লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপ
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। স্নিগ্ধর মনটা আজ খুবই খারাপ। তার ভালোবাসার মানুষটি তার থেকে অনেক দূরে থাকে। তাদের সময়ের ব্যাবধান ১২ ঘন্টার ; স্নিগ্ধর দেশে যখন রাত নামে তখন মিনির দেশে করকরে রোদ।
মিনি অনেক ভালো একটা মেয়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতপরিবর্তনশীল দেশে থেকেও যে তৃতীয় বিশ্বের একটি ছেলের জন্য অপেক্ষা করে। তার সকল ভাবনা জুড়েই স্নিগ্ধর বিচরণ। এমনকি স্বপ্নও আসে স্নিগ্ধর স্নিগ্ধতা নিয়ে।
তাদের মাঝে যোগাযোগের একটাই মাধ্যম , সেটা হলো ভার্চুয়াল জিনিস। হয় ফোনে তাদের ভাবনার বিনিময় ঘটে নয়তো চ্যাটিং এর মাধ্যমে আবেগের আদানপ্রদান ঘটে। তবুও হাজার মাইল দূরের দুটি মানুষ কিসের যেনো একটা বাধনে বাধা।
স্নিগ্ধ জানালায় বসে আছে। দেশে এখন চার নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে সারাদেশে বৃষ্টি নামছে। স্নিগ্ধ স্বাভাবিক একটি ছেলে। আর তাই আজকের আবহাওয়া তার মাঝে রোমান্টিক একটা আবহের সৃষ্টি করেছে; মাঝে মাঝে এটি মিনির শূণ্যতাকে প্রকট করে তুলছে|
স্নিগ্ধ ভাবে ইশ যদি এখন আমার পাশে মিনি থাকতো? তাহলে আমরা দুজনে এখন বারান্দায় বসে কফির মগে চুমুক দিতে দিতে রবীন্দ্র সংগীত শুনতাম। তবে কফি থাকত এক মগ। বড় একমগ ধোঁয়া ওঠা কফিতে দুইজন পালাক্রমে চুমুক দিতাম। ইশ কি নষ্টালজিক। !!!!! কফি খেতে খেতে একসময় মিনি আমার কাধেঁ তার মাথাটি রাখতো। আমি ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিতাম। আর এইসব রোমাঞ্চকর দৃশ্যের কল্পনা করতে করতে স্নিগ্ধ কল্পবিলাসী হয়ে ওঠে।
এরপর হঠাৎ প্রচন্ড বজ্রপাতের শব্দে স্নিগ্ধ বাস্তবে ফিরে আসে। আর ঠিক তখনই একটি প্রচন্ড দীর্ঘশ্বাসের সাথে তার মুখ দিয়ে অস্ফুট একটি শব্দ সৃষ্টি হয় ... "ইশ"...!!!!!
হয়তো স্নিগ্ধর এই নিদারুন অপূর্ণতাই তখন ইথারের মতো কাজ করে। এই ইথারই হয়তোবা তখন মিনির মনের দরজায় স্বশব্দে কড়া নাড়ে। কারন ঠিক তখনই স্নিগ্ধ শুনতে পায় তার মোবাইল বাজছে।
স্নিগ্ধ বারান্দা থেকে ঘরে ফিরতে ফিরতে ভাবে কে কল করেছে ? মিনি ?????
ইশ শেষ করলেন না কেন ?
শেষটা নিজের মতো করে সাজিয়ে নিন
তো কল কার ছিলো, মিনির?
সে আর বলতে

মন্তব্য করুন