আমাদের জাতীয় পোষাক কী?
আমাদের জাতীয় পোষাক কী? আমি দীর্ঘ দিন ধরে খুজে পাচ্ছি না। আমার বেশ কিছু বন্ধুকে জানতে চেয়ে ফোন এবং ইমেইল করেছি। কেহ আমার জবাব দিতে পারে নাই, অবশ্য অনেক বন্ধু আমাকে উল্টাপাল্টা কথা শুনিয়েছে! এ বিষয়ে মাথা না ঘামানোর কথা বলেছে! সে সব পরে হবে! যাই হউক, নানাবিধ "জাতীয়" থাকলেও পোষাকের ব্যাপারে কি আমাদের সরকার কোন ব্যবস্থা নেয় নাই! আমরা বন্ধু'র কোন বন্ধুর জানা থাকলে আমাকে জানান।
মরার আগে আরো অনেক বিষয় জানতে ও জ্ঞান নিতে চাই, এটাও তেমন একটা বিষয়। প্লিজ হেল্প!
("আমার প্রিয় লুঙ্গী" বিষয়ক একটা ভাবনা থেকে আমার এ জানতে চাওয়া। লিখটা শেষ করতে পারছি না। আমাদের জাতীয় জীবনে লুঙ্গী'র অবস্থান, গুরুত্ব সহ নানাদিক আমার ভাবনায় আছে। লুঙ্গী পরে রাত কাটায় নাই, এমন পুরুষ বাংলাদেশে আছে কি না, তা আমার জানা নাই। সারা জীবনে কোন পুরুষ লুঙ্গী পরে নাই, এমন পুরুষ পেলে আমি তাকে মগবাজারের ওভারব্রীজে নিয়ে সালাম করব। সেই প্রিয় লুঙ্গী নাকি জাতীয় নয়!)
বি দ্রঃ আজ পবিত্র শবেবরাতের রাত। আমি অফিসে নাইট ডিউটিতে আছি। এ রাতে অনেক কিছু চাই আল্লাহর কাছে! পুরাতন গুনাগাতা মাফের পাশাপাশি যদি তিনি আমাকে 'নাইট ডিউটি' থেকে মাফ দিতেন!
ছেলেদের জন্য পায়জামা-পাঞ্জাবী মনে হয়। রেফারেন্স নাই কোনো, কোথাও একটা পড়ছিলাম। অবাক হইছিলাম যে লুঙ্গি লিস্টে নাই।
জনাব ছেলেদের জন্য তো মনে হয় অনেক কিছু! মেয়েদের বেলায় তো তাও হয় না।
ছেলেদের পাজামা-পাঞ্জাবী, মেয়েদের শাড়ী।
লুঙ্গি আমাদের দেশী পোশাক না।
শবে বরাতের রাইতে অফিস করা ভালু।
মীর ভাই, কোন লিংক/প্রমান আছে? কোন রেফারেন্স জানেন।
লিংক এখানে
কত আজানা রে!
এখন কি লুঙ্গি নিয়ে লেখা পোস্ট করবেন না?
হা হা হা.।। মীর ভাই, লুঙ্গী'র তো আর মান সন্মান থাকলো না!
ভাই কি কন? আপনার লেখা অতি উপাদেয়। একটা লুঙ্গি দিয়েই দেখেন না
সব পছন্দের আর কার্যকরী জিনিস জাতীয় হতে হবে এমন তো কথা থাকার কোন কথা নেই,
প্রশ্ন- আমাদের জাতীয় চরিত্র কি?
উত্তর কিন্তু খুব কমন, এবং সেটা ইতিবাচক নয়।
জাতিয় চরিত্রের কমন সমস্যাই আমাদেরে সকল সমস্যার মূল কারন।
#
Ahsan Jewel Jolsboy:
meyeder Shari r cheleder Fotuwa + Lungi..
ami ekta 1972 er boi e porchilam...tobey sure na...la la la
#
Ahad Noor:
sari for girls & lungi gamsa duti boys dress...
jatio posak nie onek torko hoy friends der modde ,
tai ae bisoye kom kota bola valo...
পরের কমেন্টগুলা দিলেন না যে কাকা????????
কাকা, ওরা আমার বন্ধু, ওরা বাকি যে কথা গুলো বলেছে, তা আমার মাথার চুল নিয়ে! তবে বন্ধু আসাদ কি লিখেছিলো তা আমার জানতে ইচ্ছে হয়। মডু ভাইদের সহযোগিতা কাম্য -
#
Asad Mohammed - আমার বন্ধুতে মন্তব্য দিয়েছিলাম কিন্তু ওরা পোষ্ট করেনি। মন্তব্যটা একেবারে খারাপ হয়েছিলো না। যাকগে ......... ওয়েষ্টে অব টাইম এন্ড লারনিং ফর ফিউচার। আর আমিও এক ছাগোল, সেভ করে রেখেছিলাম না। তা করলে হয়তো এখানেই মেরে দিতে পারতাম।
লুঙ্গি তো আজকাল হয়ে গেছে গরীবের পোষাক, ছোটলোকের পোষাক, অসামাজিক পোষাক, আরও কত কি! মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী হয়তো আর্থিকভাবে গরীব ছিলেন কিন্তু ছোটলোক বা অসামাজিক ছিলেন এমন কথা দুনিয়ার কেউই বলবে না। যারা লুঙ্গিকে এইসব পোষাক বানাইছেন আমার ধারণা তাদের বেশিরভাই কিন্তু এখনও লুঙ্গি পরে ঘুমান। ব্যাক্তিগতভাবে আমি লুঙ্গির খুব ভক্ত, বাসায় লুঙ্গিই পরি, আর বাইরে ঘুরতেও যাই লুঙ্গি পরে।
লুঙ্গি আদি উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে বাংলাদেশ, ইনডিয়া, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সোমালিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, এইসব দেশে লুঙ্গি ব্যপক ব্যবহৃত। জাপানে লুঙ্গি একটা ফেষ্টিভাল আউটফিট। ইন্দোনেশিয়ান-মালয়শিয়ানরা একে বলেন 'সারং', সোমালীরা বলেন 'মাওউইস', অন্যেরা কি বলেন তা হানি না। সোমালিয়াতে দেখেছি প্রেসিডেন্ট-মিনিষ্টাররাও অফিস আওয়ারের বাইরে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়ান। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা লুঙ্গির সাথে বেল্ট পরেন। ইন্দোনেশিয়ান-মালয়শিয়ানরা লুঙ্গির মধ্যে শার্ট ইন্ করে পরেন।
তবে উৎপত্তি যেখানেই হোক না কেন, লুঙ্গিকে আমরা আত্মীকরণ করেছি বিভিন্ন সঙ্গত কারনে। যেমন, নম্রতা, পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন, সহজেই টাইট-লুজ করার ও খোলা বা পরার সুবিধা, দাম, ইত্যাদি বিবেচনায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে জাতীয় পোষাকবিষয়ক। আমার জানামতে বাংলাদেশের কোন জাতীয় 'জিনিস'ই নিরংকুশভাবে বাংলাদেশের না। যেমন, ইলিশ, শাপলা, কাঠাল, দোয়েল, ইত্যাদি অন্য কিছু কিছু দেশেও পাওয়া যায়। প্রবীনদের কাছ থেকে অবশ্য শুনেছি যে আগেরকালে বাংলার মানুষ বেশি পরতেন ধুতি, শর্ট পাঞ্জাবী (যাকে আমরা বলি 'ব্যাপারী পাঞ্জাবী', দুই পাশে আর বুকে পাঞ্জাবীর মতো পকেট) হাতাকাটা ফতুয়া এবং ঢোলা পাজামা। মূল কম্বিনেশন ছিলো পাজামার সাথে ব্যাপারী পাঞ্জাবী আর ধুতির সাথে ব্যাপারী পাঞ্জাবী ও হাতাকাটা ফতুয়া, দুটোই। লুঙ্গি কবে থেকে এই উপমহাদেশে আবির্ভূত হয়েছে তা বলা মুশকিল তবে ধারণা করা যায় যে বৃটিশ উপনিবেশের প্রথম দিক থেকেই।
এতো কথা বলার পরও বাংলাদেশের জাতীয় পোষাক কি এ বিষয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারলাম না। ক্ষমাপ্রার্থী।
আসাদ ভাই,
লুঙ্গি নিয়ে আপনার ভাবনা বেশ লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমি লুঙ্গি পরা অনেক দেশ দেখেছি। পুরা মিডলইস্টের কথা ভাবুন, জাতীয় পোষাক পরে বলে ধনী/ দরিদ্র বুঝা দায়। জাতীয় পোষাকের ব্যাপারে আমাদের উদাসিনতা আমাকে ভাবায়। আমাদের ও বাধ্য করা উচিত।
'এতো কথা বলার পরও বাংলাদেশের জাতীয় পোষাক কি এ বিষয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারলাম না। ক্ষমাপ্রার্থী।' - ক্ষমা নাই!
(আসাদ ভাই, আপনার লেখার হাত চমতকার, ব্লগে লিখুন। আমরা বন্ধুতে যোগ দিন। এনভারমেন্ট ভাল, মজা পাবেন। পারিবারিক পরিবেশ আছে।)
শুভেচ্ছা থাকলো।
পান্জাবি পায়জামা না এটা মনে হয় না।
লুংগি ফতুয়াই বেস্ট। মেয়েদের তো শাড়ির তেমন শক্তিশালি প্রতিদ্বন্দি নাই।
ভাই আশফাকুর,
আমাদের জাতীয় পোষাক যাই হোক না কেন, তা সরকার জনগনকে স্পস্ট বলে দেয়া দরকার এবং আমাদের বাধ্য করা উচিত, জাতীয় পোষাক পরার জন্য।
জাতীয় পোষাক না পরলে বিরাট জরিমানার ব্যবস্থা করা যেতে পারে (সরকারের ইঙ্কাম বাড়বে)! এমন কি, পুলিশ দিয়ে আমাদের ছড়/ থাপড়/ লাঠিপেটাও করা যেতে পারে! আজকাল কার পুলিশরা খালি হাতে মারতে বেশ পছন্দ করছে!!
সাহাদাত ভাই, ঘটনা খুইলা বলেন।
মীর ভাই,
গতকাল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কেমন মারল দেখন নাই!
(এমাত্র টিভিতে দেখলাম সরকার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রীদের উপর আরোপিত ভ্যাট প্রতাহার করে নিয়েছে। হা হা হা.।। মাঝে কিছু ছাত্র/ছাত্রী ছড়/থাপড়/ লাঠি পেটা খেল! সরকারের কান্ডজ্ঞান দেখুন!)
কথা ঠিক বলছেন। এই পুলিশগুলোর ওপর আমারও খুব মেজাজ খারাপ। ইউএনডিপি'র পুলিশ রিফর্ম প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি ওদের জন্য হিউম্যান এ্যাটিচূড বিষয়ক কোর্স করানোর ব্যবস্থা করতাম। ইউনিফর্ম পরলে ওরা যেন কেমন বিবেকহীন হয়ে পড়ে।
এত নিষ্ঠুর পুলিশ হয় কি করে! আমার জানতে ইচ্ছে হয়, ওদের কি মা, বাবা, ভাই, বোন,
স্ত্রী, পুত্র, কন্যা থাকে না! ওরা কি বাসায় ও এমন আচরন করে! শতশত মানুষের সামনে ও কি ওদের বিবেক জাগে না! আজকাল টিভি ক্যামেরা আছে, তাও কি তাদের জানা নেই!!
এইজন্যই তো ওদেরকে বোঝানো দরকার। মানুষ যে আজ-কাল ওদের কত ভয় পায় সে সম্পর্কে ওদের কোনো ধারণা নেই।
আমি লুঙ্গি পরা শিখেছি মাস্টার্স এ উঠে। হলে বন্ধুরা হা করে তাকিয়ে থাকত লুঙ্গি পড়ি না বলে।
ঐদিন ফেসবুকে একজন মনে করিয়ে দিলো পুরনো কথা।
আসিফ ভাই,
আমার মনে হয় বাঙ্গালীদের সেরা পছন্দ "লুঙ্গি"!
লুঙ্গি পরতে আরাম, খুলতে সহজ! রিয়েলি, আই লাভ লুঙ্গি!
লুঙ্গি নিয়ে একটা এডাল্ট চুটকি মনে পড়ে গেল - না এখানে বলা যাবে না। মডু ভাইরা এমনি আমার উপর রেখে আছেন বলে মনে হয়! ব্যান্দ খামু না!
হয়ত বলছেন কেহ কেহ, কি এমন লেখক(!), লুঙ্গি নিয়ে লিখতে চায়!
জাতীয় পোশাক কী আর সেটা পরার জন্য পুলিশী বাধ্যবাধকতা আরোপ করা উচিত কি না, সেটা তর্কের বিষয়। কিন্তু লুঙ্গি আর শাড়ি (ম্যাক্সিও) বাদ না দিলে এদেশের জনসংখ্যা সমস্যার যে সমাধান হবে না, সেটা মোটামুটি হলফ করেই বলা যায়।
আনিস মাহমুদ ভাই, আপনার মন্তব্য সেরা হয়েছে। আমরা 'সহজে' যেতে যেতে কি যে অবস্থায় চলে যাছি! আমি মনে করি, এখনি আমাদের জনসংখ্যা নিয়ে একটা ফয়সালা করা উচিত।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশী বাধ্যবাধকতা আরোপ করা উচিত। হা হা হা.।
আনিস মাহমুদ ভাই, আমার প্রোফাইল ছবি দেখে আমাকে ভূল বুঝবেন না। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন নীতিমালার মাঝে আমি আছি। জনসংখ্যা বিষয়ে আমি মনে করি, এক সন্তানই যথেষ্ট। আমার ও তাই! বাকীগুলো আমাদের সারা বাড়ীর!
আমাদের কিছু কঠিন নীতিমালার দরকার! প্রযোজনে লুঙ্গি বাদ দিতে হবে।
অনেকদিন আগে উন্মাদে দেখেছিলাম পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞাপন। ওটার ক্যাপশন ছিলো: ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি শয়তানই যথেষ্ট।
এখন ওটা পালটায় হয়ছে
আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে এখনো বিবাহ করেন নাই। জানালে খুশি হব। যারা বিবাহ করে না, তাদের আমি গুরু মানি। জানান। আমি নুতন গুরু পেতে চাই!
বিবাহে সব গেল! বিবাহ না করলে জাতীয় পোষাকে ঘুরে বেড়াতাম!
কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই।তাই আমারে গুরু মেনে কোন লাভ হবে না।
কেন সব গেল?একটু খুলে বলবেন?তাহলে আমাদের উপকার হতো।
ভাতিজা, আগে বিবাহ কর, তারপর এসো। বিবাহে কি লাভ আর কি ক্ষতি, তা জেনে যাবে।
সব কি আর খুলে বলা যায়।
সব বলে দিলে অবিবাহিতরা বিবাহিতদের দেখে হাসবে!
আর বিবাহিতরা আমাকে গাল মন্দ করবে। আমি যাব কই!
(তবুও বলি ভাতিজা, বিবাহে অনেক সুখ! তবে দুঃখও কম নয়! এবিষয়ে বিরাট আলোচনা প্রয়োজন।)
উদরাজী ভাই জাতি বিবাহের সুখ-দুঃখ বিষয়ে বিস্তারিত আলুচনা শুনতে চায়
আপনার প্রোফাইল এর ছবি দেখে আমিও আপনাকে একটু বেশিই একটিভ ভাবছিলাম
আসিফ ভাই,
পাগল বটে! জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক আছি!!!!
'জাতি বিবাহের সুখ-দুঃখ বিষয়ে বিস্তারিত আলুচনা শুনতে চায়' - জাতির কি আর অন্য কাজ নাই!
বকলম ভাই, কেমন আছেন? আপনাকে অনেক দিন পরে দেখলাম।
ভাই আমাদের সমস্যার অন্ত নাই।
ভাল আছি উদরাজী ভাই। আমার প্রিয় ব্লগারদের মধ্যে আপনি নিঃসন্দেহে একজন।
ভাল থাকবেন।
বকলম ভাই,
খুশি হলাম। আপনি আমার স্মৃতিতে থাকবেন আজীবন। আমার প্রথম পাতা থেকে সরে যাওয়া 'কদু'তে আপনি যে লবন দিয়েছিলেন, তাতে কদু সুস্বাদু হয়েছিলো। হা হা.।।। আপনি ভাল মানুষ, তা আপনার কমেন্ট পড়লে বুঝা যায়। আপনার জন্য শুভ কামনা।
সবাই বন্ধু হতে পারে না, আপনি পারবেন আজীবন।
ওরে কত কথা বলে রে...!
রশীদা আফা, কে বেশী কথা বলছে! ফয়সালা না হলে তো কথা বলবেই। আমি কথা কম বলি, শুধু লিখতে চাই। হা হা.।
পুনঃ আমার ছোট/একমাত্র বোনের নামও রশিদা, কতদিন দেখি না। কত সুন্দর করে ডাকত। আমাকে ভুলে গেছে ও!
জানতে পারলে আমারে জানায়েন। জাতীয় কি আর জাতীয়ের পোশাক কি। জান্তাম চাই।
শুভ্র ভাই, মনে হয় জানতে পারব না। আমি আশাহত।
বিশাল বিতর্ক আছে।
উদরাজীভাইয়ের পোস্ট মানেই বিশাল পেচ্ছাপেচ্ছি।
তবে আনিসভাইয়ের মন্তব্যে
জাতি আনিস মাহমুদের পোস্ট পড়ার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায়।
সিস্টার নুশেরা, আসর তো জমাতে হবেই। আমরা বন্ধু যে! আপনার হুন্দাই ৫, চার বার পড়েছি (কমেন্ট কি করবো, বুঝতে পারছি না), প্রথম ছবিটা ডেস্কটপে বসিয়ে দিয়েছি। ঠিক আমাদের বাড়ী যেন! আপনি আমার গ্রামাতো বোন।
আনিস ভাইয়ের লেখার জন্য আমরা ও অপেক্ষা করছি।
ছবিটা যাবার পথে বাসের জানালা থেকে তোলা। গ্রামাতো ভাইর প্রতি একটা অনুরোধ। শিরোনামের "কি" বানানটাকে "কী" করে দিন।
তফাতটা আপনি জানেন নিশ্চয়ই, তবু একটু মনে করিয়ে দেয়া। "কী" ব্যবহৃত হয় What অর্থে। আর "কি" এর প্রয়োগ হবে এরকম- "আমাদের জাতীয় পোশাক কি লুঙ্গি?"
মতিঝিলের ছবির মতো আরও ছবি দিন। আরেকটা ছবি আপনার জন্য-
ধন্যবাদ। বোন আমি আসলে কোন ভাষা ভাল জানি না। ভুলের জন্য লজ্জিত। আপনাদের মাঝে পেছাপেচ্ছি করে বাকি জীবন কাটাতে চাই।
আপনার ছবির হাত সুন্দর। আমাদের ওই দিকটার সবুজ অতি মনোহর। আপনার ছবি গুলোর সাইজ ঠিক মত আসছে না, কাটা পড়ে যাচ্ছে। (৪৫০ বাই ২৮০ দেখতে পারেন, প্রিভিঊ করে আপনি নিজের মত একটা সাইজ বের করতে পারেন। আমার মোবাইল সাইজ ৪০০ বাই ২৫০)
্নুশেরা তোমার হুদাইরে যে হুন্দাই বানানো হলো সেটা নিয়ে কিছু বললে না যে
অতি অবশ্যই লুঙ্গী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিষ্ফোরন দেইখাই বৈলা দেয়া যায়, আসল পোষাক লুঙ্গী--
আহারে, লুঙ্গী না হৈলে আমাদের দেশের জনসংখ্যাটা কন্ট্রোলে থাকতো একটু।
শাওন৩৫০৪ (ভগ্নি অথবা ভ্রাতা বোধগম্য হইলো না) আপনার মন্তব্যের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করিতে পারিয়াছি। ইহাও লুঙ্গির সুবিধা। অতি সহজে বিবস্ত্রায়ন এবং পরিপূর্ণ বিবস্ত্রায়ন আবশ্যক নহে।
লুঙ্গির সুবিধা আমরা ভুলে যেতে পারি না! লুঙ্গি না ভিজিয়ে আপনি সহজে খাল পার হতে যেতে পারেন। সহজে বিবস্ত্রায়ন!
ব্লগে ঢুকার সময় পাই না। কিন্তু এরকম জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ন পোষ্ট দেখে না ঢুকে পারলাম না। লুঙ্গি বিষয়ে আমার কয়েকটি চিন্তা ভাবনা শেয়ার করলাম-
১। লুঙ্গি জগতের মধ্যে সহজতম পোষাক।
২। লুঙ্গিতে ছেলেদের একচেটিয়া অধিকার। কোন মেয়েকে বলতে শুনি নাই আমার লুঙ্গি পরার অধিকার চাই।
৩। লুঙ্গি মধ্যবিত্ত পুরুষের ড্রেসিং রুম।
৪। লুঙ্গি জনসংখ্যা বিষ্ফোরনের অন্যতম কারন।
৫। এবং সবশেষে ..... লুঙ্গি চরম বেইজ্জতি হবার মতো একটি রিস্কি পোষাক!!!!!!!!!!!
আমার দোস্ত মিঠু এমএইচ হলের ক্যান্টিনে এক ক্যান্টিন বয়ের লুঙ্গি খুইলা দিছিলো। পোলাটা হা কইরা ছিলো কতক্ষণ। লুঙ্গি ধরতে পারে নাই। কারন ওর দুইহাতে ধরা ছিলো ভাতের বোল।
আসিফ, আমাদের বাংলাদেশের বাংগালীদের মাঝে কিছু দুষ্ট বালক আছে, যারা এ রকম কাজ করে! পুরা লুঙ্গির ফুয়দা তুলে নিতে চায়। এটা ঠিক নয়।
আমার বাবার লুঙ্গি পরা নিয়ে, আমরা মা, ভাই বোনরা এখনো হাসি। বাবা পেছ ছাড়া এত সহজে লুঙ্গি পরতেন যে, আমাদের মনে হত - এবুঝি খুলে যাবে! কিন্তু না - কখনো এমন আমরা দেখিনি। তবে আম্মা বাবাকে শাসাতেন - লুঙ্গি কষে পরা শিখ, কদিন পরে ঘরে মেয়েজামাই, পুত্রবধুরা আসবে!
মেয়েজামাই, পুত্রবধুরা এসেছিল কিন্তু বাবা ঠিক মিত্যুর আগেও সহজে লুঙ্গি পরে গেছেন! কোন দিন শুনিনি - কোন অঘটনের খবর।
নীড় সন্ধানী ভাই,
আপনার ৫টি কারন ভাল লেগেছে। লুঙ্গি আবিস্কারক কে বিরাট পুরুস্কার তথা সন্মান (!) দেয়া যেতে পারে!
লুঙ্গি বিষয়ে আপনার কয়েকটি চিন্তা ভাবনা, লুঙ্গির প্রতি আপনার চরম ভালবাসা ফুটিয়ে উঠেছে!
অভিনন্দন।
নীড়দা, আমাদের চট্টগ্রামের মহিলারা কিন্তু আগে লুঙ্গি পড়তেন, যদিও সেটাকে লুঙ্গি না বলে থামি বলা হত। আদিবাসি মহিলাদের মধ্যে এখনও থামি পড়ার প্রচলন দেখা যায়।
বকলম ভাই,
আমি একবার থাই বর্ডার দিয়ে বার্মা গিয়েছিলাম। বার্মিজ মেয়েরা লুঙ্গি পরে। শুধু পরার কৌশলে ভিন্নতা আছে।
অনেক আরাকানিজ (বানানটা হয়নি মনে হয়) মহিলাকেও লুঙ্গি পরতে দেখেছি। আরাকানিজ্রা আপনাদের চট্টগ্রামের আদিবাসিন্দা ছিলো। বর্তমানে বার্মার নানা পাহাড়ী জায়গায়/ থাই সীমান্তে এরা ঊদ্বাস্তু হিসাবে কিংবা রিফুজি হিসাবে বেচে আছে।
আমি এদের দেখে কস্ট পেয়েছিলাম। থাই গহীন জঙ্গলে কাঠ কিংবা ছোট পাথরের ব্যবসা/ চোরাচালানি করে এরা বেচে আছে যুগ যুগ!
বন্ধুরা, এ লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার করেছিলাম। অনেক প্যাছাল আছে!
"এখানে দেখুন"!
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ বিষয়ক) গাইড বইয়ে পড়েছিলাম,
রেফারেন্স চাইলে বিশ বছর আগের বিসিএস সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ বিষয়ক) বই এর রেফারেন্স ছাড়া আর কিছু দিতে পারবোনা
মন্তব্য করুন