ইউজার লগইন

ভাবনাগুলো পড়ে আছে খুচরো হয়ে, উড়িয়ে নেবে সময়!

আজ সকালের ওয়েদারটা ছিলো অসাধারন। অনেক দিন এতো দারুন আবহাওয়া পাই নি সকালে। প্রত্যেকটা ভোরই অবশ্য খুবই সুন্দর আর শান্ত স্লিগ্ধ। কিন্তু এত দারুন ভোর আজ অনেক দিন পরে পেলাম। সাধারন আকাশে অনেক মেঘ ও বর্ষার ঝড়ের দিন হলে মামা আমাকে হাটতে যেতে মানা করে। বলে একদিন হেটে সাতদিন জ্বর সর্দি কাশিতে ভোগার কোনো মানে নাই। আমি দেখলাম টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ে আর দারুন হাওয়া আজকেই শ্রেষ্ট সময় পাঞ্জাবী আর ছেড়া চটি পড়ে হাটার। যদিও আরেকটু আগে বের হতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সকালে আমার পরিচিত বন্ধু বড়বোন বড়ভাইদের গুড মর্নিং মুলক এসেমেস পাঠাই। আগে তা কিপ্যাড টিপে পাঠাতাম কোনো টেনশন ছাড়া। এখন টাচে লিখি। একজনকে পাঠাতে গিয়ে মেসেজ চলে যায় আরেক জনের কাছে। কি বিতিকিচ্ছিরি একটা ঘটনা। তাই সকাল বেলা মেসেজ লিখতে গিয়ে এখন খুব সাবধানে থাকি। সকাল সকাল স্মার্ট প্রমান করতে গিয়ে ইজ্জত সম্মানের ফালুদা হয়ে গেলে তা হবে জঘন্য ব্যাপার। কারন একেকজনের সাথে আমার একেক লেভেল সম্পর্ক তা যদি ওলট পালট হয়ে যায় তবে তার চেয়ে প্যাথেটিক আর কি হতে পারে? তাই আস্তে আস্তে হেটে মোবাইলে টিপতে টিপতে যাওয়া। তারপর নানক সাহেব জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে রাস্তায় অনেক খাল কাটছে সেগুলা দেখেও পথ চলতে হয়। যাই হোক আজ আমি একজন বাদে আর কাউকে এসেমেস করি নাই। কারন এসেমেস করা বেকার। করলেই রিপ্লাই আসে, কথায় কথা বাড়ে, না করলে সাধারনত কেউ খোজও নেয় না। আর ইদানিং মানুষের এক বাতিক হইছে। কারো খোজ খবর প্রতিদিন নিলেই মনে করে কোনো ধান্দা আছে আমার মনে? কিন্তু বিশ্বাস করেন বন্ধুরা শান্ত কারো সাথেই ধান্দার আশায় ঘুরে না, খোজও নেয় না, সই পাতায় না। আমার যাবতীয় ঝামেলায় আমার ফ্যামিলী আছে আমি আছি এর বেশী আর কার দরকার? কোনো কিছু পাওয়ার আশায় যদি ঘুরতাম তবে এখন বেকার বসে আমার দিনলিপি পড়তে হতো না। বড় জব করে আমি আমার মতো থাকতাম ভাবে। কারন হাই ভোল্টেজ বন্ধু বড় ভাই কমতো ছিলো না জীবনে! তাও আমি থাকি আমার মতোই। যখন যেটা ভালো লাগে, যখন যার সাথে মিশতে ইচ্ছে করে তখন তার চেয়ে বেশী আপন আর কাউকে ভাবি না। যাই হোক সকালে হাটতে বেরিয়ে দেখি দারুন বাতাস আর ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি। মোবাইল সেভ করার জন্য অনেক কাল আগে আমার বন্ধু অশোক আমাকে একটা প্লাস্টিক দিয়েছিলো, যা আমি মানিব্যাগে নিয়ে ঘুরি। তাই দিয়ে মোবাইল প্রটেকশনে নিলাম। অশোকের কথা মনে পড়ে গেলো। দারুন বন্ধু ছিলো আমার ভার্সিটি লাইফে। তাতীবাজারে ওদের বাসা। অসংখ্য মন খারাপের দিনে আমি আর অশোক পুরান ঢাকার গলিতে গলিতে হেটে বেড়িয়েছি। তখন আমি চিলেকোঠার সেপাই মুখস্ত করে দিন কাটাই। তাই প্রত্যেকটা রাস্তা আমাকে অযথাই আনন্দ দেয়। আমি অশোক অমিত দিনের পর দিন একটা ছাদে শহীদুল জহিরের সেই বিখ্যাত বান্দরদের সাথে কাটিয়েছি। বান্দর গুলা অনেক অত্যাচার করে তাও মানুষের মতোই তাদের আহলাদ পুরান ঢাকার বেশীর ভাগ মানুষ খুব প্রশয় দেয় । সেই সময়ে কতো ধরনের পুরান ঢাকার খাবার যে আমি খাইছি তা নিজেই জানি না। অমিতের এক ফরমায়েশ খাটার ছেলে ছিলো। তাকে অশোক টাকা দিতো সে খাবার এনে হাজির। আমাকেও অনেকে তখন ভাবতো এই ইংলিশ রোডেই মনে হয় আমার বাসা। আমার গালি গালাজের প্রতি এতো ভালোবাসা তার কারন পুরান ঢাকা। কোনো কিছু না ভেবেই আমি এক কালে এমন সব গালি দিতাম যার কারনে কিছু মানুষ আমার সাথে মেশাই বাদ দিছিলো। তখন আমি এংড়ি ইয়াংম্যান। অজস্র বন্ধু, কিন্তু এখন বুঝি বন্ধুত্ব হারানোর কি জ্বালা! এখন অশোক বাংলালিঙ্কের কাস্টমার কেয়ারে জব করে। সাইবার কুলি তাই অনেক খাটনি। তাই হয়তো আমার কথা তার মনেও পড়ে না। গনজাগরন মঞ্চের দিন গুলার কোনো একদিন অমিতের সাথে দেখা হয়ছিলো। গাজা গুজা খাইতে খাইতে ছেলেটার অবস্থা প্যাথেটিক। মায়াই লাগলো।

আমাদের হাটার একমাত্র জায়গা তো জিয়া উদ্যান ওরফে চন্দ্রিমা উদ্যান। জায়গাটা খুব খেত মার্কা হলেও আমার অদ্ভুত একটা প্রেম আছে জায়গাটার প্রতি। কেমন জানি ঢাকায় নতুন নতুন আসা পাব্লিকের মতো মুগ্ধ হই। প্রথম দিকে যখন ঢাকায় আসি তখন তো বন্ধু ছিলো না। বাসা থেকে ২০ মিনিট হাটলেই জিয়া উদ্যান। আমি একা একাই বিকেলে গিয়ে বসে থাকতাম। নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের ডেটিং স্পট না চাইতেই দেখতাম। আর তখন বিএনপি পাওয়ারে। তারেকের মতোই পাওয়ারে জিয়া উদ্যানের আলোক সজ্জা। এখন আবার যখন প্রত্যেকটা সকাল জিয়া উদ্যানে কাটে দেখি পাওয়ারের পালা বদলে এতো সুন্দর ব্রীজে খালি ময়লা তখন নষ্টালজিক হয়ে পড়ি। আজ পাব্লিক ছিলো একদম কম। তাতে আরো শান্তি। তাও কয়েকজন চেনাজানা ফেইস দেখে শান্তি পাইলাম। তারা ছাতা হাতে ওয়াকে নামছে। আমার ছাতা নাই কেডস নাই মনে হয় হেফাজতের লোক তারপর পাঞ্জাবী আর ছেড়া জুতা। দারুন মিস্টি বাতাসে মন হচ্ছিলো মাতোয়ারা। ভাবছিলাম কবিতা লিখতে পারলে হতো একটা কাজ। এমন দারুন সময়ে কবি হতে চাইবে সবাই। শন শন বাতাসে আর টিপ টিপ বর্ষাতে আমার মোবাইলে বাজছে শ্রেয়া ঘোষালে গান বৃষ্টি বিদায়...... ভিজি আমারই মতোন তাতে কার কি আসে যায়? আসলেই তো আমি আমার মতোই ভিজছি তাতে কার কি আসলো গেলো? প্রথম আলোর জাহিদ রেজা নুরের সাথে দেখা হলো। আমার নাম মনে করার চেষ্টা করলো। আমি বলে দিলাম কি নাম, কার মাধ্যমে পরিচয়। উনি বললো দারুন কথা বৃষ্টি বাতাস উড়ে যেয়ো না আবার। আসলেই উড়তে পারলে দারুন হতো। এমপি হোস্টেলের যে পাশে বসা নিষেধ সেখানেই লেকের সামনে বসে থাকলাম। কি দারুন লাগছিলো জলের গানের গান এমন যদি হতো আমি পাখির মতো/ উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ শুনতে। আমার বন্ধু রুপা আমাকে জিগেষ করছিলো গতোকাল তুমি তো মোটা না তাহলে হাটো কেনো আরামের ঘুম বাদ দিয়ে? তখন আমি বলে ছিলাম প্রত্যেকটা রাতে আমার খুব একাকী বিষন্ন লাগে। তাই ভোরেই হাটতে বের হই সব কিছু ঝেড়ে ফেলার আশায়। চলে যায় আবার রাত গুলোতে ফিরে আসে। আর ভোর আমার খুব ভালো লাগে। আমি মরতে চাই এমন কোনো আশ্চর্য সুন্দর ভোরে। যে ভোরের মিস্টি বাতাসে আমার মন হবে জীবনটা নেহায়েত খারাপ ছিলো না তা ভোরের বাতাসেই মিলিয়ে গেলো। আজ অনেক ক্ষণ বসে ছিলাম। এক স্থুলকায় মহিলার সাথে বারবার চোখ পড়ছিলো। আমি বিব্রত হচ্ছিলাম। কারন আমি হাটি আমার মতোই মাথা নিচু করে। কাউকে চাহনী দিয়ে বিরক্ত করা আমার ধাতে সয় না। আজ জিয়া উদ্যানের ব্রিজেও অনেক সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাতাসে পানির ছোটো ঢেউ গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো। হা করে দেখছিলাম তা। দুই তিন জন আংকেল এদিকে এসে এক্সাম করলো যে আমি আসলে কি দেখি? ভালোই লাগলো। আবার হেটে হেটে বিবিসি শুনতে শুনতে চায়ের দোকানে আসা। নান্নুর দোকান খুলে নাই। বারেকের দোকানে বসলাম। বারেক সাহেবের চা খেতে ভালো লাগে না। ভদ্রলোকের হাইজিন সেন্স শুন্যের কোঠায়। তাও মাসে এক দুইবার উনার দোকানে গেলে উনি অত্যন্ত খুশী হয়। যত্ন করে চা বানিয়ে খাওয়ায়। সেই চা খেয়ে ডেইলি স্টার কিনে আবার ১৬ মিনিট হাটতে হাটতে বাসায় ফিরলাম। পকেটে টাকা নাই। তাই প্রিন্স কিংবা তুবা হোটেলে নাস্তা করা হলো না। খিদার ভেতরে আমি ভালো লিখি তাই না খেয়েই অনেক সময় নিয়ে লিখছি এই পোস্ট।

আজ অনেক মানুষের জন্মদিনের মিছিল। কার্লমার্ক্স থেকে শুরু করে প্রীতিলতা অনেকেই জন্মেছে এই দিনে। একবার তো জোর গুজব ছিলো ৫মে দুনিয়াটাই শেষ হয়ে যাবে। আল্লাহর অশেষ হেফাজতে দুনিয়া টিকে আছে। আজ আমার জন্য সিগনিফিকেন্ট খুব। কারন আজ আমার তিন তিনটা বন্ধুর জন্মদিন। শুরু করি বাপ্পীকে দিয়ে। আমার জীবনে বাপ্পীর প্রভাব বলে শেষ করা যাবেনা। এখন এতো যে চায়ের দোকানে থাকি তার শুরু বাপ্পীকে দিয়েই। ক্লাস নাইন টেনে দেরীতে বের হবার কারনে আমরা দুইজনই ফুটবল খেলার সুযোগ পেতাম না। আর পেলেও যে খুব খেলতাম তাও না। কারন ফুটবলে গোলকিপিং বাদে আমি আর কিছুই পারি না। কি আর করা আমি আর বাপ্পী হেটে হেটে রেললাইনে শিপনের দোকান বা নেভী হাসপাতাল গেইটে আফজাল হোটেলে গিয়ে খেতাম কিমা পুরী আর চা। খাওয়াতো বাপ্পী আমি মাঝে মাঝে। পুরি খেতে যেনো ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিসে না পড়ি তাই পংকজ ভাইয়ের কাছে পড়ে টাকা দিতাম না। উনিও আমাদের কাছে কোনোদিন টাকা খুজে নাই। সেই তিনশো টাকা মেরে আমি হিসাব করতাম ৪০ টা পুরি আর ৩৩ টা চা। কিমাপুরী আর চা খাওয়াটাকে আমি আর বাপ্পী মোটামুটি শিল্পে রুপান্তর করছি। আরো টাকা পয়সা বাসা থেকে নিয়ে সকালে বনফুলের সমুচা আর বিকালে কিমাপুরী কি যে আনন্দের সময় বাপ্পীর সাথে কাটছে। বাপ্পী একটু লেডিস টাইপের ছেলে কিন্তু অসাধারন গল্প করতে পারতো। তার বাড়ী পাবনায়। তার গল্প শুনে শুনে আমার চোখে এখনো একটা পাবনার ছবি আছে। কোনোদিন যদি যাই মিলিয়ে নিবো। বাপ্পী ছিলো হিন্দী গানের পোকা। ওর অজস্র হিন্দী গান মুখস্থ করে এসে আমাকে শুনাতো। ওর আর আব্বু আম্মু আমাদেরকে এতো আদর করতো যে কোনো ঈদে বাপ্পী বাড়ী গেলে মনে হতো রামভোজটা মিস হয়ে গেলো। বাপ্পী সায়েন্সে আমি কমার্সে দুইজন ব্যাস্ত তাও আমাদের কিমাপুরি আর চা খাওয়া মিস হয় নাই অনেক দিন। যেদিন চিটাগাং থেকে ঢাকায় একেবারে আসি সেদিন অনেক মন খারাপ ছিলো নানান কারনে। তার ভেতরে একটা মন খারাপ ছিলো যে আর কোনোদিন ব্যাস্ত সন্ধ্যায় বাপ্পীর সাথে চা খাওয়া হবে না। এরপর আমি যতোবার চিটাগাং গেছি বাপ্পী শত ব্যাস্ততাতেও অনেক দূর থেকে আমার সাথে দেখা করছে আমরা সেই চা পুরিতেই ফেরত গেছি। জন্ম দিনের শুভেচ্ছা দোস্ত। যোগাযোগ কম হয় তাও তোর মতো বন্ধু পেয়ে আমার অনেক আনন্দ। জানি তোর খারাপ সময় যাচ্ছে, গার্লফ্রেন্ডের অন্য লোকের সাথে বিয়ে হয় গেলো আর চাকরীটাও নাই তাও দোয়া করি ভালো থাক। এরপরেই আসি এহতেশামের কথায়। আমার ঢাকা জীবনের অন্যতম সেরা বন্ধু। খুব ইসলাম মনস্ক। তাই তাকে উইশ করবো না। তবে আমার অন্যতম সেরা সময় কাটছে ওর সাথে। চিটাগাংয়ে একি কলেজে পড়লেও ঘনিষ্টতা ফেসবুকের একটা গ্রুপে। তারপর কতো গল্প। ওর মুখে কলিজিয়েটে স্কুলে গল্প ওর বন্ধুদের গল্পে মাতোয়ারা ছিলাম। ওর যারা বন্ধু কিভাবে জানি তারা আমারো বন্ধু হয়ে গেলো। বিশাল সার্কেল। আগে মনে আছে প্রত্যেকটা সন্ধ্যায় আড্ডা মারার জন্য ওকে বাসা থেকে ডেকে আনতাম। লিমিটেডের ৫ এর লোকজনের মোটামুটি জানা হয়ে গিয়েছিলো আমি আসবো আর এহতেশাম এহতেশাম বলে চিল্লাবো। এখনো অনেক সময় কাটে ওর সাথে। কিন্তু আগের সেই প্রান পাই না। চাকরী নিয়ে বিজি তাই অফিস নিয়ে গল্প করে বলে হয়তো বোর হই। তাও তার মতো বন্ধু নাই। কত অজস্র প্ল্যান আমাদের ব্যাবসা করার সব প্ল্যান হয়েই পড়ে আছে। আমাদের বন্ধুত্বটাও টিকে আছে অনেকদিন যাবত। শেষ যার কথা বলবো সে আমার দুই তিন মাসের বন্ধু ব্লগের সবাই চিনে সামিয়া। সামিয়ার সাথে আমার বন্ধুত্বতা অদ্ভুদ। পিকনিকে দেখে মনে হইছিলো ছোটো মানুষ। তাই বড় ভাইগিরি মারকা কথাবারতা দিয়ে শুরু। পরে জানলাম সে আমার ব্যাচেই। আসতে আসতে সময় গেলো। ফেসবুকে অনেক কথা হতো। আস্তে আস্তে তা এসেমেসে রুপ নিলো। কঠিন বন্ধুত্ব। মোবাইলে সামিয়ার এসেমেস না আসলে মনে হতো কি হলো আজকে ওর? তখন ওর শেষ সেমিস্টার চলে। ভার্সিটিতে কি হচ্ছে না হচ্ছে সব জানতাম। আমার যতো বিষন্নতা তার সবটুকুই ওকে জানাতাম। যদিও অনেক কিছুই বলতো না আমার মতো। তাও দারুন ছিলো ফেব্রুয়ারী মার্চ এপ্রিলের দিন গুলো। মধ্যে ও ইন্ডিয়া গেলো কাজে। কয়েকদিন এসেমেস হবে না ভেবেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। মোবাইলে কথা হতো না, দেখাও করতে ইচছা করতো না খালি এসেমেস ফেসবুকেই অজস্র আলাপ। কিছুদিন আগে তার বিয়ে হয়ে গেলো। এসেমেস হয় না আগের মতো। হয়তো ভীষন বিজি সে। তাও তাতাপু সুমি আপুর কাছ থেকে ওর খোজ নিতে ভুলি না। সামনেই ইন্টার্নশীপ সেখানেও ব্যাস্ততা থাকতে পারে। যাই হোক ভালো থাকুক বন্ধু আমার। নতুন সংসার নতুন জীবন সুখের হোক। আমি খুব আশা করবো কোনো একদিন আমরা দুইজন আবারো আগের মতোই এসেমেসে অজস্র বন্ধুত্বমুলক আলাপে জমে তুলবো সব কিছু। আজ তানবীরা আপুর নোটটা পড়ে খুবই মন খারাপ হয়ে গেলো। আপুর নস্টালজিয়া কিছুটা হলেও গ্রাস করলো আমাকেও! আমার নস্টালজিয়া আমারই থাক অনেক সুখে থাকুক সামিয়া!

পোস্টটি ১২ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

শওকত মাসুম's picture


আবুল হাসান ভোরে মরতে চেয়েছিল। খুব ভোরেই মারা যান তিনি। তবুও শান্তর মুখে এসব ইচ্ছার কথা শুনতে ভাল লাগে না।

সামিয়াকে শুভেচ্ছা জন্মদিনে। পিচ্চি মেয়েটা বিয়ে করলো কবে আবার? জানি না তো!

আরাফাত শান্ত's picture


যে অনিয়ম এমনিতে আলসারেই মরবো তা ভোরে না রাতে জানি না
Laughing out loud

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


সামিয়া আপু কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বাপ্পী ভাই আর এহতেশাম ভাই কেও।

সামিয়া আপু বিয়ে করে ফেলসে?!
দাওয়াত না দিলে নাই
এবিতে একটু আওয়াজও দিল না!
আমাদের মায়াবতী আপুর কাছে এমনটা আশাই করিনাই, কষ্ট লাগতেছে বেশ!

তবুও দোয়া করি
প্রিয় আপুটার জীবন কাটুক অসীম শান্তি আর অপরিসীম আনন্দে।

আরাফাত শান্ত's picture


তোমার দোয়া কবুল হোক!
এবিতে সবাই আসে হুদেই কেউ তেমন আর আপন ভাবে না!

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


Sad

তানবীরা's picture


দাওয়াততো এখনো কাউকে দেয়া হয় নাই। শুধু পেপার ম্যারেজ হয়েছে। দাওয়াত জুলাইয়ের পাচ তারিখ

চিন্তক's picture


আপনার লেখাটা পড়ে আমার তিন ধরণের অনুভূতি হল।

১- আমি এই ব্লগের দু'জন লেখকের রীতিমতো ফ্যান হয়ে বসে আছি। আপনি তাদের একজন।

২- পাঞ্জাবী-টাঞ্জাবী পড়ে এলোমেলো পথে ঘুরে বেড়ান, বান্ধবীর নাম আবার রূপা, সত্যি করে বলেন তো আপনার পাঞ্জাবীর রং কি?

৩- বাপ্পী নামটা শুনে আঁকুপাঁকু করে খুঁজছিলাম আমার সাথে কোন মিল পাওয়া যায় কিনা! আমিও বাপ্পী কিনা! মিল অবশ্য একটা পেলাম। নেভী হাসপাতাল গেইটের সামনে দুই নম্বর কলোনিতে দীর্ঘ ৫ বছর ছিলাম আমরা। সেই ক্লাস সেভেন থেকে ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ার পর্যন্ত।

আরাফাত শান্ত's picture


১। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
২। এই রুপা শুধুই বন্ধু আর সে প্রভাবশালী বড়লোক কারো কন্যা না হিমুর নায়িকার মতো। পাঞ্জাবী যা পাই তাই পড়ি রং চঙ্গ নিয়ে ভাবি নাই
৩। সব চাইতে খুশি হলাম। আমার কিশোর বেলার এলাকায় কাউকে পেয়ে। কমেন্টটা পড়েই আহলাদিত হইছিলাম খুব। যে ব্লগেও ফেসবুকের টেস্ট পাওয়া যায়।

shamseer's picture


লেখাটা পড়ে মনে পড়ে গেল, ফেবুতে হঠাত একদিন এক অচেনা মেয়ের রিকু, আমার তোলা ছবি তার কহুব ভাল লেগেছে, তাই রিকু দিছে। এরপর থেকে বলতে গেলে যত জায়গায় গেছি সব গল্প তার সাথে করা হত, সে বিডির কিছুই দেখেনি, তাই তার জানার আগ্রহ আমি মিটাতাম, কথা বার্তা হত শুধু ঘোরাঘুরি আর দেশে কি দেখার আছে তা নিয়ে।প্রায় বছর দুই, হঠাত একদিন সন্ধ্যায় ফেবুতে মেসেজ দিল, শুনেন- আজকে আমার হলুদ আকদ সবই হবে, বাকিটা পরে জানাব । । প্রেম বা ভালবাসা কিছুই হয়নি, কিন্তু মনটা কহারাপ হয়ে গেল, আমার অবসরে তার সাথে আর গল্প করা হবেনা এটা আমি বুঝে গেলাম। কয়দিন পর জানাল সব, শুভকামনা করলাম। এরপর হাই হ্যালো বন্ধ হয়ে গেল , জানাল সে বিজি । । Smile
মেম সাহেব গল্পের কথা মনে পড়ল, চিঠি তে তাদের যোগাযোগ আর আমাদের ছিল ফেবুতে ।

মাথায় আছে এই নিয়ে একটা বড় গল্প লেকহব যেটাতে পুরা বাংলাদেশের বর্ণনা থাকবে, সময় হইতেছেনা ।

১০

আরাফাত শান্ত's picture


ফেসবুকে যখন মেসেজ পাঠায়ছিলেন তখনি অবাক হইছিলাম। আমার এই সামান্য পোস্ট টোস্ট পড়েও কারো কিছু মনে পড়তে পারে তা জানা ছিলো না। ভালো থাকবেন ভাইয়া। গল্প লেখেন দ্রুত। ভালো থাকেন আলফী কে নিয়ে!

১১

আহসান হাবীব's picture


আমি খুব আশা করবো কোনো একদিন আমরা দুইজন আবারো আগের মতোই এসেমেসে অজস্র বন্ধুত্বমুলক আলাপে জমে তুলবো সব কিছু।@
না বন্ধু,
যদিও আমি আপনাদের মাঝে নতুন আমি তা চাই না। আমি চাই আপনার একটা ভাল চাকরি হবে। আর এস এম এস নয় নতুন সাথি কে নিয়ে নতুন জীবনে অবগাহন করবেন। জীবনটা যে সত্যি কত সুন্দর তা লেখায় প্রকাশ সাধ্যাতীত। শুধু তখনি বুঝতে পারবেন।
আর তখন জানাবেন, আমার বাসায় দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।

১২

আরাফাত শান্ত's picture


থ্যাঙ্কস। ভালো থাকবেন!

১৩

তানবীরা's picture


একজন বাদে আর কাউকে এসেমেস করি নাই। কারন এসেমেস করা বেকার। করলেই রিপ্লাই আসে, কথায় কথা বাড়ে, না করলে সাধারনত কেউ খোজও নেয় না।

অনেক তাড়াতাড়ি জেনে গেছো জীবনের কঠিন সত্য

কারো খোজ খবর প্রতিদিন নিলেই মনে করে কোনো ধান্দা আছে আমার মনে?

তুমি তোমার মতো থাকো। কে কি ভাবে তা নিয়ে ভাবার তোমার কি দরকার?

আমার বন্ধু রুপা আমাকে জিগেষ করছিলো গতোকাল তুমি তো মোটা না তাহলে হাটো কেনো আরামের ঘুম বাদ দিয়ে?

একসারসাইজ সুসথ থাকার জন্যে দরকার, মোটা চিকনের জন্যে না

১৪

আরাফাত শান্ত's picture


মন্তব্য গুলা সত্য বলেছেন বুবুজান!

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

আরাফাত শান্ত's picture

নিজের সম্পর্কে

দুই কলমের বিদ্যা লইয়া শরীরে আমার গরম নাই!