আবারও বাড়ী থেকে ফিরে!
ফিরে এলাম এই শহরে। যে শহরে ২ কিলোমিটার রিক্সায় যেতে লাগে এক ঘন্টা সেই শহরেই। বাড়ী আমার কাছে খুব আপন কারন সেখানে বাবা মা থাকে আর এই নষ্ট শহরটাও আমার আপন কারন এখানেই আমার দিন যাপনের ভুবন। নিজের ভুবনে ফিরতে সবারই ভালো লাগে আমারও তাই। তবে এই শহরে ফেরার খুব একটা উচ্ছাস ধরা দেয় না মনে। কারন কারো কাছেই এই শহরটা আপন মনে হয় না এখন। স্রেফ প্রয়োজনেই টিস্যু পেপারের মতো ব্যাবহার করা। ইউস শেষে ফেলে দিয়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া। আমি এমন দুই জন লোককে চিনি যারা দেশে অত্যন্ত সুখে ব্যাপক টাকা পয়সায় দিন কাটাচ্ছিলো অযথাই তারা পরবাসী। প্রবাস থেকে ফিরে তাদের কথা বারতা শুনলে মনে হয় তারা জন্ম থেকেই ইউরোপে। এই মানসিকতা আমার ভালো লাগে না। অনিশ্চয়তা নিরাপত্তাহীনতা কবে ছিলো না বাংলাদেশে? এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা কি ছিলো না আগে। ছোটবেলায় খুলনায় আব্বু রাতের বেলা একা সোনাডাংগা টার্মিনাল যেতো না কারন হাত ঘড়ি ও পকেট থেকে টাকা নিয়ে যাবে ছিনতাইকারীরা। ঝামেলা করলেই ডেগারের পোস। কেউ নিউ মার্কেট বড় বাজারের ওদিকে গেলে সন্ধ্যাতেই বাসায় ফেরার তাড়া কারন পথের কোনো নিরাপত্তা নাই। সেই আমলে প্রচুর আন্টির স্বর্নের চেইন, কানের দুল, হাতের বালা অস্ত্রের মুখে খোয়া গেছে। কিন্তু এখন আপনে খুলনায় যান আগের সেই জমজমাট ভাব নাই কিন্তু নিরাপত্তা আছে। অন্তত প্রধান সড়কে কেউ আপনাকে ছিনতাই করবে না সন্ধ্যা রাতেও। ঢাকাতেও সেইম। অনেক ছিনতাই হয় ঠিকই কিন্তু তা গন হারে না আগের মতো। বরং ফাকা রাস্তায় একা একা রাতে ঘুরে বেড়াবেন দেখবেন কি শান্তি। শহরটাই অন্যরকম লাগছে। তাই যেভাবে মানুষ ঢাকায় থাকাকে নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত মনে করে ওতোটা ভাবার কারন নাই। হ্যা সমস্যা তো আছেই। এতো জ্যাম, এতো ভোগান্তির ভেতরে দিনযাপন দায়। তাও বেচে তো আছি। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা সকাল সকাল স্কুলে যাচ্ছে আর হাটছে মধ্যবয়স্করা, মায়েরা নাস্তা বানিয়ে সন্তানকে নিয়ে স্কুলের জন্য রিক্সা খুজছে এইসব কিছুর ভেতরেই আশাবাদের গন্ধ আছে। শহরটা নানা ভোগান্তির বিপর্যয়ে থাকলেও টিকে তো আছে আমাদের হাজারো স্বপ্ন নিয়ে।
আর গত ১ মাস ধরে মফস্বলের অবস্থাই খারাপ। সাইদীর ফাসি রায়ের পর থেকে কোনো শহরই সুস্থির নাই। যে রাজশাহী আগে ছিলো শিল্প সাহিত্য প্রগতিশীল আন্দোলন ভাবনার অন্যতম কেন্দ্রস্থল সেইখানে এখন শিবিরের আড্ডা খানা। চট্টগ্রামে তো বহুদিন ধরেই জামাত শিবিরের বড় ঘাটি। সাতক্ষীরা বরগুনা পিরোজপুর ঐ সাইডটাও এখন জামাতে ঠাসা। আর যেই সাইডে জামাত নাই সেই সাইডে তাদের ছোটো ভাই বিএনপি আছে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না বিএনপির হরতাল দিলো জামাল্পুরের রাস্তা ঘাটে একটা যানবাহনও চলে না। দুই তিনটা মাত্র রিক্সা চলে আর কিচ্ছু নাই। অটো, সিএঞ্জি, বাস সব দেয়াল দিয়ে ঘেরা সীমানা প্রাচীর দেয়া গেরেজে। সেই স্বপ্নের মফস্বল গুলাও কেমন যেনো হারিয়ে যাচ্ছে। জামালপুরে আমারদেশ পত্রিকা যে চলে সেরকম ইত্তেফাকও চলে না। বারো টাকা দিয়ে আমারদেশ কিনে লোকজনের মুখে স্যাটিসফাইড হাসি আর বলতে শুনি এরাই আসল খবর দেয়। এইটাই আসল ব্যার্থতা। আমরা এতো চেতনা চেতনা করে লাফালাফি করি অথচ সমগ্র বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়াচ্ছে পরিকল্পিত উপায়ে। তবে জামালপুরে অনেক হিন্দু থাকা সত্তেও আক্রমন হয় নি। এইটা একটা সস্তির। তবে অনেক কাজ আমাদের সবার করতে হবে। যে চেতনায় আমরা এতো সাহসী হই তার শিখা ছড়িয়ে দিতে হবে সবখানে। নয়তো আমরা শিখাহীন হয়ে পড়ে রবো। আর দেশ জিম্মি হবে উস্কানীতে। উস্কানীতে আপ্লুত মানুষের কাছে যুক্তির কোনো ধার ধারে না। প্রান তখন তাদের কাছে অতি তুচ্ছ। কিন্তু কার কায়েমী স্বার্থে প্রানটা দিলো বুঝতেই পারলো না।
অনেক প্যাচাল পারলাম। এবার নিজের প্রিয় বিষয় দিনলিপিতে আসি। কাল খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠছি কারন সাতটায় ট্রেন। শেষ হয়ে গেলো বাড়ীতে থাকার দিনগুলো। ভাবতেই মন খারাপ। আম্মু নুডুলস আর চা বানালো খেয়ে রওনা দিলাম। আব্বু তার প্রিয় বাহন সাইকেল নিয়ে বের হলো আর আমি হাটলাম। হরতাল ছিলো তাই রিক্সা অটো কিচ্ছু নাই। স্টেশন থেকে আড়াই তিন কিলোমিটার দূরে আমাদের বাড়ী। আব্বু ছোটবেলায় এই পথ উঠতে বসতে পার করতো। কারন আব্বুর নানু বাড়ী ছিলো ওখানেই। কিন্তু সকাল সকাল আমার জন্য তা কষ্টের তাও জয় করলাম। ভুলটা আমারই। আব্বু বলছিলো রিক্সা ঠিক করে রাখি উলটা আমি মানা করছি। তাই হাটলাম। সাতটায় এসে দেখি ট্রেনের খবর নাই। ২৯ মিনিট পরে আসলো। আব্বু আমাকে উঠিয়ে দিয়ে চলে গেলো। প্রতিবার আব্বুকে বলি একাই যখন আসছি একাই যেতে পারবো কিন্ত তা তিনি কিছুতেই আর শুনেন না। আমিও উপভোগ করি এতো আদর ভালোবাসা। ট্রেন চলে শম্বুক গতিতে। হেডফোনে গান শুনতে ভালো লাগছে না। ব্যাগটা থেকে বই বের করলাম। আহমদ ছফার সাথে নাসির আলী মামুনের ইন্টারভিউয়ের বইটা। আগেই পড়া ছিলো অন্য কোথা থেকে সংগ্রহ করে। কিন্তু নতুন কেনা বইটা পড়ি নাই। বড়ই সুখ পাঠ্য। ঘন্টাখানেকের ভেতরেই দেখি বই পড়া শেষ কিন্তু ট্রেন আগাচ্ছে না। জীবনানন্দের কবিতার বই বের করলাম। যদিও কবিতা আমি লীনাপুর মতো বুঝি না কিংবা কামাল ভাইয়ের মতো সাহিত্য তত্তের আলোকেও অনুধাবন করতে পারি না অথবা শুভ ভাই ভাস্কর দা অকিঞ্চন দার মতো লিখতে পারি না। তাও কবিতা আমার ভালো লাগে আবেগের জায়গা থেকে। হেলাল হাফিজ, রুদ্র, আবুল হাসান, শামসু্র রাহমান, শক্তি, জীবনানন্দ, তসলিমা নাসরিন, হুমায়ুন আজাদ, ছফা এদের কবিতা পাঠে আনন্দ পাই। গভীরে হয়তো উপলব্ধি করতে পারি না কিন্তু পড়ে আনন্দ পেলেই শান্তি পাই। আনন্দ জিনিসটার দরকার আছে। ময়মনসিংহ আসলাম লেটে। পত্রিকা কিনলাম চারটা। সব খানেই ইসলামিক ব্যাংকের এড। আহা কি শান্তি। আর আগ্রহ পেলাম না পত্রিকা পড়ার খালি চোখ বুলালাম। আমার পাশে বসলো এক আংকেল। চেহারা দেখেই বুঝলাম ইনি ডিফেন্স থেকে রিটায়ার্ড। আর তার আগের সময় ছিলো আরেকটা ছেলে। ছেলেটা তোর কারনে বেচে আছি সিনেমাটা দেখলো মোবাইলে। ওর হাতের নোকিয়া সেটটা ভালোই লাগলো। দেখি বাংলাও লেখা যায় দাম ৫০০০। আংকেল আমার সাথে গল্প জুড়ে দিলো। কি কারনে জানি উনি আমাকে উপদেশ দেয়া শুরু করলো বাবা নামায পইড়ো ধৈর্য রাখো চাকরী পাবাই। আমি একটু অবাক হলাম। আমি তাকে বলি নাই যে আমি বেকার আমি বলেছি আমি ছাত্র মাস্টারস করছি তবুও উনার অনুমান চাকরী না পেয়ে আমি হয়তো হতাশ। কিন্তু হতাশার কোনো কারন নাই। আমি সমানে দুইজন প্রিয় বন্ধু প্রিয় মানুষের সাথে এসেমেস বিতরন করতেছি তারাও আগ্রহে রিপ্লাই দিচ্ছে। দেড়টার দিকে এয়ারপোর্টে নামলাম। দেখি তুমুল গরম ঢাকায়। সিএঞ্জি ভাড়া চায় অনেক তাই টাকা বাচাতে বাসে উঠলাম। বাসের নাম রুপকথা। নামটা খুব মনে ধরলো। নামলাম শ্যামলী। পাশের যাত্রী যে মন দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন পড়ছিলো। মনে হচ্ছিলো একটু পর খেয়ে ফেলবে তা গিলে। শ্যামলী থেকে রিক্সায় বাসায়। ফ্রেশ হয়ে গোসল করে খেলাম। বুয়ার রান্নার সাথে আম্মুর রান্নার আসলে কোনো তুলনাই চলে না। খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু উপরে টিন বাইরে রোদ গরমে ঘুম আর আসে না। কারওয়ান বাজারে যাওয়ার ডাক পেলাম ইচ্ছে করেই গেলাম না। কারন একে তো চায়ের দোকানে কত দিন আড্ডা দেই না সেই লোভে। তবে গিয়ে দেখি নান্নু তার নতুন দোকান শুরু করে নাই। মামীর দোকান ৬ মাসের জন্যে ছেড়ে দিবো সেই দোকানই নিছে নান্নু। সবাই আসলো। আড্ডা কেবল শুরু হলো। তখনি আসলো ফোন। জরুরী দরকারে দেখা করতে হবে। রিক্সা নিয়ে গেলাম। কিন্তু রাস্তায় মহা জ্যাম। এক ঘন্টার রিক্সায় বসে কেবল রাইফেলসের কাছে আসতে পারলাম। অথচ যাওয়ার কথা নিউমার্কেট। তাদেরকে স্টারে আসতে বলে হাটা দিলাম। স্টারে দেখি অনেক মানুষ। আর প্রচুর মেয়ে। ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিলো একটা হোটেল মালিক হবো। স্টারে আসলে আমার বারবার তাই মনে হয়। খাওয়ালাম বন্ধুদের। দারুন আড্ডা দিলাম অনেক দিন পর এহতেশাম আর ফাহাদের সাথে। ল্যাগ রোস্ট খাওয়ার আশা ছিলো কিন্তু কেউ খেলো না তাই কাচ্চি খেলাম। কাচ্চিটা ওতো ভালো লাগে নাই। এরচেয়ে নান্নার কাচ্চির বা মোরগ পোলাওয়ের যে টেস্ট। খেয়ে দেয়ে এহতেশাম আমি রিক্সার রওনা দিলাম। মহা জ্যাম কিন্তু বিরক্ত হই নাই। কারন আমি আর এহতেশাম এই জীবনে যে কত অজস্র দিন অযথাই রিক্সায় ঘুরছি তার হিসাব নাই। এখন এহতেশাম ব্যাস্ত চাকরী করে সময় কম। কিন্তু তারপরও ওর সাথে রিক্সায় উঠলেই আমি ০৮-০৯য়ের দিন গুলাতে ফিরে যাই। কি অসাধারন দিন গেছে। রিক্সায় বসে কত গল্প। কোথায় যাওয়ার নেই কিন্তু অযথাই রিক্সায় ঘুরে বেড়ানো। এখন যে আমার একা একা ঘুরে বেড়ানোর বাতিক রিক্সায় তা সেখান থেকেই প্রাপ্ত। বাসায় আসলাম নামায পড়ে ঘুম দিলাম। আজ খুব ভোরে উঠলাম। নামায পড়ে চা খেয়েই হাটতে চলে গেলাম। অনেক দিন পর অনেক হাটলাম। হাটার কারন একটাই ছোটোখাটো ভুড়ি উকি মারছে। আমার খাদ্যভাস ও জীবন যাপন মোটেও স্বাস্থ্যসচেতন না তাও এই ভুড়ি আমার পছন্দ না তাই হাটা জরুরী এখন থেকেই। কারন এখনো অনেক ভালো খাবার খেতে চাই বেশী করে। জিয়া উদ্যানে গিয়ে দেখি আমার বয়সী তেমন কেউ নাই। হয় আমার চেয়ে বড় নয়তো ছোটোরা। তার ভেতরে আমার বয়সী একটা ছেলেকেই দেখলাম চুলে স্পাইক দারুন ব্যায়াম করতেছে। হিংসা হলো কি ফিট ছেলেটা। আমি গত চার বছর ধরে জিমে যাবো জিমে যাবো করতেছি কিন্তু যাওয়াই হলো না। কারন পয়সা দিয়ে লোহা লক্কর টানতে ইচ্ছে জাগে না। যদিও ফিট থাকাটা খুব জরুরী। তাই আমি হেটেই ফিট থাকার চেষ্টা করছি। অহেতুক অনেক হাটা রোদের ভেতরে আমার স্বভাব। হাটা একটা আনন্দের জিনিস। এতো বড় শহরে আমি হেটে চলছি অবিরত এইটা অনেক বড় শান্তির জায়গা।
ভাবছিলাম আজ বাসাতে থাকবো বই পড়বো। প্রচন্ড গরমে উপরে টিন শান্তি নাই বাসায়। এর চেয়ে বাইরে থাকাই ভালো। এই পোস্টটা সকালে একবার লিখছিলাম কারেন্ট চলে গেলো আবার লিখলাম সাড়ে বারোটায় এসে বসে। কাজ তো নাই তাই ফুলটাইম বেকার পার্টটাইম ছাত্রের দিনলিপি লেখতেই সুখ। সকালে লেখাটা যখন সেইভ রাখতে পারলাম না অথচ কারেন্ট চলে গেছে, নিজেকে তখন আপদমস্তক একটা গাধা মনে হইছে। এতো ভুল করি তাও শিক্ষা নেই না এইটাই গাধাদের স্বভাব। ফাও ফাও এই আজাইরা খাটনি খেটে এই সব পোস্ট লেখার কোনো মানে নাই। তাও লিখি কারন গাধারই কাজ জল ঘোলা করে পানি খাওয়া আর এই সব অহেতুক লেখার পিছনে এতো সময় নষ্ট করা!
চেতনা দিয়া আর কাম হবেনা মিয়া, এই আজব দেশে
তুষার মিয়ারাও বেচা হয়ে যায় টেকার কাছে।
তুষার মিয়ারা যে এরকম চিজ তা আমার কাছে খুব বেশী অবাক লাগে নাই। দুনিয়াটা টেকা আর চামচামির গোলাম!
প্রথম প্যারাটা বেশ লাগছে।
"আমি গত চার বছর ধরে জিমে যাবো জিমে যাবো করতেছি কিন্তু যাওয়াই হলো না। কারন পয়সা দিয়ে লোহা লক্কর টানতে ইচ্ছে জাগে না" .... এই লাইনটা ফাটাফাটি হইছে..মজা পাইছি চরম।
আরামে থাকেন।
থ্যাঙ্কস ভাই। ভালো থাকেন চিকেন মিকেন খায়া
অহেতুক লেখা কেন? তোমার সব লেখাই পড়ার মজাই আলাদা । তোমার মত লিখতে পারি না
শোন, মায়ের হাতের রান্নার মত কারো রান্না হয় না। আর বুড়া হয়ে গেলেও দেখবা কোথাও গেলে বাবা এগিয়ে দিতে যাবে, কারণ, বাবার কাছে তো তুমি বড় হওনি।
ইদানিং অযথাই লাগতেছে আপু।
ভালো থাকেন যত্ন নিয়েন নিজের!
আমার কিন্তু এই শহরটাই ব্যাপক ভাল লাগে
সেটাই কোনোরকমে বেচে থেকে দিন ত যাইতেছে!
আপনের লেখার সবকিছুই ভাল্লাগে
কিন্তু আপনের নিজের লেখা নিয়া আপনের পেসিমিস্ট মনোভাব টা একদম ভাল্লাগে না।
বাইরে কোথাও ঘুরে এলে ঢাকা শহরের লাইফটা অনেক অনেক বেশি অস্থির লাগে।
পেসিমিস্টের ব্যাপার না ব্যাপার হলো একি জিনিস আর কতো দিন লিখবো!
ভালোবাসো বলেই ভালো লাগাও!
সেদিন একজনে জিজ্ঞেস করলো - তা এই পোড়ার দেশে আছো আর কদ্দিন? উত্তর দিসি - স্ম্যসড পটেটোর চেয়ে আলুপোড়া খাইতে বেশি ভালো পাই
আপনাতো বিপ্লবী ঘরানার মানুষ। বিদ্রোহ করে আয়েশের জিন্দেগী ছেড়ে এই জ্যাম-গেঞ্জাম-গরমে নাকানি চুবানী খাচ্ছেন। ভালো থাকেন আপু!
কতোদিন পর আপনার কমেন্ট দেখতে পাইলাম। ভালো থাকেন সালাম
মন্তব্য করুন