অদ্ভুত সেই ছেলেটি
আজ আকাশের মন খারাপ। সে মুখ গোমড়া করে আছে। গোমড়া মুখে কষ্ট ছড়িয়ে দিচ্ছে সবার মাঝে ......
এই কষ্ট হঠাৎ স্পর্শ করেছে জানালার ধারে বসে থাকা একাকী অদ্ভুত শ্রাবণ কে। শ্রাবণ আর কেউ না , ঢাকা শহরের যেকোন জানালা দিয়ে অসীম আকাশ পানে তাকিয়ে থাকা সাধারণ একটি ছেলে। নির্মম বাস্তবতা যার সুখ লুটে নিয়েছে। শুধু নিতে পারেনি পথচলার আগ্রহ ! আর তাই সর্বস্ব হারিয়েও বাস্তবতাকে কাচকলা দেখিয়ে সে দৃঢ় পায়ে এগিয়ে চলে সামনের দিকে।
শ্রাবণ তাকিয়ে আছে আকাশের পানে। আকাশের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘ। শ্রাবণের দৃষ্টি মেঘের পানে নয়। মেঘের সৌন্দর্য , প্রভাব , প্রতিপত্তি কিছুই শ্রাবণকে আকর্ষণ করে না। শ্রাবণ সর্বদা মেঘের মাঝে কাকে যেন খুজেঁ ফেরে। হয়তো বৃষ্টিকে , হয়তোবা চাদঁকে !!! নাকি রাতজাগা পাখিটাকে ? এর জবাব তো শুধুমাত্র শ্রাবণই দিতে পারে।
কিন্তু এই ব্যাপারে শ্রাবণ সবচেয়ে আত্মকেন্দ্রিক , সে তার নিজের কানকেও এইকথা বলেনা কক্ষনো। পাছে কেউ জেনে যায়। এই লুকোচুরিতে একধরনের আনন্দ আছে। এটিই শ্রাবণের একান্ত নির্লিপ্ত বিনোদন। অনেকটা রোমান্টিক সিনেমার মতো। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই সিনেমার নায়ক ও পরিচালক দুটোই শ্রাবণ। আর নায়িকা কল্পনার অপ্সরী।
নায়িকা কল্পনায় থাকলে একটি সুবিধা আছে। তাকে যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে দৃশ্যের ভেতরে আনা যায়। শ্রাবণ সবসময়ই এই সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যাবহার করে।
মাঝে মাঝে ঝুম বৃষ্টিতে সে নায়িকার সাথে একটি রোমান্টিক ভেজা গান গেয়ে ফেলে।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে একটি রগরগে উত্তেজনার দৃশ্য ভেবে নেয়।
মাঝে মাঝে ভরা পূর্ণিমায় কল্পনা করে কিছু রোমান্টিক মুহূর্তের।
আর এভাবেই চলতে থাকে শ্রাবণের কল্পনার প্রতিটি দিন। প্রতি রাত , প্রতি মুহূর্ত ....
আর এভাবেই সে অপ্সরী বেচেঁ থাকে শ্রাবণের প্রতি মুহূর্তের কল্পনায়, একান্ত নিজের হয়ে ।
ভালো লাগল
এত যার সেন্স তার নামটা কেন ননসেন্স। জবাব চাই দিতে হবে?
প্রথম দিকের লেখাগুলো পড়লেই বুঝবেন কেনো আমি ননসেন্স
এত যার সেন্স তার নামটা কেন ননসেন্স। জবাব চাই দিতে হবে?
হাহাহাহাহা, ভাল
দোয়া রাইখেন
মন্তব্য করুন