স্যালুট টু ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ, বীর উত্তম...
এরই ফাঁকে একসময় তোমার গৃহের প্রহরীদের মধ্যে
মরেছে দু’জন প্রতিবাদী, কর্ণেল জামিল ও নাম না-জানা
এক তরুণ, যাঁর জীবনের বিনিময়ে তোমাকে বাঁচাতে চেয়েছিলো।
– নির্মলেন্দু গুণ (সেই রাত্রির কল্পকাহিনী)
কর্ণেল জামিল উদ্দিন আহমেদ...
কর্নেল জামিল নামেই পরিচিত...
অকুতোভয় আর নিয়মানুবর্তী এই মানুষটার প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি...
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ভোরে যখন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা করা হয়... সেনাবাহিনীর এই একজন মাত্র সাহসী সৈনিক এগিয়ে গিয়েছিলেন তাকে রক্ষা করার জন্য... একজন সৈনিকের যে দায়িত্ব... দেশপ্রেমিক আর সৈনিকের কর্তব্য তিনি পালন করেছিলেন নিষ্ঠার সাথে...
তার কন্যা আফরোজা জামিলের বর্ণনায়... “বঙ্গবন্ধু ফোন করেছিলেন... মা রিসিভ করেছিলেন... বঙ্গবন্ধুর তখন গলা কাঁপছিল... তিনি আমার মাকে বলছিলেন, ‘জামিল কোথায়? জামিলকে দে’... তখন মা বাবাকে ফোনটি দেন... বাবা ফোন ধরে বললেন, ‘জ্বী স্যার, আমি এখনই আসছি’... ফোন রাখার পর মা জিজ্ঞাসা করলেন বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন???... বাবা বললেন ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেনঃ আমি বোধহয় আর বাঁচবো না। তুই আমাকে বাঁচা’।”...
কর্ণেল জামিল তখন ডিফেন্স ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের মহাপরিচালক... তিনি সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট প্রধানদের বঙ্গবন্ধুর টেলিফোনের কথা জানিয়ে দেন... তাঁরাও তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন... কিন্তু কেউই কথা রাখেননি... তখন তিনি নিজেই কর্তব্যবোধের তাগিদে এগিয়ে গেলেন... কৌতূহলী মানুষেরা তাঁকে ৩২ নম্বরের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দেন... কিন্তু তিনি তাঁদের কথা না শুনে এগিয়ে গেলেন... বিদ্রোহী সৈনিকরা তাঁকে ফিরে যেতে বলেন... তিনি সৈনিকদের উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকতে গেলেন... তখনই আততায়ীর গুলিতে তাঁর গোটা শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়...
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল উদ্দিন আহমেদ... বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর কর্তব্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠায়... নিজের প্রাণের বিনিময়ে প্রমাণ করে গেলেন সামরিক বাহিনীতে নিষ্ঠাবান অনেকেই আছেন...
সরকার কি এমন একজন মানুষের জন্য... তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে... কিছু একটা করতে পারে না???...
... ... ...
যদিও...
জামিল উদ্দিন আহমেদ-এর নাম...
মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাব-প্রাপ্ত-দের তালিকায় নেই...
িকন্তু...
তাঁকে ১৫ই আগষ্ট-এর বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য "বীর উত্তম" উপাধীতে ভূষিত করেছে সরকার...
ভালো পোষ্ট!
তবে যতদুর জানি ব্রিঃ জামিল একজন পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসার। উনি বীরউত্তম টাইটেলটা কবে পেলেন? এটাতো স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্যই দেয়া হয় বলে জানি।
এটা আমারও প্রশ্ন
রাফির প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ রেখে গেলাম...
রাফির প্রশ্নের উত্তর: Government decorates Brig Jamil with posthumous gallantry award
২০১০ সালে তাঁকে িব্রগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়...
এবং তখনই আমি প্রথম বীর উত্তম সম্পর্কীত বিষয়টি জানি...
কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম-না...
তালিকায় যেহেতু নাম নেই কাজেই এটি মুছে দেয়া হলো...
ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য...
শিরোনামে এখনো ''বীরউত্তম'' উপাধীটা থেকে গেছে।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ...
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল পোস্ট।

তাকে ২০১০ সালে বীর উত্তম খেতাব দেয়া হয়, ১৫ আগষ্টের অসামান্য ভূমিকার জন্য ।
আপনিই তবে সঠিক তথ্যটি দিলেন ভাই...
ধন্যবাদ...
তথ্যটি জানানোর জন্য...
প্রভাষক সাহেব নীরব ক্যান? পোস্ট কই?
টুটুল ভাই...
দিচ্ছি...
মন্তব্য করুন