পৌনঃপুনিক
মৃদুল প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ির কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে, একটা নীল বেলুন হাতে।
........................
শোভনা প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে, কাঁধে থাকে একটা সাদা ব্যাগ।
........................
পুরোনো ধাঁচের তিনতলা এই বাড়ীটায় সিঁড়িগুলো অনেক উঁচু উঁচু আর অন্ধকার। অন্ধকার ঠিক না, আলো কম। তবে ঘন্টা খানেক দাঁড়ালে চোখ সয়ে আসে, সবকিছু দেখা যায়। শুধু রঙ আর আকারের কোনো থই পাওয়া যায় না।
মৃদুল অপেক্ষা করে শোভনার জন্যে।
শোভনা ক্লান্ত পায়ে এক একটা সিঁড়ি ভাঙ্গে, মৃদুল পায়ের শব্দ গোনে। শোভনার সাদা ব্যাগটা ঝলমল ঝলমল করে। মনেহয় এক খন্ড সুর্য নিয়ে সে ঢুকেছে অন্ধকার সিঁড়িঘরে। সেই সুর্যকে নীল মেঘ দিয়ে বরণ করে নিতেই মৃদুল দাঁড়িয়ে থাকে নীল বেলুন হাতে।
শোভনাও অপেক্ষা করে মৃদুলের সাথে দেখা হবার ক্ষণটার।
দু'জনে মুখোমুখি হয় তে'তলার ল্যান্ডিংএ। মৃদুল ঠোঁট আর চোখে হাসি নিয়ে শোভনার দিকে বেলুনটা বাড়িয়ে দেয়, শোভনাও চোখ আর ঠোঁটে মৃদু হাসি নিয়ে দুহাতে বেলুনটা ধরে।
আর বেলুনটা অদৃশ্য হয়ে যায়।
মৃদুল সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায় নীচে, শোভনা নিজের বাসার দরজায় কড়া নাড়ে।
..................
..................
মৃদুল প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ির কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে, একটা নীল বেলুন হাতে।
........................
শোভনা প্রতিদিন তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসে, কাঁধে থাকে একটা সাদা ব্যাগ।
........................
ইয়ে মানে বেলুন কেন?
মনে হয় দিল চাহতা হ্যায় দেখেছিল
বেলুনের রঙ বদলাইলো কেন? বাসা আর মানুষতো সেম
দিল চাহতা হ্যায়-এ কি বেলুন সংক্রান্ত কোনো দৃশ্য আছে?
আর বেলুনের রঙ বদলাইছে কই? আমিতো নীলই দেখি
আছে না, সাইফের মেয়ে বনধুর আগের ছেলের বনধু এভরি মাসে যে সেম ডেটে äআই লাভ ইউ" লেখা হারট শেপ গুবারা নিয়ে আসতো
না না না। মৃদুলের বেলুন হার্ট শেইপ না
নর্মাল নীল একটা গ্যাস বেলুন...
আপনার নজর সবকিছু রাইখা বেলুনের দিকেই গেলো
)
আসলে ফুল-ফল ইত্যাদিতো সবাই দেয়, মৃদুল নাহয় বেলুনই দিলো (ইয়ে মানে ঐ সেন্সে না আর কি
ফেসবুক বেলুন উড়ানি দেইখা লেখছো?
পুরাপুরি বুঝিনাই তয় ভাল্লাগছে!
এইটা পৌনঃপুনিক ঘটনা, স্পেশালি বোঝার কি কিছু আদৌ আছে?
মৃদুল-শোভনা চোখেচোখে কথা বলে বারেবার, আবার কি কি সব এরে ওরে সাধে!! ক্যান, তাদের সরাসরি কথা বলতে কিসে বাধেঁ?
মাসুম্ভাইয়ের পয়েন্টের প্রশ্নের জবাব এম্নে করে এড়ায়ে যাইতে পারেন না আপ্নে কবি!!
সরাসরি কথা বলে হয়তো তারা নিজেদের ঠিকমতো এক্সপ্রেস করতে পারে না
আর মাসুম ভাইয়ের প্রশ্নের জবাবতো দিসি, এড়াইলাম কই
প্রথম দুইলাইন পইড়া ভাবছিলা ট্রান্সলেশন করতে কইবা... আল্লাহয় বাচাইছে এই যাত্রায়
ট্রান্সলেশন করেন টুটুল ভাই
মাফ কৈরা দেন আপা...
ভালো লেগেছে ভাব।
ধইন্যা ধইন্যা...
পোষ্ট পড়ার পর কমেন্ট করতে যাব, তখন মাসুম ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে মনে হলো এই কমেন্টটাই করা দরকার। তা আপনের নজর হঠাত বেলুনের দিকে গেলো কেন?
এখন মনে হইতেছে স্পেসিফিক ভাবে গ্যাস বেলুন বলা দরকার আছিলো
মন্তব্য করুন