ইউজার লগইন

ফ্রীডম ফাইটার

মন মেজাজ আজকে খুব ভালো। আবহাওয়ার মতোই মিস্টি। তবে আজ অকারনেই মন ভালো। আমার দুটোই হয়। অকারনে মন ভালো হয়, অকারনেই মন খারাপ হয়। তবে সব কিছু ছাপিয়ে কিছু কাজগুলোতে আমার মন মেজাজ খারাপ ভালো থাকা কোনো প্রভাব পড়ে না। তার মধ্যে প্রথম হলো চা খাওয়া। চা সবাই পান করে আমি খাই। দিন যতো বিষণ্ণই হোক আর যতো হইহুল্লোরের মধ্যেই থাকি না কেনো চা খাওয়া মিস নাই। চা খাওয়া মানে সবাই ভাবে ১-২ কাপ। এখানে কয় কাপ খাওয়া হলো তা ব্যাপার না। চা টা পারফেক্ট হলো কিনা তাই ব্যাপার, আমার চা পারফেক্ট হবার প্রধান শর্ত হলো চা অবশ্যই শেষ দিকের লিকারের চা হতে হবে। আমি ফাস্ট লিকারের চা খেতে পারি না কেমন জানি গরম পানি গরম পানি লাগে। তারপর দুধ চিনি অত্যন্ত কম। আমার জন্য একটা কাপ আছে সেই কাপ ভর্তি করে চা টা আসবে। আমি প্রথমে গন্ধ নিবো তারপর আস্তে আস্তে সময় নিয়ে তা খাবো। ওতো তাড়াহুরার কিছু নাই। রিল্যাক্স। আমি তাড়াহুড়ায় চা খাইনা। তবে ইদানিং নান্নু বিয়ের পর থেকে পারফেক্ট কম্বিনেশনের চা বানাতে পারে না। তাও চেষ্টা করে খেয়ে জানিয়ে দেই জোর করে খাইলাম। তিনি বলেন মামা এতো কষ্ট করে চা বানিয়ে দেই যখন বলেন হয় নাই তখন আমার চিত্তে কষ্ট লাগে। এই চিত্ত মানে উনি বুঝাতে চাইতেছেন অন্তরের ভেতরের কোনো জায়গা যেখানে কষ্ট সুখ জমানো থাকে। আমিও তার চিত্তে কষ্ট দিতে চাই না। যাই বানায় ভালো না লাগলে অর্ধেক খেয়ে গোপনে ফেলে দেই। উনি তাও গোয়েন্দাগিরি আইডিয়া ছাড়েনা। বলে মামা এতো জলদি কেমনি খাইলেন? আমি বলি বেশী তেস্টা পাইছিলো তো তাই জলদি শেষ করছি। হুমায়ূন আহমেদের একটা বই ক্লাস সেভেনে এইটে থাকতে পড়ছিলাম সেখানে বদরুল নামের এক চরিত্র থাকে। যার ইচ্ছা পুরা বাংলাদেশে এ মাথা থেকে ও মাথা সব চায়ের দোকানে চা খাবে ঘুরে ফিরে। শুরুও করছিলো তারপর কিভাবে জানি নিরুদ্দেশ হয়ে যায় একেবারেই। উপন্যাসটা দারুন। নাম মনে হয় মন্দ্রসপ্তক। শেষে যখন ছেলেটার ফাসি হয় আমি হাউমাউ করে কেদেছিলাম। আমি তিন গোয়েন্দা মাসুদ রানা কিছুই পড়ি নাই খালি মেট্রিক পর্যন্ত ঐসব গিলছি। সেই আইডিয়াটা আমার মাথায় ছিলো। ঢাকায় এসেই ভার্সিটিতে এডমিশন নিয়েই প্রচুর দোকানে চা খাইছি। তবে ভালো লাগতো না। তাও খাইছি। বাসায় চা বানিয়ে যে হাত পাকিয়েছিলাম সেরকম চা পাওয়া যায় না। ২০০৯ থেকে আমি পারফেক্টশনিস্ট চা খোর হলাম। করম আলীর দোকান বাদে আর কোথাও চা খাবো না। ভার্সিটিতে গনি নামের এক দোকানদারের চা গিলতাম স্রেফ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে। এছাড়া পারফেক্ট চা ছাড়া খেতাম না। করম আলীর চা বানানোর হাত ওয়ারল্ড ক্লাস মানের। তার লিকারটা যা অসাধারন খেলে খালি খেতেই ইচ্ছা করবে। করম আলী চলে গেলো আসলো দেলোয়ার তারপর নান্নু। সবার কাছেই আমি একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করে ফেললাম। নিতান্ত উপায় না থাকলে আমি অন্য কোথাও চা খেতাম না। আর নানান জায়গায় চা খাইছি মুলত মুখ শুকায়গেছে বা আড্ডায় বসে থাকতে হবে তাই আজাইরা চা পান। তবে চিটাগাংয়ে গেলে বিপদ। সেখানে এতো দুধ চিনি দেয় খেতেই অসহ্য। বন্ধুদেরকে জানালেই বলা শুরু করে আগে এই চা খেতেই ছিলি দিওয়ানা। এখন ঢাকায় যে ভাব বাড়ছে! কিভাবে বুঝাই ইহা ভাবের কিছু না। আমি চা খেলে পারফেক্ট চা খেতে চাই। অনেকেই গরুর দুধের চা লাইক করে। কিন্তু ঢাকা শহরে গরুর দুধের নামে কি দেয় তা আমি হাড়ে হাড়ে জানি। দুধ, মালটোভা, কন্ডেন্স মিল্ক, ময়দা সব জাল করে বানানো হয় সর ওয়ালা গরুর দুধ। আবার অনেকে নাকি আগে টিস্যু পেপারও ইস্তেমাল করতো। আমাদের এখানে এক গরুর দুধের চা বিক্রেতা আছে নাম গোপাল। গোপালের বউয়ের বিশাল পেট চুলকিয়ে যখন চা বানায় তখন ইয়াক ইয়াক খালি বমি আসে। সেই গোপালের চা লোকজন চেটেপুটে গিলে। আমার এই সব বর্ননা শুনলে লোকজন ভাবে আমি বোধহয় হিন্দু বিদ্বেষী। আসলে এইখানে বিদ্বেষ বুদ্দেস কিচ্ছু নাই ওই ধুপের গন্ধ আর গোপালের বউ দুয়ে মিলে আমার বমি আনার জন্য যথেষ্ট।

চা দোকানের কথা বলতে যায়া পুরা ইতিহাস ব্লগে দিয়ে দিলাম। এবির প্রথম দিকে আমি যখন চা টা নিয়ে পোস্ট দিতাম। সবাই বলতো চা খাবো খাওয়াবো কত আলাপ। আমার মনে আছে চায়ের দোকান নিয়ে এক পোস্ট দিয়ে কতো যে চায়ের দাওয়াত পেলাম আর দিলাম। অথচ কেউ এলো না। এরকমই হয় ব্লগে। সবাই বলে ওমুক ওমুক। বাস্তবে দেখা হলে কবে? হায় আল্লাহ, আমার তো মনেই নাই। তাই অনেক কাল আগে আউলা আপুরে আমি বলতাম ব্লগের কোনো কিছুতেই সিরিয়াস হবার মানে নাই। কিন্তু এখন ব্লগে সবাই সিরিয়াস। সিরিয়াস ভাবে সমাজে এখন ব্লগার নামের একটা পাতি বুর্জোয়া শ্রেনী খাড়ায়া গেছে। আমি অবশ্য নিজে ব্লগিং ভালোবাসি নিয়মিত সব ব্লগেই ঢু মেরে আসি, তবে নিজেকে অনলাইন এক্টিভিস্ট পরিচয় দেই না। আমি একজন গড়পড়তা সাধারন মানুষ। কারো কিছু করলে লাইক দেই কাউকে ভালো না লাগলে রিমুভ করি বা চুপ থাকি। নিজের মতো পড়াশুনা চিন্তা আড্ডাবাজী চালাই। মাঝে মাঝে তা জানাই ব্লগে ফেবুকে। অনেকের তা ভালো লাগে না। কারো তা ভালো লাগে এতোটুকুই। অনেকে আমাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করে বলে আমরা নাকি সংশয়ী। এইসব সংশয়বাদ টংশয়বাদ বলা অর্থহীন। কারন সবাই একরকম হবে না। একেকজনকে শুধু জী হুজুর বলে তার সাইড নিয়ে নিজের এক্টিভিজমের প্রমান দিবে না। আর বেশী লাইক দিয়ে কি হয়! নিজের বিপদে পাশে থাকবে রিয়েল লাইফ বন্ধু আর আত্মীয় স্বজনরাই। বাকী সব ভোগাস তারপরও অনেকের সাথে সম্পর্ক হয়, অনেককে ভালো লাগে তাদেরও আমাকে ভালো লাগে এই ভালো মন্দ লাগালাগি নিয়েই অনলাইন জগত থেকে কেউ কেউ রিয়েল লাইফেও ভালো বন্ধু হয়। আমারও সেরকম কিছু ভালো বন্ধু বড় ভাই আপুরা আছে যাদের আমি অত্যন্ত ভালো পাই। তারা আমারে পাত্তা টাত্তা তেমন না দিলেও সমস্যা নাই তাদের সাথে রিলেশন রাখতে পারা আমার জন্য আনন্দের।

কি আজব! কি লেখা শুরু করলাম এইসব। বিষয় থেকে ক্রমশো দূরে সরে যাচ্ছি। যার কথা বলার জন্য পোস্টের শিরোনাম উনার সাথে আমার পরিচয় নান্নুর দোকানেই। সম্ভবত কোনো এস্তেমার আগে ভাগে উনি চায়ের দোকানে আসছিলেন। শীতের দিন। কোর্টের এক কোনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যাচ। জিগেষ করলাম বাড়ী কই জানালো ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। এখানে আসছে মেয়ের কাছে। মেয়ের জামাই ড্রাইভার। তারপর যখনি দেখা হতো তখনি চা বিস্কুট পান খাওয়াতাম। কোনো টেনশন ছাড়া। তারপর টুকটাক টাকা চাইতো তাও দিতাম। উনি গল্প করতো উনারে কারওয়ান বাজারে কোন বিশাল চাকুরে তাকে নগদ ১০০০০ টাকা কিভাবে দিছিলো, জাকির হোসেন রোডের কোন বাড়ীওয়ালার কাছে গেলেই কিভাবে উনাকে অনেক সমাদর করে টাকা দেয় তার আলাপ, ফরিদপুরে কোনো দারোগা তাকে কেমন ইজ্জত দিছে তার আলাপ। তখনো বুঝি নাই এগুলার মানে কি? ভাবতাম জাতি্র ভেতরে অনেকেই এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের খুব সম্মান দেয় তা খুব আশার কথা। সেইবার ঢাকা ছাড়ার আগে চাচার ইনহেলার শেষ। তখন আমার পকেটে খুবই আকাল। তাও উনাকে মান্ধাতা আমলের প্রেসক্রিপশন দেখে ইনহেলার আর ওষুদ পত্র মিলিয়ে চারশো টাকার কিনে দিলাম। তিনি বাড়ী চলেন আর আমি পাইলাম ব্যাপক আনন্দ। দেশের সামান্য একজন মানুষ হয়েও একজন ফ্রীডমফাইটারের জন্যও তো কিছু করছি। এবার উনি এলেন। গায়ে তার অলটাইম ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী। তার নিচে লাল টকটকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোগোওয়ালা গেঞ্জী। ভালোই। সব সময়ই উনি সার্টিফিকেট কাগজ পত্র নিয়ে ঘুরেন। ৬৫ বছরের উপরে উনার বয়স। এবারো তাকে সেই আগের মতো চা পান বিস্কুট খাওয়াচ্ছি। তবে আমাদের চায়ের দোকানে হাইপ্রোফাইল না হলেও মধ্যম প্রোফাইল অনেক লোকের আশা যাওয়া। তারা কেউ ব্যাংকার, আমার মতো বেকার আর কেউ ছাত্র কেউ ব্যাবসায়ী। চাচাকে দেখে সবারই মায়া লাগে। সবাই উনার গল্প শুনে। সবাই তাকে বেশুমার চা পান খাওয়ায় তিনিও নিয়ম করে খান। এবারো আমি নেটের লোডের টাকা দিয়ে তাকে ইনহেলার কিনে দিলাম। সেই দেশসেবার ফিলিংস নিয়ে। কিন্তু দুইদিন পরেই শুনি চাচা তানভীরের কাছে টাকা চাইছে বাড়ী যাবে বলে তানভীর দিছে ৫০০। সবার কাছে পারসোনালী ইনহেলার কেনার টাকা চাইছে সবাই গোপনে গোপনে দেয়া শেষ। আদনানেরটা বাকী ছিলো। আদনান আমাকে দিলো টাকা। আমি তো জানি না কিছুই। আমিও টাকা চাচাকে দিয়ে দিলাম আদনানেন নাম বলে। চাচা আবার আদনানের কাছে টাকা চায়। আমিও সেই সময় এসে হাজির। আমি বলি আপনাকে দিলাম না টাকা ভুলে গেছেন? উনি বললো হ, হ দিছে তো শান্ত মামা। আমি ভাবছি শান্ত মামা আবার দিছে। চাচার এই কান্ড কাহিনী নিয়ে সবাই খুব হতাশ ছিলো কাল। আমার কাছে দেয় বিচার। আমি দিলাম জ্বালাময়ী এক বয়ান। "যে চাচা অরজিনাল মুক্তিযোদ্ধা তাতে কারো কোনো সন্দেহ নাই। থ্রিনটথ্রি বন্দুক তিনি জমা দিছেন ৭২-৭৩য়ে তারও ডকুমেন্টও আছে। চাচার মুখে শুনা জাতির পিতা নাকি তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলছিলো 'সবাই নাকি আগে বলতো ফরিদপুরের মানুষ সব চোরের দল আর ভীতু। তোরাই প্রমান করছোস কত বড় গাজী তোরা!' জানি না তা সত্য কিনা! তবে চাচা ভাতা পায় তিন মাসে ৬হাজার। এই ছয় হাজারটাকা আমাদের অনেকের এক বা দুই মাসের চা দোকানের খরচ। চাচা যা বলুক কেউ তার পালটা জবাব দিতে যাবেন না। সম্ভব হলে টাকা দিবেন। না হলে বুঝায়া দিবেন আমাদের হাতে টাকা নাই। বেয়াদবী করা যাবে না। চাচা চায়ের দোকানে যা বিল করবে আমরা খুশি মনে তা সেধে দিবো। টাকা চাইলে যদি দেয়ার মতো থাকে দিবো। কারন আমি আপনে শত জীবন সংগ্রাম করে অনলাইনে বালছাল তলাইলেও একজন ফ্রীডম ফাইটার হতে পারবো না। এই রাষ্ট্র তাদের উপযুক্ত সম্মান দিলো না সেইটা তাদের ফেইলোর। তিনি মিথ্যা বলুক, অভিনয় করুক সব হাসি মুখে মেনে নেয়াই ভালো। কারন পরিস্থিতি উনাকে বাধ্য করছে। তারজন্য দায়ী আমরাই। কবরে দাফন করে পুলিশ স্যালুট পাওয়ার আগে বাস্তবে সামান্য খেদমতও যদি আমরা করি তাতেও নিজেদের কিছুটা হালকা লাগবে! এই ভাষন দেয়ার পরে তিনজন লোক তালি দিছিলো। জীবনের প্রথম মনে হয়ছিলো নেতা খেতা হলে খারাপ হতো না। চাচার যে কাহিনী যে বাক্য গঠন যে জীবন কাহিনী সালাউদ্দিন লাভলু থাকলে ইনস্ট্যান্ট নাটক বানাতো। যারা ভালো গল্প লিখে দারুন এক গল্প হতো। আমি কিছুই করতে পারি নাই তাই চায়ের দোকানে বয়ান দিয়েই ঠান্ডা হইছি। কাল রাতে ভাতে উঠছিলো পিপড়া খেতে পারি নাই। সকালে দেরীতে উঠে খেলাম সিংগারা। তারপর পারফেক্ট সব দুধ চা খাওয়া তিন ফুল কাপ। তারপর রবি তেজার বাল ছাল ছবি দেখতে দেখতে পুইশাক আলুর তরকারী দিয়ে ভাত খেয়ে গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রনায় তুমুল অস্থিরতা। তা নিয়েই লিখলাম এই পোস্ট। আমি এতো সমস্যা এতো যন্ত্রনার ভেতরে আজাইরা পোস্ট লিখে যাই। আর লোকজন তা পড়ে সামান্য লগইন করে কমেন্ট করতে পারে না। এরচেয়ে দুঃখের আর কিছু নাই। এবি ব্লগে পিঠ চাপড়ানো তো দূরে থাক যে হারে কমেন্ট কমতেছে তারপরেও যে লিখি তা নিতান্তই নিজে অনেকটা বোকা মানুষ বলে!

পোস্টটি ৯ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


আহ! চায়ের প্রতি এমন আবেগ দেখলেই মন ভালো হইয়া যায়। এক্কেবারে আমার মনের মত কথাবার্তা সব।

মূল লেখার জন্য কিছু কমু না,
স্যালুট ইমো থাকা প্রয়োজন ছিল।

মন খারাপ কইরেন না ভাই,
বড় ভাই আপুরা সব জীবন নিয়া বিজি তাই হয়তো ইচ্ছা থাকলেও কমেন্টানোর সময় আর মুড টা পায় না।

নিওয়ে, তবুও লিখতে থাকেন।
যারা পড়ার তারা তো অন্তত পড়ে।
আর যয়দিন আপনের পোস্ট আছে
আমার কমেন্টও আছে ইনশাল্লাহ!

আরাফাত শান্ত's picture


তাই যেনো হয় Big smile
অনেক অনেক ভালো থাকেন ছোটোভাই। পড়াশুনা করে দেশ জাতি উদ্ধার করেন। ভালো সিনেমা দেখেন আর ভালো গান শুনেন।

সাঈদ's picture


এবি ব্লগ হইলো অতিথি দের ব্লগ , বুঝতে হবে।

আরাফাত শান্ত's picture


ভালো ভাবেই তা বুঝি। তবুও মাঝে মধ্যে আক্ষেপ করেই এগুলা বলা।
ভালো থাকেন ভাইয়া। অনেক দিন আপনার পোষ্ট নাই!

Reza's picture


এইভাবে শরীরের উপর টর্চার করা ঠিক না।
চাচার গল্প শুনে ভালো লাগল।

আরাফাত শান্ত's picture


রেজা বন্ধু আমার কি অবস্থা? অনেকদিন পর আসলা! অবশ্য আগের মতো লিঙ্ক দেয়া হয় না Stare

আহসান হাবীব's picture


শান্ত ভাই, আপনেও মিছা কথা কইলেন। চা কিন্তু আমিও খাই, অনেকেই খায়। যাওগ্যা, আফনে যেদিন বালা একখান চাকরি পাইবাইন আমারে চায়ের দাওয়াত দিলে আইতাম।
শেষের দিকে মনটা খারাপ কইরা দিলেন।
ঢেঁকি নাকি সব স্বর্গে গেলেও বারা বানে। তাই আফনেও লেহা ছাড়তে পারবেন না। এইডা যতদুর বুঝছি এইডা আফনের রক্তে লাইগ্যা গেছে।
তাই আমি যেমন ভাবি, কেউ পড়ুক না পড়ুক, বালা দেউক না দেউক লেখবই।

আরাফাত শান্ত's picture


ভালো থাকেন ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা Tongue
দোয়া কইরেন যতোদিন ভালোলাগে ততদিন যেনো লেখতে পারি ব্লগে!

রাসেল আশরাফ's picture


আমি চা তেমন একটা খাই না। আমাদের বাসাতে চা য়ের চলও নাই। এখানে আসার পর মাঝে মাঝে বানিয়ে খাই কিন্তু ইদানিং খালি চা খেতে ইচ্ছা করে। তবে আমার আশেপাশে তোমার মতো অনেক চা খোর আছে।

চাচার গল্প পড়ে আমার ভালো লাগে নাই। দেশকে ভালোবেসে যদি কেও যুদ্ধ করে তবে সেই দেশ বা রাষ্ট্র তার সব দায়িত্ব নিবে এটা আমাদের মতো দেশের জন্য চিন্তা করা একটু কঠিনই।

১০

আরাফাত শান্ত's picture


দোয়া করি চায়ের প্রতি আপনার ইন্টারেস্ট বাড়ুক। যে রন্ধন প্রতিভা আপনার আছে তা দিয়ে আপনাকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। চাচার গল্প আসলে দুই ভাবেই ভাবা যায়। তবে এখন উনি খুব মুরুব্বী তাই তার কাহিনী মেনে নিছি আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাবো। কতো কিছুই তো জলে যায়!

১১

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


সিরিয়াস ভাবে সমাজে এখন ব্লগার নামের একটা পাতি বুর্জোয়া শ্রেনী খাড়ায়া গেছে।

১২

আরাফাত শান্ত's picture


Smile
ভালো আছেন? আপনাকে দেখিই না? থাকেন কই?

১৩

তানবীরা's picture


এবিতে সেলফ মোটিভেশনে লিখতে হয়, মোটিভেটেড হওয়ার এখানে কিছু নাই। সবাই ফেবুতে গুতাগুতি করবে। আমরা যারা মায়া কাটাইতে পারি না, তারা পড়ে থাকবো এখানে। জনম লগন থেকেই এবির এই সমস্যা আর এটা কোনদিন কাটবে বলে আমার মনে হয় না

১৪

আরাফাত শান্ত's picture


অত্যন্ত দামী কথা বলেছেন রে আপু। কি আর করা। তবে আপনার মতো ব্লগার আর নাই এবিতে যে সবার প্রতি পোস্টেই কমেন্ট দেয়। টাইম পাইলে লেইখেন। বড়োই ভালো হয়!

১৫

লীনা দিলরুবা's picture


আমার চা-খাওয়া মানা। গলায় ছুরি চালাইলেও এত কষ্ট পাইতাম না। Sad

১৬

আরাফাত শান্ত's picture


আমি হইলে মইরাই যাইতাম এই দুঃখে! কি আর করা!

আপনে বাইচা থাকেন, ভালো থাকেন যত্নে রাখেন নিজেকে ও সবাইকে Laughing out loud

১৭

শওকত মাসুম's picture


আমিও চা খাই না

১৮

আরাফাত শান্ত's picture


দারুন অভ্যাস ভাইয়া!

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

আরাফাত শান্ত's picture

নিজের সম্পর্কে

দুই কলমের বিদ্যা লইয়া শরীরে আমার গরম নাই!