রাতের পৃথিবী
ল্যাবএইডে কাজ করি ৫ বছর ৮ মাস। এতদিন একসাথে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করিনি। ছাড়বো ছাড়বো করেও ল্যাবএইড আর ছাড়া হয়নি। অনেকদিন মেজাজ খারাপ করে ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। তারপরও ছাড়া হয়নি। ছাড়ার আগে সংসার, সন্তানের কথা মনে হত। চাকরীর বাজারেও আকাল। চাকরী যে পাইনা, তা নয়। কিন্তু ব্যাটে বলে আর এক হয়না। আমি যাযাবর কিসিমের মানুষ। বাঁধা ধরা নিয়মে আমার পোষায় না। আবার ফিরে যেতে চাই মিডিয়াতে। ভরসা পাইনা। ইদানীং মিডিয়াতেও মড়ক লেগেছে। ভালো হাউস কোথায় ? সিএসবি বন্ধ হল। বন্ধ হল চ্যানেল ওয়ান। তারপর যমুনা টিভি। যদিও নতুন অনেকগুলো টিভি স্টেশন হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে স্কয়ারের মাছরাঙ্গা টিভি, বেক্সিমকোর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, সমকালের টিভি ২৪, সময় টিভি, টিভি ৭১ সহ আরো ২/১ টি টিভি আসছি আসছি করছে। সবগুলোই এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অন ইয়ারে আসতে হবে। নতুবা লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
যাই হোক, ধান বানতে বসে শীবের গীত গেয়ে ফেল্লাম। যে কারনে এ লেখার অবতারনা তা হচ্ছে- অমাদের অফিসে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার মানুষ কাজ করেন। আর এদের বেশিরভাগ মানুষ জনের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল। আমার একজন অনেক সিনিয়র কলিগ আছেন। যার সাথে কাজের ক্ষেত্রে আমার কোন লেনদেন নেই। সিনিয়র হিসেবে তাকে তার প্রাপ্য সম্মান টুকু দেবার চেষ্টা করি। যেহেতু আমার রিপোর্টিং বস হচ্ছেন সরাসরি এমডি, সেকারনে সেই ভদ্রলোক আমাকে ক্ষাণিকটা সমঝে চলেন। মাঝে-মধ্যেই আমার কাজের ব্যাপারে নাক গলানোর চেষ্টা করেন। যেটা আমার এক্কেবারে অপছন্দ। মাসখানেক ধরে এই লোকের সাথে আমার বেশ ভাল টানাপোড়েন চলছে। আমি চরম বিরক্ত তার উপর। যে কোনো কারনেই হোক, ইদানীং এ লোক আমাকে একদম সহ্য করতে পারছে না। সরাসরি কিছু করতে না পেরে সম্প্রতি এ লোক এডমিনকে বুঝিয়েছেন যে, কোম্পানির স্বার্থে আমার মত লোকের সপ্তাহে একদিন নাইট ডিউটি করা প্রয়োজন। এডমিন তার কথাতে কনভিন্সড হয়ে আমার সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই আমাকে সপ্তাহে একদিন নাইট ডিউটি দিয়েছে। আমাকে নাইট ডিউটি দেবার ব্যাপারে এই লোকের হাত আছে জানতে পেরে আমি সরাসরি এমডি বরাবরে একটা চিঠি দেই। সাথে আমার রেজিগনেশন। ফল উল্টো হল। আমার রেজিগনেশন গ্রহণ না করে আমার বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়...। সে আরেক কাহিনী।
তো, গত মাস খানেক থেকে আমি সপ্তাহে একদিন নাইট ডিউটি করছি। আমার ভালোই লাগছে। রাতে কত বিচিত্র ধরনের রোগী যে আসে ! প্রথম নাইটের দিন একটা অল্প বয়সি মেয়ে এল ইমার্জেন্সিতে। নিয়ে এল তার ২ বন্ধু। মেয়েটা অসহ্য পেটের ব্যথায় চিৎকার দিচ্ছে। তার কেস হিস্ট্রিতে জানা গেল, আগের রাতে মেয়েটা বন্ধুদের সাথে কাঁঠাল বাগানের মেসে থেকেছে এবং সারারাত ধরে মদ খেয়েছে। সেই মদের রি-অ্যাকশন হচ্ছে এই পেটের ব্যথা। এই মূহুর্ত্যে মেয়েটার প্রয়োজন আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র)। অথচ সেসময় আমাদের আইসিইউতে কোনো সিট খালী ছিল না। আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হল ঢাকা মেডিকেলে। মেয়েটার জন্য খুব খারাপ লাগলো। ওর বন্ধুদের কাছে তার সর্ম্ম্পকে যা জানা গেল, মেয়েটা এ বছরই চুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। বেশ ভালো রেজাল্ট করেছে। বাড়ি রংপুরে। বাবা মা সেখানেই থাকেন। মেয়েটাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর পর ডাক্তার বললেন, মেয়েটা বোধ করি বাঁচবেনা। একদিন পর পত্রিকার মারফত জানতে পারলাম- সত্যি সত্যি মেয়েটা বিষক্রিয়ায় মারা গেছে।
আরেকদিন ২৪/২৫ বছরের একটা ছেলেকে নিয়ে এল ইমার্জেন্সিতে। রাত ১১ টার দিকে। ছেলেটার জ্ঞান নেই। সাথে বাবা-মা- ভাইবোন। ছেলেটির বাবা ডাক্তারের হাত ধরে বললেন, বাবা, টাকা পয়সার কোনো সমস্যা নেই। আমার ছেলেটাকে সুস্থ্ করে দিন। আমাদের ডাক্তাররা প্রাথমিক পরীক্ষা করেই বললো- স্যরি, ও আর বেঁচে নেই। বাবা-মা-ভাই-বোনের সেকী আহাজারী ! পরে জানা গেল, ছেলেটা পরিবারের সবার ছোট। ইংল্যান্ডে পড়াশুনা করে। ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। এর মধ্যে ফেসবুকে কোনো একটা মেয়ের সাথে তার আলাপ পরিচয় হয়। পরিচয়ের ১২ দিনের মাথায় ছেলেটা মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেলে। ছেলেটার বাসায় জানাজানি হবার পর বাবা তাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অভিমানী ছেলেটা বাবার সাথে জিদ করে নিজের রুম বন্ধ করে বিষ খায়। হাসপাতালে আনার অনেক আগেই ছেলেটা মারা যায়। অনেক সময় পরে রুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করা হয়। তরতাজা ছেলেটা সবার সামনে নাই হয়ে যায়। পরিবারের লোকজনের বিলাপ সহ্য করতে না পেরে আমি ইমার্জেন্সি থেকে বেরিয়ে যাই...।
ধুর য়াজাদ ভাই, আপনার পোস্ট হাল্কা চালের হবে মনে করে ঢুকেছিলাম, কিন্তু মনটা খারাপ করে দিলেন।
মন খারাপ করে দেবার জন্য স্যরি ব্রাদার ! কী করবো বলুন, জীবনের নানান দিকের নানান অভিজ্ঞতা। মাঝে-মধ্যে ব্লগে লিখে শেয়ার করি। সবইতো আর হালকা কাহিনী না। কিছু বাস্তব আর রুঢ় কাহিনীও জমা আছে স্মৃতিতে...
শংকরের চৌরঙ্গী মনে পড়লো।
সপ্তাহে একদিনই তো, হোক না কিছু অন্যরকম অভিজ্ঞতার সঞ্চয়; আমরাও ভাগ পাই।
প্রথমে রাগ হলেও এখন মনে হচ্ছে- সপ্তাহে একদিনই তো, হোক না কিছু অন্যরকম অভিজ্ঞতার সঞ্চয়
মনটাই খারাপ হয়ে গেলো সকালবেলায়।
কেনোরে... এত অল্পতে মন খারাপ হয় ক্যান ?
আত্মহত্যা কেন করে মানুষ ???? এত অভিমান কেমন করে জন্মে মনে ???
স্যরি ব্রাদার, কোনোদিন আত্মহত্যা করিনি তো। করলে বলতে পারতাম
মেসবাহ ভাইয়ের এই লেখাটা খুব ছুঁয়ে গেলো আমাকে।
তবে যেই পাষন্ডের চক্রান্তে আপনাকে সপ্তাহে একবার নাইট ডিউটি দিতে হচ্ছে, সে নিপাত যাক। আপনার আগের পোস্টে (আমার চাকুরী জীবন) আরিফ জেবতিক যে পরিকল্পনা দিয়েছেন সেটা দুর্দান্ত ছিলো। দরকার লাগলে আওয়াজ দিয়েন খালি।
হ, ঠিকাছে। দরকার লাগলে আওয়াজ দিমুনে
মনটা খারাপ করে দিলেন
দুর.... চিয়ার আপ ম্যান
মনটা খারাপ করে দিলেন য়াজাদ ভাই।যেই মেয়েটার কথা বললেন সে আমার চুয়েটের ক্লাসমেট।অতিরিক্ত স্বাধীনতা জিনিসটা খারাপ সেটা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেল।

মেয়েটার মৃত্যু সংবাদে আমারও মনটা বড় খারাপ হয়েছিল। আপনার ক্লাসমেট হবার কারনে সঙ্গতভাবে আপনার কষ্টটা আমার চেয়ে বেশি।
ভাই, ইফতারের টাইম হয়ে গেছে, এসে কমেন্ট করতেছি
আইচ্ছা
মদ খেয়ে মানুষ মারা যায় (আজকেও দেখলাম)।
কিন্তু পাহাড়ি মদ খেয়ে কেউ মারা গেছে বলে কখনো শুনিনি।
আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নেই, পরে বলবো
ধুর তিনদিন পর ব্লগে ঠিকমতো ঢুকে মনে করলাম মেসবাহ ভাই বোধহয় সেই ব্যাটারে আলকাতরা থেরাপী দিসে, দেখি না। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
তয় নুশেরাপুর কমেন্ট ভালো লাগছে।
ওরে আসলে আলকাতরা থেরাপি দিতেই হৈবো।
লেখা পড়ে আমরাবন্ধুর "নাম নাই"র কথা মনে পড়লো। উনার বেশিরভাগ লেখাই আত্মহত্যা করি করি ঘরানার...কেন যে মানুষ মরতে চায়! এই জীবনের পরে হয়তো আর কিছুই নাই...সবই হাওয়াই মিঠাই।
...কেন যে মানুষ মরতে চায়!
জীবনটা অনেক সুন্দর, আনন্দের আর উপভোগের...ভালবাসার
সারা রাত বন্ধু বান্ধবী মিলা মদ খাইলো, আরেকটু হৈলেই বেশ কওয়ার মত ইন্টারেস্টিং একটা অভিগ্যতা কওন যাইতো, কিন্তু একটু খানি সতর্কতা বা সংযমের অভাবে মনে হয় কাইচা গেলো---
মাত্র ১২ দিনের পরিচয়ে প্রেম, হুলুস্থুল বিষয় দেখি------
লাইফটাই, মাত্র একটু ইশ যদি টাইপ কয়েকটা শব্দ দিয়া এদিক সেদিক হৈয়া গেলো--
ইন্টারেস্টিং-----
কমেন্টস মজারু হৈছে, বিলাই। থ্যাংকু।
ভোরবেলায় পড়ে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ।
কেন যেন মনে হয় , রাতের নির্জনতায় হাসপাতালের মানুষগুলোর কান্না অনেক বেশি হয়ে বাজে , পুরো শহরকে ছাপিয়ে যায় । ঢাকা মেডিকেলে একবার রোগীর অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে ৫/৬ রাত ছিলাম । গভীর রাতে হাসপাতালে ঘুরে করুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছিল
কেন যেন মনে হয় , রাতের নির্জনতায় হাসপাতালের মানুষগুলোর কান্না অনেক বেশি হয়ে বাজে , পুরো শহরকে ছাপিয়ে যায়...
একদম খাঁটি কথা বলেছেন। রাতের পৃথিবী একটু আলাদা। বিশেষ করে হাসপাতালের। জীবন আর মৃত্যুর হাতছানী থাকে অহরহ... কেই বেরিয়ে আসে। কেউ সমর্পণ করে নিজেকে। এ সময় আমরা সবাই বড় বেশি নিয়তির উপর নির্ভরশীল থাকি...
আমাদের আত্মধংসাত্মক সমাজের আত্মধংসাত্মক লোকগুলা!!! কেউ স্বামীর সাথে ঝগড়া করে-কেউ স্বামীর ২য় বিয়েতে-কেউ বখাটের অত্যাচারে নিজেকে ধ্বংস করে সমাধান খুজে, কেউবা বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে। অবশ্য আরেকটা যে পথ ছিলো প্রতিবাদ তাতে তো কোন লাভ নেই, দূর্বলের কথা শোনার কারো সময়ই নেই।।
তূচ্ছ সব কারণে কেউ আত্মহত্যা করছে, এটা তো আমাদের স্বার্থপর সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। কোন আদর্শ নেই, লক্ষ্য শুধু একটাই সফলতা। আর সফলতা মানে অর্থকড়ি-মেয়ে-গাড়ি-বাড়ি!!!! এইতো?? কিন্তু আমরা চলে গেলে যে আমাদের ঘিরে থাকা মানুষগুলো কতো কষ্ট পায় তা আমরা ভাবি না। সত্যি কথা বলতে কি কেউ আমাদের এটা ভাবতে শেখায় নি।। (দুঃখিত অনেক প্যাচাল পাড়লাম, আসলে লেখাটা পড়ে খুবই কষ্ট লেগেছে, তাই অনেক কথা বলে ফেললাম)
কিন্তু আমরা চলে গেলে যে আমাদের ঘিরে থাকা মানুষগুলো কতো কষ্ট পায় তা আমরা ভাবি না। সত্যি কথা বলতে কি কেউ আমাদের এটা ভাবতে শেখায় নি।
এটাই মূল কথা।
মন খারাপ করা পোষ্ট। তবে মাঝে মাঝে মন খারাপ করার দরকার আছে।
শেষ কাহিনীতে ছেলেটা মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় রাগই উঠল। একে তো ১২ দিনের পরিচয়ে ছেলেমানুষী বিয়ে তারপর সুইসাইড? একবারও ভাবল না তার বাবা মায়ের কি পরিমান কষ্ট হতে পারে তার এ সিদ্ধান্তে? মরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ। মরে যাওয়াও সহজ, যে মরে যায় সে তো বেচেই যায়। কিন্তু তারপ্রিয় জন যারা বেচে থাকে, কষ্ট থেকে যায় তাদের। ছেলেটা এমনকি তার নববধূর কথাও চিন্তা করল না?
তার বাবা বললেন টাকা পয়সা কোন সমস্যা না আমার ছেলেটাকে সুস্থ করে দিন, এই লাইনটা পড়ে আমার নিজের বাবার কথা মনে পড়ল। মাত্র ৩ মাস আগে তাকে হারিয়েছি। স্বজন হারানোর কষ্টটা যে কি তা এখনও সয়ে সয়ে যাই। ছেলেটার বাবা মায়ের জন্যে ভীষন কষ্ট হচ্ছে।
মাঝে মাঝে মন খারাপ করার দরকার আছে।
লাইনটা ভারী লাইক কর্লাম রন্টি।
একটু মন খারাপের দরকার ছিলো এই পোস্টে পেয়ে গেলাম
অসম্ভব চমৎকার মন্তব্য। থ্যাংকস।
২৪
রন্টি চৌধুরী বলেছেন,
মন খারাপ করা পোষ্ট। তবে মাঝে মাঝে মন খারাপ করার দরকার আছে।
শেষ কাহিনীতে ছেলেটা মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় রাগই উঠল। একে তো ১২ দিনের পরিচয়ে ছেলেমানুষী বিয়ে তারপর সুইসাইড? একবারও ভাবল না তার বাবা মায়ের কি পরিমান কষ্ট হতে পারে তার এ সিদ্ধান্তে? মরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ। মরে যাওয়াও সহজ, যে মরে যায় সে তো বেচেই যায়। কিন্তু তারপ্রিয় জন যারা বেচে থাকে, কষ্ট থেকে যায় তাদের। ছেলেটা এমনকি তার নববধূর কথাও চিন্তা করল না?
সম্পূর্ণ একমত।
আমিও দ্বিমত করিনি...
প্রথম মেয়েটা আমাদের ব্যাচমেট। আমাদেরই বন্ধুদের সহপাঠী। সংবাদটা শুনে খুবই মন খারাপ হয়েছিল।
অদ্ভুত সব ঘটন-অঘটনের মাঝেও আপনার রাতের পৃথিবী আনন্দঘন হোক এই কামনা।
মেয়েটাকে ইমার্জেন্সিতে কাতরাতে দেখে আমারও প্রচন্ড মন খারাপ হয়েছে। ঈশ্বর তার আত্মার শান্তি করুক।
রাত হলেই যেন মানুষের বিপদদাপদ রোগবালাই গুলা মাথা চাড়া দেয়!!
মেয়েটার খবরটা শুনে খারাপ লেগেছিলো, আর কতটা রাগ ঊঠলে মানুষ আত্নহত্যা করে ফেলে!.।। এত্তো বোকামি কেন যে করে.।
মন খারাপ টাইপ হইলেও লেখাটা পড়তে ভালো লাগছে.।।।
মন খারাপ টাইপ হইলেও লেখাটা পড়তে ভালো লাগছে... শুইনা ভালো লাগলো। তোমরা এট্টু প্রশংসা-টশংসা করলে লেখার মুড পাই ...
আর আম্রা করলে পান না?
ভাইরে, ঘটনা হৈলো আমি ভালো লেখক না। আপনেরা যারা ভালো লেখেন, তাগো কারো কাছ থেইক্যা প্রশংসা পাইলে মনে বড় ফূর্তি লাগে... এই আর কী

মেসবাহ ভাই, আপনার এই লেখাটা কিন্তু খুব সুন্দর ---
ঠিক কৈছেন, প্রোফাইলের এই লেখাটা আমার নিজেরও পছন্দ...
চমৎকার রচনাশৈলীতে কষ্টের কিছু কথা কষ্টই রেখে যায় মনে -----
ধন্যবাদ ভ্রাতঃ
কোথায যেন পড়েছিলাম একেকটা মৃত্যু আমাকে আরও ক্ষুদ্র করে দেয়।
হ, রাইত ৩/৪ টা যখন বাজে; মনে হয়, কোথাও কেউ নেই। ২/৪ জন রোগীর কাতরানীর শব্দ পাই। অন্যেরা বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। চারিদিকে শুনশান নিরবতা। কেমন ভয়, আতঙ্ক আর অন্য এক রকোম অনুভূতি এসে নাড়া দেয়। মনে হয়, মিছে এই দুনিয়া। সব মিছে। সামনে শুধু অনন্ত এক জীবন...। যার শেষ নেই, সীমা নেই।
নুশেরার সাথে একমত পোষন করছি, আরেকজন শংকরের হাতে আর একটি চৌরঙ্গী তৈরী হচ্ছে
খাইছে... একেতো নাচুনি বুড়ি, তার উপরে ঢোলে বাড়ি...
মন্তব্য করুন