ফেরা হয় না আর..
অপরিচিত গন্ডি তে লিখতে হঠাৎ ইচ্ছা করছে, জানি এখন আর আমরা বন্ধু খুব একটা কেউ ব্যাবহার করে না। প্রায়োরিটি শব্দটি খুব প্রচলিত শব্দ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই শব্দটি ব্যাবহার হয়। আমি অনেক বছর আগে থেকেই নিজের জীবনের ক্ষেত্রে এটা নিয়ম করে নিয়েছি, যার যতক্ষণ আমাকে প্রয়োজন পড়বে, ততক্ষণ তাঁর জন্য আমি সব করতে পারি। আমার খুব ভালো লাগে যখন কেউ আমাকে বলে আমাকে তাঁর প্রয়োজন। মূল্যহীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে থাকতে ( অথবা নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে ভাবতে ) কারো ক্ষুদ্র চাওয়ার অনুভূতি টা অনেক বড় মনে হয়। আমার নিজের মনে হয়, যতক্ষণ আমার জীবন, ততক্ষণ বাকিদের প্রয়োজনেই আমার জীবন। সবাই সব সময় বলতে থাকে, নিজেকে জানো, নিজেকে সময় দাও, আমার সমস্ত জানা কেবলই অন্যদের জন্য। যখন যে কাছে থাকে। যার যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, সে তখন চলে যায়, আর আমি পড়ে থাকি স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। অবশ্য লোক দেখানোর জন্য বলি, আমার কিছু যায় আসে না, তবে একটু অবসর পেলেই খুলে বসি স্মৃতির খাতা। একটা সময় ছিল, যখন আশে পাশের মানুষ, যাকে পছন্দ করি, বা বন্ধু ভাবি, যেভাবেই হোক চেষ্টা করি তাঁর মন ভালো করে দেয়ার জন্য। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে , আমার চেষ্টাতে এখন আর কেউ বদলায় না। কারো জন্য আমি এখন আর প্রয়োজন হয়ে উঠতে পারি না। কারো কষ্ট লাঘব করতে পারি না। প্রকৃতি নাকি শূন্যস্থান পছন্দ করে না, ক্রমেই আমার জীবনটা শুন্য থেকে শুন্যের ইনফিনিটিতে চলে যাচ্ছে। আর আমি ক্রমশই কর্মহীন, বন্ধুহীন, অপ্রয়োজনীয় একটা বস্তুতে পরিণত হয়ে যাচ্ছি। অনেকেই বলে নিজের জন্য বাঁচো, কিন্তু আমার নিজটা যে শুধু আমি নই, আমি ,তুমি, তোমরা মিলে। আমার চাওয়া হয়তো অনেকের কাছে সফকেশন মনে হয়, আমার ছোট্ট ভালোলাগা টাও অনেকের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠে প্রায়ই। কেউ মুখের উপর বলে, কেউ বলে না। সব মিলিয়ে নিজেকে বদলিয়ে কোথায় যাব ? আমি তো ফিরতে চাই মানুষের কাছে, কিন্তু সে মানুষ কই ?
মন্তব্য করুন