এবারের সংগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম রাজাকার বধের সংগ্রাম
ভায়েরা আমার,
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ সারাদেশে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ বিচার চায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, কলঙ্কমুক্ত করতে চায় দেশ।
আপনারা কী চেয়েছিলেন? এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ যাতে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আমরা দিছি। কথা ছিলো সংসদ বসবে, আর আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত পাবো। এদেশের মানুষ কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় এতগুলো দিন চলে গেলো, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো না। উল্টো তাদের হাতে মারা যেতে লাগলো আমাদের মেধাবী ছাত্ররা। আপনারা ভাইবেন না যে আপনারা এই বিচার না করলে আমরা হাত গুটায়া বইসা থাকবো। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ৭১ এর দিছি, ৯০এও দিছি। রক্ত দিতে আমাদের ডর নাই।
আপনাদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ডা ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। কিন্তু আপনারা শুরুতেই নানান ইতং বিতং কথা শুরু করলেন। আপনারা বললেন আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করবেন। আমরা বললাম করেন। সেইটা হইলো। সেজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। কিন্তু এখনো তো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় না। এই গতিতে আগাইতে থাকলে গদি ছাড়ার টাইম হয়ে যাবে। সেইটা কি আপনেরা জানেন না?
এর মধ্যে র্যাবের ক্রসফায়ারে মারা গেলো কতো সন্ত্রাসী। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীরা থেকেই গেলো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশে যখনই কোনো সমস্যা হয়, তখন আপনারাই বলেন যুদ্ধাপরাধী শক্তির মদত আছে এর পেছনে। একটার পর একটা ঘটনা ঘটতেই আছে। বিডিআর বিদ্রোহ হয়, হয় ক্যাম্পাসে গণ্ডগোল, পাহাড়ে জনপদে সর্বত্র। আপনারা বলেন এর পেছনে আছে যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি। আমরা বলি তো এদের মারেন, তাইলেই তো আমরা সুখে শান্তিতে বাস করতে পারি। কিন্তু আপনারা তা করেন না। আপনারা খালি কালক্ষেপন করেন। নানান কূটনৈতিক চাল চলে ভিত্রে ভিত্রে।
আমরা তো অনেক আগেই বলে দিয়েছি, কোনো আলোচনা নাই, কোনো টালবাহানা নাই। যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, যারা আমার মা বোনের ইজ্জত নিয়েছে, যারা আমার ঘরে আগুন দিয়েছে, তাদের বিষয়ে কোনো আপোষ নাই।
ভায়েরা আমার,
৭১ যারা মারা গেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। যারা ধর্ষিত হইছে, কলঙ্কের দাগ এখনো শুকায় নাই। আমরা সেই রক্তশপথ নিয়া বলি- আমাদের দাবী মানতে হবে। প্রথম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। দ্বিতীয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। তৃতীয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে। তার আগে আর কোনো কথা নাই।
আপনারা আমাদেরকে জ্যামে বসায়ে রাখেন, বিদ্যুতহীনতায় কষ্ট দেন, চাউলের ডাউলের দাম বাড়ায়া না খাওয়ায়া রাখেন, তবু আমরা আর কিছুই চাই না। আপাতত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। আর কিছুই না।
আমরা পরিষ্কার করে বলে দেবার চাই, আজ থেকে আমরা এই দাবীতে অটল, ব্লগে ব্লগে ফেসবুকে ফেসবুকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে গণ আন্দোলন গড়ে উঠবে। এই বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের দাবী ছাড়বো না।
আর ব্লগার ভায়েরা, একটা কথা আমি তোমাদের বলে দেবার চাই। আর যদি সরকার টালবাহানা করে, আর যদি শিবিরের ছাগুর হাতে একটা ছাত্র মারা যায়- তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ব্লগে ব্লগে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ছাগুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু -আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। পুলিশ, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। আমরা নিজেরাই প্রয়োজনে বিচার করে নিবো। পনেরো কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবেনা।
আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা জনগনের পক্ষ থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করবো। যতদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো- কেউ দেবে না।
মনে রাখবেন, ছাগুরা নতুন মুখোশ পরেছে, নানান কলাকৌশল নিবে। খুউব খিয়াল কইরা কিন্তু।
প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় যুদ্ধাপরাধী বিরোধী সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, আরো রক্ত দেবো। এ দেশের মানুষকে রাজাকার মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্।
এবারের সংগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম রাজাকার বধের সংগ্রাম।
জয় বাংলা।
আমরা তো অনেক আগেই বলে দিয়েছি, কোনো আলোচনা নাই, কোনো টালবাহানা নাই। যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, যারা আমার মা বোনের ইজ্জত নিয়েছে, যারা আমার ঘরে আগুন দিয়েছে, তাদের বিষয়ে কোনো আপোষ নাই।
প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় যুদ্ধাপরাধী বিরোধী সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। রক্ত যখন দিয়েছি, আরো রক্ত দেবো। এ দেশের মানুষকে রাজাকার মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্।
এবারের সংগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম রাজাকার বধের সংগ্রাম।
এই ব্লগে আশা করি দুর্গ বানানো লাগবে না। আমি এইসব কাজে কাঁচাহস্ত
সাধু...সাধু...
এবারের সংগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম রাজাকার বধের সংগ্রাম।
জয় বাংলা।
চরম পোস্ট। পুরা জাঁঝা।
জয় বাংলা।
এবারের সংগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম রাজাকার বধের সংগ্রাম
রক্ত যখন দিয়েছি, আরো রক্ত দেবো। এ দেশের মানুষকে রাজাকার মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ্।
এবারের সংগ্রাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সংগ্রাম...............................
চরম পোস্ট।
এই গতিতে আগাইতে থাকলে গদি ছাড়ার টাইম হয়ে যাবে। সেইটা কি আপনেরা জানেন না?
জানিতো, আর জানি বইল্যাইতো
টালবাহানা
মন্তব্য করুন