সাপের মনি!!!
৮৭/৮৮ এর দিকে কল্যানপুরের বাড়িগুলোর আশপাশ জুড়ে অনেকটা ফাকাঁ জায়গা থাকত, গাছপালা আর ঝোপঝাড় ছিল প্রচুর। সন্ধ্যা হলেই কারেন্ট যেত আর লেখাপড়া বন্ধ করে আরামে উঠানে মজার আড্ডা দিতাম সবাই। সেসময়টা শ্রীদেবীর নাগিন সিনেমা দেখার পর মাথায় ঘুরতে লাগল সাপের মনি!!! সন্ধ্যার আড্ডার অনেকটা জুড়ে থাকত একেকজনের সাপ-সম্পর্কিত গল্প। সবচেয়ে উদ্ভট গল্পগুলা হতো আমাদের কাজের ছেলে সাজুর।
মা বাসায় নাই, তেমনি একসন্ধ্যায় সবাই উঠানে আড্ডা দিচ্ছি, সাজু ফিসফিস করে বলল "ঐযে ঐ সাপের মনি"!!! সবগুলা একজোট হয়ে ওর দেখানো জায়গায় দেখি সত্যিসত্যি অন্ধকারে কিযেন লাল হয়ে জ্বলছে নিভছে কিন্তু ঐটা তো একজায়গায় স্হির হয়ে আছে, সাপ হলে তো নড়াচড়া করত? বুঝলি কেমনে? ও বিজ্ঞর মত কয় -"আরে সিনেমায় দেখেন নাই সাপ মনি থুইয়া এদিক ওদিক ঘুরে...এত্তো বড় মনি লইয়া ঘুরাফিরায় কষ্ট আছে না?? এখন সাপটা মনি থুইয়া হের আলোয় ঘুরতাছে। চলেন আমরা ধরি গিয়া"। সাপতো কামড়াবে বলায় বিজ্ঞ কয় - "ধুর! মনিটা ঢাকা দিলে সাপ দেখবো কেমনে??"
ওর সাথে যোগ দিলো অতি উৎসাহী মেজভাই, ভাইয়ার হাতে মোটা লাঠি ও টর্চ আর সাজু ভিজা একটা বস্তা নিলো। আমরা রুদ্ধশ্বাসে মনি জ্বলানেভা দেখছি তখনও.....মনির কাছে গিয়ে ও ঝপাৎ করে বস্তা দিয়ে চেপে ধরল....ভাইয়া টর্চ অন করতেই সাজু চিল্লায় "টর্চ নিভান..আমি মনির আলো ঠান্ডা করি তারপর তুলে আনব "......কিছুক্ষন পর বস্তার নিচে হাতানো শুরু করল ..........
আমরাতো মহাখুশি একটা মনি উদ্ধার করা হইল এত্তো সহজেই!!!
কিন্তু পোলা দেখি নড়াচড়া বন্ধ করে থম মেরে বসে আছে!!!! ভাইয়া তাড়া দেয় - কইরে উঠে আয় মনি নিয়ে....
সাজু তড়াক করে লাফ দিয়ে অদৃশ্য কাকে জানি তুমুল গালাগালি দিতে দিতে দৌড়ে গা ধুতে গেল। সবাই তাজ্জব, আনতে গেল মনি.. আর ওর গা দিয়া দুর্গন্ধ আসে ক্যান??!!!
ওর ম্যারাথন চিৎকারে যা বুঝা গেল - - - - - আমাদের দু'বাসা পরের বাড়ীতে শান্তশিষ্ট এক পাগল আছেন যিনি কাউরে কিছু করেননা শুধু বিড়ি ফুকেঁন আর রাস্তায় গাড়ি দেখলেই চেচাঁন "ঐ গাড়ি থাম, নাইলে হাইল্যায়ালামু" আর বাথরুম চাপলেই যত্রতত্র ত্যাগই মহৎ ধর্ম অনুসরনে সম্প্রদান কারকের উদাহরন স্হাপন করে যান। তো সেই গোবেচারা ঐ স্হানে(আমাদের মনি ছিল যেখানে) উনার কর্ম সমাধা করে রসিক মনের পরিচয় দিতে কিনা কে জানে, উনার আধ-খাওয়া বিড়ি ঐ বস্তুতে গুজে গেছেন, যা হালকা হাওয়ায় জ্বলছিল আর নিভছিল........... আর আমাদের মনে সাপের মনি দেখার বাসনা জাগাইছিল
( আবারও পুরানা লেখা দিলাম... এটা আমাদের মুকুলের "যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো মানিক রতন" চিন্তাটা বুমেরাং হইতে পারে সেটা জানানোর জন্য দেয়া... মাফ করবেন সবাই নিজ গুনে )
সাপটা কি কুণ্ডলী পাকানো ছিলো?
ধুরো, কমেন্টটা পুরা আসলো না। যাকগা, অনেক মজার পোস্ট। আরো দিও এমন।
কুন্ডুলীই তো থাকার কথা... আমি তো দূরে ছিলাম, তাই সরেজমিনে তদন্ত করতে পারি নাই...
ভাগ্যিস সেই সাপের লেজে কেউ পা দেয় নাই
পারা দেয়ার কথা কি কন... পুরাইতো হাত দিয়া ঘাটা হইছিল!!!
ইয়াহুর সব ইমো আইছে, খালি বমির ইমোটা আসে নাইক্কা
বমি!! কি কন মিয়া!!!
মানি'র মান বাচাঁইছে উন্নয়নকর্মী!!
হাত দিলে তো গণ-সর্বনাশ হওনের চান্স নাই, কিন্তু পাড়া দিলে পুরা ঘরবাড়ী...
পুরা ঘরবাড়ী... কথায় মনে পড়ল, ৮৮'র বন্যায় একসকালে হু হু করে পানি বেড়ে গিয়ে সারা ঘর ভেসে কোমড় পানি হয়ে গেলো... আম্মা প্রথম কাজ করলেন যে টয়লেটের দরজা বন্ধ করে দেয়া... আর গুছগাছ করে অন্যত্র যাবার ব্যবস্থা চলছিল, এর মাঝে এক চাচাতোভাই কখন যে দরজা খুলে দিছে খেয়াল নাই কারো। কিছুপর আম্মার চিল্লানি আর আমরা যা দেখলাম...
হাহাহাহাহাহাহা...ওরে বাবা হাসির চোটে তো কিছু লিখতে পারতেছি না রে ভাই
মুক্লার পিছনে লাগলা ক্যান?
যেখানে সেখানে "স্বয়ংকনে" অনুষ্ঠান করতে চায়... তাইতে একটা খোচাঁ দিলাম... আমরা আমরাই তো... নাথিং সিরিয়াস... এটা মুক্লাও বুঝবো ...
মন্তব্য খায়া ফেল্লো :(
যাউকগা পোস্টে মজা পাইছি...
নতুন ব্লগ মানুষ পুরানা ... সো পুরানা জিনিষ হয়তো আসপেই ;)
কিন্তু মুকুল কৈ? ;)
মন্তব্য গায়েব হচ্ছে কিছুদিন যাবত বেশি বেশি...
চিক্কুর দিয়া বলতে চাই ডেভু'র চাই ফাসি
ডেভু রে দেখিনা কভু
খায় সে কই হাবুডুবু??
কি যে বলেন না... সাপের মনি ধরতে গেলে ... এই রকম ঘটনা ঘটতেই পারে..ভাগগিস খালি হাতে ধরেনি... তাহলে তো মনির তাপে হাত ও পুরে যেত...
যাক, একজন বিদগ্ধ অভিজ্ঞজন পাওয়া গেলো
জেবীনের এই লেখার কারনে যদি মোহাম্মদ মুক্লা ৫ তারিখের পিকনিকে না যায়, তাইলে কৈলাম জেবীনের খবর কৈরালামু...
আমার লেখা নির্দোষ ...
যে বলে আমার লেখার দোষ
বান্ধবী তার অঞ্জু ঘোষ
বাহ ! চমেদকার ছড়া হৈছেতো !
ছড়া লেখা সহজ কাজ
যে বলে তার মাথায় বাজ
ছড়া লেখা ভীষন কষ্ট
অযথাই সময় নষ্ট
পারবোনা ভাই
আমি মাফ চাই.....
ছেলেবেলায় সাপের মনি খোঁজার লোক আরো পাওয়া গেল তাহলে। আমি ভাবতাম আমি একাই খুঁজতাম। খুঁজছি তবে এরকম 'সাপ' সহ মনি পাইনি কোথাও।
ঘটনাটা সেইরাম হয়েছে........
ঘটনা কী? চান্স পাইলেই দেখি আমার নাম ন্যাও!
আমারে এত্ত ভালোবাসো (!); আগে বুঝি নাই! :davie:
ধুরো! ইমো আইলো না ক্যান?!!
ভাগ্যিস কও নাই যে "আমরা গ্রামের গরিপ পুলা... কেউ আমাগোর পসন করে না...

তুমি কর্লা!! আর নিজের বিয়ার কথা নিজে সব খানে বলতেছি... গরিবের কথার বেইল
নাই..."
মুকুল@ তোমারে যে আমরা কত্ত ভালোবাসি প্রমান দেখো!! তুমি বলার আগেই আমরা জেনে যাই তুমি কি বলতে পারো!!
আর দেখলেই চান্স
শুরু করো ডান্স ডান্স
এইটা তোমার গুনাগুন
যে ওইসব অস্বীকারে
ঠাডায় যেন তারে ধরে...
টুটুল্ভাই@ আপ্নেরে কান ঝালাপালা করা মাইকে ধইন্যবাদ
খ্যাক খ্যাক ।
কি শুনাইলেন এইডা, আমি তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইতাছি শুইনা।
কি হলো! উন্নয়নকর্মীর জবান বন্ধ কেনু?? নাক বন্ধ থাকলে না হইয় বুঝতাম
হাঃহাঃহাঃ হাসতেই আছি তো হাসতেই আছি



হাসি থামলে কথা বলে যাইয়েন...
এবিকে ৬ নং চ্যানেল বানানোর জন্য জেবীন্যার ভেনচাই
৬ নং চ্যানেলটা কী বস্তু?
ধিক তোমারে। তোমার অনতত মনে থাকার কথা ছিলো। ৮০ড় দশকে ৬ নামবার চ্যানেলে বীটভির মূল চ্যানেল ৯ নামবার চ্যানেলর সব পুন প্রচার করা হৈত।
অবশ্য জেবীনের তকহন জন্ম হয়নাই ওর জানার কথাও না।
মাফ করেন নানা। আশির দশকের গোড়ার দিকে ঘরে একখান পুরানধুরান সাদাকালা টিবি আছিল। আমার হিটলার বাপের নিষেধাজ্ঞার দরুণ ধারেকাছে ঘেঁষতে পারতাম না। একদিন বাইরে থেকে আইসা দেখলেন টিভি চলে। কে চালাইলো ক্যান চালাইলো কিসু না শুইনাই ভোম্বা টিবিটারে উপ্রে তুইলা এক আছাড়ে চুরমাচুর! হের পরে প্রায় আটনয় বছর বাসায় টিভি ঢুকে নাই। আত্মীয়স্বজনের বাসায় গেলে দেখতাম।
তাতেই যেই ছায়াছন্দ পোচার হৈছে


আটনয় বছর থাক্লে খবরো বাদপের্তো না ..
আম্রা কিছু চমৎকার পোস্ট মিসাইলাম
হ ... আমিও তো তাই ভাবতাছি
আপ্নের আব্বা একজন মাশাল্লাহ কারবারী ...
উনার কায়কারবারের কাহনের কোন অন্ত নাই। ঐসময় আম্মা টিভি কেনার সাহস করেনাই যদি আবার ভাঙ্গে! তারপর হিটলার নিজেই একদিন ৮৮ বা ৮৯ এর দিকে টিভি কিনে আনলেন। আমাদেরকে কতো ডাকাডাকি, আমরা কেউ আর দেখতে যাই না (মানে উনি ঘরে না থাকলে ঠিকই দেখতাম
)
যদিও জন্মাইছিলাম তখন, টিভিও বহাল তবিয়তে ছিলো কিন্তু ৬নং রে মনে নাই ...

আর এটাতো সময়ের প্রয়োজনে দেয়া, দেখেন না ডিসক্লেইমার ...
আমাদের কলেজে এক স্যার ছিলো সব সময় এক অদ্ভুদ রঙের সাফারী পড়ে আসতো , সেই রঙটা কেমন সেটা একবার বর্ননা দিছিলাম এভাবে -
' মানব পুরিষ উন্মুক্ত স্থানে ত্যাগ করিলে সেই পুরিষ চৈত্র মাসের খরতাপে তিন দিন শুকানোর পড় যে বর্ন ধারন করিবে স্যারের সাফারীর রঙ ঠিক সেই রকম দেখতে' :পি
আমার একটা ছিলো গাঢ ঘিয়ে না বাদামি জামা তাতে সুন্দর কাজ করা কোটি... একদিন শুনি আমাদের বুয়া বলছে 'আফা আপ্নের গু কালারের জামাটা ইসতারী করতে দিসি' !!
ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে- gooey (গুয়ি)।খাবারের আঠা-আঠা, নরম, মিষ্টিমিষ্টি কনসিসটেন্সি বুঝায়। আমার মেয়ে স্কুল থেকে শিখে এসে কার্টার্ড, সস এমন খাবার মুখে নিয়েই তারিফ করে, "ইটস সো লাভলি গুউউয়ি..."। তখন আমার খাওয়ার রুচি চলে যায়।
ইয়াল্লাহ! ... তাই বলে 'গুয়ি'??!!
এই পোস্ট টা এইখানে দিয়া পার পইয়া গেলা। মনে আছে সামুতে দিয়া কি ধরাই না কাইছিলা?
মনে আছে... নাদান পোলাপান কত্তো নাম দিসিলো...
শীতের দিন হলে ভাল হত।
দেখতেন সাপের কুন্ডলী থেকে ধোঁয়া উড়ছে......
শীতের দিন হলে ভাল হত।
দেখতেন সাপের কুন্ডলী থেকে ধোঁয়া উড়ছে......
আমরাতো শীতকাল ছাড়াই সাপের কুন্ডলী থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছি!! ...
আমার লেখা নির্দোষ ...
যে বলে আমার লেখার দোষ
বান্ধবী তার অঞ্জু ঘোষ
হুম! যে ডায়ালগ দিছি, কার সাধ্যি দোষ ধরে??
ধরাও হলো ছড়াও হলো বস্তা এলো মস্ত
হাতের মাঝে আর কিছু নয় সাপের মনি আস্ত ।
কি জানি ভাই এই মনিটা কোন সাপেরই দান
লম্ফ দিয়ে হাকায় সাজু ধোয়ার পানি আন ।।
নাগিন একটা গভীর ভাবের সিনেমা যা আমার ও্পর গভীর প্রভাব বিস্তার করছিল। আমি এই সিনেমা দেখার পর কারেন্ট গেলে ঠ্যাং উঁচু করে বসে থাকতাম, অন্ধকারকে খুবই ভয় পাইতাম।
লেখা দারুন হয়েছে। আমার জীবনে শোনা সব লোমহর্ষক গল্পগুলোও আমাদের বাসার গৃহকর্মীদের কাছ থেকে
ওই সিনেমার বাশিঁ বাজানি মজার লাগতো ...
পড়বার জন্য থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু... :)
আমারও বাসার গৃহকর্মীদের কাছ থেকেই বেশির ভাগ আজিব গল্প শোনা
কহিক খিক খিক
কহিক খিক খিক !!!
ও কাকঁন! এডা কুন বুলি!!
আপু এইটা খিক খিক খিক ; ক এর পর হ দেখলে মনে করবেন আমি আসলে খ লিখতে চাইছিলাম
নক নক নক!
কই গেলা জেবীন? আর কতোদিন সাপের মণি দেখবো?
মন্তব্য করুন