একটি 'দুনিয়া ক্রাপানো গ্রথম আলো' পরিবেশনা
২১ ফেব্রুয়ারি আমাগো আছিলো 'ভাষা শহীদ দিবস', বিশ্ববাসীর আছিলো 'ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে' আর গ্রথম আলোর [গ্রামীণ ফোন+প্রথম আলো] আছিলো 'দুনিয়া কাঁপানো ৩০ মিনিট'।
ভাষা আন্দোলনের সুবিস্তৃত পটভূমিরে ইতিহাস তাগো চক্ষু থিকা উধাও, তাদের চোখে খালি ভাসলো ৩০ মিনিট। ছোটলোকে বড় কিছু দেখবো কেমনে?
তাই তাদের কাছে ভাষা আন্দোলন মানে তিরিশ মিনিট ঠেকলো। সেই তিরিশ মিনিটের মহিমা কীর্তনে নর্তন কুর্দনে নামলো। লগে তাগো লাঠিয়াল বুদ্ধিদাসগুলা।
তো কী হইলো সেই তিরিশ মিনিটে? যা ঘটলো সেইটা পৃথিবীর ইতিহাসে থাকবে না। কারণ কোনো পত্রিকা এই তথ্য ছাপে নাই, ছাপবো না। একটা মাত্র টিভি চ্যানেল ছাড়া আর কোনো টিভি চ্যানেল প্রচার করে নাই সেই নিউজ। কারণ এইটা প্রচার করলে গ্রামীণ প্রভুর বিজ্ঞাপন বন্ধ, বন্ধ রুটি রুজি।
কিন্তু সেই তামাশা দেখতে আমজনতা যারা গেছিলো, তাগো চোখ তো আর গ্রথম আলোর লাহান ছোটলুকি চোখ না। তারা ড্যাব ড্যাব কইরা তাকায়া দেখলো তিরিশ মিনিটের তাণ্ডবলীলা। যেই তিরিশ মিনিটে গ্রথম আলোর দুষ্কৃতকারীরা তাণ্ডব চালাইলো শহীদ মিনারে, বেদীমূলে রাখা অজস্র ফুল নিয়া খেললো ছিনিমিনি, ধর্ষণ করলো শোকাবহ এই দিনের যাবতীয় পবিত্রতারে!
জানতে হলে পড়েন... দেখেন... http://www.somewhereinblog.net/blog/tinkutravelar/29102764
আর দেখেন ইটিভির নিউজ ক্লিপ: http://www.facebook.com/video/video.php?v=1334659159495&ref=mf
আমার ধিক্কার জানানের ভাষা নাইক্কা। আপনেরা দেখেন, দেইখা লজ্জায় ঘৃণায় কান্দেন। আর বলেন ক্ষয় বাবা গ্রথম আলো... ক্ষয় হয়ে যা... এইসব কুলাঙ্গারদের কর্পোরেট দালালী আর বেশ্যাবৃত্তি দেখলে সালাম বরকত জব্বার রফিকেরা আবার কব্বর থিকা উইঠা আইসা বার বার শহীদ হইতো।
"ভাষা আন্দোলনের সুবিস্তৃত পটভূমিরে ইতিহাস তাগো চক্ষু থিকা উধাও, তাদের চোখে খালি ভাসলো ৩০ মিনিট। ছোটলোকে বড় কিছু দেখবো কেমনে?"
........................
"এইসব কুলাঙ্গারদের কর্পোরেট দালালী আর বেশ্যাবৃত্তি দেখলে সালাম বরকত জব্বার রফিকেরা আবার কব্বর থিকা উইঠা আইসা বার বার শহীদ হইতো।"
................
কর্পোরেট চুতিয়াদের বাণিজ্যিক (কু)বুদ্ধি থেইকা শহীদদেরও নিস্তার নাই ।
পোস্টটি স্টিকি হবার দাবি রাখে ।
"কর্পোরেট চুতিয়াদের বাণিজ্যিক (কু)বুদ্ধি থেইকা শহীদদেরও নিস্তার নাই"
একদম সত্যি কথা @ আবদুর রাজ্জাক শিপন
প্রথম আলো আর গ্রামীণ ফোন তৈরি করবে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। ধিক্কার
এরপর থেকে একুশের দিন ঘরেই বসে থাকবো!
মেজাজটা চরম বিলা হইছে। আরো খারাপ লাগছে, এই দৃশ্য আমি চোখের সামনে দেখছি। ঐ সময় আমি শহীদ মিনারের সামনে।

@মুক্ত বয়ান ভাইঃ আপনিও সবিস্তারে লিখেন যা যা দেখছেন। আরেকটা ফার্স্ট হ্যান্ড প্রমাণ থাকুক।
ইটিভির সংবাদটা চোখে পড়ে নাই, বাকী সবগুলো চ্যানেল কি বিজ্ঞাপনের ঠেলায় কানা হয়ে গেল? এত শক্তিশালী কর্পোরেট মিডিয়া?
একটা ঘটনা শুনছিলাম এটিএন বাংলার এক খ্যাতিমান সাংবাদিকের মুখে। একটি সংস্থা দেহের উপর রঙ ফর্সা করার ক্রীমের ক্ষতিকর দিকের উপর সেমিনার করছিল। উনি এই সংবাদটা কাভার করছিলেন আর চালাকি করে সন্ধ্যার খবরে ছেড়ে দিছিলেন। একটু পর ইউনিলিভার থেকে ফোন আসে মাহফুজুর রহমানের কাছে, এবং তিনি একটা নির্দেশ জারি করেন, লিখিতভাবে যে, এই বা এই ধরণের কোন খবর তাকে না দেখিয়ে নিউজে দেওয়া যাবে। এই তো আমাদের নতজানু স্বাধীন মিডিয়ার হাল। বিজ্ঞাপন যেখানে ব্রহ্মাস্ত্র!
একটু পর ইউনিলিভার থেকে ফোন আসে মাহফুজুর রহমানের কাছে, এবং তিনি একটা
নির্দেশ জারি করেন, লিখিতভাবে যে, এই বা এই ধরণের কোন খবর তাকে না দেখিয়ে
নিউজে দেওয়া যাবে না। এই তো আমাদের নতজানু স্বাধীন মিডিয়ার হাল। বিজ্ঞাপন
যেখানে ব্রহ্মাস্ত্র!
ঘৃনা জানানোর ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি। এসব কোম্পানীর পলিসি মেকার, পাবলিক আর কর্মাশিয়াল এ্যফেয়ারের লোকজনকে ধরে গুলী করা উচিৎ। কি সব বীভৎস আইডিয়া এদের মাথায়।
মন্তব্য করুন