আজকের হাবিজাবি "এমনো বিকেল আসে, তুমি যাও বাইপাসে, অচেনা লোকাল বাসে সন্ধ্যেকাবার; যাও পথ খুজে নাও পথ পালাবার "
১)
"মানুষ অভ্যাসের দাস"
আমিও নিজেরে মানুষ মনে করি; হোমোসেপিয়েন্স হইয়া জন্মাইছি; জন্মাইয়া মানুষ হওয়ার জন্য তেমন কোন কষ্ট করিনাই; কিছু খুচরা পাপ করছি; কিছু বড় মাপের আকাম করছি যেগুলা করা উচিৎ হয় নাই (সেগুলা চিত্রগুপ্তের সমস্যা, সে হিসেব করুক); তারপরো নিজেরে মানুষ ই দাবি করি। আমার একটা রুটিন টাইপ হয়েগেছে ব্লগ খুইলা জামাল ভাষ্করের ডায়রী পড়া। আরেকটা অভ্যাস আমারব্লগের আইজুদ্দিনের লিখা পড়া আমি মানুষ এবং বাঙালীও বটে আমি ক্যাচাল ভালোবাসি। আইজকা আমারব্লগে ঢুকতে পারতেসিনা গত ৩ দিনে আইজুদ্দিন না জানি কত কিছু লিখা ফেলছে।দিনটা কেমন যেন খবরের কাগজ ছাড়া চা এর মতন লাগতেছে।
আমি টিভি দেখতে খুব ভালোবাসি; যখন দেশে ডিশ ছিলো না এবং দেশে ডিশ আসার পরো যখন আমাদের বাসায় ডিশ ছিলো না ছিলো শুধু বিটিভি তখনো পবিত্র কোরান তেলোয়াত থিকা শুরু কইরা পতাকা দেখান পর্যন্ত টিভি দেখার একটা টার্গেট আমার থাকতো। ডিশের লাইন নেয়ার পরকয়দিন ধুমায় টিভি দেইখা টিভির প্রতি টানটা কেমন কইমা গেল। এজন্যই কবি বলেছেন ভালো অল্প বলেই তা ভালো।
"আশরাফুল মখলুকাত"
যাই হোক ক্লাস সিক্স/সেভেন এ ইংলিশ টেক্সটবুকে সামিরা ডায়রী লিখতো আমিও লিখতাম; প্রথম কয়দিন সারাদিন যা ঘটতো সেগুলা লিখতাম; কিছুই ঘটতো না তারিখ বদলাইতো লিখা না, ঘুম থিকা উইঠা দাত ব্রাশ করা থিকা ঘুমানোর আগে দাঁতব্রাশ করার মধ্যবর্তী সব ঘটনাও একিরকম, কয়েকদিন পর ক্ষমা দিলাম; তারপর মাঝে মাঝে মনের কথা লিখতাম। এইরকম একবার লিখছিলাম কি লিখছিলাম হুবহু মনে নাই তবে মোটামোটি সারমর্ম হইলো "জীবের বুদ্ধির উন্মেষের সাথে পায়ের একটা সম্পর্ক আছে, অ্যামিবার পাও নাই বুদ্ধিওনাই, তারপর গরু-ছাগলের চার পা বুদ্ধি কম; বান্দরের দুই পা হইলেও দুইপায়ে হাটতে পারে না তাই তাগো বুদ্ধি মাইষের চেয়ে কম; মানুষ দুইপায়ে হাটে তাই বুড্ঢি বেশি এরপর যারা একপায়ে হাটবে তারা মানুষঅপেক্ষা বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন হবে; এর পর আবার পাহীন এমিবার সময় শুরু হবে এবং চক্র সম্পূর্ণ হবে" -- এইটা পরে পইড়া ব্যাপক মজা পাইছিলাম।
এরপর এইসব হাবিজাবি লিখতাম না, ডেট দিয়া লিখারাখতাম আইজকার দিনটা একটা বিশেষ দিন আমি খুবি কষ্ট পাইছি/আনন্দ পাইছি। কিছুদিন পর পইড়া আর কষ্ট/আনন্দের কারন মনে করতে পারি না, তখন কারন গুলাও লিখতে লাগলাম বাট কিছুদিন পর হৃদয় নিংরানো কষ্টের কারন পইড়া এই কারনে কষ্ট পাইছিলাম এই ব্যাপারটা ব্যাপক হাস্যরসের জন্ম দিত। আমার কিছুদিন পরপরি ডায়রী তে যা লিখতাম সেগুলা খুবি আবালীয় লিখা মনে হইতো এবং সেগুলা ছিড়ে ফেলতাম, পুরান ব্লগপোস্ট পড়লেও একিকথা মনে হয় কিন্তু লোকজনের কমেন্টের কারনে ডিলিট করতে পারি না।
২)
"এই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু......."
বোহেমিয়ানের পোস্ট পড়ে এই গানটার কথা বা এই কথাগুলো মনে দোলাদিল; হাত ধরাধরি খুব গুরুত্বপূর্ন কিছু মনে হয়নাই কখনো প্রথম কার হাত ধরছিলাম সেইটা মনে করার কষ্ট করলাম না কিন্তু যে আমার হাতটা ধরুক খুব করে চাইছিলাম সে আমার হাত টা বা আমি তার হাত টা কবে প্রথম ধরছিলাম, কোন বানানো ছুতায় ব্যাপক রংঢং করে ধরছিলাম না ক্যাজুয়েল ছিলো, হাতধরে কি মনে হইছিলো কিছুই মনে করতে পারলাম না। যে শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু সেই শহর আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শহর কিন্তু আমি আরেকবার সেই শহরে যাইতে চাই না; সেই শহরের আমি আর আজকের আমি অনেক আলাদা; জানি আজকের শহর আমার সেই শহরো আলাদা; একই নদীতে দুইবার ডুব দেয়া যায় না।
৩)
"শুরুর ক্ষানিক মৃনাল মানিক অন্তে সুভাষ ঘাই"
অনেকেই অনেক ভালো ভালো সিনেমা/চলচ্চিত্র নিয়া পোস্ট দেয় শেয়ার করে; ভালো ভালো চলচ্চিত্র নিয়া পোস্ট দিতে হইলে ভালো ভালো চলচ্চিত্র দেখালাগে; আমি শুক্রবার দুপুরের বিটিভির নিয়মিত দর্শক হবার কারনে আমি ভদ্রলোকের ভাষায় ছি:নেমাই বেশি দেখছি; অনেকগুলাই আমার বেশ ভালো লাগছে; আমি কোনকালেই বোদ্ধা-পাঠক/দর্শক ছিলাম না আমি মুগ্ধ দর্শক, ৩ ঘন্টা শেষে বিনোদন ই আসল কথা আমার কাছে; আজকে আপনাদের কিছু ছিঃনেমার কথা বলবো :
ক)সান্ত্বনা(শ্রেস্ঠাংসে - আলমগীর,শাবানা,শাবানা)
এখানে টুটুল নামের একটা চরিত্রে এক শিশু শিল্পী দারুন অভিনয় করছিলো; টুটুলের মা শাবানা মরে যাওয়ার পর বাবা তার খালা শাবানারে বিয়ে করে, বিয়ের পর মা শাবানা ফিরে আসে, খালা শাবানা আত্মহত্যা করে; এখানে খালা শাবানার সাথে টুটুলের বাবার বিয়েরপর তারা ৩জন বেরাতে যায় যেখানে টুটুল বাবা-মাএর সাথে আগে আসছে, টুটুলের খালা টুটুলকে খুবি আদর করে টুটুল জানতো না ঐটা তার মা না; কিন্তু ঐখানে তার বাবা-খালা
যখন ব্যাস্ত হয়ে যায় টুটুলের মায়ের সাথে আসার কথা মনেপরে এবং সেবুঝতে পারে সামথিং রং; টুটুলের সেই বিষাদময় মুখ আমি আজো মনে করতে পারি।
খ)দোলনা: (আলমগীর, রোজিনা)
এইটা হিন্দি তালাক (মিঠুন,নীলম) এর বাংলা ভার্সন, কিন্তু বাংলাটা আমার বেশি ভালো লাগছে। নিঃসন্দেহে রোজিনা নীলমের চেয়ে ভালো অভিনয় করে।
গ)এইটার নাম ইয়াদ নাই; আলমগীর ছিলো, একটা বোবা মেয়ে ৩/৪ বছরের তার বাবা-মাকে খুন হতে দেখে ফেলে, ভাগ্যক্রমে আলমগীর তাকে রাস্তায় পায়,খুনীরা মেয়েটাকেও খুন করতে চায় প্রমান নির্মূল করার জন্য। আমার খুবি অন্যরকম লাগছিলো। এইটা নিঃসন্দেহে কোন না কোন ইংলিশ মুভির নকল কারন এইরম একটা হিন্দি ছবিও দেখসি গোবিন্দর , এইখানেও হিন্দিটার চেয়ে বাংলাটা ভালো লাগছে বেশি। গোবিন্দর চেয়ে আলমগীর অনেক পরিণত অভিনয় করে।
ঘ)দেবদাস (বুলবুল আহমেদ,কবরী): আমি ৩ টা দেবদাস দেখছি। চাষী নজরুল ইসলামের টা, ভারতীয় বাংলাটা, আর আমাদের বানসালী আংকেলের টা; আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে চাষী নজরুল ইসলামের টা আর সবচেয়ে ভুয়া লাগছে শাহরুখের টা। আরেকটা দেখছি টেলিফিল্ম(মাহফুজ,তারিন,তানিয়া) ঐটার কথা না কওয়াই ভালো, বানসালীর টারে নকল করছে তয় বাজেট কম আছিলো তো খুবি অখাদ্য হইছিলো। চাষী দাদু নাকি দেবদাস রিমেক করতেসে মৌসুমী চন্দ্রমুখী। আমার ঐটা দেখার ইচ্ছা নাই; একবার স্টারমার্কস নিয়া পাশ করার পর আবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার মানে নাই।
ঙ)
অনুতপ্ত (শাবনাজ, নাঈম)
এইটা আমার সিনেমা হলে যাইয়া দেখা প্রথম ছবি; এত বড় বড় নাটক-নায়িকা দেইখা আমি মুগ্ধ; এটা পরে ততোধিকবার টিভিতে দেখাইলেও আমি কখনো দেখিনাই।ভালোলাগা নষ্ট করতে চাই না।
চ)বিচার হবে (সালমান শাহ,শাবনূর,হুমায়ূন ফরিদী,ডলি জহূর)
এইটা সালমান শাহ এর মৃত্যুর আগে তার দেখা আমার একমাত্র সিনেমা; এইটা হইতেছে মিঠুনের অবিচারের মতন একটা সিনেমা; সিনেমাটা ভালো লাগছিলো; গান গুলাও ভালো লাগছিলো।
ছ)ভালোবাসি তোমাকে (রিয়াজ,শাবনূর,ববিতা, হুমায়ূন ফরিদী, মাহফুজ)
গরীব মেডিকেল পড়ুয়া নায়িকা কোনভাবেই বড়লোক নায়করে পাত্তা দিতেছিলো না; অর্ধেক সিনেমা নায়ক নায়িকার মন পাবার চেষ্টা করে ......... প্রেম হওয়ার পরআর দেখিনাই; কি হইবো সেতো আমি জানিই সিন-সিনারি-ব্যাকগ্রাউন্ড শুদ্ধা হাজারবার দেখছি, যাইহোক ঐ সিনেমায় একটা গানছিলো "আমি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি তোমাকে......"-- আমার অনেক পছন্দের গান; এই গানটা ক্লোজআপ সোনিয়া ভালো গাইছিলো; মেয়েটা ম্যারিড না হইলে হয়তো ক্লোজআপ ১ বিজয়ী হইতে পারতো।
জ)চাপা ডাঙার বৌ(শাবানা-বাপ্পারাজ)-- আমি উত্তম কুমারের চাপাডাঙার বৌ ও দেখছি বাট আমার বাপ্পারাজের টাই ভালো লাগছে; আমি এই জাতি ছাগ্লামি কথা কোনসময়ি বলবো না যে বাপ্পারাজ উত্তমকুমারে চেয়ে ভালো বা তার কাছাকাছি ভালো অভিনয় ও করে; সে একজন বিরক্তিকর অভিনেতা; কিন্তু সব চরিত্রে সবাইকে মানায় না; বাপ্পারাজরে ঐ চরিত্রে মানায় গেছিলো।
ঝ)অমর সঙ্গী: (প্রসেনজিৎ)
নায়িকাটা জুইতের ছিলো না; নায়িকা জুইতের হইলে আরো ভালো লাগতো
ঞ)মন মানে না(প্রসেন জিৎ, রবি ঘোষ)
ব্যাপক ঢঙ্গী এক নায়িকা ছিলো; ঢং দেখলে মনে হইতো থাপড়াইয়া সোজা কইরা দেই; এইটার হিন্দী ভার্সন সালমান-কারিশমার দুলহান হাম লে জায়েঙ্গে; আমার বাংলাটা ভালো লাগসে।
ট)পারাবত প্রিয়া (তাপস পাল;মহুয়া রায়চৌধুরী, দেবশ্রী)
ত্রিভুজ প্রেমের সিনেমা ঠিক না আবার ত্রিভুজ প্রেমের ছবিও; এই সিনেমায় দুটা রবীন্দ্র সঙ্গীত খুব সুন্দর করে ব্যাবহার করা হয়েছে- "আমার সকল নিয়ে বসে আছি" আর "দোলাও আমা হৃদয়", সিনেমাটা দেখে মনে হয়েছিলো রবীবাবু এই সিনেমার স্ক্রীপ্ট দেখে এর জন্যই গান লিখেছিলেন।
ঠ)আক্রোশ(রন্জিত মল্লিক, ভিক্টর ব্যানার্জী, দেবশ্রী, প্রসেনজিৎ,উমা গুহঠাকুরতা)
বিবাহপূর্ব সন্তান মা যাকে ডাস্টবিনে ফেলেদেন সেই বড় ভাই মস্টান, সেই মায়ের বিয়ের পরের ছেলে ছোট ভাই পুলিশ -- এইরকম দুইশ-আড়াইশ সিনেমা হিন্দি আর দুই বাংলা মিলে আছে, কিন্তু তবু এই সিনেমাটা যে কেন আমার ভালো লাগে জানিনা তবে ভালো লাগে।
আর মনে পরতেছে না কিন্তু আছে আরো ; বেদের মেয়ে জোছনার নাম নাই কারন আমি ভাবছিলাম ঐটা নাগ-নাগিনীর সিনেমা কিন্তু আসলে তা না তাই ব্যাপক আশাহত হইছিলাম আর সিরিয়াস কান্চনরে দেখলে আমার মেজাজ সিরিয়াস খারাপ হয়, আমি বসুন্ধরা ও দেখিনাই সে আছে জন্য। নাগ-নাগিনীর সব সিনেমাই আমার প্রিয় তাই আলাদা কইরা নাম লিখলাম না।
৪)
"চেনা মুখ ছুঁয়ে থাকা দৃষ্টি , এলোমেলো আড্ডা চায়ের গেলাশ
ঘুম ঘুম ক্লাস রূম, পাশে খোলা জানলা; ডাকছে আমাকে তোমার আকাশ"
আমি আমার শৈশবে ফিরে যেতে চাইনা; আমার গোল্ডফিশ মেমরীতে আমার ক্লাস ওয়ান-টুর কোন বন্ধুর নাম মনে নেই, কিছু টুকরো স্মৃতি মনে পরলেও কারো নাম বা চেহারা আজ মনে পরে না; আমি বরং আমার কৈশর বা তারুন্যের সময়টায় আরেকবার ফিরে যেতে পারি; আমার স্মৃতিচারনে সেসময়টাই বেশি থাকে। দলবেধে পড়া না শিখেপুরো ক্লাস কান ধরে দাড়িয়ে থাকা বা ক্লাসের মধ্যে চিরকূট চালাচালি........
"এমনো সকাল হয় অবিরত অপচয় ছাইদানি ভরা থাকে মরা আগুণে
যাও মেঘ বলে দাও আমি ভালো নেই ........."
মেঘেরা কাউকে কিছু বলে না;বৃষ্টি ও মেঘমালা শুধু পুরোনো কিছু স্মৃতিই ফিরিয়ে দেয়; আমার অপছন্দের স্মৃতি আমি বদলে দিতে পছন্দ করি। বাস্তবে যে বৃষ্টিতে আমি ভিজিনি স্মৃতিতে সেই তুমুল বর্ষনে আমি ভেসে যাই......... একে কি বলে? মিথ্যেস্মৃতি!!!!!
"জেগে থাকে কথা ক্যান্টিন কোন ভোরে বেজে ওঠে যে টেলিফোন
ফুলে ঢাকা পথ হোক নীর্জন একা পথ পড়ে আছে নিঝুম
ফাকা ক্লাসরূম পাশে খোলা জানলা..................."
কোথাও কিছু ফাকা থাকে না; বন্ধুর পথ ও নিঝুম নীর্জন থাকে না; হয়তো আমি নেই কিন্তু অন্যকেউ আছে। কোন ক্লাসরূম ফাকা থাকেনা, ফেলে আসা ক্লাসরুমে অন্যকেউ আমাদের মতন চীরকুট চালাচালী করে, বোর্ডে আবোল তাবোল লিখে, পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়, কোনএক কোণ খুজে ঘুমায়।যে ফুল ঢাকা পথে আমার পায়ের ছাপছিলো সেই ছাপে অন্যছাপ আকে আরেকজন আমি যেমন মুছে দিয়েছিলাম পূর্বসূরীর ছাপ।সাধারন মানুষের পৃথিবীতে নতুন কিছুই ঘটেনা, একটা নির্দিষ্ট স্থানে একি ঘটনা বারবার অভিনীত হয় শুধু পাত্র-পাত্রী বদলে যায়। প্রত্যেকের জীবন ই তো অন্যকারো যাপিত জীবনের আপডেটেড ভার্সন মাত্র।
"মনে পড়ে যায় গত জন্মের পাপ; শরীরে রয়েছে চেনা শরীরের ছাপ
তুমি নত মুখে মেনে নিলে অভিশাপ"
শরীরে চেনা শরীরের ছাপ ই থাকে; আপনার মুখের আদল টা হয়তো বাবার বাবার মতন, নাকটা মায়ের মতন, চোখটা খালার মতন..........।গত জন্মের পাপ, হুমম পাপ ই তো বটে; পূর্ব পুরুষের নষ্ট রাজনীতির প্রায়শ্চিত্ত করে যায় আবু বকরেরা।তৃতীয় বিশ্বের প্রতিটি শিশু জন্মায় মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে। পূর্বপুরুষের পাপ তো গত জন্মের পাপই বটে।
৫)
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে
প্রথমে হয়তো কোন পথিকই পথের সৃষ্টিকরে কিন্তু পথ একবার তৈরী হলে সেই পথ অসংখ্য পথের সৃষ্টিকরে। আমজনতা পথ সৃষ্টি করে না তৈরী হওয়া পথে হাটে।
উরিব্বাপ্স!!!
আপনে একটা কাজ করেন। বাংলা সিনেমা নিয়া একটা থিসিস লেইখা ফেলেন!! কত সিনামা দেখে রে...
একটা ব্যাপার ভাল্লাগ্সে.. হিন্দী সিনেমা, সেটা যতই ভালো হোক, আপনার কাছে কোন কোন কারণে বাংলাটাকেই ভালো মনে হইছে। বাংলাপ্রীতি চমৎকার।
দোলনা'টা আমিও দেখছি। আর, "বিচার হবে"র একটা গান তো এখনো বিখ্যাত। "ও দাদী, ও দাদী/ আমি তোমার দিওয়ানা।"
সিনেমা দেখলেই সিনেমা নিয়া থিসিস লিখা যায় না; বাংলা সিনেমা নিয়া ফাহমিদুল হক এর একটা বিশাল সিরিজ আছে সামুতে।
ভালো লাগাটা নেহাৎ ই ভালো লাগা এর মধ্যে বাংলা প্রীতির কিছু নাই; বেশির ভাগ বাংলা সিনেমা যেগুলা হিন্দি/ভারতীয় বাংলা থিকা বানানো আমার হিন্দি বা অন্যটাই ভালো লাগসে; এগুলা ব্যাতিক্রমের কথা লিখসি। একটা ইংলিশ মুভি "ইফ অনলি" এর হিন্দি ভার্সন "রূবারূ" নায়ক-নায়িকা কাউরে চিনিনা, পুরাই বি-গ্রেড হিন্দি ছবি;কিন্তু রুবারু আমার ইফ অনলির চেয়ে বেশি ভালো লাগছিলো; আরেকটা ইংলিশ মুভি "ওয়েডিং ডেট" এর হিন্দি ভার্সন "আপ কি খাতির"- দুইটাই আমারে বিনোদিত করছে সো এইখানে আমার বাংলা প্রীতির কিছু নাই; স্বরলীপি আমার অনেক পছন্দের সিনেমা কিন্তু রাজ্জাক-ববিতার স্বরলিপী এর চায়ে উত্তম-তনুজার দেয়া-নেয়ে নিঃস্বন্দেহে বেশি রেটিং পাবে।
গান-সিনেমা এগুলা আমার মনেহয় মানুষের যেটা ভালো লাগে সেটাই গ্রহন করবে এইখানে দেশীপন্য কিনে ধন্য হওয়া স্কোপ খুব কম।
হিন্দী ছবির সাথে বাংলা ছবির তুলনাটাই অসম, যেমন হলিউডের সাথে বলিউডের তুলনা চলেনা; তবে টালিগন্জের চাইতে ঢালিউডের এগিয়ে থাকারস্কোপ ছিলো বাট সেটা হয়নাই।
বাংলা সিনেমাতো ম্যালাডি কমন পৈড়া গ্যালো।
কমন তো পরবই সবেই বাংলা বই দেখে খালি কেউ কেউ নাক কুচকায় ভাব ধরে
ঘুম ঘুম ক্লাস রূম, পাশে খোলা জানলা; ডাকছে আমাকে তোমার আকাশ
আমার সবচেয়ে পছন্দের লাইন...এইরম লাইন লিখতে কইলজা লাগে...আর পোস্ট পইড়া স্মৃতিহত হইলাম...আমারো সিনেমা দেখনের অভ্যাস গইড়া উঠছে বাংলা সিনেমা দেখতে দেখতেই...
বন্ধু ইমন (সালমান শাহ) মারা যাওনের পর তার একটা সিনেমা দেখছিলাম সত্যের মৃত্যু নাই...
প্রথমেই একটা ভুল শোধরাই ঐ লাইন আমার লিখা না ; মাহিনের ঘোরাগুলি/চন্দ্রবিন্দুর গান;
শুক্রবার বই দেখার জন্য কত আগ্রহ নিয়া অপেক্ষা করতাম;কখন তিনটা বাজবে............;
"সত্যের মৃত্যু নাই" হলে যাইয়া দেখার খুব ইচ্ছা ছিলো; মফস্বল শহরে ঐ সিনেমা যতদিনে আসছিলো ততদিনে আর সেই ইচ্ছাটা বেচে ছিলো না
এই গান আমি নিয়মিতই শুনি...চন্দ্রবিন্দুর গান...গানের টাইটেল মনে হয় নীল নির্বাসন...গানের লাইন হিসাবেই ঐটারে সবচে' পছন্দের লাইন লাগে...
তাহলে ঠিক আছে; হ্যা নীল নির্বাসন অনেকদিন পর্যন্ত আমার ধারনা ছিলো এটা নীল নির্জন সিনেমার গান; আমারো সবচেয়ে পছন্দের লাইন ঐটা
আপনার সিনেমার লিস্টে ববিতার ভূমিকা দেখা যাচ্ছে খুবি পুওর। ববিতার প্রতি আপনার এহেন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের আহত করে। দেশ ও জাতীর কল্যানে জাতী আপনার কাছে নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করে। পরবর্তী ভার্ষন গুলোতো ববিতাকে যথাযথ সন্মান প্রদর্শন সময়ের দাবী।
পোস্টে আমার নাম থাকায় (যেই কারণেই হোক) লাইক্কর্লাম
চিরদিনই আমি যে তোমার
যুগে যুগে তুমি আমারি
আমি আছি সেই যে তোমার
তুমি আছো সেই আমারি
সঙ্গী ... আমরা ওমর (অমর) সঙ্গী
অমর সঙ্গীর অডিও ক্যাসেট তো সেই সময় প্রচণ্ড হিট ছিল... বহু ব্যবহারে অডিও টেপ দ্রত নষ্ট হয়ে যেত.. তাই সেই সময় এই ক্যাসেট একাধিক কেনা বাধ্যতামূলক ছিল
আপনি বোধয় খেয়াল করেন নাই আমি লিখছি ভদ্রলোকের ছিঃনেমা নিয়া; তো ববিতার কোন সিনেমারে যদি ছিঃনেমা কই শওকত হোসেন মাসুম ভাই/আংকেল খেইপা যাবেন যেখানে ববিতা আছে সেইটা আবার ছিঃনেমা হয় কেমনে।
গানটা কিন্তু আমার এখনো ভালো লাগে; আরেকটা গান ছিলো "ঝাল লেগেছে আমার ঝাল লেগেছে "
শওকত হোসেন মাসুম আংকেল!!!!
তিব্র দিক্কার জানাই।
কেন নুশেরাপুরে আন্টি কইলে মাসুম্ভাইরে আংকেল কওয়া যাইবো কেন;
দেখি মাসুমান্কেল ছ্যরি মাসুম ভাই কী বলে। অনেক খুইজা ফিরা নুশেরার একটা নাম বাইর করছি।
কি নাম জাতি জান্তে চায়
তবে নাম পছন্দসই হইতে হবে, কানুগ্রুপের আহ্বায়কএর নামনিয়া ছিনিমিনি খেলা চলবেনা;
অট: আপনে যে নুশেরান্টিরে নাম ধইরা ডাকেন আপনারে কি আমি অচিন্দাঙ্কেল ডাকবো
দেন ভাই দেন, চামুচে যা উঠে বাইড়া দেন।
টুটুলদাকে টুটুলাংকেল ডাকার সিদ্ধান্ত পাক্কা। ববিতান্টিরে আন্টি ডাকলে উনার ব্যাদ্না হয়, তাই সমানে সমান...
প্রতুদারে আংকেল ডাকাটা রিস্কি;
পোলাপাইন তাইলে আমারেও আন্টি ডাকা শুরু করতে পারে
ক্যা, আন্টি ডাকলে সমিস্যা কী? এইসব ডাকাডাকির মানুষ দুইন্যা থিকা উধাও হইতেছে, ব্লগে কেউ ডাকলে ফিরায়োনা
এইসব ডাকাডাকির মানুষই তো বাড়তেছে; নতুন যেগুলা জন্মাইতেছে সবি তো মামি,মাসি (আন্টি) ডাকে
আইজ নারী দিবস, তাই কাঁকনরে কিছু কইলাম না। অন্যদিন হইলে খবর ছিল।
আইজ আম্রা সব সইয্য কর্তাছি
জয়ীতা যদি আমাগো আইজ খাওয়ায় .. এর লোভে 
জয়িতা খাওয়াবে কেন?
ভয়ে আতঙ্খে
একটা ছবি দেখছিলাম, নাম-অভিযান। ইলিয়াস কাঞ্চন, জসিম, রাজ্জাক ছিল। কাহিনীটা ছিল এরকম-৩ অনভিজ্ঞ যুবককে (!) খলিল একটা কন্ট্রাক্ট দেয়। কিন্তু খলিলের ম্যানেজারের সেইটা সহ্য হয়না। তারপর কিভাবে ঐ ৩ জন কাজ হাসিল করে, সেইটা দেখায়। ভাল্লাগছিল। অন্যরকম গল্প। হয়ত মারা স্টোরি।
হাসের সোনার ডিম লইয়া গান ছিলো ঐ সিনেমায়...
একটা গান আছিলো, বাবারে বাবা কই দিলা বিয়া..
আহা, কী একখান গান আছিলো!
ব্যাডা:
বাবারে বাবা কারে করলাম বিয়া
ঝগড়া করে নাচিয়া নাচিয়া
শ্বাশুড়ি মানে না শ্বশুরও মানে না
জামাইও ছাড়ে না রে বাবা
বেডি:
বাবারে বাবা কই দিলা বিয়া
.............................
এই গানের সুরটা হিন্দি গান থিকা মারা। ক্যায়সে বানী- খ্যাত কাঞ্চনের গাওয়া- হাম নেহি যায়ে সাসুর ঘর মে বাবা-- এইটাইপের কথা ছিলো
সিনেমাটা দেখিনাই গো আপা,কমন পড়ে নাই
এত বাংলা সিনেমাও যে আমার অদেখা আছে অদিতি আপু আর অচিন্দাংকেল না থাকলে বুঝতাম ই না
অনেকগুলা মুভি কমন পড়ল। দোলনা মুভিটা যে ভাল লাগছিল সেই সময় সেইটা এখনো মনে আছে। দোলোনায় দোলে দোলোনা ঝড়ে লক্ষ চাঁদের জোছনা। রোজিনা নীলমের চেয়ে ভালো অভিনয় করছে কোনো সন্দেহ নাই। তবে আমিতো জানতাম এটা পাকিস্তানী নায়ক নাদিমের কোন একটা মুভির বাংলা ভার্সন। চাপা ডাঙার বউ আমার এম্নিতেই অনেক পছন্দের মুভি। বাপ্পারাজরে দারুন লাগছিল। আর হানিফ সংকেতের অভিনয়ও ভালো লাগছিল। দেবদাস হিসেবে দিলীপ কুমারের পরে আমার পছন্দ বুলবুল আহমেদ। শরৎচন্দ্রে চরিত্রগুলার সাথে বুলুবুল আহমেদ কেমনে জানি অন্য সবার চেয়ে অনেক দারুনভাবে মিশে যাইত। অবশ্য রাজলক্ষী শ্রীকান্ততে আরো বেশি ভালো লাগছিল। স্বান্তনার কথা ক্ষানিকটা মনে আছে। একটা সাবানার চুল মনে হয় ছোট ছিল। আরো যা যা মিল্ল তা হইল, ডায়রী লেখার ব্যাপারতা। পুরাপুরি নাহইলেও বেস ক্ষানিকটা মিলছে। আর অতি অবশ্যই ভাস্কর দা র ডায়রী। আইজুর লেখা আসলে তেমন এক্তা পরা হয় নাই। আমার ব্লগে আমি যাই না। সামুতে কয়েকটা লেখা পড়ছি। একটা লেখাতো ভুলা যায় না। তার ভাইয়ের মৃত্যু নিয়া যেইটা লেখছিল। অসাধারন।
সব মিলাইয়া এই পোষ্টটা প্রিয়তে না নিয়া পারলাম না। অনেক ভালো লাগছে।
হ্যা গানটা খুব সুন্দর, হয়তো নাদিম এর ও আকটা দোলনাটাইপ সিনেমা আছে, তবে মিঠুন আর নীলমেরো আছে ওদের অবশ্য একটা ছেলে থাকে।
দিলীপকুমার এর দেবদাস আমি দেখিনাই, আছে যে তাই আজকে জানলাম।তবে রজলক্ষী-শ্রীকান্ত হিসেবে আমার উত্তম-সুচিত্রারেই বেশি পছন্দ।
নাহ রে ভাই সেই লালবালিকা অথবা একটি মৃত্যুর আইজু না এখন আইজুরে খুজি শুধুই ক্যাতার জন্য (জামাত-শিবির তো রিয়েল লাইফে অনেক ক্ষতি করছে, ভার্চুয়াল লাইফেও করছে অনেক, লোকজননরে এগো সাথে ফাইট করার জন্য সব স্বকিয়তা -ক্রিয়েটিভিটি বিসর্জন দেয়া লাগে)।
আমার
মন যখন জাগলোনারে মনের মানুষ এলো দ্বারে
http://doctor.amarblog.com/posts/3896
লিখাটা পড়বেন
ডাইরি আর হাত ধরা পর্যন্তই মন দিয়া পড়লাম, সিনেমায় আইসা তালগোল পাকায়া গেলো...
আমি স্কুলজীবনে ডাইরী লিখতাম, সেইগুলি এখনও আমার পরিবারে প্রজন্ম নির্বিশেষে ব্যাপক আমোদের খোরাক... কারণ ডাইরীর পাতায় পাতায় খালি মা কী রানলো, কী খাইলাম, কী খাইতে মন চায়... আর ইয়ে মানে বাপের হাতে মাইর খাওনের ফিস্টোরিও কিছু থাকতো আরকি
[ তোমাদের ঐদিকে ঝড়বাদলা কেমন গেলো? আমরা যা তা অবস্থায় আছি কাক্না, ছাদ ক্র্যাক করে পানি ঢুকে দুইটা বেডরুমের কার্পেট, বিছানাবালিশ, ওয়ার্ডরোবের কাপড় সব শেষ। এখন লাউন্জে লঙ্গরখানার মতো আছি]
আমার ডায়রীতেও ঐগুলাই থাকতো, কি খাইলাম কয়টার সময় খাইলাম এইসব আরকি;
[কালকে রাত্রে একটু ঝড় মতন হইছে, সেরকম টের পাইনাই, আপুকি টপ ফ্লোরে থাকেন না হাউজে?]
টপ ফ্লোর... মেলবোর্ন সিটি এমন অবস্থায় আর পড়েনাই, পরশু সিটিতে কোমর পানি ছিলো, বিনটিন ভাসায় নিয়ে গেছে
খবর দেখা হয়নাই আজকে তাই জানি না; কয়দিন আগে দেখছিলাম গোল্ডকোস্টে বৃষ্টিতে বন্যা হয়ে যাইতে, ঠিক-ঠাক করবে কবে, এসে দেখে টেখে গেছে কর্তৃপক্ষ?
এইরকম হলে বুঝা যায় এদের চেয়ে দুর্যোগপ্রস্তুতিতে আমরা অনেক আগায় আছি
কী বিপদ দেখো, দুইদিনের উইকএন্ড শেষে আবার লেবার ডের ছুটি। কারো পাত্তা নাই। তবে একটা ঘটনায় দুঃখের মধ্যেও আমোদ পাইছি। আমার নীচতলার কেঁডি বুড়ি যে কিনা তার উঠানের উপর উড়ন্ত পাখী হাগু করলেও আমাদের দোষ দিয়ে ক্যাওম্যাও বাজায় তার অবস্থা কাদাপানিতে কাহিল
হ এইখানে রুটিন অনুযায়ী সব ঠিকঠাক চললে লাইফ স্মুথ বাট একবার কিছু বিগরাইলে মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা
আমি কোনোদিন আগে হাত বাড়াই নাই, এই টুকু মনে আছে বেশ ভালো। এই খেলার মইধ্যে একটা মজা আছে। হাত বাড়াইতে বাধ্য করা। :)
কি কইলেন বুঝিনাই; তবে হাত ধরাধরি আমার নিজেরকাছে খুবি ফাউল একটা টপিকস মনে হয়; হাত ধরার কোন মাহাত্ব আছে বইলা মনে হয় না
কইলাম আমি কাউওরে কুনুদিন কই নাই যে তোমার হাতটা একটু দেও ধরি।
রোমাঞ্চের কথা জানি না, অভিজ্ঞতা নাই। তবে হাত ধরার ব্যাপারটা একেবারে ফাউল মনে হয় নাই। একটা ঘটনা কইতে পারি, আমার একটা দোস্ত দেশের বাইরে চইলা গেছে। ওরে যখন বিদায় দিতে গেলাম, হাত মিলাইলাম, বুকে টাইনা নিলাম অনেকটা সময়। অন্যরকম লাগছিল। অনেক খারাপ লাগছিল। মনে হইতাছিল ব্লাড সার্কুলেশন হইতেছে। ঠিক একি ভাবে আমার আরেকটা দোস্ত (এও খুব ক্লোজ, তয় মাইয়া) যখন গেল দেশের বাইরে, তারে বিদায় দিতে গিয়া শুধু মুখ কাচু মাচু কইরা বললাম টা টা। অনেক লোকজন এয়ারপোর্টে, সাথে তার ফ্যামিলি মেম্বার। কেমন জানি গ্যাপ গ্যাপ লাগতেছিল। তখন সে হাত বারাইয়া দিল, আমি হাতটা ধরলাম, আর ঐ ব্লাড সার্কুলেশনটা আবার টের পাইলাম। ব্যাপারটা সেইদিন আসলেই অন্যরকম লাগছিল।
রাকুর বর্ণনাটা পারফেক্ট। এমন হয়।
তা সেই ব্লাড সার্কুলেশনের কোন অফিসিয়াল সার্কুলার বাইর হয় নাই?
@নুশেরা আপু,
সেইটাতো অন্যরকমি কিন্তু যেটা বলতে চাইছি সেটা হইলো প্রথম বিপরীত লিঙ্গের কার হাত ধরছিলাম এইটা আসলে কোন গুরুত্ব বহন করে না; আবার এই যে আপনি হাত বারায় দেন নাই আপ্নার বন্ধুর (মেয়ে) প্রতি সেইটা নিয়া আপনার একটা গর্ব/অহং টাইপ ব্যাপার আছে যেটার কোন কারন আমি দেখিনা, সেটাই আর কি;
যে যুগে ছেলেরা মেয়েদের মুখ দেখতোনা, মেয়েরা টিচারের পেছন পেছন এসে ক্লাস করেচলে যেত সেই যুগে হয়তো হঠাৎ হাতের ছোয়া বা সাহসি হাত ধরাধরির মতন কিছু ছিলো হয়তো এখন আর না আর কি, আর আপনার ব্লাডসার্কুলেশন টের পাওয়াতো আপনার বন্ধুর জন্য, ছেলে-মেয়ে নিঃশ্চই এখানে ফ্যাক্টর না।
কোন কোন মানুষ কারো কাছে গুরুত্বপূর্ন, তার হাত ধরা কেন তার চাহুনী, একটু কথা অথবা আরো টুচ্ছকিছু গুরুত্বপূর্ন হতে পারে কিন্তু ইনজেনারেল কবে কোন ছেলে ফার্সট কোন মেয়ের হাত ধরলো বা ভাইসভার্সা মনেরাখার মতন কিছু না মনে হয়।
আপনার ব্লাডসার্কুলেশন টের পাওয়াতো আপনার বন্ধুর জন্য, ছেলে-মেয়ে নিঃশ্চই এখানে ফ্যাক্টর না।.........হ কথা ঠিক।
আমি কোএডুতে পড়ছি সারা জীবন। ছেলে মেয়ের পার্থক্য বুঝতে কলেজে উঠা লাগছে। তাই বিপরীত লিঙ্গের হাত ধরাটা আসলেই সেইভাবে আলাদা লাগে নাই কখনো। এইটার সাথে আমিও একমত। তবে হাত বাড়াইনাই এইটা অহং না ঠিক। আসলে ব্যাপারটা হইল অনেকটা এমন। আমার হাত ধরতে ইচ্ছা করলেও আমি কখনোই আগে হাত বাড়াইনা, কারন আমি হাত বাড়াইলে যদি দেখা যায় যার উদ্দেশ্যে বাড়াইলাম তার জন্য সেইটা স্বস্তিদায়ক হয় নাই, তখন ব্যাপারটা আমার জন্য অস্বস্তিকর হবে। আর কিছু না।
তা অবশ্য ঠিক
একদিন মাদুরে বইসা আরাম কইরা বাংলা সিনেমা দেখতেছি, আমার এক ছোটভাই ক্লাস ওয়ান-টুতে পড়তো (এখন বুয়েটে পড়ে) আইসা বসলো আমার হাতের উপর। এক লাফে উইঠা গিয়া কইছিলো, আপু এইটা তোমার হাত, আমি তো মনে করছি লোহালক্কড়ের উপর বসছি।
ইউনিতে পড়ার সময় একবার কই জানি গেলাম, ক্লাসের একটা পোলা কাদাপানির মধ্যে পইড়া গেলো। কাছেধারে আমরা দুইজন ছিলাম, ওর দুই হাত ধইরা টাইনা তুললাম। সবাই দৌড়ায় আসলো, কিরে পায়ে ব্যথা পাইছোস (পাথর ছিলো অনেক)? সেই পুলা সুস্থির হইয়া কয়, পায়ে না হাতে ব্যথা পাইছি (আমারে দেখায়া), হাত তো না সাঁড়াশি...
এইসব অভিজ্ঞতাহেতু আমি আর কোনদিন কারও হাত ধরি নাই
(অবশ্য কেউ ধরতেও চায় নাই)
আপু মনে হয় পাক্কা পাঁচগুটি খেলোয়ার আছিলেন ছোটবেলায়;পাক্কা খেলোয়ার দের হাত শক্ত হয়;
নুশেরা আপু ব্ল্যাক বেল্ট, এইটা ভুইলা যান কেন কাঁকন। ভাবতাছি আমাগো ভাইজানের না জানি কি অবস্থা।
ভাইজান নিঃশ্চই সেইটা ভুলার মতন বোকা না
ব্লুবেল্ট পর্যন্ত যাইতে পারছি... ওর পরে ব্রাউন, তার পরে ব্ল্যাক
ঐ হইলো যা ৫২ তাই ৫৪
হাত ধরা বিষয়টারে তেমন উল্লেখযোগ্য মনে হয় নাই কখনো। কিন্তু যেই মেয়েটারে সবচাইতে ভালোবাসছি তার হাত ধরার জন্য অনুমতি নিছিলাম...
বিশেষ কারো হাত অনুমতি/বিনাঅনুমতি যেভাবেই ধরেন বা না ধরেন সেটা গুরুত্বপূর্ন হয় সম্ভবত মানুষটার জন্য; সাধারন ভাবে ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ন মনে হয় না আমার কাছে
সেইটাই...
হ কথা ঠিক। ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ মানুষটার জন্য।
বন্ধুদের সাথে জীবনে প্রথম হলে গিয়া যেই বই দেখছিলাম সেইটার নাম কালো গোলাপ। রাজ্জাক, ববিতা, বুলুবুল আহমেদ। সবাই বুইড়া।
তারপর ফিলিম টা ভালোই লাগছিল।
বিস্তর মজা পাইছিলাম উজ্জলের উছিলা দেইখা। গেরামের বোধাই কিছিমের লোক থাকে উজ্জল। ভিলেন এটিএম শমছুজ্জামান ওর জায়গা সম্পত্তি দখল কইরা বউ বাচ্ছা সহ গ্রাম ছাড়া করে। গ্রাম ছাড়ার আগে উজ্জল ভিলেনরে কইয়া যায় একদিন আমিও তোরে গ্রাম ছাড়া করুম। তখন ক্লোজ শটে ক্যামেরা নিচ থেকে ধরে এটিএমের মুখ দেখায়। সে তাচ্ছিল্য আবার ভীতির চেহারা নিয়া মুখ বেকাইয়া স্বগোক্তি করে 'এ হ্যায় আমারে গেরাম ছাড়া করবো'। সুপার ডুপার অভিব্যাক্তি। এইজন্যই ভিলেন হইলেও লোকজন এত লাইক করত এটিএম্রে।
গেরাম ছেড়ে শহরে এসে নায়ক মাইর মুর খাইয়া জেলে মেলে গিয়া টপ মাস্তানে পরিণত হয়। কী তার ডায়লগ কী তার ফাইট! আমি তো পুরা পাঙখা। আমার নাম আমীরা বইলা যখন খারাপ লোকদের ধোলাই দিতে যায় রক্ত টগবগ কইরা উঠে। ছবির পরিচালক মমতাজ আলী। ছবিটার মেকিং ছিল ওয়ারল্ড কেলাস। বোম্বের যে কোনো সোসাল একশন ছবির সাথে পাল্লা দেয়ার মত। এইটার আগে মমতাজ আলী উজ্জলরে নিয়া বানাইছিলেন নসীব। ঐটা সুপার ডুপার হিট। ঐটাতেই তিনি উজ্জলরে নতুন কইরা উপস্থাপন করছিলেন।
উচ্চশিক্ষিত সুদর্শন ভদ্র চেহারার নায়ক উজ্জল ৭০ দশকে প্রেম নির্ভর পারিবারিক ছবিতে অভিনয় করে নাম করেছিলেন। কিন্তু আশির দশকে ভদ্র চেহারার ভদ্র গোছের নায়কের ভাত এই বাংলায় ছিলনা। ভাত না পাইয়া যখন একেবারে হারায় যান যান সে সময় উজ্জল মমতাজ আলীরে দিয়া নসীব বানান। এতদিনের ইমেজের থেইকা সম্পূর্ণ আলাদা। আগেই কইছি প্রথম ছবিতেই ব্যাপক সাফল্য। তারপর আর সুশীল ইমেজে আর ফিরা যান নাই উজ্জল। যে কয়টা ফিলিম করেন সবই মারদাঙ্গা নায়ক।
মারদাঙ্গা নায়ক হিসাবে সফল হইয়া উজ্জল নিজের নামের আগে টাইটেল লাগান মেগাস্টার। এইটা নিয়া আমার অল টাইম ফেভারিট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের একটা ছড়া আছে। সেই কত বছর আগে পড়ছিলাম। আমার এখনো অনেকটাই মুখস্ত
গিন্নি বলেন হ্যা গা
বাংলা ফিল্মের একটা হিরোর নামটা নাকি ম্যাগা?
কর্তা বলেন তা না
ম্যাগা হচ্ছে নামের আগের কান্ড ও কারখানা।
গিন্নি বলেন মানে?
কর্তা বলেন তুমি উজবুক অথচ সবাই জানে।
....
...
চিৎকার চ্যচামেচি সিনেমায় যাত্রা
তিনি ভাবেন তিনি ছাড়া বাকি সব ফাত্রা
......
"কালো গোলাপ" আমিও দেখসি, তবে টিভিতে, সিনেমাটা কেমন ম্যারম্যারা লাগতেছিলো,
এ টি এম সামসুজ্জামান আসলেও বস পাব্লিক; নসীব বা উছিলা দেখিনাই অথবা দেখলেও মনে ডাগকাটে নাই; আমি আবার সামাজিক একশনের খুব একটা ভক্ত আছিলাম না;আমার লুতুপুতু প্রেম আর ফ্যামিলি ড্রামা ভাল্লাগতো।
তবে উজ্জ্বল আর ববিতার একটা রোমান্টিক সিনেমা ছিলো "ইয়ে করে বিয়ে" -- সিনেমাটা ভালোছিলো মনে হয়, এতদিন পরো যেহেতু নাম মনে আছে আমার।
ছড়াটা খুব ভালো পাইলাম;
আম্রার মিঠুনদা এখন হিন্দিতে ভাত না পাইয়া বাংলায় আইসা মেগাস্টার হইছে, এখণ এইছড়া তারে উৎসর্গ করা উচিৎ
উজ্জ্বলরে আমরা কৈশোর কালে ছাইয়া ডাকতাম...তার শুদ্ধ উচ্চারণে সংলাপ কওনের ধরণটা কেরম জানি লাগতো। চেহারায় তারে কতোটা সুদর্শণ কওন যায় তা কইতে পারুম না, তয় গোফটা বাদ দিলে তার চেহারায় পৌরুষ কম আছিলো...
পরে নসীব আমলে পঞ্চাশের উপরে বয়স্ক উজ্জ্বলের চেহারা কিন্তু আর সুদর্শণ ক্যান ঐ ছাইয়া ভাবটাও ছিলো না...ঐ চেহারায় নসীব হিট করছিলো...তখন তারে শত্রুঘ্ন'র লগে কমপেয়ার করতো অনেকে...
উজ্জ্বলরে কিন্চিৎ লেডিস লেডিস লাগতো বটে; পরিবর্তিত উজ্জ্বলরে মনে করতে পারতেসি না
মারদাঙ্গা নায়ক হিসেবে ফারুক-জসিম-ওয়াসিম আর এরপর রুবেল - ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম এদের মনে পরে
লেখা যেমন বিশাল , কমেন্টগুলাও বিশাল বিশাল
হ ১২ হাত কাঁকড়ের ১৩ হাত বিচী
আমার এক আঙ্কেল ছিলেন ,উনি আবার সিনেজগতের লোক ছিলেন,সেটা অবশ্য অনেক আগের কথা ,এখন থেকে তাও প্রায় ১৩ -১৪ বছর হয়ে গেল ।তো ওনার পয়লা সিনেমায় উনার মেয়েই নায়িকা ছিল ,আর নায়ক ছিল ওমর সানি ,সিনেমাটার নাম ছিল বোধহয় ঘায়েল ,আর ওইটাই হলে গিয়ে দেখা আমার প্রথম সিনেমা ।
ঘায়েল দেখিনাই; ঘায়েল এর নায়িকার নাম কি?
ওমরসানীর একটা সিনেমার নাম ই আমার মনে পড়ে সেটা হোলো গরীবের রাণী, সিনেমায় নায়িকার নাম থাকে রাণী আর নায়কের নাম গরীবের; নামকরনের এই রকম স্বার্থকতা সাহিত্য থিকা শুরু কইরা চিত্রজগতেও বিরল
হা হা হা হা হা, মনে পড়ছে। গরীবুল্লাহ গরীব। হাসতে হাসতে শেষ।
হ গরীবুল্লাহ গরীব; পুরা নাম মনে করায় দেয়ার জন্য থ্যাংকস
আংকেল কি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী? তাহলে মেয়েটার নাম আলো। ভালোই ছিলো দেখতে, আর থাকেনাই ওই লাইনে।
আলোর কথা মনে করতে পারতেসি না
আপ্নে ইহাও জানেন ,আপনি জানেননা কি ??
বাপ্রে নুশেরাপু দেখি বাংলা ছবির আইএমডিবি!! হাত শক্ত হৈলে কি হবে আপুর মাথার সার্ভারের কনফিগারেশন সেইরকম মনে হয়। এই আপনাদের মতো মানুষের পিছে টাইম দিতে গিয়া খোদা আমাদের বদখত কইরা বানাইছে
আপুর হার্ড ডিস্ক কয় টেরার?
ওরেবাপ্পস। এ যে রীতিমতো ব্যাপক সিনেমা ডিরেক্টরী। তবে বেশীরভাগ সিনেমার নাম চেনা কিন্তু না দেখা। মানে যখন আমরা সিনেমা দেখা ছাইড়া দিছি, তখন আপনাদের যাত্রার শুরু। তবে এখন আমি ছিঃনেমা দেখি না
হ আপনার হলো সারা আর আমার হলো শুরু
তবে শাবানার মতো কান্না আর ববিতার মতো হাসি এই যুগে কোন নায়িকা পারবে না।
কার ফিগার ভালো লাগতো আপনার?
শাবানার মতন কান্না এযুগের কোন নায়িকা না পারলেও, এই যুগের ভূতপূর্ব হিন্দি সিরিয়াল "কাসৌটি জিন্দেগি কি" এর নায়ক অনুরাগ পারছিলো বিশ্বাস করেন।
সত্যি অশনি সংকেত বা টাকা আনা পাই এর ববিতা অসাধারন
আমার একটা সিনেমার কথা মনে পড়ে...শাবানা আলমগীরের অনেকগুলা বাচ্চাকাচ্চা ছিল। শাবানার ক্যান্সার, আলমগীরের হাত কাটা। তারা সব বাচ্চা দিয়া দেয়। আমার আম্মা এই সিনেমা হইলে আমারে ডাইকা দেখাইতো
আর কইতো বেশি জ্বালাইলে এম্নে দিয়া দিবে।
এম্নিতে সালমান শাহ বাদে আর কারো বাংলা ছবি আগ্রহ নিয়া দেখছি বইলা মনে পড়ে না। অবশ্য শ্রাবণ মেঘের দিন হলে গিয়া দেখছিলাম, খুব ভাল্লাগাছিল।
সিনেমাটার নাম আমারো মনে নাই, তবে সিনেমাটা খুব হৃদয়স্পর্শী ছিলো;এইটার একটা হিন্দি ভার্সনো সম্ভবত আছে জয়া বচ্চন আর অনুপম খের এর;
শ্রাবন মেঘের দিন আমারো ভালো লাগছিলো
এইটার নাম "মরণের পরে"
আন্টির এত কিছু মনে থাকে কেমনে
সেরা দেবদাস হচ্ছে দিলীপ কুমার, সুচিত্রা সেন আর বৈজয়ন্তীমালার টা। এইটার ধারে কাছে একটাও না। এর পর বুলবুলের টা। শাহরুখের টা তো অখাদ্য। খালি গান আর মাধুরীর কথা আলাদা।
দিলীপ কুমারের টা দেখি নাই, তবে দিলীপ কুমার আর বুলবুল আহমেদের গায়ে গতরে মিল আছে
প্রথম ছবি ববিতার "গোলাপী এখন ট্রেনে"। মা'য়ের সাথে হলে গিয়ে দেখা (তখন হলে গিয়ে ছবি দেখার একটা সুস্থ পরিবেশ ছিল) । হাফপ্যান্ট পড়ার বয়স তখন। ছবির ঘটার বোঝার মত বয়স সেটা ছিলনা। যতদূর মনে পড়ে ববিতা নৌকার ভেতরে বসে কাঁদছিল এমন একটা দৃশ্য মনে আছে। আর স্মৃতি যদি ধোকা না দেয় তবে "আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিষ্টার" গানটার কথা মনে পড়ছে। এর পর দীর্ঘ বিরতীর পর স্বজ্ঞানে কাজিনদের প্লালায় পড়ে ঈদের সালামীর টাকায় দেখা ছবি চোখ এড়িয়ে সিনেমা দেখার অপরাধ বোধে তওবা করেছিলাম হলে গিয়ে আর ছবি দেখব না।
এর অনেক পরে হলে গিয়ে দেখেছিলাম সালমান শাহ্ এর "কেয়ামত থেকে কেয়ামত"। তারও পরে ইংরেজি "টাইটানিক"। তারও অনেক পড়ে ঢাকায় কোন কাজে এলে মধুমিতায় ডলবি সাউন্ডে ইংরেজি ছবি দেখার চেষ্টা করতাম (ষ্টার সিনেপ্লেক্স তখনও হয়নি)। বিটিভিতে বাংলা ছবি তেমন দেখা হয়নি। যা দেখেছি তার মধ্যে সম্ভবত "হীরক রাজার দেশে" "সিরাজউদ্দৌলা" সহ আর কিছু ছবি। রোজিনা, অন্জু ঘোষ, ইলিয়াস কাঞ্চণ, জসিম বা সোহেল/রুবেল রানা'রা আমাকে কখনও আকৃষ্ট করতে পারেনি।
বাংলা ছবি না দেখার একটা বড় কারণ হলো অতি নাটকীয়না আর নায়িকাদের ফোঁস ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলা (দেখলেই আমার গা' গুলিয়ে উঠে)।
নীচের ভিডিওটি দ্রষ্টব্য ( নিঃশ্বাসের শব্দ খেয়াল কইরা)
http://www.youtube.com/watch?v=kuaHovRmoRE
প্রথম ছবি ববিতার "গোলাপী এখন ট্রেনে"। মা'য়ের সাথে হলে গিয়ে দেখা (তখন হলে গিয়ে ছবি দেখার একটা সুস্থ পরিবেশ ছিল) । হাফপ্যান্ট পড়ার বয়স তখন। ছবির ঘটনা বোঝার মত বয়স সেটা ছিলনা। যতদূর মনে পড়ে ববিতা নৌকার ভেতরে বসে কাঁদছিল এমন একটা দৃশ্য মনে আছে। আর স্মৃতি যদি ধোকা না দেয় তবে "আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিষ্টার" গানটার কথা মনে পড়ছে। এর পর দীর্ঘ বিরতীর পর স্বজ্ঞানে কাজিনদের প্লালায় পড়ে ঈদের সালামীর টাকায় দেখা ছবি "তওবা"। গার্জিয়ানদের চোখ এড়িয়ে সিনেমা দেখার অপরাধ বোধে তওবা করেছিলাম হলে গিয়ে আর ছবি দেখব না।
এর অনেক পরে হলে গিয়ে দেখেছিলাম সালমান শাহ্ এর "কেয়ামত থেকে কেয়ামত"। তারও পরে ইংরেজি "টাইটানিক"। তারও অনেক পড়ে ঢাকায় কোন কাজে এলে মধুমিতায় ডলবি সাউন্ডে ইংরেজি ছবি দেখার চেষ্টা করতাম (ষ্টার সিনেপ্লেক্স তখনও হয়নি)। বিটিভিতে বাংলা ছবি তেমন দেখা হয়নি। যা দেখেছি তার মধ্যে সম্ভবত "হীরক রাজার দেশে" "সিরাজউদ্দৌলা" সহ আর কিছু ছবি। রোজিনা, অন্জু ঘোষ, ইলিয়াস কাঞ্চণ, জসিম বা সোহেল/রুবেল রানা'রা আমাকে কখনও আকৃষ্ট করতে পারেনি।
বাংলা ছবি না দেখার একটা বড় কারণ হলো অতি নাটকীয়তা আর নায়িকাদের ফোঁস ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলা (দেখলেই আমার গা' গুলিয়ে উঠে)।
নীচের ভিডিওটি দ্রষ্টব্য ( নিঃশ্বাসের শব্দ খেয়াল কইরা)
http://www.youtube.com/watch?v=kuaHovRmoRE
হীরক রাজার দেশে তো সত্যজিৎ এর;
"বাংলা ছবি না দেখার একটা বড় কারণ হলো অতি নাটকীয়তা আর নায়িকাদের ফোঁস
ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলা (দেখলেই আমার গা' গুলিয়ে উঠে)।"-- কথা সত্য;আরো আছে নায়কদের ইয়া ঢিসুম ঢিসুম
খাড়ান, এতো বড় লেখা আর এতো এতো মন্তব্য পড়তে পড়তে জান শেষ... তবে সব মিলে দারুণ আনন্দ পাইছি।
আনন্দ পাওয়াই আসল কথা
...এডার আড্ডার মেয়াদ কি শেষ?
তাই তো মনে হয়
বাংলা মুভির আইএমডিবি ।
বিয়াপক লাগছে লেখা টা ৩ বার কমেন্ট করার চেষ্টা কইরা শর্ট কইরা দিলাম । নিজের নাম দেখে চউক্ষে পানি আইসা পড়ল।
কত কিচু যে লিকবার মঞ্চায় ...
কিন্তুক পাগল মনডারে বশে আনতে পারতেসি না ...আপ্সুস ...
হুমম বিরাট আফসোস
কাঁকন, এইরকম লেখা যে লিখে সে নাকি লেখিকা হতে পারবে না- এটা আমি কীভাবে বিশ্বাস করি! আগে-ও বলেছি, আবার-ও বলছি- লেখালেখিটারে সিরিয়াসলি নাও। একজন ভালো লেখিকা হওয়ার অধিকাংশ গুণই তোমার মাঝে বিদ্যমান। দু'টো ছাড়া: ১. আত্মবিশ্বাস ২. লেখার প্রতি ভালবাসা বা টান। আত্মবিশ্বাস এমনিতেই আসবে যখন প্রচণ্ড টান আসে লেখার প্রতি।
ব্লগে, ইস্কুলে, ব্যক্তিগত জীবনে আমি অনেকজনকে দিয়ে অনেক কিছু লিখিয়েছি- কিন্তু অনেকবার বিভিন্নভাবে ইনিয়েমিনিয়ে কৌশলে তোমার কাছ থেকে লেখাতে পারি নি! তুমি কি আমাকে নিরাশ করবে? আমি তোমার কাছে এসে হেরে যাব?
লেখালেখি সিরিয়াসলি নাও।
শেষ দুই লাইন পইড়া চুক্ষে পানি আয়া পড়ল। তয় কথা এক্কেরে মিছা না। লেখা লেখিডা সিরিয়াসলি নিলে ভালো করতেন @কাঁকন্দি। বাহ ভালাই, টানা কয়ডা পোষ্টে সবাই মিল্লা আপ্নেরে লেখিকা বানাইয়া ছাড়ল বইলা।
হ; বাংলা ব্লগের মেগাস্টার লেখিকা গোল্লা কঁাকন........
লেখিকার নামের বানান ভুল আছে। গোল্লা মিসিং।
প্রণবের পোস্টে বৃত্তর দেয়া লিঙ্ক ধইরা ঘুরতে আইসিলাম এই পাঁড়া। আইসা দেখি অসাধারণ এই লিখাটা। ... হিট খাইসি কয়েক জায়গায়।
স্বাগতম মাঝ সাগরের মাঝি;
কোনকোন জায়গায় কেন হিট খাইছেন জানলে আরো ভালো হইতো ; আপনারে হিট খাওয়ানোর মতন লিখা আরো লিখার ট্রাই করতাম;
একটা জিনিষ পরিষ্কার আমি হাবিজাবি লিখায় সিদ্ধহস্ত
ভাইরে ভাই... ভেরাইটিঝ স্টোর দেখতাম উপজেলায় গেলে (হুমায়ুনের বইতে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তা ধইরা গন্জে যাওয়ার মতই আরকি) ... আর তুমার ব্লগে আসলে দেখা যায় এক পোস্টের ভিতর ভেরাইটিঝ টপিক- এই টাইপের পোস্টরে বোধহয় ''ভেরাইটিঝ পোস্ট'' কইতে হইব :)
চিত্রগুপ্ত টা কে???
কমেন্ট টা পইড়া মনে হইতেসে এইটাইপ পোস্টরে আসলে জগা খিচুরি পোস্ট কওয়া উচিৎ।
চিত্রগুপ্ত হইলো ঈশ্বরের চীফ একাউন্টেন্ট:
"তুমি যাহা করেগেলে আসিয়াহেথায় চিত্রগুপ্ত লিখিছে সেথায়, বিচার ও করিবে সেই বিধাতায়......"
ধুর, এইটার আড্ডা একবারও ধরতে পার্লাম্না....পরের মাসে এইরাম পার্লে আরেকটা দিও...
এক নদীতে দুইবার ডুব দেয়া যায় না -- সৌজন্যে অবিবাহিতবমুকুল
কি লিখবো বুঝতে পারছিনা
"জেগে থাকে কথা ক্যান্টিন কোন ভোরে বেজে ওঠে যে টেলিফোন
ফুলে ঢাকা পথ হোক নীর্জন একা পথ পড়ে আছে নিঝুম
ফাকা ক্লাসরূম পাশে খোলা জানলা..'
এইটা কার গান, কেউ জানেন?
মন্তব্য করুন