বার্ধক্যের প্রেম
বয়স যখন ৩৪, মধ্য যৌবন জীবনটা.. সাম্প্রতিক সময়ে যেটাকে আমি বলি ক্ষয়িষ্ণু যৌবন। এই বয়সে এসে প্রেম টিনেজ অনুভব দেবে সেটা নিশ্চই খুব একটা স্বাভাবিক কিছু না। মানুষের নানা বিষয় আমি ছোট বেলা থেকে লক্ষ করি। তার মধ্যে একটা অন্যতম বিষয় হলো মানুষের হাত পা, আমি নিজেও আমার হাত পা এর ব্যপারে বেশ অপসেস্ট। আমার প্রথম হাতের প্রেম হয়, ২০০২ সালে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর হাতের সাথে। কলেজ কর্মসুচিতে তখন, প্রতি সপ্তাহে স্যারের সামনের চেয়ারটি ছিল আমার দখলে, সবাই যখন মুগ্ধ চোখে স্যারের বক্তব্য শুনছে এবং দেখছে. তখন আমি শুধু চেয়ে রইতাম স্যারের মুষ্টিবদ্ধ হাতটির দিকে। কি দৃঢ়তা সেই হাতটিতে.. মনে হত যেন কত শক্তি এই হাতটিতে, এই কারনেই বোধহয় কমিনিস্ট পার্টির পোস্টারের দিকে দেখলেই আমার ভালো লাগতো। সম্প্রতি একটি এক তরফা প্রেমে পড়েছি। ( প্রেম আসে যায়, সময়ের প্রয়োজনে) ভদ্রলোকের বাকি সব কিছু অবশ্যই প্রেমে পড়ার মত, কিন্তু আমার মন পড়ে থাকে শুধু তার হাতে। মানুষ যেমন অন্য কারো উপর রেগে গেলে বলে হাত নিশপিশ করছে মারতে। ঠিক আমার অনুভুতিটা একদম আলাদা, ওই হাতের দিকে তাকিয়ে আমি কাটিয়ে দিতে পারি ঘন্টার পর ঘন্টা.. মন ও হাত নিশপিশ করে শুধু ছুঁতে। মনে হয় আমার সমস্ত ভালোবাসা যেন ওই হাতদুটোতে গিয়েই স্থির হয়ে যায়। ছুতে না পারার বেদনাটা আমার নিজের হাতটাকে নিস্তেজ করে দেয়। এমন অনুভুতি অন্য কারো হয় কিনা জানি না, তবে আমার পৃথিবী উথাল পাথাল হয়ে যায়। টিনেজ অনুভুতিটা যে ফিরে আসবে কখনও সেটা ভাবনায় ও ছিল না। হয়তো টিনেজ সময়টায় অনেক বড় হয়ে গিয়েছিলাম। জানি এ লেখার কোন মাথামুন্ড নেই , কিংবা সাহিত্য হিসেবেও টিকবে না, তবুও রইল না হয় এই অপরিচিত গন্ডির ডায়েরিতে।
মন্তব্য করুন