একজন দেশদরদী
সারাটি বছর কেমন কেমন করে যেন চলে যায়, কখনও মনের মাঝে তাঁর স্মৃতি একবারও উথলে ওঠে কিনা তা মনে পড়েনা । সবাই যখন পরস্পরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায় আর আনন্দে উদ্বেলিত হতে থাকে, তখন মন আমার আক্রান্ত হয় স্মৃতিভারে । ষোল বছর আগের একটা শীতের সকাল । জানুয়ারির এক তারিখ, অফিসে যাবার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে তাড়াহুড়া করে সকালের নাস্তা করছিলাম । এমন সময় টেলিফোন বাজল – আমার ছেলে কর্ডলেস ফোনের রিসিভারটা এনে হাতে দিল । ও প্রান্ত থেকে একবার শুধু ‘চাচা’ ডাক শুনতে পেলাম, এরপর সব চুপচাপ । একটু পরেই বড় ভাইয়ের কন্ঠ ভেসে এলো, তিনি বললেন, “আমরা পিতৃহীন হয়ে গেলামরে !” টুকটাক প্রশ্ন করে স্বাভাবিকভাবে জেনে নিলাম অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য । আমার স্ত্রী,পুত্র,কন্যা টেলিফোন আলাপ শুনেই যা বুঝবার তা বুঝে নিয়েছে । এরপর সবাইকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়া এবং আর পরবর্তী করণীয় গতানুগতিক ।
এসব কথা নয়, সারাজীবন গ্রামে পড়ে থাকা সেই মানুষটির কথা বলতে চাচ্ছি । যে মানুষটির অন্তরে নিপীড়িত দুঃস্থ অবহেলিত সাধারন মানুষের কল্যাণ কামনা ব্যাতীত আর সব কিছুই ছিল অতি তুচ্ছ-নগন্য । অবিভক্ত ভারতে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় নদীয়া জেলার মধ্যে প্রথম স্থানটি ছিল তার অধিকারে । কোলকাতায় ইন্টারমিডিয়েট পড়েন এবং ক্যাম্বেল মেডিকেল থেকে এলএমএফ সমাপ্ত করে গ্রামে এসে ডাক্তারী শুরু করেন । ডাক্তারী পেশা হিসেবে নিলেও এটা খুব শীগগীরই তার রক্তে সমাজসেবার বীজ রোপন করে – পেশা হয়ে ওঠে নেশা ।
কংগ্রেসের উত্থান, গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন, সুভাষ বোসের সশস্ত্র যুদ্ধের আহ্বান, মুসলিম লীগ গঠন এবং পাকিস্তানের জন্ম – এ সবই ঘটেছিল সে সময়ে, যখন তিনি গ্রামের অসহায় মানুষদের সেবায় সদাব্যাস্ত । তাঁর দৃঢ়মূল বিশ্বাস ছিল এই যে, কল্যাণকর পরিবর্তন উপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে নয়, বরং তৃণমূল থেকে করতে হবে । তিনি হতদরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা সহজ করে তুলতে গ্রামে হাসপাতাল গড়ে তোলেন । শিক্ষার আলো ছাড়া কোন উন্নয়ন শত চেষ্টাতেও সম্ভব নয় এ ধারনায় গ্রামে হাই স্কুল স্থাপন করেন । অশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিতদের একই কাতারে আনবার লক্ষ্যে গ্রামে মসজিদ ও মন্দির নির্মান করেন । এ সব করতে যেয়ে প্রতিপত্তিশালীদের বাধার সম্মুখীন হলেও তিনি কখনও পিছিয়ে আসেননি ।
বৃহত্তর কুস্টিয়া জেলায় তিনি ‘রিয়াজ ডাক্তার’ নামে সুপরিচিত ছিলেন । বেশিরভাগ এলাকার মানুষ তাঁকে ‘ডাক্তার সাহেব’ বললেই চিনে ফেলত । তাঁর আসল নাম ডাঃ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, চাপা পড়ে গিয়েছিল তাঁর জনপ্রিয়তার আড়ালে । কুস্টিয়া জেলার যে কোন অঞ্চলে তাঁর ছেলেমেয়েদের নিজস্ব কোন পরিচিতি ছিলনা, পরিচিতি ছিল ডাক্তার সাহেবের ছেলে হিসেবে (এতদিন পরে এখনও পরিস্থিতি প্রায় তেমনই আছে । চিকিৎসক হিসেবে তাঁর দক্ষতা ও সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয় । ‘এই ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ না-খেলে কারোরই কোন রোগ ভাল হয় না’, এমনই হয়েছিল আমজনতার বিশ্বাস । বাংলাদেশের জন্মের প্রাক্কালে ঔষধের সরবরাহ ও প্রাপ্তি ছিল বড্ড অনিশ্চয়তায় ভরা, দুষ্প্রাপ্য হয়ে গিয়েছিল অতি সাধারন ঔষধও । মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও এলাকার জনগণ তাঁর কাছে আসতো রোগমুক্তির আশায়, ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ না-পাওয়া গেলে তিনি রোগীকে পানিপড়া দিতেন । পানিপড়া দেওয়াটা ভন্ডামী কিনা তা জানতে চেয়েছিলাম । তিনি বলেছিলেন, “অবশ্যই এটা ভন্ডামী, তবে এতে যে-রোগী বিশ্বাস স্থাপন করবে তার রোগ ৯০ ভাগ উপশম হবে ।” তখন এ কথার তাৎপর্য তেমন বুঝতে পারিনি, পরবর্তীকালে জাতীয় অধ্যাপক নূরুল ইসলামের একটা প্রবন্ধ পড়ে তা হৃদয়ঙ্গম হয়েছিল ।
যুক্তফ্রন্ট তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছিল ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদ নির্বাচনে । রিয়াজ ডাক্তারকে নমিনেশন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ থেকে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে । বিপুল ব্যবধানে মুসলিম লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি এমএলএ নির্বাচিত হন (পরে অবশ্য পদবীটি পরিবর্তন করে এমপিএ করা হয়েছিল) । তিনি সব সময় বলতেন, যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রতিনিধি হবার যোগ্য তিনি নন । তাঁর অভিমত ছিল, কৃষকদের প্রতিনিধি কৃষক, শ্রমিকদের প্রতিনিধি শ্রমিক, পেশাজীবীদের প্রতিনিধি হবেন একজন পেশাজীবী, তা’ না-হলে তাদের সমস্যা অন্যে কেমন করে বুঝবে আর তা’ সমাধানে ভূমিকা রাখবে । তৎকালীন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তাঁকে (ডাঃ রিয়াজউদ্দিন আহমেদকে) একবার উপমন্ত্রী করবার সিদ্ধান্ত নিলেন । জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, “উপপত্নী হবার কোন ইচ্ছা আমার নেই । আর যদি মন্ত্রী বানাতে চান, সেক্ষেত্রেও আমার আপত্তি আছে, আমি আমার লোকদের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চাই না”।
আইন পরিষদের সদস্যগণ প্রথম শ্রেণীর টিএ, ডিএ পেয়ে থাকেন । ডাক্তার সাহেব কখনো প্রথম শ্রেণীতে ভ্রমণ করতেন না এবং প্রথম শ্রেণীর আবাসন সুবিধা নিতেন না । তিনি যাদের প্রতিনিধি, তারা যেমন জীবন যাপন করে, তিনি তার চেয়ে বেশী সুবিধা নিতে আগ্রহী ছিলেননা । আইন পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের প্রয়োজনে সেই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়া-আসার ব্যয় বাবদ তিনি প্রকৃত ব্যয়ের হিসাব (রেল-স্টীমারের তৃতীয় শ্রেণীর প্রকৃত ভাড়া ও তৃতীয় শ্রেণীর হোটেল খরচ) দাখিল করতেন । তাঁর দাবীকৃত বিল বিধি মোতাবেক না-হবার কারণে পাশ করতে বিড়ম্বনার শিকার হতো সংশ্লিষ্টরা । প্রতিবার বিল পাশ করবার জন্য বিশেষ নির্দেশের প্রয়োজন হতো ।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মীর্জা সামরিক আইন জারী করলেন । ভেঙে দেওয়া হলো প্রাদেশিক আইন পরিষদ । পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গৃহীত হলো । প্রাদেশিক আইন পরিষদের সাবেক সদস্যসহ রাজনীতিবিদদের মতামত নেওয়া হলো বিভিন্ন পর্যায়ে । এমনই এক সাক্ষাৎকার বা মতামত প্রদান উপলক্ষে ‘পাকিস্তানের সংবিধান কেমন হওয়া উচিৎ’ তা জানতে চাওয়া হয়েছিল । ডাক্তার সাহেব জানিয়েছিলেন, “পাকিস্তান একটি ইসলামী রাষ্ট্র, তাই এর সংবিধান হতে হবে ইসলামী শাসন পদ্ধতির সাথে মিল রেখে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, মাথা ভারী প্রশাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে পারে এমন একটা সংবিধান আমাদের প্রয়োজন।” তিনি খলিফা হযরত উমর (দ্বিতীয়)-এর আমলের দৃষ্টান্ত দিয়ে সেটা যে অসম্ভব নয় তাও প্রমাণ করেছিলেন । দুর্ভাগ্য, তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবার কোন পদক্ষেপ নিজেদের স্বার্থেই শাসকগোষ্ঠী নেয়নি এবং নেবেওনা কোনদিন ।
আমাদের গ্রামের চার-পাঁচটা বাড়ী নিয়ে একটা পাড়া ছিল, সেখানে বাস করতো পরিবার-পরিজনসহ ডাকাতের দল । যেমন-তেমন ডাকাত নয়, গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে তারা রিভলভার-পিস্তলের মালিক ছিল । এদের কারণে আমাদের গ্রামের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছিল দুর-দূরান্তে – আমাদের গ্রামকে সবাই চিনতো ডাকাতের গ্রাম বলে । এ দুর্নাম ঘুঁচাতে রিয়াজ ডাক্তার সাহেব এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন । ডাকাত পরিবারের ছেলেদের কিছু আদর, কিছু সোহাগ, কিছু ভীতি দিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করাবার প্রচেষ্টা চালাতে লাগলেন । তাদের স্কুলের বেতন মওকুফ, বই-খাতা-কলমের খরচ দেবেন ডাক্তার সাহেব, এমনকি তাদের হোস্টেলে থাকা-খাওয়ার ব্যয়ও তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিলেন । কিন্তু এহেন পরশ পাথরের ছোঁয়ায়ও লোহা সোনায় রূপান্তরিত হলোনা । তাঁর এ প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বিফলে গেল । এবার তাদের (ডাকাত পরিবারদের) গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবার আদেশ জারী করা হলো । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাম ত্যাগ না-করলে জোরপূর্বক ভিটে-মাটি ছাড়া করা হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হলো তাদের । ডাক্তার সাহেবের একক উদ্যোগ এবং সকল গ্রামবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবার বিফলে গেলনা । গ্রামের দুর্নাম ঘুঁচলো অবশেষে ।
তিনি ছিলেন উদার ও সংস্কৃতিমনা এবং ধর্মভীরু, আর সকল ধর্মের প্রতি তাঁর ছিল অগাধ শ্রদ্ধাবোধ । তবে ধর্মীয় গোঁড়ামী কখনোই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি । গভীর রাতে লাঠি হাতে একা বা মাত্র একজন সঙ্গী নিয়ে গ্রামের আনাচে-কানাচে পাহারাদারের মত ঘুরতেন । তার দরাজ কন্ঠে গীত হতো “এতো জল ও কাজল চোখে পাষানী আনলে বলো কে” (এখনও আমার কানে বাজে–এত দরদ দিয়ে এ গানটি বোধহয় আর কোন শিল্পী গাইতে পারেননি)। জারী-সারি, ভাটিয়ালী বা কবিগানের আয়োজনকে তিনি সব সময়ই উৎসাহিত করতেন । তবে তা হতে হতো অবশ্যই টিকিটবিহীন এবং দিনের আলোয় । গান শুনবার পয়সা জোগাড় করবার জন্য দরিদ্র জনগণ যেন কোন অসৎ কাজে (যেমন চুরি) লিপ্ত না-হয়, বা রাতে গানের আসর বসলে যাতে চোরেরা চুরির সুযোগ না পায়, এ জন্য তাঁকে এ ব্যাপারে কঠোর হতে হয়েছিল ।
পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসনের দাবীর প্রতি তাঁর ছিল অকুন্ঠ সমর্থন । আওয়ামী লীগের ছয় দফা এবং ছাত্রদের এগারো দফা দাবী মেনে না-নেওয়ায় তিনি শাসকগোষ্ঠীর উপরে ছিলেন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ । অপরদিকে, “মজিবর একজন ভাল সংগঠক ও ভাল পলিটিশিয়ান, কিন্তু সে ভাল স্টেটসম্যান নয়” তাঁর এই ধারনা নিজ রাজনৈতিক দলের প্রতি নিরঙ্কুশ আস্থা স্থাপনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল । ২৫শে মার্চ’৭১ এর পরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি এমন করে ভারতীয় সহায়তা নিয়ে দেশ স্বাধীন করাটাকে মেনে নিতে পারছিলেন না । তার বক্তব্য “বর্ণ হিন্দুদের অত্যাচার তো তোরা দেখিস নাই, ওদের খপ্পরে পড়লে আবারও সেই সব দিনে ফিরে যেতে হবে”। এতদ্সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় ছিল ডাক্তার সাহেবের জরা-জীর্ণ বাড়ীটি । বয়সের আধিক্য, রবীন্দ্রনাথের মত শ্মশ্রুমণ্ডিত মুখমন্ডল আর দৃঢ় মনোবল তাঁকে সব সন্দেহের ঊর্ধে রাখতে সহায়ক হয়েছিল । তাঁর বাড়িটি ছিল একটা নিরাপদ অস্ত্রাগার ও সার্বক্ষণিক হোটেল । কৌশলগত কারণে তিনি তার ছেলেদের প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে বারন করেছিলেন এবং যার যার কর্মস্থলে অবস্থান করবার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।
১৯৭৩ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাঁকে মনোনয়ন দেবার সিদ্ধান্ত নেয় । তৎকালীন মন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সুবাদে) ডাক্তার সাহেবের পাড়াগাঁয়ের কুটিরে যেয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে নির্বাচনে অংশ নেবার অনুরোধ করেন । কিন্তু তিনি বিনয়ের সাথে এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এই বলে যে, এই মজলুম জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবার মত যোগ্য ব্যক্তি তিনি নন ।
রিয়াজ ডাক্তারের দেশ ও দেশের আপামর জনগণের প্রতি ভালবাসা, তাঁর আত্মত্যাগ ও সহজ-সরল জীবন যাপনের কথা বলতে গেলে কয়েক খন্ড পুস্তক রচনা করতে হবে । তাঁর প্রয়াণে দেশ একজন হৃদয়বান মানুষকে হারিয়েছে । তাঁকে শেষবারের মত শ্রদ্ধা জানাতে সেদিন জানুয়ারির কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাখো জনতা সমবেত হয়েছিল । কুস্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর শহরের সকল যানবাহন সেদিন তাঁর জরাজীর্ণ কুটিরের সামনে অনড় হয়ে ছিল সারাদিন – প্রায় সারারাত ।
এখন থেকে ১৬ বছর আগে, ১৯৯৫ সালের প্রথম দিনটিতে নতুন সূর্যটির রশ্মি গায়ে মেখে তিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন । তিনি কখনো কারো কোন ক্ষতির কারণ হয়েছেন বলে জানা যায়না । তার নিজস্ব যে সঞ্চয় তিনি সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন, তাঁর জন্য তা-ই মনে হয় উদ্বৃত্ত – আর কোন প্রার্থণা বাহুল্যমাত্র । সত্যিই যদি পরকাল বলে কিছু থাকে, তা’হলে তিনি সেখানে নিশ্চিত আরামে বিশ্রাম নিচ্ছেন ।
[এই পোস্টটি আমার পিতাসহ সেই সব দেশপ্রেমিকের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত, যারা নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করেছেন]
বিনীত শ্রদ্ধা সেই মানুষটির জন্য। মহান আল্লাহ্ পাক মরহুমের আত্মাকে শান্তি দান করুন।
আপনার লেখার হাত সত্যি অনেক সুন্দর!! একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কথা জানতে পারলাম আজ । এমন একজন মানুষের ছেলে আপনি!! আপনার বন্ধু হতে পেরে আমার সত্যি গর্ব হচ্ছে ।
"সত্যিই যদি পরকাল বলে কিছু থাকে, তা’হলে তিনি সেখানে নিশ্চিত আরামে বিশ্রাম নিচ্ছেন ।"
আমিও প্রার্থনা করি- পিতার জন্য পুত্রের চাওয়া পূরণ হোক।
দোয়া করে গেলাম।
তাঁরা আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
পড়ে গেলাম। আর ভাবছিলাম, এমন মানুষ কোথায় খুঁজে পাবো আর?
সকাল, লিজা, জুলিয়ান সিদ্দিকী, সাহাদাত উদরাজী, সাঈদ, মাইনুল এইচ সিরাজী, আপনাদের সকলকে অনেক,অনেক ধন্যবাদ ।
বিনীত শ্রদ্ধা সেই মানুষটির জন্য।
বিনীত শ্রদ্ধা মানুষটির জন্য
বিনীত শ্রদ্ধা মানুষটির জন্য
মুকুল, টুটুল, শ্ওকত মাসুম , আপনারা এ পোস্টটা পড়েছেন এ জন্য কৃতজ্ঞ আমি । ধন্যবাদ ।
বিনীত শ্রদ্ধা সেই মহান মানুষটির জন্য।
বিনীত শ্রদ্ধা সেই মানুষটির জন্য।
শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম। লেখা বড় ভাল লাগল।
বিনীত শ্রদ্ধা রইল সেই মহান মানুষটার জন্য
তানবীরা, উচছল, উলটচন্ডাল, নীড় সন্ধানী, সহ সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা । ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করুন