বৃষ্টিভেজা এক দিনে
ঘুমের মধ্যেই শীতল একটা অনুভুতি টের পেলো শিলা।একটু চোখ মেলতেই বুঝলো জানালা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসছে, জানালার পর্দাটা বাতাসে উড়ছে।পর্দার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে দেখলো বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। আর বিছানায় থাকা যায় না। বিছানা ছেড়ে বারান্দায় গ্রিল ধরে দাঁড়ালো সে। বৃষ্টি দেখে মন ভরে গেলো।বৃষ্টির ছাঁট আসছে গায়ে, মুখে। সামনে ফুলে ভরা সোনালো ফুল গাছটার ফুলগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে। মনে হলো যেন ঘাসের উপর খালি পায়ে দাঁড়ানো এক কিশোরী মেয়ের বৃষ্টিবিলাস। মুগ্ধ হয়ে দেখছে আর কল্পনায় ভেসে বেড়াচ্ছে মন। খুব বেশী সময় বৃষ্টি বিলাস হলো না শিলার। কাজে যেতে হবে, তাই সেই প্রস্তুতি নিয়ে ঘর থেকে বেরুলো।
গেট পেরোতেই চোখে পড়লো দুইটা পাখি বসে আছে পাশাপাশি, যেনো নিজেদের মধ্যে কত কথা! শিলার মন আনন্দে ভরে গেলা। প্রায় সকালেই বের হওয়ার সময় কিছু পাখির দেখা মিলে। বেজোড় সংখ্যার পাখি দেখলেই অকারনে মনটা একটু খারাপ হয়।আজ তা হলো না।পথে যেতে প্রতিদিন দেখে রাস্তায় কৃষ্ঞচূড়া আর জারুল ফুল ফুটে আছে।কিন্তু আজ সবকিছুই অন্যরকম সুন্দর, সিন্গ্ধতায় ভরা।
এইসময়টা আকাশ ঘুমায়। ঘুম ভাঙ্গাতে ইচ্ছা করে না শিলার। অফিসে গিয়ে কাজে ডুবে যাওয়ার চেষ্টা। কিন্তু মনের মানুষ এমন দিনে মনে পড়ে। মনটা অস্থির , চন্চল।মন বলে দূরে কোথাও যাও, হাত ধরে বসো কাছাকাছি, পাশাপাশি। এসব ভাবনায় হঠাৎ মুঠোফোনে আকাশের ক্ষুদ্র বার্তা "তোমাকে দেখতে আসি!" ভীষণ খুশীতে আত্নহারা শিলা। কিছু কথোপকথন চললো প্রতিদিনের মতো। কিন্তু শিলা বুঝাতে পারলো না কি ভীষণ ভালোলাগায় ডুবে গেলো সে।যখনই ভাবে আকাশের সাথে দেখা হবে প্রতিবারই মন অস্থির হয়, কপাল ঘামতে থাকে,
হার্টবিট বেড়ে যায়। যখন দেখা হলো শিলা বলতেই পারলো না সে আজ কত চেয়েছে এই অদ্ভুত সুন্দর মানুষটার সাথে দেখা হোক, যার কাছে থাকলে পৃথিবীর সব ভালোলাগা এসে জড়ো হয় শিলার কাছে। পুরোটা সময় শিলা ছুঁয়ে থাকলো আকাশকে। মুগ্ধতা, ভালোবাসা প্রকাশ করার এর চেয়ে আরো সুন্দর উপায় আছে কিনা জানা নেই শিলার। শিলা শুধু বললো "তুমি এমন থেকো।" আকাশ সেই মন ভরে যাওয়াটা হাসিটা হাসলো। শিলা মনে মনে ভাবলো পৃথিবীটা সত্যিই খু্ব সুন্দর, প্রিয়জনকে নিয়ে বেঁচে থাকাটাও।
এই মেয়েটা কেন যে নিয়মিত লেখে না।
শিলা ভালো থাকুক। সারাজীবন।
এই মেয়েটা কেন যে লিখতে পারে না!এক্টু দোয়া করে দিয়েন তো যাতে মেয়েটা লেখতে পারে।
হুমমম। শিলা ভালো থাকুক।
আপনার গল্প আগে পড়িনি। খুব ভালো লাগলো, মিষ্টি একটা গল্প। বর্ণনা, লেখনী খুব সুন্দর। শিলার ভালো লাগাটা সঞ্চারিত হলো প্রাণে।
অনেক ধন্যবাদ
নজু ভাই,আপনাকে এখানে দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর ভালো লাগা সবসময়ই মন জুড়ে থাকুক।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমি ঘর থেকে বের হলাম আর বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আবার বৃষ্টি শুরু হইছে কিন্তু আকাশ থেকেতো শিলা পড়ছে না
রুমান্তিক গল্পটা ভালো লেগেছে। মানুষ সব সময় কেন যে এইরাম নন-আফসুসিত রুমান্তিক থাকতে পারে না !!!! ভালুবাসা নাকি কিছুদিন পরে আলুক্ষেতে চলে যায় । আফসুস
অ-নে-ক-দি-ন পর চাংকুকে দেখলাম পো্ষ্টে। পুরোনো লোকজনকে দেখে খুবই ভালো লাগে, সেই জমজমাট ব্লগিং এর কথা মনে পড়ে।
ভালুবাসা আলুক্ষেতে কেন যায়?আলু পোড়া খাইতে নাকি?সবসময় যদি ননআফসুসিত থাকে তাইলে তো রোমান্টিক হওয়ার আলাদা কোন চার্ম থাকপে না।
গল্প পছন্দ হইসে।
মিষ্টিমধুর পেমের গল্প। ভালু হইসে, আপোষহীন লেখা
আপনার কমেন্টও ভালু লাগছে।মিষ্টি আবার মধু।পো্ষ্টে পিঁপড়া না উঠলেই হয়।
সুন্দর ছিমছাম মিষ্টি। ভালো লাগছে গল্প।
আপনাকে ধইন্যা পড়ার এবং সুন্দর, ছিমছাম মন্তব্যের জন্য।
আজকের এই বৃষ্টি ভেজা সকালে আমার ইচ্ছে করছে শিলা হতে ওর মত কিশোরী।
হয়ে যান। মনটাকে চন্চলা এক কিশোরীর মতো হতে দেন।বৃ্ষ্টিবিলাসে মনকে ভাসান।
বাহ ! মাশাল্লাহ !! সোবহানাল্লাহ !!! আলহামদুলিল্লাহ !!!!
শুকরিয়া। সুবহানাল্লাহ।
আমি ও পড়ছি!
গল্প টা ভালু লাগছে.।।।ফুপি চালায় যান আমরা আছি আপনার পিছনে.।.।।
আর কি চালামু ভাতিজা?গল্প তো শেষ। এখন ঝকঝকা রইদ।
বরষা রাতে বদনা হাতে
অঃটঃ পুতুপুতু গল্প ভালৈছে।
বরষা রাতে বদনা হাতে আছাড় খাওয়ার গপ টা শুনান না সাইদ ভাই.।।।
বদনা হাতে, বৃষ্টির রাতে, সাঈদ ভাই পড়ছে কার ফাঁদে?
শিলা কিডা রে???
রুমান্টিক আমেজ ভাল্লাগছে, কিন্তু আজকে বৃষ্টি নাই, আফসুস...
তুমি চেন না বিলাই?তুমারে নাকি খালি তার সাথে দেখা যায়! এইজন্য আড্ডায় আইতে কইলেই বাহানা করো?
আহা, তুমাগো এই মিছা কতার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক...কিন্তু কথা ঘুরাইলে তো হবেনা মনা, শিলাই কি তুমি? কাহিনি তো পুরাই মিলে....তাইলে আকাশ বাতাস কিডা?
বিলাই তো দেখি খুবই বদ। আমার দিকে কাহিনী ঠেইলা দিতাছ কেন? ঘটনা কি মিললো?সংগাসহ উদাহরণ দেও।
আকাশ বাতাস কিডা?
ওরেরে, সকালে ঠান্ডা আমেজে ঘুম ভাঙ্গা, উইঠা বৃষ্টি দেইখে ভালো লাগা, বাইরে কাজের জন্য বের হওয়া, তারপর দুই পাখি দেইখা খুশি হওয়া, সবই তো জয়িতা কাহিনি-------- >)
বদ বিলাই কয় কি?তুমি কেম্নে জানলা জয়িতা কাহিনী?কারো না সাথে মিলতেই পারে! আমার দিকেই ঠেলে দিলা?বিলাই মিউরে বস্তায় ভইরা ফালায় দিতে হইবো।
মানুষ্টার মতোনি মিষ্টি গল্প।ভালো লাগ্লো।
কুন মানুষটা আবার মিষ্টি?
ভালো লাগলো বলে তুমাকে ধইন্যা এবং আমি ধন্য।
সুন্দর!
বৃষ্টির গল্পের নিকুচি করি
...হ্যাঁচ্চো!
ইস!হ্যাঁচ্চো ভালো হয় নাই এখনো? ভাইরাস আছে নাকি?তাইলে তো এই পো্ষ্টের সবাই খালি হ্যাঁচ্চো দিতে থাকবো।তখন ভাঙ্গার ঘাড় ভাঙ্গা হবে।
আমি তো ভাবলাম নিজের কাহিনী লেখতাছেন!! পরে দেখি নাম বদলায়ে দিছেন, শিলা। ওক্কি, ব্যাপার্না।

গল্পের মোড়কে আত্মকাহিনী ভালৈছে।
মুক্ত তুমিও বিলাই এর কথা কপি করলা?তুমারে মাইনাস। এইডা আত্নকাহিনী বানাই দিতাছে সবতে মিল্লা। ঠিকাছে যা কইবা তুমরা তাই ।
ফুপি এরা কি কয়?কতা হাছা নি?যদি হয় তাইলে কিন্তু রোদে ঘামে একদিনে ফুপার ছবি দেওন লাগবো।তা নাইলে দাদারে কইয়া দিমু.।
আহারে !!!! সামুতে আড্ডাবাজির সেইসব কডিন-কডিন দিনডির কথা মনে করিয়ে দিলেন। আগে কত সুন্দর আড্ডাইতাম ।
ভালুবেসে আলুক্ষেতে গিয়ে সজীব পোড়া আলু না খেতে না পারলে ভালুবেসে কি লাপ !!!!
আসো আমরা গলা বাইন্ধা কান্দি----টানা ১২ ঘন্টা চেয়ার থেইাক না উইঠা বলগাইছি, আড্ডাইছি..সব আলু ক্ষেতে গেলু...
বিলাই তাইলে আমিও কন্দি। বলগাইতে গিয়া পিঠে হইয়া কোকাইতে থাকি। এইসব বলগিং তাইলে আলুক্ষেতে যাইবো?
হ জেডা @ আমাদের সেইসব মহাখাব্য লেখার দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনও আফসুস খাই। আমি তখন অফিস ফাঁকি দিয়ে যে কিরাম বল্গাইছি !!!!!!
হ জ্যাডা, আমি ল্যাবে ফাঁকি দিয়া, কোরিয়ান চান্তেকদের দিকে না তাকাইয়া খালি আড্ডাইছি ব্লগে-------
শুনলাম তুমি নাকি দেশে কুন কোরিয়ান চান্তেক নিয়া আসছ ? তাকে নিয়ে এখন বাংলাদেশে আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছো । ঘ্যাটনা কি ??
ভাগ্যিস ফেসবুক বন্ধ হইছে, সেজন্য জয়িতা গল্প লিখতে পারলো।
শিলাকে ভালো লাগলো।
তাতাপু কাহিনী আরো আছে, চুরাই পথে এফ বি তে ঢুকতে যেয়ে কি জানি হইছে, ইয়াহু মেসেন্জারে ঢুকতারি না।মনের দুঃখে বনবাস যাইতে মন্চায়।
মানুষের জীবনে এতো সুখ ক্যান? ইয়াহু, জীটক, এমএসএন, ফেসবুক, সুখই সুখ। খায় দায় আর কাজ কাম কখন করে তারা?
হা ভাই জয়িতা নিয়ে এল সেই মিষ্টি পেমের গল্প। কে শিলা? কেনই বা শিলা আকাশ কে ভালবাসলো? ঘরের বাইরে সেই জোড়া পাখির কিই বা রহস্য? সমাজ কি মেনে নেবে শিলা আকাশের ভালাবাসা?!!! হা ভাইয়েরা জানতে হলে দেখতে হবে জয়িতার "বৃষ্টি ভেজা এক দিনে. দিনে...দিনে.. (ইকো হবে)।"
আসিতেছে সগৌরবে ষ্টার সিনেপ্লেক্স ও মধুমিতায়।
এই ছিঃনেমাতে কি ক্যাপ্টেন ববি আছে????????তাইলে আমি যেমনেই হোক ছিঃনেমাটা দেখুম।
ভাইয়া ছিঃনেমার পরিচালক কিডা? আপনি?কবে আসিতেছে ষ্টার সিনেপ্লেক্সে? আমিও দেখতাম চাই।
তবে ভাতিজা পোলাডা বেশী সুবিধার না। সে ও ববিরে দেখতে চায়। মুরুব্বিরা তো আগেই বুকিং দিছে দেখেন না?
ভাতিজা ডাংগর হইছে এটা মুরুব্বীগো বুঝা লাগবো.।আর এখন ফ্রী ইশটিয়ালের যুগ গো ফুপু.।.।.।
আমি তো পুরানা দিনের মানু তাই কলিকালের পুলাপানের কাজকারবার বুঝতারি না।
হুমম.... পৃথিবীটা সত্যিই খু্ব সুন্দর, প্রিয়জনকে নিয়ে বেঁচে থাকাটাও।
নাজ, কেমন আছ গো আপু?অনেকদিন তোমাকে দেখা হয় না। প্রিয়জনকে নিয়ে সবসময়ই ভালো থেকো।
খুব সুন্দর
অনেক ধন্যবাদ।
বৃষ্টি দেখলেই তো আমার বিছানার মায়া বেড়ে যায়

শিলার মত রুধীনও বৃষ্টিবিলাসী। তোমার গল্পও বৃষ্টির মত, তোমার মত সুন্দর।
এখনও বৃষ্টি হবে। ভিজতে পারো বৃষ্টিবিলাসী মেয়ে। আর শোন আমারে সুন্দর কইলে এই ব্লগের লোকজন বলবে তুমার চোখে সমস্যা বুঝছ?
খুলনায় বৃষ্টি হচ্ছেনা তাই ভিজতে পারবোনা।। সুন্দর কি খালি দেখনের, অনূভবেরও।
কেমন আছো বুজান?
ঝুম বৃ্ষ্টি হলো গো দিদি। মন ভরে গেছে।ভালো আছি।তুমি কেমন? ভাইগ্না কেমন আছে?
আমি , আমরা সবাই ভালো। খুলনায় মরার গরমই যায়না! বৃষ্টি তো দুরে।
ঢাকায় আসো গো দিদি। কাল আমার এক বন্ধু আসছে খুলনা থেকে। সে দাওয়াত দিলো খুলনা যেতে। ভাবছি জুনে কোথাও যাবো।তুমার খুলনায়ও চলে যেতে পারি।
বৃষ্টি নায়িকাকে শুভেচ্ছা
সুন্দর লেখা । সুন্দর লেখা পড়তে ইচ্ছা করছে না আপু ।
লাশ দেখে দেখে ক্লান্ত লাগছে ।
হুম। কাল সারাদিন টিভি দেখলাম, মাথা ভারী হয়ে যায় গো আপু। কি মর্মান্তিক!
মন্তব্য করুন