পুলওভার
শীত হামা দিতে আসছে গুটি গুটি পায়ে, ছুটির দিনের জমানো কাজের সাথে যোগ হলো নতুন ব্যস্ততা। তুলে রাখা গরম কাপড়গুলো দেখছে রোদ, ভাঙছে বছরের আড়মোড়। নানান কাপড়ের মাঝে সুটকেসের তলায় হালকা বাদামী রঙের কাপড়টার আভাস এক লহমায় মনকে দারুন এক আনন্দের আবেশে ভরিয়ে দিলো।
বন্ধুদের হাসিঠাট্টা সত্ত্বেও বঙ্গবাজার থেকে সস্তা এই পাতলা পুলওভারটা কিনতে মন টেনেছে এর আজব ডিজাইনের জন্যেই। বুকের মাঝ বরাবর সোনালী এক জ্যামিতিক নকশা, সেটা আবার একটা ছোট্ট পকেট! যাই হোক পুলওভারটা আরামদায়ক। সেবার হাসিঠাট্টার ঐ ছোট্ট পকেটে থেকে ভাইব্রেশন মোডে মুঠোফোনটা প্রায়ই বাজতে থাকত, রাতে ইচ্ছে করেই রিসিভ করা হতো না। শেষে টেক্সট আসতো কিবা অনেক বারংবারের পর রিসিভ করতেই ধমকি - "এ্যাই ফোন ধরো না কেনো?"
কোন একটা নাটকে দেখা দৃশ্যে ছিলো - কাছে এসে বসা ছেলেটাকে মেয়েটা বলছে "কইছি না হইরা বহো, তুমি কাছে আইয়া বইলে ভাইব্রেশন মোড আহে!!!" দৃশ্যটার চেয়ে বিপরীতভাবে, রাত নিঝুমে পুলওভারের ওই পকেটে ক্রমাগত বাজতে থাকা মুঠোফোনের ভাইব্রেশন মূহুর্তে নিয়ে আসতো ওকে কাছে। তিরতির করে পুরো আবেশ জুড়ে বইতো ও। আকাঙ্খিত চিঠি হাতে পেয়েও না পড়ে, তারিয়ে তারিয়ে চিঠির অনুভূতি অনুভবে নেয়া, স্পর্শ করে থাকা, ভাবখানা এমন যেন পড়ে ফেললেই শেষ। হাসি দিয়ে ওর ধমক খেতেও মোটেই খারাপ লাগত না। কখনো বলা হয়নি ওকে এই ছেলেমানুষি ব্যাপারটা, হাস্যকর ওই মূহুর্ত একান্তই নিজের।
ছেলেবেলা না বুঝে ভেঙে ফেলা চড়ুইয়ের বাসাটা ঠিক করা, গাছ থেকে হাড়ি ভেঙে খেজুরের রস খাওয়া,কলেজে ওঠার আনন্দ, সুনির্দিষ্ট কারোর হাসামাখা মাড়াকাড়া চোখ - কিছুই রয়ে যায় না হাতের মুঠোয় কিন্তু মনের মনিকোঠায় থাকে তাদের ঘিরে থাকা সুখস্মৃতিরা, শতকষ্টেও অটুট থাকে। ছোট্ট কোন ইশারাতেই তারা জ্বলজ্বল হয়ে মনকে খানিকের জন্যে হলেও সুখের ভেলায় ভাসায়। তেমনি অবহেলার এই পুলওভার ভাসিয়েছে সেইসব ছোট্ট একান্ত আপন হাসিতে। বিরক্তি, দু:খকে বিস্মৃত করে এই চটজলদি আনন্দটাই বড়, হোক না আজ দু'জনের চলা ভিন্ন পথে ভিন্ন ভিন্নজনের সাথে।
(এটা একটা পুরোনো লেখা.... মন চাইলো দিতে)
পুরান লেখা দেবার জন্য মাইনাচ ( তয় এবারই পত্থুম পড়লাম)
মাইনাস জমায়ে রাখলাম. ..আরও একটা পাইলে প্লাস বানায়ে ফেলবো
আমি কি তোমার পুরান লেখাগুলো আগে পড়ি নাই?
লিখতে লিখতে লেখক... (হইয়া যাইবা) ইনশাল্লাহ
আররে! আপনে এত্তো মহামোটি থুক্কু মহামতির পুরান লেখাগুলা পড়েন নাই??!!!! মনতো টুরকা টুরকা হইয়া গেলো.....
লেখাটা (স্মৃতিচারণ) হৃদয় ছুয়ে গেল।
হঠাতই একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অন্য একটা মহাদেশের স্বজাতির একজনকে কাছাকাছি একটা গল্প বলেছিলাম বলেছিলাম, আমার ছেলেবেলার। সেখানে আবেগটা ছিলো দুমড়ানো।
হঠাৎ মনে পড়ে গেল। অনেক দিন যোগাযোগ হয়না।
শীতকালের রাতগুলো এতো দীর্ঘ কেন? কাটতেই চায়ান, খালী নষ্টালজিক করে।
অন্যদের নানান কাহিনীর মাঝেই টুক করে মনে পড়ে যায় নিজেদের মনছোয়া কিছুর কথা....
আপনিতো দারুন করে 'শব্দের চাদর' বুনেন... সময় নিয়ে লিখে জানায়েন আমাদের....
প্লাস দেয় কেমনে? জেবীনের লেখায় প্লাস দিতে মন চাইতাছে।
পুলওভারটা পছন্দ হইছে। পকেটওয়ালা পুলওভার একটা মেয়েরে কিন্যা দিতে হইবো।
পুলওভারের সাথে একটা মোবাইলও কিন্যা দিতে হইবো তো.....
দারুণ লেখেছেন...
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ.....
আমিও একটা পুরান লেখা দিমু ভাবতেছি !!
দিয়ে দেন...পুরানো চাইল ভাতে বাড়ে শুনছি...
ছেলেবেলা না বুঝে ভেঙে ফেলা চড়ুইয়ের বাসাটা ঠিক করা, গাছ থেকে হাড়ি ভেঙে খেজুরের রস খাওয়া,কলেজে ওঠার আনন্দ, সুনির্দিষ্ট কারোর হাসামাখা মাড়াকাড়া চোখ - কিছুই রয়ে যায় না হাতের মুঠোয় কিন্তু মনের মনিকোঠায় থাকে তাদের ঘিরে থাকা সুখস্মৃতিরা, শতকষ্টেও অটুট থাকে। নষ্টালজিক হয়ে গেলাম।
নষ্টালজিক হয়ে কিছু নষ্ট লজিক (মাথা থেকে না তাড়ানি যোগ্য) লেখা দেন ... আফা.....
ঐ লাইনগুলো সবাই কোট করে ফেললো। আমরা যারা পুরনো লেখা পড়িনি, তাদের জন্য মাঝে মাঝে পুরনো লেখা দেয়া যেতে পারে।
তানবীরা...ভরসা পেলাম ...
নইলে ভাবছিলাম বন্ধুরা এসে দিবে ঝারি .."এ্যা! পুরান লেখা, দিলাম মাথায় বাড়ি"
এটা মনে হয় আমার পড়া ছিলো না। ভালো করেছো এখানে দিয়ে, না পড়লে মিস করতাম।
ফাঁকিবাজির লাইগা মাইনাস।
আররে! লেখার প্রথম আর শেষ মন্তব্য দুইটা মাইনাস, সুতরাং .....
খুব সুন্দর!!!
ধন্যবাদ
আপ্নের লেখাও ভাল লাগসে...
এটা একটা সুস্বাদু রচনা, মন চাইলো খাইতে।
পুরানা লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন