ইউজার লগইন

নীড় সন্ধানী'এর ব্লগ

নীল পাহাড়

১.
সাপটা ছোবল দিতে আধসেকেন্ড দেরী করাতেই সাবুর ভোজালির কোপে মরলো। সবুজ লতা সাপটা ঝুলে ছিল ঝাকড়া শ্যাওড়া গাছ থেকে। ঝুলন্ত অবস্থাতেই ছোবল তুলেছিল। ভয়ংকর বিষধর এই সাপ।

সাবুর মেজাজটা তিনদিন থেকে চোতরা পাতার মতো চুলবুল করছে। তিন বাটি নাপ্পি খেয়েও ভুলতে পারছে না নীলা ম্রুর সেই রুদ্রমূর্তি।

অসার কথা

বাথরুমে গেলে নাকি মানুষের মনে দেশ ও জাতির জন্য যাবতীয় উন্নত চিন্তাভাবনার মেশিন চালু হয়। বেশীরভাগ ভাবনা অবশ্য তোয়ালে দিয়ে হাতমুখ মুছতে মুছতেই উধাও হয়ে যায়। সেরকম কিছু 'উন্নত' চিন্তাভাবনার খসড়া লিখে রাখছিলাম। আজকে অনেকদিন পর পোষ্ট লেখার সুযোগ পেয়ে সেগুলো শেয়ার করছি।

১) রাজনীতি নিয়ে কিছু লেখালেখি আবারো শুরু করার ইচ্ছে জাগছে। কিন্তু সময় আর মুডের মধ্যে ঐক্যমত হচ্ছে না। (আমি লিখছি না বলে বেয়াক্কেলগুলোর বোধোদয় হচ্ছে না)

২) উপেক্ষা প্রতিরক্ষার অন্যতম উপায়। রাজনীতিকে উপেক্ষা করে নিজেকে রক্ষা করছি মানসিক চাপ থেকে। কিন্তু পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে কতোদিন টিকে থাকা যায়? নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও অক্ষত থাকে না। ইতিমধ্যে মাসের বাজার খরচে টান পড়তে শুরু করেছে ঠিকই। দ্রব্যমূল্যই রাজনীতি টেনে আনে। (গোলাম আজমের টানে যেমন খালেদা ভাষন দেয়)

(আউট) বই কেনা

নাহ, এইবার বইমেলায় যাওয়াই হলো না!! কপালের দোষ নাই। আসল কথা, অফিস ফাঁকি দেবার কোন সুযোগ করতে পারি নাই। এই মাসের ফাঁকির বাজেট শেষ। মাসে একদিন নিয়ম করে অফিস ফাঁকি দেবার চেষ্টা করি। মাসটা আটাশে হওয়াতে বাজেটে টান পড়ছে। বই মেলা নয়, বইকেনা নিয়ে একটা বকরবকর পোষ্ট লিখতে ইচ্ছা হইল। পুরান কথা নিয়ে একটা চুইংগাম পোষ্ট।
‍ ‍= = = =

বই কিনে দেউলিয়া হবার কোন সম্ভাবনা আমার ছিল না, কারণ দেউলিয়া বড়লোকের কারবার। আমি তার ধার দিয়েও ছিলাম না।

বই কেনা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ মধ্যবিত্ত পরিবারে। যাদের 'আউট বই' পড়ার নেশা আছে কিন্তু বই কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের মর্মবেদনা আমার খুব ভালো করেই জানা। তবে টাকা না থাকার অন্ততঃ একটা ভালো দিক হলো, না পাওয়া জিনিসের প্রতি আমাদের হাহাকার থাকে সবচেয়ে বেশী। টাকার টানাটানিতে বই পড়ার তৃষ্ণাটা প্রলম্বিত হয়েছিল।

তেইল্যাচোরা

সৃষ্টির বিবর্তন চিন্তায় আবুল হোসেনের চোখে ঘুম নেই গত কয়েকমাস ধরে। এতবছর ধরে সে জেনে এসেছে তার পূর্বসুরী হযরত আদম আর বিবি হাওয়া। কিন্তু সেদিন ডারউইন নামে এক লোকের পুস্তিকা পড়ার পর থেকে মাথাটা তার আউলা হয়ে গেছে। সে ভাবতেই পারছে না কোথাকার গেছো বাঁদর বা শিম্পাঞ্জি থেকে তার বংশের উৎপত্তি। চিন্তায় চিন্তায় মাথার চুল অর্ধেক পড়ে চকচকে স্টেডিয়াম বেরিয়ে গেছে, আর কিছুদিন গেলে পুরো ইনডোর স্টেডিয়াম, এই জীবনে আর বউ মিলবে না।

এই জন্যই ছেলেবেলার ফজু পাগলা রাস্তায় চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে বেড়াতো, 'বেশী পড়া পড়বি, পাগলা হয়ে মরবি'। ফজু হয়তো এককালে জ্ঞানের দিকপাল ছিল।

সেই থেকে বাথরুমে আয়নার দিকে বারবার তাকিয়ে মেলানোর চেষ্টা করছে গেছো বাঁদর বা শিম্পাঞ্জীর কোন অংশের সাথে তার বেশী মিলে। বৃথা চেষ্টা। ডজন ডজন বইপত্র ঘেটে ঘেটে প্রমান খোঁজারও বৃথা চেষ্টা করলো। ফলাফল ডারউইনের দিকে না গিয়ে ফজু পাগলার দিকেই যায়।

নিজ শহরে ফেরা: টাইগারপাস-৬

সারারাতের দম আটকানো গুমোট আবহাওয়াটা ভোর থেকে কাটতে শুরু করে। সেই ভোর থেকেই আমি জাহাজের উপরের ডেকে দাঁড়িয়ে। গতকালই কাপ্তেন জানিয়ে দিয়েছিল আজ দুপুরের পরপর জাহাজ বন্দরে পৌঁছাবে। মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকী, তবু তর সইছে না।

কেবিনের ভেতর প্রচন্ড গরম। বছরের এই সময়ে বঙ্গোপসাগরের মতিগতি বোঝা ভার। কখনো দমবন্ধ আবহাওয়া আবার কখনো হঠাৎ করে পাগলা হয়ে উঠে বাতাস আর ঢেউ। আমি দুরবীন দিয়ে দিগন্তে খুঁজছি নতুন চাঁদের মতো চিক্কন একটা সবুজ রেখা। দুপুরের খানিক আগে রেখাটা ধূসর নীল দিগন্তে আবছা ফুটে উঠতে দেখেই মনটা শাঁ করে উড়ে গেল স্মৃতিময় শহরে। কতোদিন পর নিজ শহরে ফেরা! আট বছর আগে যখন এই শহর ছেড়ে কোলকাতায় পড়তে যাই তখন কল্পনাও করিনি এতদিন বিচ্ছিন্ন থাকবো প্রিয় এই শহর থেকে। এটা নামে শহর হলেও এর পরতে পরতে গ্রামের গন্ধ। তাই বুঝি এর নাম চট্টগ্রাম।

ভয়কে আমরা করবো জয়ঃ টাইগারপাস-৫

[পূর্বকথা: কাজীবাড়ীর কনিষ্ঠসন্তান ফরিদ ইংরেজবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে রাজরোষে পড়তে গিয়েছিল বলে তাকে চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরের এক গ্রামে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফরিদের সাম্পান এখন কর্ণফুলী নদীতে...
**************************************

কোনরকম আগাম সংকেত না দিয়ে মাঝি বুড়া দুম করে একটা অচেনা ঘাটে সাম্পানটা লাগিয়ে দিল।
-ব্যাপার কি? ফরিদ জানতে চাইল। মাঝি ইশারায় বললো তলপেটে চাপ। এই চাপ নামাতে হবে এবং হুক্কায় আগুন দিতে হবে।

ফরিদও নেমে দাঁড়ালো ঘাটের কিনারে। জায়গাটা একটা হাটের মতো মনে হলেও কেমন গা ছমছম নির্জনতা এখানে। আজকে হাটবার নয় বলেই কি? জনমানবশূণ্য বাজার হাটুরেদের ছনের চালাগুলো বাঁশের চার পায়ের উপর চুপচাপ দাঁড়িয়ে।

সান্ধ্যাকালীন ব্লগরব্লগর প্রচেষ্টা

১.
রাতে একটা মেজবানের দাওয়াত আছে। চট্টগ্রামের মেজবান জিনিসটা প্রায় সবার মতো আমারও পছন্দ। কিন্তু আজকের দাওয়াতের জায়গাটা নাপছন্দ আমার, হৈ হৈ করে খানাপিনার ব্যবস্থা নাই ওখানে। খেতে হবে চুপচাপ, ছুরি কাটায় কেবলি টুংটাং। সবকিছু খুব বেশী সাজানো গোছানো সুশৃংখল, সুন্দর। এত বেশী শুভ্রতা ভালো লাগে না অনভ্যস্ত চোখে। বেয়নেট দেয়া রাইফেল হাতে উর্দিপরা সিপাহির নিরাপত্তা ছাউনিতে এখনো স্বস্তিবোধ করি না। হাসি হাসি চোয়াল ব্যাথা করা কাষ্ঠহাসি, বড়লোকী দাওয়াতের বিড়ম্বনা। তবু কর্মসুত্রের দাওয়াতে না গিয়েও হয় না।

২.
যখন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু মাথার ভেতরে কোন বাক্য কাজ করে না সেরকম দুঃসময়ে যেসব এলোমেলো বাক্য পয়দা হয় তাকে কোবতে বলে ভুল হতে পারে। যেমন-

বেহিসেবি কথা বলার একজন বন্ধু দরকার
বেয়াড়া সময় কাটানোর একটা জীবন
বেসামাল হারিয়ে যাবার একটা অরণ্য আর
বেহুদা লেখালেখি করার একটা খাতা

অভিশপ্ত ঘড়ি

এক............দুই...........তিন ...........চার

কেরোসিন স্টোভ জ্বেলে ভাত আর আলু একসঙ্গে সেদ্ধ করতে দিল ধনু। হঠাৎ করে মাছ খেতে ইচ্ছে করলো আমার।

আবদার পাড়লাম, খালি ভাত আর আলু সেদ্ধ খাওয়াবি? মাছ খাইতে মন চায়, তোদের এই নদীতে মাছ নেই?
ধনু চোখ টেরা করে তাকালো, তারপর হেসে ফেললো, তোর দেখি খায়েশ কম না। এই রাতে মাছ ধরবো কেমনে?

আমি জানি মাছ খেতে ইচ্ছে করাটাই সার। রাতের বেলা মাছ ধরা অসম্ভব। কথার কথা বলা।

কিন্তু ধনু ভাত চুলায় দিয়ে নৌকার পেছনে চলে গেল। ওখান থেকে দুটো বাঁশ বের করলো। বাঁশ দুটোতে গামছামতো কিছু বাঁধা আছে। আমি অন্ধকারে বুঝতে পারলাম না কি ওটা। জাল নাকি?

স্বচ্ছ জলের কোলাহল পেরিয়ে পূর্বমুখী যাত্রাপথে

পূর্ব ঘটনা...... এক............দুই...........তিন


চার.

দেরী হয়ে গেছে অনেক। কুঁড়েতে গিয়ে ব্যাগটা নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে গেল। এক মাইল হাঁটতে এক ঘন্টা লাগে এখানে। তাড়াতাড়ি দাঁড় বাইতে শুরু করলো ধনু। বিকেলের হিম শীতল হাওয়া দিতে শুরু করেছে। সূর্যকে পেছনে রেখে নৌকা এগিয়ে চললো সামনে। আমি ছইয়ের নীচে হেলান দিয়ে ফোকর দিয়ে আকাশ দেখছি। আকাশের এই নীলটা শুধু এখানে না, সারা পৃথিবীতেই আছে। কিন্তু শংখ নদী ছাড়া দেশের অন্য কোন নদীতে এই নীলের এতটা স্ফটিকস্বচ্ছ বিচ্ছুরণ দেখিনি। পাহাড় চুড়া থেকে থেকে নদীটা দেখে মনে হয় সবুজ পাহাড়ের মাঝখানে কেউ আঁকাবাঁকা নীল আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে।

ধরাশায়ী

ধরা কাহিনী সবারই আছে। জীবন মাত্রেই মরণশীল, মানুষ মাত্রেই ধরাশীল। ধরা খাওয়ার মধ্যে কোন লজ্জা নাই, কোলেষ্টেরোলও নাই। তবে ধরা কাহিনী নগদের চেয়ে বাসীই মজাদার। তাই গতকাল যে ধরাটা খেয়েছি সেটা এখন না বলে পুরোনো গুলিই বলছি।

মোবাইল 'ধরা': একটেল

দশ-বারো বছর আগেও ভোররাত থেকে লাইন ধরে হুড়োহুড়ি ধাক্কাধাক্কি করে ত্রিশ চল্লিশ হাজার টাকা খরচ করে মিনিটে ৭ টাকায় কথা বলার সুবর্ণ সুযোগ পাবার জন্য যে কোম্পানীর কানেকশান কিনতো মানুষ, তার নাম গ্রামীণ ফোন। ক্রেতা সামলানোর জন্য পুলিশ ডাকতে হয়েছে সেরকম কোম্পানী পৃথিবীতে খুব বেশী নেই। গ্রামীণের ক্রেতাভাগ্য ঈর্ষনীয় ছিল।

আমি গ্রামীনের লাইনে দাঁড়াইনি কখনো। মোবাইল ফোন বড়লোকের জিনিস, বাসার ল্যান্ডফোনই যথেষ্ট, এই ধারনাটা এক বন্ধু এসে নাড়িয়ে দেয় যখন সে বিদেশ যাবার আগে তার একেটেল মোবাইলটা আমাকে বন্ধুসুলভ দামে 'উপহার' দিয়ে যেতে চাইল।

শংখ নদীর উৎসে, আরো গহীন অরণ্যের সন্ধানে

[কাহিনী এক] ..............[কাহিনী- দুই]

[কাহিনী-তিন]

কতোক্ষণ ঘুমিয়েছি বলতে পারবো না। কিন্তু মোটামুটি পোয়াখানেক রক্ত শরীর থেকে মাইনাস হবার পর হুঁশ হলো। গলা, গাল, হাতের কবজি পর্যন্ত ফুলে ঢোল করে ফেলেছে হুলডোজার বাহিনী। ভুলে গিয়েছিলাম অডোমস মেখে শুতে। মোম জ্বালালাম। তারপর বাঁশের কঞ্চি খুঁজে নিয়ে চুলকানির ঝড় তুললাম একটা। গলা, গাল ঠোট যে পরিমান উঁচু হয়েছে স্বয়ং হালাকু খানও ভয় পাবে আমাকে দেখে।

ঘুম পায়

ইঁচড়ে পাকা বয়সে আমার এক গুরুবন্ধু বলতো,- 'মানুষের জীবনে তিনটা মাত্র মৌলিক বিষয়, বাকী সব ফালতু। তিনটা হলো, আহার, নিদ্রা, ত্যাগ। বুঝলি'?

আমরা গম্ভীর মুখে মাথা নেড়ে বলেছি, 'হুম বুঝেছি'।

বললো, 'কি বুঝলি বল।'

কি মুসিবত! আহার নিদ্রা না বোঝার কি আছে? তবে ত্যাগ নিয়ে আসলেই সন্দেহ ছিল। কারণ বাবা মা পরিবারকে ত্যাগ করাটাও যদি মৌলিকত্বে পড়ে আমি তাতে নেই। মিনমিন করে বললাম, 'ত্যাগ বাদে সব পারবো। পরিবার ত্যাগ করে থাকা সম্ভব না।'

গর্দভ!!! ধমকে উঠলো সে। 'হাঁদারাম এই ত্যাগ সেই ত্যাগ নয়। ভদ্রভাষায় বলেছি। এটা তোর প্রাত্যাহিক ত্যাগের বিষয়, প্রকৃতির ডাক।'
.
এরকম গুরুকে মান্য না করে যাবে কোন গর্দভ?
.
আজকের কথা সেই তিন মৌলিকত্বের একটা নিয়ে। ঘুম।
.

শ্বাপদ সংকুল রাতের শিহরন পেরিয়ে বৈচিত্রময় দিবসে

আগের কাহিনী জানতে
.
১.
রাত কতো জানি না। ঘড়ি নেই। সময়ের কোন হিসেব রাখবো না বলে ঘড়ি আনিনি।
ঘরটা ভেঙ্গে পড়বে মনে হলেও ছুটে বেরিয়ে যেতে সাহস হচ্ছে না ঘুটঘুটে অন্ধকারে।
.
কুঁড়ে ঘরের চালের উপর থেকে এবার গরররররররর গররররর জাতীয় অদ্ভুত কিছু বিজাতীয় শব্দ ভেসে আসছে। ভীতু মানুষ না হলেও, এই সময়ের জন্য সাহসটা দমে গেল। এডভেঞ্চারের শুরুতে বেঘোরে মারা পড়াটা কোন কাজের কাজ হবে না। তবে ভয়ের চেয়েও একটা বিচিত্র অভিজ্ঞাতর লোভ অনেক বেশী আবিষ্ট করে রেখেছে বলে ভয়টা দাঁত ফোটাতে পারছে না।
.

কুয়াশা, মেঘ, পাহাড় ছুঁয়ে আসার ধোঁয়াশা গল্প

১.
চাঁদের গাড়ীটা যেখানে নামিয়ে দিয়ে গেছে পথ ওখানেই শেষ। এর পরে ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে হাঁটাপথ মাইল খানেক। মাইল খানেকই হবার কথা। ম্যাপ তাই বলছে। শীতের বিকেলে রোদ বেশীক্ষণ থাকে না। রোদ থাকতে পৌঁছে যেতে হবে। নইলে পথ হারাবার সম্ভাবনা।
.
বাতাসে বুনো একটা মিষ্টি গন্ধ। অসংখ্য পাখির বিচিত্র কিচিরমিচির শব্দে কান ঝালাপালা হবার যোগাড়। খিদে তেষ্টা দুটোই আকড়ে ধরেছিল দীর্ঘ লক্কর ধক্কর যাত্রায়। কিন্তু এই পাহাড়ী বুনো পথে নামার পর কোথাও উধাও হয়ে গেল সব খিদে ক্লান্তি। এই জায়গাটা কত উঁচু এতক্ষন খেয়াল করা হয়নি। নীচের পাহাড়ের উপর ভেসে থাকা ধোঁয়াগুলো যে আসলে মেঘ তা বুঝতে পেরে চমকে উঠি। ওরা ঠিকই বলেছিল। এখান থেকে মেঘ ছোঁয়া যায়। কিন্তু শীতকালে মেঘ অত নীচে নামে?
.

ভ্রমণ অভ্রমণের গল্প

চলো, একদিন দূরে কোথাও বেড়াতে যাবো।
.
না। ট্যুর, ট্রিপ, পিকনিক..... এসব না। এই সব প্রতিবছরই কোন না কোনভাবে হয়। কিন্তু তৃপ্তি হয় না। যেখানেই যাই মনে হয় বিয়ে বাড়ীতে নিমন্ত্রন খাচ্ছি। সেই একই ভ্রমন, একই পথে একই যাত্রা, চেনা রেস্তোঁরায় চেনা খাওয়া, চেনা হোটেলের চেনা বিছানায় ঘুমানো, চেনা সমুদ্রের চেনা ঢেউ গোনা, চেনা পাহাড়ের চেনা কুয়াশার ঘ্রান নেয়া।
.