহেতু হয় নাই সেহেতু বলতেই হয় যে বেঁচেই আছি!!!!
(
ওকে যাও খালি তোমারে নিয়াই একটা পোস্ট দিমু কোন এক সময়
সাঈদ ভাই কেমনে রাস্তা পার করে দিসে সেইটা কি খুলে বলা লাগবে নাকি 
থাক, খুলে বলার দরকার নাই।
এদ্দিন রাস্তা পার হইছ কেমনে ?
বাকি কথায় পরে আসতেছি।
আপনার কমেন্টের জন্য ওয়েট করেই কাল রাতে কমেন্টাইলাম না।
তবে সাঈদ ভাই এর চিটাগাং যাওয়া স্বার্থক হইলো।
মুক্লারে কান্দায়োনা

ওহহহ। আগে কইবেন না!তবে মুকুলের উচিত হয় নাই রুমিয়াকে রেখে ক্লাসে চলে যাওয়া। রুমিয়ার চেয়ে কি ক্লাস বড় হইলো?
এই জন্যই পোলাডার অহন্তরি কিছু হইল না।
আমিও চিন্তাইতেসি হাসান ভাই,কেমনে এদ্দিন রাস্তা পার হইসি
পরে কথা কমু। এখন কাজে যাই
কে জানি দেখলাম রাস্তা পাড় নিয়া সাঈদ ভাইরে অভিশাপ দিসে।
ওহ্ জটিল আড্ডা হৈসে কালকে। আমি আর অপনা গিয়ে দেখি মুকুল এসে গেছে। তারপর একে একে সিরাজী, নীড়দা, সাঈদভাই, মাসরুর, রুমিয়া।
মুকুলের কালকে কোনো পরীক্ষা ছিলো না। তেমন কঠিন কোন ক্লাসও না। তারপরও সে চলে গেলো। 'ম্যাডামের' ক্লাস বলে কথা
জানা গেলো সিরাজীভাইর দু্ই ভাগ্নে আমার বন্ধু। উনাকে মামা ডাকবো কিনা ভাবতেছি। মামার বই আসতেছে বইমেলায়।
নীড়দা যেমন সুরসিক আড্ডাবাজ তেমনি মহা দিলদরিয়া মানুষ। হোস্ট হিসেবে গ্রেট। অ্যাডভক্ত অপনা ঘ্যানঘ্যান করছিলো কী এক মুসকান সরিষার তেল কেনার জন্য, নীড়দা ওকে নিয়ে দোকানেও গেছেন, ঐ তেল পাওয়া যায় নাই
রাস্তা পার হওয়া বিষয়ে রুমিয়ার বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণার সুযোগ আছে। বিশদ তদন্তের খাতিরে সাঈদভাই ঢাকা ফেরার আগে আরেকবার আড্ডানির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেছি
আগে থেকে যেই বিলা করে রাখছিলাম নীড়দার উপায় ছিলনা দিলদইয্যা না হইয়া।
হ আপনে বিলা না করলে কিন্তুক এই আড্ডাটাও হইতো না।

সেজন্য আপনার উপর অসীম সওয়াব আর দোজাহানের নেকী হাসিল হউক।
আরেকবার আডআইয়া কি সাঈদ ভাইকে হাতে হাত রাখার সুযোগ দিতে চান?ঘটকের বুদ্ধি একেই বলে। মুকুলের কথাটা একবার ভাবলেন না?
ওইদিকে রমজান তো এফ বি তে সাঈদ ভাইকে অভিশাপ দিয়েই যাচ্ছে।
রাস্তা পার হবার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে আমি আগে গেলাম, পেছনে রুমিয়া, সাঈদ। আমি রাস্তা পেরিয়ে গিয়ে আবিষ্কার করলাম ওরা নেই আমার পেছনে। তারপর ঘুরে তাকিয়ে দেখি। দুজনে মাঝরাস্তায় আটকে গেছে, দুপাশে গাড়ী ছুটছে। রুমিয়া বোধহয় ভয় পেয়েছে, কিন্তু সাঈদ থাকাতে আমি নিশ্চিন্ত হলাম। তারপর সাঈদ গাড়ীকে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হয়ে আসলো রুমিয়াকে নিয়ে। কোথাও কোন সমস্যা হয় নাই।
এবি কথাচিত্রের পরবর্তী নিবেদন-
সাঈদ কেন ট্রাফিকপুলিশ?
অপনা রে আমার খুউ.....ব লাইক হইছে।খুবই কিউট,সুইট বেইবী
আমারে নিয়া কেউ কিসু কইল না।আফসুস 
রুমিয়া কথা বলে কম, খায় কম, শ্রোতা মনোযোগী আর হাসে নিঃশব্দে।
ধইন্না নীড়দা
কিন্তু আমিতো যেই চিক্কুর দিয়া হাসছি
মাসলুল তুমি কই?তোমারে নীড়দা হ্যন্ডসাম কইছে 
তোমার কপাল ভাল, রাস্তার দৃশ্যে নীড়দা ছিলেন সামনে আর আমি পিছনে ছিলাম না
ভাবাভাবির কাজ নাই নুশেরা এসএসসি। আমি মামা, তুমি ভাগ্নি
এসএসসি মানে কী মামু?
এইসব গপ লাইভ শুন্তে হয়
ছবি ছাড়া আড্ডা! গুজব মনে হচ্ছে!
যতদুর জানি সাঈদ ভাই ঢাকা, মুকুল ভাই মাইজদী, সিরাজী ভাই চট্রগ্রাম থাকেন!
কেন্মে কি! বুঝতাছি না!
শুনেন উদুভাই, এইটা ঢাকা না যে দুমুঠ খিচুড়ির জন্য ছয়মাস ধৈরা কান্দন লাগে। ঢাকা থিকা সাঈদ, নোয়াখালী থিকা মুকুল আসামাত্র এইরাম আড্ডা বসানি যায়। এখন গুজব ভাবতেছেন, ছবি দেখলে মুর্ছা যাইবেন।
দুমুঠ খিচুড়ীর জন্য ছয়মাস কান্দন?অফমান করলেন গো সুইট বেইবীর মামনি।আমরার মেসবাহ ভাইরে কইলেই খিচুড়ী খাওয়ায়।
আমি ঢাকাই খিচুড়ীর ব্যাপক ভক্ত। পরেরবার ঢাকা গেলে মেজবাহ ভাইকে দাওয়াত দিয়ে হোস্ট বানাবো
আমরা বৃহস্পতিবার দুপুরে খিচুড়ী খাবো। আপনার দাওয়াত নীড়দা। চলে আসেন।গত বৃহস্পতিবার হুট করে খেলাম বলে দাওয়াত দিতে পারিনি।
ঘরে যা হরদম রান্ধা হয় তা খাইতে আম্রা বাইরে যাই না
আমাদের ঘরে তো চা ও রান্না হয়।
সাব্বাস! গ্রেট রিপ্লাই! চা'র আড্ডাতে কি বাইরে যেতে হয়!
(আমি আনসার করতে পারবো না, বিজি!)
ঘরে রান্ধা খেছুড়ি!! ছে ছে
সবার (রান্না)ঘররে নিজের (রান্না)ঘর মনে কর্লে তো হবে না
তুন্দুল রুটি খাইয়া যেরম করতাছো রান্নাঘরের কী খাও বুঝা গেছে।
আহারে ঘরে খিচুড়ি্ও রান্ধা হয় না, তাইতো এতো ঘন ঘন বাইরে খাওনের জন্য হামলা দেন, গভীর সহানুভূতি
নাহ তোমগো কেমনে বুঝাই হামলা দিয়া খাওন লাগেনা। লোকজন একদিন পরপর রিকুয়েস্ট কইরা খাওয়ায়।
আরে বুঝাইলেও বুঝপে না। কারণ দুঃখে কত কিছুই কইতাছে। কইতে দেন।
"ঘরে রান্ধা খেছুড়ি!! ছে ছে"
এই দুঃসাহসের তারিফ করতাম যদি ভাবী ব্লগে উঁকি দিত। বুঝা গেছে ভাবী ব্লগের ধারে কাছেও আসেনা কোনদিন। তাইলে দেখতাম 'ছে ছে' কোন দিক দিয়া বাইর হয়
হাহাহা। কথা সত্য।নীড়দার জন্য সমদেবনা।
গভীর সমবেদনা।
ওরা তুন্দুল রুটি খাইয়া যেই লাফ দিতেছে, জ্যোতি, আমারা আড্ডায় যা খাই সেইটা যদি দেখত কী অবস্থা হইত চিন্তা করো।
হ বুঝছি আম্রা আড্ডাইতে গিয়া খাই
আর আপ্নেরা খাইতেই যান
আহহা থাউক ভুখা মানুষ নিয়া আর কতা কমু না
হ বুঝছি আম্রা আড্ডাইতে গিয়া খাই
আর আপ্নেরা খাইতেই যান
আরে!!!!! আড্ডা তো লোকজন শিখলোই আমাদের কাছ থেকে।
থাক রায়হান ভাই।লোকজন ঘন ঘন এমুন আড্ডা দিক।বছরে ২ বার না হয়ে মাসে ২ বার তাদের আড্ডা হোক।গতকাল সন্ধ্যায় মাসুম ভাই উদাস না থাকলে গতকালও আমাদের একটা আড্ডা হতে পারেতা।
তীব্র দিক্কার জানাই। চাটগাইয়ারা চৈদ্দ বছরে একটা আড্ডা দিয়া বড় বড় কথা কয়। আমরা এরম আড্ডা ডেলি দিই। আর খিচুড়ির জন্য কান্দন লাগেনা এমনেই খাওয়ায়। খাওয়াইন্না পাবলিক ই বেশি এইখানে। আমরাই জোর কইরা না করি খাওয়াইতে।
যা বে, ব্লগে জামাত বসায়া কাইন্দা আবার বড় বড় বাত! এক থাল খিচুড়ির ছবি (লগে গুলাবিশার্ট এক বেডা) বার বার দেয়... ফুহ্!
ওরে কমবখত পের্তেকবারে খিচুড়ির ছবি দিলে তো সব খিচুড়িময় হইয়া যাইবে। আরে বেহস্পতিবারেও জোতি মাসুম ভাই কুকার সেভেনে তিন ধরণের খিচুড়ি খাওয়ালো। ঐরকম খাওয়া চাটগায়ের খাইতে হইলে অশ্বমেধ যজ্ঞ কইরাও সম্ভব হইবনা।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ম্যাংগোতে যে আপনি আর আপনার গুরু সেইরম খাওয়াইলেন সেটার ছবি দিলেও তো সব ফেল হয়ে যাবে।হুহহহহহহহ।
গুরু, অশ্বমেধ যজ্ঞ! এটা আবার কি!
এই কথাটা সত্য বলছেন গুরু। বাবুর্চি হিসেবে ঢাকাইয়াদের কোন বিকল্প নেই।
ঠিক, ঢাকার বাবুর্চিরা লাজওয়াব
যা বে, ব্লগে জামাত বসায়া কাইন্দা আবার বড় বড় বাত!


আসলে হইছে কি কানতে ভালোই লাগে।না কানলে কেম্নে কইতেন এসপ?আর জান্তাম ও না যে, চট্রগামে বাসায় চা রান্না হয় না।
এক থাল খিচুড়ির ছবি (লগে গুলাবিশার্ট এক বেডা) বার বার দেয়...লুকজনের খালি গুলাবি শার্ট বেডারেই চোখে পড়ে। নজর না লাগুক।
খুব ভালো একটা আড্ডা হলো। ঈর্ষান্বিত করার মতো। হাসির তোড়ে যেন উড়ে গেছি অনেকদিন পর। এত আনন্দের কিছুটা কাফফারাও দিতে হয়েছে বাড়ী ফিরে। বউ বাপের বাড়ী থেকে ফিরে কঠিন ঝাড়ি দিল কেন তাকে বাদ দিয়ে আড্ডা দেয়া হলো (আড্ডার সময় সে ৪ কিমি দূরে বাবার বাসা সফররত ছিল)।
অফিস খোলা ছিল আমার। অফিস থেকে সোয়া তিনটায় বেরিয়ে এলাম। দুঘন্টার জন্য ফাঁকি দিয়ে। রাস্তার জ্যামে পৌঁছাতে একটু দেরী হলো। মুকুল নূশেরা সিরাজী ততক্ষণে অকুস্থলে বসে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ আগে পৌছে গেছে দেখতে ভালো লাগে(এজন্যই বাঙালী কোথাও পৌছাতে দেরী করে)।
পৌঁছেই প্রিয়দর্শিনী অপনার প্রশ্নের মুখোমুখি, নাম কি তোমার? প্রশ্ন শুনে থতমত আমি। ব্লগে লেখালেখির পর থেকে এই সমস্যা। কাকে নিক বলবো, কাকে আসল নাম বলবো মুশকিলে থাকি। কে কোন নামে চিনবে ভাবতে হয়। তবে অপনার মা এসে উদ্ধার করলো চট করে 'এটা তোমার মামা।'
খানিক পরেই এলো হ্যান্ডসাম বয় মাসরুর, তারপর সসংকোচে গুটি গুটি পায়ে......নম্র ভদ্র মেয়েটি রুমিয়া। সবার সাথেই প্রথম দেখা। এরকম একদম প্রথম দেখায় আড্ডা দিতে যে সংকোচ থাকে সেটা যে একটুও ছিল না সেজন্য ব্লগের কাছে কৃতজ্ঞ। ওহহে ব্লগ তুমি অমর হইও পরজনমে।
যাকগে শুরুতেই অচিন্দাকে স্মরন করে চায়ের টেবিলে বসলাম। জীবিত মানুষকে কেন স্মরণ করতে হয় তার ফজিলত সম্পর্কেও আলোচনা হলো। এর মাঝে ফোন করলো মাসুম ভাই। ব্যাপক ফজুল উপদেশ হাসিল করলেন আড্ডার কুফল সম্পর্কে। ওনার বাড়ী যাবার পরামর্শকে কানধার্য করে 'চা' খেতে বসে গেলাম আমরা।
চা খাবার এক ফাকে জয়িতার ফোন রুমিয়ার মোবাইলে। রুমিয়া কথা শেষ করার পর আমাকে ফোনটা এগিয়ে দেবার সময় জয়িতার সালামটা নীচে পড়ে গেল টুপ করে। ফলে আমি ওয়ালাইকুম সালামের বদলে বললাম, 'হ্যালো'। শুনে জয়িতা ক্ষেপে গেল, কেন সালামের জবাব দিলাম না। মেয়েটা বিশ্বাসই করলো না সালামটা আমার কাছে আসার আগেই ড্রপ হয়ে গেছে। তবু ডরে সালামটা খুঁজে নিয়ে ফেরত দিলাম। শান্তি নামলো। কথা শেষ করে আড্ডায় ফিরি। ব্লগজগতের কালু ফালুদের কাছে আমাদের আসলেই কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। নইলে এরকম নির্মল বিনোদন কোথায় পেতাম। আড্ডার এত বিষয় কোত্থেকে আসতো। সময় ছিল না বলে শফিকুলকে টেনে আনলাম না। নূড়ে এলার্মেই শেষ হলো। দুঘন্টার মধ্যে দেড় ঘন্টায়ই বোধহয় পেটের ব্যায়াম হয়েছে অট্টহাসির দমকে। যাক বেশী আর না বলি নইলে মুমিন কেউ এসে হাদিস ঘোষণা করতে পারে, খাদ্যগ্রহনকালে অট্টহাস্য করা মাকরূহ।
কথা সংক্ষিপ্ত করলাম। কারণ এখন এক কাপ লাল চা খাচ্ছি। সাঈদ ভাইয়ের কাছে একদফা কৃতজ্ঞতা। কারণ ওনার সৌজন্যেই একত্রিত হতে পেরেছিলাম আমরা কয়েকজন। আরেকটা কি যেন বলার ছিল.........নাহ ভুলে গেছি। মনে আসলে পরে ব্যাক গিয়ারে ফিরে আসবো। আপাততঃ এই।
ফোনে রুমিয়ার ভয়েসটা কিন্তু সেরম!
ওহহহ। আরেক্টা কথা। নীড়দার সাথে কথা বলে শিওর হলাম যে , নীড়দা বলে কেউ আছেন।
হ, উনি ঢাকায় চামে আইসা চামে চইলা যান। কাউরে জানাননা এই ভয়ে যদি মুরগি বানায়! নতুন যেই আইন পাশ হইছে গেস্টদের বিষয়ে সেইটা ওরে বইলা দেও।
"নতুন যেই আইন পাশ হইছে গেস্টদের বিষয়ে সেইটা ওরে বইলা দেও"
নতুন আইনটা কি ঢাকার ভিতর সীমাবদ্ধ নাকি সমগ্র বাংলাদেশ। তাইলে নতুন আইন সহকারে চট্টগ্রামে আমন্ত্রন আপনাকে।

নতুন আইনে গেস্টদের খাওয়ানো হয়। মুরগা বানানো হয় না, মুরগা বানানোর কথা বলে হুদাই এক্টু পেচ্ছাপেছি করা আর কি!
রুমিয়ার বিষয়ে মুখে তালা দিয়ে রাখছি। ঠিক করছি কাউরে কিছু কমু না
মাসুম্ভাইর সাথে কথাবার্তা এইরকম--
- মাসুমভাই আমরা সবাই চলে আসছি
- বাহ!
- সাঈদভাই অনেক ছবি তুলতেছে
- বাহ্
-জায়গাটা সুন্দর খুব
- বাহ্...
- এতোক্ষণ লবিতে বসেছিলাম এখন খেতে আসছি
- বাহ্হ্হ্
প্রতিটি 'বাহ্' উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমান ফোঁসফোঁসানিযুক্ত
আম্রা ঠিক করছি মাসুম ভাইরে চট্টগ্রাম পাঠাবো। কিন্তু উনি হেলমেট ছাড়া যাইতে রাজি না।
প্রতিটি 'বাহ্' উত্তরোত্তর ক্রমবর্ধমান ফোঁসফোঁসানিযুক্ত
হা হাহাহহাহাাহাা
আগমাগো আড্ডার ভিডিও করা ছাড়া উপায় নাই। কারণ চ্ট্রগ্রাম বাসীদের জানা দরকার আড্ডা কাকে বলে। সেরম আড্ডা হইলে মুকুল কী আর ম্যাডামের কাছে যায়, রুমিয়া থাকতেও
বুলস আই গুরু!
প্রতি সপ্তাহে ২/৩ আড্ডার ভিডিও দিবেন?
অনেক খরচ হবে? তুমি স্পন্সর কইরো
আমি??????????? আমার ভিডু দেখানের খায়েশ নাই। আমি যে আড্ডা দেই এ তো পুরানা কাহিনী।
আসল কথা বাইর হইলো। গপ মেলা দেওন যায়, তয় ভিডু কইরা প্রমাণ দিতে গেলে খরচের চিন্তা। স্পন্সরের কথা উঠলে এ ওর দিকে ঠেইলা দেয়
প্রতি সপ্তাহে ৮টা ভিডু করলে বুঝবা। আর আমরা তো যেই সেই ভিডু করি না। সেই প্রমানও আছে রায়হান ভাইয়ের কাছে।
হুমমমমম............বুঝলাম
সাঈদের রুমিয়াকে রাস্তা পার করে দেয়া নিয়া ফেইসবুকে মানুর বুকফাঁটা আহাজারি:
মানুষ গাছঃ আমি কি চিরটাকাল দর্শকই থেকে যাবো?
Rumiya Azmeen: @ Manu...ekhono time ase.joldi porichalokder dorjay kora narun...
মানুষ গাছঃ এই মন তোমাকে দিলাম - The mind is yours #
Mahfuza Khanam Jyoti: Manu ei jibon rekhe ki korba?sayeed vai kal hat dhore rumiyare rasta par kore diche.
মানুষ গাছ: সাঈদ ভাইয়ের ঐ হাত আর ধড়ের সাথে থাকবে না। দেশে আইসা নিই একবার
মানুষ গাছঃ যেই রাস্তা সাঈদ ভাই রুমিয়ার হাত ধরে পার করেছে একদিন ঐ রাস্তাতেই তাকে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে হবে। এ আমার অভিশাপ।
মানুষ গাছঃ যেই রাস্তা সাঈদ ভাই রুমিয়ার হাত ধরে পার করেছে একদিন ঐ রাস্তাতেই তাকে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে হবে। এ আমার অভিশাপ।

যেই রাস্তা সাঈদ ভাই রুমিয়ার হাত ধরে পার করেছে একদিন ঐ রাস্তাতেই তাকে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে হবে। এ আমার অভিশাপ।
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা (cut injury salt throw) দিলাম
মানুষ, অভিশাপ পরে দিয়েন।আগে সাঈদ ভাইয়ের কাছ থেকে কেমনে রাস্তা পার হইতে হয় সেইটা শিখে নেন
ট্রাফিক কন্ট্রোল করলে তো রুমিয়ারা দলে দলে ঐ হাত ধরে রাস্তা পার হতে পারবে এবং হবে!!! কিন্তু এতে করে তোমার অবস্থার আশু পরিবর্তন আর কবে হবে?
দুইন্যায় কে সবচেয়ে সেইফ এইটা রুমিয়া কেমনে টের পাইলো?
আমি চিন্তা করতেসি চা কি একদম শেষ হয়ে গেল। জিনিসটার ফজিলত তো দেখি কম না
নীড়দা'কে আমার কখনোই চুপচাপ-রাশভারী মনে হয় নাই। বস্ মানুষ।
সবাই দেখি সেইরকম হিংসীত।বাহ !!!!
চট্টগ্রাম! আহ কী দারুণ শান্তিময় জায়গা।
রুমিয়া, আপনার লেখা পড়ে চট্টগ্রামকে মিস করছি।
ও, তাই, না ?
অলক্ষ্যে পড়ে থাকি সকলের চোখের আড়ালে । আড্ডার পোস্ট পড়ে একা একা হাসি আর মনে মনে ভাবি শুধু, সেদিন হয়েছে বাসি । তবুও প্রাণবন্ত এমন আড্ডায় যেতে মন চায়, অপেক্ষায় থাকি যদি কেউ ডাকে তাহারই আশায়।
চাঁটগায় এবি'র আড্ডা দেখি বরাবরই ব্যাপক হয়।

অবশ্য এমনও হৈতারে, চাঁটগায় অনেক নয়া আড্ডাবাজ।
বিগেইনার্স আনন্দ আরকি!
আগে শুনছিলাম হযরত সাঈদ ক্যাননওয়ালা মিরপুরী চট্টগ্রামে তার ভক্ত ও আশেকানদের সময় দিবেন, যেইটা চা-আড্ডা নামে ডিজুসিকরন করা হৈছে। কিন্তু নীড়দার কমেন্ট পৈড়া তো টের পাইলাম না সাঈদ ভাই আড্ডায় গেছলো কখন? যারে নিয়া আড্ডা তারই আগমন-প্রস্থান নিয়া কুনো আলাপ নাই? আসলে কি হৈছে সত্য কৈরা কন তো?

সাঈদ ভাই আর আমি আসা-যাওয়া দুটোতেই একসাথে ছিলাম বলেই আলাদা করে আগমন প্রস্থানে লেখা হয়নি। বাকী আলাপ তো দেখতেই পাচ্ছেন কমেন্টে আর পোষ্টে
হযরত সাঈদ ক্যাননওয়ালা মিরপুরী
জব্বর নামকরণ! লাইকিট।
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল।
আমরা ঢাকাবাসী যেহারে খোচাঁনি দিছি তাতেই হযরত সাঈদ ক্যাননওয়ালা মিরপুরী'র (নামকরন বাই রাফি, দারুন একটা নাম দিছে!!) কপালে চা-টাই জুটতো!!...
দারুন আড্ডা হইছে বুঝাই গেছে, রুমিয়া ফোন দিছিলো, ভাবলাম কথা বলবো সবার সাথে, কিন্তু হৈহুল্লোড়ে ওর সাথেই কথা বলা গেলো না...
সুন্দর সুন্দর ছবিগুলা কি হযরত সাঈদ ক্যাননওয়ালা মিরপুরী ঢাকা ফিরলে পাবো?... আশায় রইলাম
এত কথার ভীড়ে আরেকটা কথা সবাই (আড্ডাবাজরা) ভুলে গেছি! মুক্লার যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বিনিময়ে (আমার কাছ থেকে
) আরও একটি আড্ডার আয়োজক হওনের কথা ছিল সেটার উল্লেখ কেউই করলো না!!!
যাই হোক আশা করি মুক্লার সবই মনে আছে..... এখন প্রশ্ন হইল কখন কোথায় কিভাবে সে মুর্গী হবে....
মুকুল বান্দরবানে ব্যস্ত। আচমকা আটদিনের সফরে গিয়ে অপ্রস্তুত অবস্থায় জামাকাপড় থেকে টুথব্রাশ সব কিনতে হয়েছে। ঐদিন বিয়েটা করে গেলে হানিমুন সেরে আসতে পারতো
মানুশজোন কহরাপ!
খুব খ্রাপ! খালি আড্ডা দেয়!
রুমিয়া'পুরে লগিন দেখতেসি। কবিতা লেখেন?
লেখেন লেখেন, জলদি লেখা শেষ করে পোস্ট দেন। অনেকদিন আপ্নার দূর্দান্ত
কবিতা পড়ি না।
আমি চা ভালু পাই!
সাথে গরমাগরম কবিতা হইলে তো আরো ভাল।
মন্তব্য করুন