রূপকথা'এর ব্লগ
~~ দখিনা বাতাস!!! তোমাকে লিখা কবিতা~~
------------------------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------------------------------
মাঝে মাঝে দখিনা বাতাসে এলোমেলো হয়ে যায় আমার সব ,
উড়ে যায় সাজানো ফুলের বাগান।
নিভৃতে কাঁদে শুন্যতা,
আমি তো চেয়েছিলাম একমুঠো রোদ্দুর,
আমি চিৎকার করে বলেছিলাম – “ আমাকে নিরবে কাঁদতে দাও”
নাহ , আমাকে বিধাতা কাঁদতে দিলেন না ।
সেই দখিনা বাতাসেই আমার কাছে উড়ে এলো হারানো ফুলের বাগান...
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না , আমি জেগে রই ...।।
ফুলের গন্ধে একা থাকতে যখন মানিয়ে নিচ্ছিলাম নিজেকে
দেখলাম ফুল গুলো চলে গেছে নষ্ট জীবানুর দখলে...।।
আমি আবার ফুলদানিতে নতুন ফুল রাখি ,
লাল, নীল, বেগুনী ...
পানি দেই , দেই সকালের সুরজের আলো,
গন্ধে আমি বিভোর,
এখানে ওখানে মৌমাছির মিছিল,
হুল ফুটিয়ে তবেই শান্তি,
মেনে নেই ,
মেনে নিতেই হয় ,
তবুও ফুল গুলো রাত ভোরে মরে যায় ...।
এভাবেই কেটে গেল অনেক দিন ।
আমি আমার মত আর হতে পারলাম কই?
তোমার মত চলতে গিয়ে , তোমাকে পেতে গিয়ে,
তোমার মত হতে গিয়ে ,
~সাগীর আলীকে মনে পড়ে ~
-------------------------------------------------------------------------------------------------
অতঃপর ,
নিন্দুকের ছোড়া একরাশ কাদা নিয়ে পুকুরে ডুব দিলেন , সাগীর আলী।
সমস্যা , গুলো ভেবে , ধীরে ধীরে , কাদা পরিষ্কার করলেন তিনি।
আশে পাশে তাকিয়ে দেখলেন কেউ নেই ,
পুকুর পারে নিরবে বসে রইলেন তিনি ,
পুকুর এর জল শান্ত হল, সাথে সাথে তার মনটাও।
মনে মনে ভাবলেন
" কাদা ছড়াছুড়ির এই ঐতিহ্য , আমাদেরকেই রোধ করতে হবে ,"
তিনি রাগ সংবরন করলেন ।
নিন্দুক লোকটাকে খুজে বের করলেন।
তারপর তার সাথে বন্ধুর মত চলতে লাগলেন,
কারনে , অকারনেই তার ভাল দিকটাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।
লোকটা একদিন তার ভুল বুঝতে পারলেন ,
এভাবেই সমাজে আরেকজন ভাল মানুষ যোগ হলেন ।
-------------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------
অনেক দিন আগে মফঃস্বল সংবাদ নামে একটা ধারাবাহিক নাটক ছিল, অত জনপ্রিয় হয় নি।
সময় গেলে সাধন হবে না
এক গরীব পোলা বড়শি দিয়া একটা বড় কই মাছ ধরসে ।।
মেলাদিন ভাল কিছু খায় নাই বেচারা ।।
ভাবল আজকে মজা করে মাছ দিয়ে ভাত খাবে ।।
ছেলের মা রাইন্ধা দিল আলু-পিয়াজ-মাছের ঝোল।।
আহ !! কি সুঘ্রান !! পোলাটা খুশি তে বাকবাকুম।।
মা কইল বাপ খাইয়া ল গরম গরম ।।
পোলা কইল-
আম্মা আপ্নে আর আমি আইজ ঝোল দিয়া এ ভাত খাই।
কবে আবার মাছ পামু ঠিক নাই।।
মায় কইল তাইলে ঠিক আসে ।।
মা-ছেলে মজা কইরা খাইল।।
আহারে সে কি খাওয়া ্্্
পরের দিন ...
পোলা কইল...
আম্মা মাছ ত একডা ... কেম্নে কি ??
আইজ এক কাম করি আমি আর আপ্নে মাছের ঝোল আলু আর পিয়াজ দিয়ে এ খাইয়া লই।।
মায় কইল-
ঠিক আছে বাপ ... তয় কাইল কিন্ত আমি লবন মরিচ দিয়া ভাত খামু তুমি কিন্তু একলাই মাছ খাইবা । ঠিক আসে আব্বা?? তাইলে আমি আইজ আলু দিয়া খামু ।
আহারে !! আপ্নেরে ছাড়া আমি কেমতে খাই , আম্মা ।
আপ্নে তাইলে একটু খাইয়া বিসমিল্লাহ কইরা দেন । আমি কাইল মজা লইয়া খামুনে ।
মায় এক চিমটি খাইল।
চোখ বুইঝা স্বপ্ন দেখল তার বাজান মাথা নাছাইয়া কেম্নে আরামে খাইতেসে।
রাইতে পোলা ঘুমাইতে গেল
আহা কি শান্তি
কাইল মাছ খাইব
ভাবতেই ধেই ধেই করে নাচতে মন চায়।
মনের কথা-১
জীবন কখনো বন্ধুহীন,বোধকরি এই সময়টা একজনের জীবনে সব চেয়ে কষ্টের।
রোকসানা আফরিন , কবি, লিখেছিলেন ,
-অবশেষে জানলাম,
জীবন বন্ধুহীন ,
পথের সাথীকে পথেই ফেলে আসতে হয়!
আজ তাকে ভুলে থাকা যায়!-
বন্ধুহীন জীবনের অলি-গলিতে শুধুই হতাশা,ঋণগ্রস্থ জীবনের আর্তনাদ।
সত্যি বলতে কি ,জীবনে কারো কাছেই ঋণী থাকতে নেই।
প্রিয় বন্ধুর এক মুহুর্তের বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনা, বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক নতুন ঋণের বোঝা।
কারন, প্রিয় বন্ধু তখন হয়ে যায় অচেনা কেউ,যার নিঃস্বার্থ উপকার তখন ঋণ বলেই মনে হয়।
জীবনে খুব কম মানুষই এক জন আরেক জনের কাছে বিশ্বাসী হয়ে উঠেন।
একটা ব্যাপার লক্ষ্যনীয় যে আমাদের বিশ্বাস এর ধরন ও প্রকৃতি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্নতর হয়।
তাই ব্যক্তি জীবনে একাধিক বিশ্বাসী মানুষ এর দরকার পড়ে।
তাছাড়া, এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যাকে সব কিছুই বিশ্বাস করে বলে যাবে।
সর্বোপরি, বিশ্বাসী ব্যক্তির কাছেই আমাদের বেশি ঋণ থাকে।
কাজেই যেদিন কেও বিশ্বাস ভাঙ্গার কষ্ট সইতে শুরু করেন,
তার সাথে অতিরিক্ত যন্ত্রণা শুরু হয়
ঋনের বোঝা, নিরাপত্তাহীনতা,কিম্বা ভুল বন্ধু নির্বাচন এর জন্য অনুশোচনা।
আমি কেন তাদের দলে নাই?
মাথার উপর চাঁদ, পায়ের নিচে অকূল।
নিজেকে দেখি আয়নায়, করোটিতে ভীড় করে দৃশ্যমান ভুল।
ভাবি, আমি কেন তাদের দলে নাই?
যারা লুটিয়ে দিতে পারে সবই,
প্রিয়ার কালো চুলে, কিম্বা মানবতায়!
আর আমি ?
আমি শুধু ভেবে অবাক হতেই জানি।
বিধাতার সাথে মেঘের আলাপ আমার কানে পৌঁছে..
বোধগম্য বানী একটাই, বিধাতা বলেন...
-যাকে আমি পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে পাঠাই, তার একটা না একটা গুণ থাকবেই-
যারা সেই গুণ টাকেই আপন করে নিয়ে, নিজেকে সফল করতে পাড়ি দেয় অতল গহীনে।
আমি কেন তাদের দলে নাই?
নিজের কাছে জমে থাকা ইতিহাসে মুখ লুকাই,
ডুবুরির মত খুজে ফিরি সাফল্যের নিদর্শন,
দীর্ঘশ্বাস শেষে-
আমি অবাক চোখে দেখি,
চরম দারিদ্রতা আর হতাশায় মানুষ কত খুশি..
আমি কেন তাদের দলে নাই?
কষ্ট কিম্বা হতাশা
কিছু করার নাই । মনটা খারাপ ।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম ধারনা করার একটা শখ আমার মজ্জাগত। কাজেই আমি জানতাম আমি একটা বিপদে পরতে পারি। তাই, সত্যিই যখন বিপদ হতে চলল তখন আমি কিছুটা শুন্যতা টের পাই ।
নিরবে সময় কাটানো, আত্বকেন্দ্রিকতা ...কিছুই করার নেই । শুধু ভেবে যাওয়া এর পর কি করব।
(কিছুটা ভাবনা শেয়ার করার জন্যেই)
মানুষ অন্যের জন্য তখন এ এগিয়ে আশে যখন তার মন থাকে চিন্তামুক্ত । অর্থনৈতিক, পরপকার ব্যাপার টা পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার।
সিলেট কিম ব্রিজ এর নিচে যে লোক রিকশা ঠেলে তাকেও মাঝে মাঝে আমার একজন ডাক্তার থেকে বেশি সুখি মনে হয় (এইটা ব্যক্তিগত মত)। তাদের মন মানসিকতা অনেক সময়ই দেখি আমাদের থেকে অনেক এ মানবিক। ক্রমশ উন্নত জীবন যাপনের চেষ্টা আমাদের অনেকই যান্ত্রিক করে দেয়। আমরা তখন দেখতে পাই না চার দিকে কি হচ্ছে । হইত আমি ও তাদের কাতার এর ই একজন। তবে এক্ষেত্রে কিছু মানুষ এখন ও টিকে আছেন যারা নিজের অপারগতা স্বীকার করেন , অন্যের উপকার করা কে শ্রদ্ধা করেন , বিনা কারনে তেনা পেচান না , অন্যের খুত ধরে নিজের সংকীর্ণতা ঢাকতে চান না ।
একজন ডাক্তার এর হতাশা দিয়েই শেষ করি ...
~*-নীরবের বন্ধু খোঁজা আর আত্মকথা-*~
কিছু ব্যাপার জীবনকে সত্যিই পিছিয়ে দেয়
নীরব নামের ছেলেটা দিনের পর দিন জীবন যুদ্ধে পরাজিত হতে হতে পাথর হয়ে যাচ্ছে। নিজের দুর্বলতা,কষ্ট, কিম্বা ভালবাসার কথা নিজের মনের মধ্যেই পুষে রাখতে পছন্দ করে নীরব। কখনো কথা বলতে থাকে রাতের তারার সাথে চুপিচুপি।
কাউকে কিছু বলতে গেলেই নীরবের শুধুই মনে হতে থাকে-
নিজের গোপনীয়তা যদি কারো কাছে দৃষ্টিকটু হয়?
কিম্বা কেউ যদি একান্ত ব্যক্তিগত ব্যপারটাকে তুচ্ছ করে ? তামাশা করে?
এমন ও তো হতে পারে যে গোপন কথা আর গোপন থাকলো না ?
ভালোবেসে নীরব একবার আকাশকে বলেছিল তার নিজের জীবনের একান্ত কিছু গোপন কথা , সামাজিক ভাবে তার হেয় হবার কথা , তার পরাজয় এর কথা , তার পরিবার এর কিছু অপ্রিয় সত্য কথা । নাহ নীরব এর কথা নীরবে সইতে পারেনি আকাশ। প্রবল ঝড় আর বৃষ্টি দিয়ে আকাশও বুঝিয়েছিল নাহ এ আমি সইব না। তোমার কষ্ট তোমারই থাক। তাই নীরব এখন বন্ধু হিসেবে রাতের তারা কেই খুঁজে নিয়েছে , দিনের আলোয় যে সত্যিই নির্বাক।
আজ নীরব বাস্তবতা বোঝে । দারিদ্রকে মোকাবেলা করতে জানে ।
~!!~নিরবে থাকা স্বপ্নসুখ আর নিশি জাগা একাকীত্ব~!!~
[ কিছু অনুভুতি শেয়ার করার জন্যই এই লেখা ]
নিরবতাই আমার ভাললাগা-
শীতের কুয়াশার চাদরে শিতল হয় অতৃপ্ত আত্মা।
ধীরে ধীরে শান্ত হয় নগরী-আমি জেগে থাকি শুধুই
নিরবতা উপভোগ করব বলে ।
একা থাকা কিম্বা নিরবতা –এর মাঝে সুখ বিস্তর ।
জানি তুমি কষ্ট পাবে হে প্রিয়তমা অথবা জননী, তবু বলে রাখি =
আমার নিজের সত্তার সাথে কিম্বা আকান্ত আমাতে একটু নিমগ্ন হতে গেলে –
তোমাদের কি খুব কষ্ট হবে ?
আমি নিজের মত আপন মনে সুখে থাকি তবুও কেন=
প্রশ্নবানে জর্জরিত কর আমাকে ? কষ্ট পাই ভীষণ- অপরাধী লাগে নিজেকে ।
তোমরা তো জান তোমরাই আমার সব । আমি তো অমানুষ নই।
আমার , আমিতে আত্মনিমগ্নতা –এ এক স্বর্গীয় সুখ।
তবু কেন তোমাদের এত শঙ্কা?
না । আমি কোন কষ্ট পাচ্ছিনা।
নেই কোন অভিযোগ।
আমি আমার ব্যস্ততম দিনের শেষান্তে ।
আমি ভালবাসি আমার আত্মীয় –পরিজন- প্রকৃতি- আর প্রিয়তমা ।
আমাকেও তো আমি ভালবাসি?
নিজের জন্য কি এতটুকু স্বাধীনতা থাকতে নেই ??
স্বপ্নলোকের স্বর্ণ সিরিতে আমার পদচারনা থমকে যায় –
ফোন এর ওপাশের কথা শুনে-
~*~দর্শক কিম্বা ধর্ষক --আমরা পাপী~*~
শেষ রাতের ঘুমটা আরো গাড় হচ্ছিল ক্রমশ ।
সাদাকালো স্বপ্নেরা সবেমাত্র পরাবাস্তবতার স্টেশান এ পা দিল---
গাঢ় আন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছি, যেখানে শুধুই শুন্যতা...
আর মাথার নিউরনে অনবরত ফ্লাশবাক।
সমস্ত শরীর প্রচণ্ড ভয়ে ছোট হতে হতে একদলা মাংশে পরিনত যেন।
হঠাৎ সব ভয় উবে গেল আর সেই নিউরন শুদ্দ সমস্ত আমি প্রবল বেগে ধাবিত হতে থাকলাম এক অসীম শুন্য টানেল ধরে ।
কেউ যেন আমার সত্তাকে পুড়িয়ে মারছে আর আমি ক্রমশই একটা জ্বলন্ত লাভায় পরিনত হচ্ছি । খুব কষ্ট।
ফ্ল্যাশবেকে ভেসে উঠছে কিছু মুখ যারা অকালে ঝরে গেছে ।।
কিম্বা নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি এই নিস্ঠুর পৃথিবী তে।
এই নরকে তাদের ঠাঁই হয়নি ।
যারা চলে গিয়ে বেছে গেছেন এই গ্লানিময় পৃথিবী থেকে।
ওই ত ইয়াসমীন, পারুল , যামিনী , ডাঃ সাজিয়া...
কি সুন্দর ধবধবে সাদা শাড়ী পরে মেঘের মাঝে লুকচুরি খেলছে।
আর আমার আত্মা জ্বলে মরছে ।
আমি ত ধর্ষক নই তবুও কেন আমার এই শাস্তি?
আমার দিকে হেসে বিধাতার বক্রোক্তি -
তুমি হইলা আমার কুলাঙ্গার বান্দা তুমি নপুংশক দর্শক।
নিরব থাইকা সাপোর্ট দিলা, যে ধর্ষক তারে?
নিজের অপারগতা ঢাকতে ভুল ধরতে গেলা মাইয়াগো ?
kichu kotha ~~sudhui bolar jonno bola~~~nijeke ektu nirvar kora~~
কিছু কথা আজ খুব মনে পড়ছে ......
গত ৩/৪ দিন ওনেক ভালো ছিলো .....
কখন কি যে হয়ে যায় কে জানে ???
আবারো সেই এক ঘেয়ে জীবন ..
ভালো লাগে না আমার ..
চাইছি একটু বিরতি.......
নতুবা
চির বিদায়.......।