ড্রাইভিং লাইসেন্স
সুখে থাকলে ভুতে কিলোয়, তো সেই ভুতের কিল খেয়ে মধ্যপ্রাচ্যর আরাম ছেড়ে যখন কানাডাতে বসত গাড়লাম, সেই তখনকার কথা। বাড়ি ভাড়া, ব্যাংকের একাউন্ট খোলা, বাচ্চাদের স্কুলের রেজিসট্রেশনের পরে আমার স্বামি আমাদেরকে নিয়ে গেলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স অফিসে। ফ্রন্টডেস্কের হাস্যমুখি সুন্দরী জানালেন আমেরিকা এবং জাপানের ড্রাইভিং লাইসেন্সকে তারা রেকগনাইজ করে, বাকি সব্বার পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়। পরীক্ষা আবার ধাপে ধাপে তিন পর্বে। শুনেই তিনি লাইনে দাড়ালেন প্রথম পর্বের জন্য। ডেস্কের বয়স্ক মহিলা পরামর্শ দিলেন নিয়ম কানন জানার জন্য, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বই কিনত।
হাতে বই নিয়ে অফিস থেকে বের হবার আগে একটু চিন্তা করে আমার স্বামি তখনই আবার লাইনে দাঁড়ালেন। কাউন্টারে সেই মহিলাকে বললেন ষোল বছরের কোন দুর্ঘটনা ছাড়া ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতার কথা এবং প্রথম পর্বের পরীক্ষাটা তখনই দিতে আগ্রহি। ভাবলেশহীন মুখে সব শুনে তিনি ফর্ম ফিল-আপ করিয়ে, ফি জমা নিয়ে সারি সারি ডেস্কটপ সাজানো পরীক্ষা কক্ষে নিয়ে গেলেন। পরীক্ষা কোন ব্যাপারই না ভাব নিয়ে আমার স্বামি বসলেন চেয়ারে। তার একবারের জন্য ও মনে হয়নি, বেদুঈনদের দেশের সাথে এস্কিমোদের দেশের আইন কানুনে বিস্তর ফারাক আছে। পরীক্ষক বুঝিয়ে দিলেন সেটা। কম্পিউটারে মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেনে ফোরওয়ে স্টপ সাইন, রেলওয়ে ক্রসিং, স্কুলবাস, স্নো-ভিকেল সম্পর্কে প্রশ্ন করে একেবারে বোকা বানিয়ে ফেললেন। মনিটরে নিজের স্কোর দেখে হতভম্ব, অবিশ্বাস্য দৃস্টিতে কাঁচের দেয়ালের ওপাশে তাকিয়ে দেখেন ভ্রু নাচিয়ে, কাঁধ ঝাঁকিয়ে পরীক্ষক বলছেন ‘আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম বইটা পড়তে। প্রথম শ্রেনী থেকে ইউনিভার্সিটির শেষ পরীক্ষায় ফার্স্ট বয় জীবনে প্রথম ফেল করার পর তার চেহারাটা দেখার মতই হয়েছিল। ঠিক তার পরের দিনেই একই মহিলার কাছে পরীক্ষাটা দিয়ে একটু মৃদু খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘গত কাল একদম ফালতু ইস্যুতে আমাকে ফেল করিয়েছো’ মহিলাও সমান তেজে উত্তর দিলেন ‘রুল গুলি জানা দরকার তোমার নিজের ভালোর জন্যই’ একটু থেমে তিনি জিজ্ঞেস করলেন ‘আগামী কাল একজনের ক্যান্সেল করা একটি রোড টেস্টের স্লঠ আছে তুমি কি নিতে চাও’ এ দেখি মেঘ না চাইতেই বৃস্টি! তিনি সেটা লুফে নিলেন, টেস্টের পরেই সেই দিনেই ফোর্ডের শো-রুমে গিয়ে নুতন মিনিভ্যানের বুকিং দিয়ে দিলেন।
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বরফ ঝড়ে এক হাটু বরফের নীচে চলে গেল রাস্তাঘাট। অফিস থেকে ফেরার পথে প্যাচ প্যাচে কাদার মত বরফে গাড়ি ছাগলের মত ঘাড় ত্যাড়া করে, ডাইনে বললে যায় সে বামে, তিন পা যেতে দুবার থামে। মদ্ধ্যপ্রাচ্য ছিল সপ্তাহে দশ ঘন্টার লেকচার, আর এখানে দিনে দশ ঘন্টা হাই টেকের প্রচন্ড খাটনি, অফিস শেষে রাস্তার এই অবস্থা সহ্য হয়? তার বন্ধু যখন মনে করিয়ে দিল প্লাস ফরটি টেম্পারেচারের বদলে মাইনাস ফরটি টেম্পারেচার, বাড়ি, গাড়ি, অফিসে এসির বদলে হিটার, তফাৎটা কি? রাগতে যেয়েও হেসে দিলেন, বললেন বরফের কাঁদায় ভরা পাকা রাস্তা, বর্ষাকালে বাংলাদেশের গাঁও গেরামের কাঁচা রাস্তারও অধম।
যাক বাবা গুরুমারা বিদ্যেও কাজে লাগে! বহু আগে সেই আশির দশকে আমেরিকায় পেপার প্রেজেন্ট করতে যাবার সময় আমাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ছিলেন আমার স্বামি, ডিজনি ওয়ার্ল্ড ঘুরিয়ে ডালাসে ভাগ্নির বাসায় থেকে পনের দিনে, দৈনিক পাঁচ ছয় ঘন্টা ড্রাইভিং প্রাক্টিস করিয়ে, রোড টেস্টের জন্য লাইনে দাঁড় করালেন আ্মাকে। গেরস্থালির ফাঁকে ফাঁকে গাড়ি চালানোটা দুই সপ্তাহে ভালোই শিখিয়ে ছিলেন! আমেরিকান ড্রাইভিং লাইসেনস থাকলে আবার মধ্যপাচ্যে পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স দিয়ে দ্যায়! শিয়ালের কুমিরছানা দেখানোর মত আবারো আমেরিকান লাইসেন্স দেখিয়ে অটোয়াতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে গেলাম আমি।
আমার ভাগ্নি-জামাই ফিজিক্সের প্রফেসর, আমাকে অনেক কিছু বুঝিয়ে ছিলেন, যেমন স্পিড আর ব্রেকের সাথে কত দূরে গিয়ে থামবে গাড়ি তার অনুপাত, ডালাসের আরলিংটন পাহাড়ি এলাকা, তো সেই পাহাড়ের চড়াই উৎরাই এ গাড়ি পার্ক করার সময়ে চাকা কোন এঙ্গেলে রাখতে হবে ইত্যাদি। সবচেয়ে চমৎকার উপদেশ খানা হোল চোখ, কান, হাত, পায়ের সাথে সাথে মনকে অত্যান্ত সজাগ রাখতে হবে। যেমন গাড়ির সামনে হটাৎ কোন কিছু বাঁধার আভাষ দেখা যাচ্ছে, কিছু বোঝার আগেই পা ব্রেকে চলে যাবে, অনেক দ্রুত, নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেয়াটা অর্জন করতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্য গাড়ি চালাতে গিয়ে রাস্তায় অন্য ড্রাইভারদের দিকে খেয়াল রাখতে হোত, সাপের মত এ এদিক দিয়ে ঢোকে তো ও ঐ দিক দিয়ে বের হয়, আরব দেশের নুতন প্রযন্মের তরুনরা বাপের হোটেলে খায়, আর নিত্য-নতুন গাড়িতে রাস্তায় রাস্তায় দাপিয়ে রেস করে। অঘটন কি আর হয় না? হয়, কপালজোরে বেঁচে গেলেও শিরদাড়া, হাত, পা ভেঙ্গে হুইল চেয়ারে তবু জীবনটা বাঁচে, কিন্ত কোন ধরনের বাঁচা? আর আঠারো থেকে পঁচিশ বছরের টগবগে তরুন, য়্যক্সিডেন্টে আগুন ধরে যাওয়া গাড়ি থেকে কয়লা হয়ে যাওয়া নিস্প্রান দেহটি আপনজনেরা শেষ দেখাটাও দেখতে পারে না!
অটোয়ায় বৈরী আবহাওয়া ড্রাইভারদের ভোগায়। একদিন সকালে বৃস্টির মদ্ধ্য স্কুলে গেছি, বিকেলে পার্কিং লটের দরজা খুলে চোখ ছানাবড়া। সারাদিন হয়েছে ফ্রিজিং রেইন, পিচ্ছিল আঠালো স্বচ্ছ ক্রিস্টালের মত এই খতরনাক বরফকে আমি খুব ভয় পাই। গাড়ি পরিস্কার করতে এগিয়ে আসলো এক ছেলে, মাথায় মোড়গের রঙ্গিন ঝুটির মত চুল রেখে, দুই পাস কামানো, হাতে ঘাড়ে উল্কি, পরনে ফুটো ফাটা জিন্স। সে স্নো-ব্রাসের ধারালো সাইড দিয়ে জায়গা বুঝে টুক টুক করে বাড়ি দিয়ে খুঁচিয়ে বিরাট কাঁচের টুকরোর মত আলগোছে তুলে ফেলে মিনিট দশেকেই চলনসই পরিস্কার করে দিল। মুখে বললো, ম্যাডাম ডাইনে বায়ে না গিয়ে সিধা বাড়ি চলে যাও, রাস্তা বড়ই খারাপ। কপাল গুনে রাস্তায় লবন বালি ছিটানো এক ট্রাকের পিছনে পিছনে বিনা ঝামেলায় বাসা পর্যন্ত চলে এলাম, মুস্কিল হোল গাড়ি ড্রাইভ ওয়েতে ঢোকানো, ছাগলের মত গাড়ি শুধুই বেঁকে বসে, পায়ে নেই স্নো-বুট, কোন মতে গাড়ির মাথা ড্রাইভ ওয়েতে, লেজ ফুটপাথে রেখে, হামাগুরি দিয়ে ঘরের দরজায় এলাম।
উইকএন্ডের ভোর সকালের আরামের ঘুম হারাম করে ছেলের হকি প্রাক্টিসে নামিয়ে বাসায় ফিরছি। চেনা পরিস্কার, বরফহীন রাস্তা শুনশান নিরব, হালকা একটু কুয়াষার মধ্য দিয়ে চলছি, হটাৎ এক আজব ভুতুরে ব্যাপার হোল, ঘন কুয়াষা, কিচ্ছু দেখা যায় না, সাদাতে অসচ্ছ যেন এক মেঘের মদ্ধ্য ধুকে গেলাম, খুব দ্রুত মনের চোখে আমার অবস্থানটা ভিসুয়ালাইজ করলাম, এক্সিলিটার থেকে পা সড়িয়ে, স্টিয়ারিংটা শক্ত হাতে ধরে রইলাম, সামনে সোজা রাস্তা, মনে হোল অনন্ত কাল চলছি অন্ধের মত, হটাৎ করেই ভোজবাজির মতই সব পরিস্কার হয়ে গেল! আমার ডান দিকে স্কুল, বা দিকে ব্যাংক, ফার্মবয়ের বিশাল দোকান, টাটকা সবজি আর ফলের জন্য প্রতি সপ্তাহেই আসি। এই ঘন কুয়াষা প্রকৃতির মরন ফাঁদ, এর ভয় প্রত্যক ড্রাইভারই পায়।
যোগাযোগের জন্য, দুরত্বকে অতিক্রম করার জন্য এখন গাড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় বাহন, সর্বত্রই এর কদর বাড়ছে, এর অনুকুলের চিত্র সর্বত্র একই রকম হোলেও প্রতিকুলের চিত্র দেশ দেশান্তরে ভিন্ন, কারন ভিন্ন, সেগুলি আলোচনায় আসলে সমস্যাটি অন্তত চেনা যায়। কে না জানে, সমস্যা সমাধানের মাধ্যমেই জীবন এগিয়ে যায় উন্নতির দিকে।
আসমা খান।
বাংলাদেশে ৬ নাম্বার বাস যারা চালায়-তারা মুনে হয় দোজখে গিয়েও গাড়ি চালাইতে পারবে। সমস্যা একটাই শুধু রাস্তা দিয়া ডলা দিয়া মানুষ মাইরা যাইবো।
মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
এবি তে সুস্বাগত।
পড়তে থাকুন। লিখতে থাকুন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
এ বি তে আমি নুতন, স্বাগত সম্ভাষনে খুব খুশি হলাম। লেখাটি কি ভাবে আরো ভালো করা যায় সে ধরনের মন্তব্য আশা করছি। দীর্ঘ দিন প্রবাসে, বানান ভুল নিয়ে নিজেই বিব্রত।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
বানান ভুল ব্যাপার না, লিখতে লিখতে ঠিক হয়ে যাবে।
বলার মত কিছু থাকলে অবশ্যই বলব। ভাল থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
স্বাগতম টু আমরা বন্ধু ব্লগ
অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
ড্রাইভিং শেখার খুব শখ তবে ডর লাগে একছিডেন্ট কইরা ফেললে

এবিতে স্বাগতম! লিখতে থাকুন
শিখে ফেলুন, খুব কাজে দেবে। মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
অনুভূতির প্রকাশ দারুণ লেগেছে। ড্রাইভ করা আসলেই মহা ঝামেলার কাজ!
লেখাটি পড়ে মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ড্রাইভিং ঝামেলার হোলেও খুব জরুরি একটা স্কিল, পারলে শিখে ফেলেন।
আমি শর্ট টেম্পার্ড মানুষ। রাস্তায় যখন কেউ উল্টাপাল্টা দৌড় দিবে, কিংবা রিকশা-গাড়ি ঢুকায়া দিবে, তখন মেজাজ ঠিক থাকে না, ধাক্কাধুক্কা দিয়ে একাকার করে ফেলবো। সেরকম রেকর্ডও আছে। তাই ড্রাইভিং শেখার সাহস হয় না!
তাহলে তো মুশকিল!!
অয়েল্কাম। ড্রাইভিং শিখবো শিখবো করেও শেখা হচ্ছে না!
অনেক ধন্যবাদ। শিখে ফেলেন। খুব দরকারি একটা স্কিল।
কি যাতনা বিষে
তবুও কানাদা দেখে ম্যানেজ হয়েছে, ইউরোপে আরো টাফ
১৯৭৮ সাল ঠেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত আমরা ছিলাম ম্যাঞ্চেস্টার, ইংল্যান্ডে। তারপর বিভিন্ন সময়ে ইয়োরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরেছি।
ঠিক বুঝতে পারলাম না , কি টাফ? ড্রাইভিং ?
মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
না ড্রাইভিং না, লাইসেনস
(
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
কানাডা*****
তাই নাকি???
বাদ বাকী ইউরোপের কথা জানি না, তবে ইংল্যান্ড আয়ারল্যান্ডে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়া একটা বিরাট হ্যাপা। আপনার যে দেশের লাইসেন্সই থাকুক ছয়মাসের বেশী সে দেশে থাকলে লাইসেন্স নিতে হবে। থিওরি টেষ্টে ৪০ টা প্রশ্নে ৩৫টা ঠিক হলে লারনার লাইসেন্স দেবে, লারনার লাইনেন্স নিয়ে এপ্রুভ ইন্সট্রাকটর দিয়ে কমপক্ষে ১২টা লেসন নিতে হবে। এইবারে গেল আপনার ৩০ টাকা প্রতি লেসন ধরে ৩৬০ ইউরো। থিওরি লাইসেন্স পাবার ছয়মাসের মধ্যে মুল লাইসেন্সের পরীক্ষাই দেয়া যায় না। ছয়মাস পরে রোড টেষ্ট। সেটা আরেক হ্যাপা। পচিশ মিনিটের ড্রাইভে বেকুবের মত গাড়ী চালাতে হয়। বাচ্চাদের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্টিয়ারিং ঘুরাতে হয়। হ্যাপা আর হ্যাপা।
তো সবমিলিয়ে লাইসেন্স নিতে আটমাসের বেশী লাগে।
মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইংল্যান্ডে এখন রোড টেস্ট একটি না দুই পর্বে(হাই ওয়ের জন্য)? কানাডাতে বই পড়ে প্রশ্ন উত্তরে পার হোলে, আট মাস পরে রোড টেস্ট, ইতিমদ্ধ্য দশ ঘন্টা লেকচার সহ দশ ঘন্টা রোড প্রাক্টিসের জন্য স্কুলে ভর্তি হলে ভালো, ইন্সিওরেন্সের জন্য।প্রথম রোড টেস্টে পাস করলে পরবর্তি পাঁচ বছরের মদ্ধ্য দ্বিতীয় রোড টেস্ট পাস করতে হয়। এই দ্বিতীয় টেস্টএ ফেল করলে, পাঁচ বছর পরে ফের একদম নুতন করে প্রথম থেকে শুরু করতে হয়।
হ্যাপা, খরচ, সময় কোথাও কিন্ত কম নয়। ব্যাতিক্রমও আছে বৈ কি।
ড্রাইভিং মুলত খুব একটা ঝামেলার কিছু না। প্রথম কয়দিন একটু টাইম লাগে। কয়েক সপ্তাহ পর পানি ভাত। এতো গেল ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স ওয়ালা গাড়ি। অটোগিয়ারগুলোতে ড্রাইভিং বলতে কোন ব্যাপার তো নাই, খালি স্টিয়ারিং ঘুরাতে পারলেই হল। আজকাল ফোর্ড গাড়ির কিছু মডেল অটোরিভার্স পার্কিংও করে দেয়।
তথ্যবহুল মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন