অপরাজেয়
অপরাজেয়,
আকাশ পাতাল ভেবেও তোমার কোনো নাম ঠিক করতে পারি নি আজও।
সবচেয়ে সুন্দর, একটা মিঠে নাম দেব তোমাকে, কথা দিলাম।
কিন্তু যে নামেই তোমায় ডাকি না কেন,
আবলুশের দেরাজে আগলে রাখা আমার সব চিঠিতে
তোমার জন্য রইবে এই সম্বোধন- অপরাজেয়!
তুমি এসে আমার একরত্তি উঠোন জুড়ে ঘুরে বেড়াবে, শুনবে না কোনো বারণ,
শিশির ধোয়া ঘাসে পা ডুবিয়ে হেঁটে যাবে একাদশীর চাঁদ দেখতে,
তখনও একই নামে তোমায় ডেকে বলব- ‘আমায় সাথে নেবে না?’
আজকাল বড় ভয় হয়,
সোঁদা মাটির ঘ্রাণের সাথে বারুদের আভাসটুকু পাবে বলে,
তুমি আসার আগেই হয়ত টুটে ফুটে যাবে অমল ধবল পালখানি।
তবু আঁকশি দিয়ে স্বপ্নগুলো হাতের মুঠোয় এনে রাখি, খসে পড়ার আগেই।
অপরাজেয়,
তোমার জন্য বিপ্লবের কুঁড়ি সামলে রেখেছি,
তুমি এলেই পাপড়ি মেলে আগুন রঙের সেই ফুল হেসে হবে কুটিকুটি।
যে যুদ্ধে পারি নি যেতে, যে যুদ্ধে গেছি হেরে, রয়ে গেছে যে যুদ্ধ অসমাপ্ত,
চোখ বুজে বলে দিতে পারি তুমি এলেই হবে শেষ তার,
কান পেতে শুনব জয়ঢাক, তোপধ্বনি বিজয়ের!
তাই এই রংচটা, ফিকে দিনগুলোতে প্রহর গুণে যাই, তোমার অঙ্কুর বয়ে চলি,
তুমি আসবে বলে বারুদের গন্ধ থাকি ভুলে।
মিঠে একটা নাম দেব তোমায়- কথা দিলাম, তবু জানি
সমস্ত পৃথিবী তোমায় এক নামেই জানাবে অভিবাদন- অপরাজেয়!
সুন্দর কবিতা, ভালো লাগলো।
আমি আবার ফার্স্ট!
আচ্ছা, আপনি কি আর কোথাও লিখালিখি করেন বা করতেন?
ধন্যবাদ!
হুম টুকটাক লেখালেখি করি বটে! :
মন্তব্য করুন