ইউজার লগইন

একজন মায়াবতী'এর ব্লগ

আমার সিসিমপুর (৭)

বহুদিন ব্লগে আসি না। যদিও এখন অনেক সময় আমার হাতে, কমবেশি সারাদিনই অনলাইন থাকি, তবু আসি না। আলসেমি করে যে আসি না তাও না। কেন যেন ধৈর্য্যে কুলায় না বড় কিছু লেখা পড়ি, কিছু দেখি বা লিখি।
নিজের সিসিমপুর নিয়ে লেখা গুলা প্রায়ই খুব মিস করি। কত কিছু হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। কিছুই লিখে রাখছি না। কয়দিন পরই ভুলে যাচ্ছি। নিজেই যখন সবটুকু মনে করতে পারি না কি হয়েছিল তখন আবার ভাবি লিখে রাখলে তো আর ভুলতে হত না। মাঝে মাঝে হয়ত একটা ছবি তুলে ফেসবুকে এক লাইনের একটা ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করে রাখি। কিন্তু আজকে যা হল সেইটা শুধু এক লাইনের ক্যাপশনে লেখা যাবে না। তাই বসেই গেলাম লিখে রাখতে যেন কোনোদিন ভুলে না যাই।
১।

আরো একটি গফ

আমার আসলে নিজের কোনো প্রতিভা নেই। আশেপাশে ঘটনা যা দেখি, অন্যের মুখে শোনা গল্প, লিখি ধার করে। যাকে বলে ‘পরের ধনে পোদ্দারি’ অথবা আমাদের গ্রামের ভাষায় বলতে হয় ‘মামুর ক্ষেতের ক্ষীরা দিয়া শাহীদারি’।

আজকেও আমি হাজির সেই টাইপ ক্ষীরা নিয়ে। আর আজকের গল্পে মামুর ক্ষেতটা হল আমার বড় ভাই, দুলাল ভাই, ওনার মুখেই শুনেছিলাম গল্পটা।

গ্রামের এক সাধারণ চাষী, তারচেয়েও সাদামাটা তার মেয়ে মর্জিনা। দেখতে শুনতে মোটামুটি সেই কিশোরী। পুকুর ঘাটে চোখে চোখে কথা হয়ে, মন দেয়া নেয়া হলো পাশের বাড়ির কুতুব মিয়ার সাথে। কিন্তু প্রেম তেমন গভীর হওয়ার সুযোগ হলো না। তার আগেই বাবা মা মর্জিনার বিয়ে দিয়ে দিলো পাশের গ্রামের আবুল মিয়ার সাথে।

বিয়ে হয়ে স্বামীর সংসারে আসে মর্জিনা। কিন্তু বাপের বাড়ির সেই কুতুব ভাইয়ের কথা সে আর ভুলতে পারে না। গৃহস্থালীর কাজের ফাঁকে, নতুন জায়গার নানান হাঙ্গামায় কিংবা অবসরে ঘুরে ফিরে শুধু মনে পড়ে কুতুব ভাইয়ের কথা। হাট-বাজারের দিনে কুতুব ভাই বাবা-মার চোখ ফাঁকি দিয়ে তেঁতুল-বরইয়ের আচার, কদমা-বাতাসা কত কিছুই না এনে দিতো মর্জিনাকে।

আশেপাশের ঘুরাঘুরি (শান্তিনিকেতন)

১।
ভারত ভ্রমণ নিয়ে পোস্ট দিলাম অথচ ববিতার কথাই লিখলাম না। এই কারণে মাসুম ভাইও আমার পোস্টে কমেন্ট করলো না। আবার ব্লগ জনতারও দাবী ববিতা কাহিনি শুনতে চায়। তাই আজকে আগে ববিতার কথা দিয়েই শুরু করি।

আশেপাশের ঘুরাঘুরি

দেশের বাইরে বলতে আমার শুধু ভারতই যাওয়া হয়েছে। আর ভারত ভ্রমণও আমার জন্য নতুন কিছু না। বছরে একবার না হলেও দু’বছরে একবার যাওয়াই হয়। গত বছর, এমন মার্চ মাসের শুরুতে যখন ডাক পড়ল ভারতীয় পণ্য বর্জনের তখন একাত্নতা জানিয়ে ছিলাম ঠিকই কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ ছিল ঠিক কতদূর বর্জন করতে পারবো ভারত!! কোন কোন ক্ষেত্র/ পণ্য বর্জন করবো আমি ভারতের!! কেননা আমাদের এই হারে ভারত যাওয়ার শুরু আব্বুর চিকিৎসার কারণে।

২০০৩ এ যখন আব্বুর বাইপাস সার্জারি হল, প্রথম ছয় মাসে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠলো আব্বু। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হলো ইনফেকশন। ইনফেকশনের জন্য দ্বিতীয় বারের মত ওপেন করা হলো। ঢাকার স্বনামধন্য ডাক্তার (?) কি করলেন সেই বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না যাই। ইনফেকশন থেকে টিবি হয়ে গেলো। শেষে ভাইয়া কলকাতায় নিয়ে গেল। তৃতীয় বারের মত ওপেন করে ক্লিন করা হলো ইনফেকশন। তারপর থেকেই আমাদের এই ভ্রমণ, আব্বুর চেক আপের উদ্দ্যেশে। এত যখন পয়সা নাই সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক করার জন্যে তখন ভারতই আমাদের ভরসা।

একটা গফ বনাম সত্য ঘটনা

আমেরিকানদের টাকায় অনেক রকম প্রজেক্ট হয় আমাদের দেশে। ফুল গাছ লাগানো, সবজি চাষ করা, মাছ চাষ করা, সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের পড়াশুনা করানো, স্কুলে যেতে উৎসাহ দেয়া, হাত ধোঁয়া শিখানো, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা ইত্যাদি।

প্রজেক্টের কাজ কেমন হচ্ছে দেখার জন্য প্রজেক্ট ডিরেক্টররা ফিল্ড ভিজিটেও যান। এরকমই একটা প্রজেক্ট ‘বাচ্চাদের স্কুলে’। প্রজেক্টের ডিরেক্টর একজন আফ্রিকান আমেরিকান ভদ্রমহিলা। তার সহকারী একজন বাংলাদেশী বাঙ্গালী তরুণ।

তারা গেলেন ফিল্ড ভিজিটে। আমাদের দেশের মানুষ বিদেশী বলতে সাধারণত ফর্সা, সুন্দর মুখ দেখতে অভ্যস্ত। সেই আফ্রিকান ভদ্রমহিলা যখন স্কুল ভিজিটে গেলেন, একে তো মফস্বলের স্কুল তার উপর বাচ্চা, ওরা সেই আফ্রিকান মহিলাকে দেখে খুবই ভয় পেল। বাচ্চাদের ভয় কমানোর জন্য ডিরেক্টর ভদ্রমহিলার সহকারী বাচ্চাদের মাঝে অনেক চকলেট, বিস্কুট বিতরণ করলেন আর বাচ্চাদের খুব বোঝালেন যে উনি তোমাদের অনেক আদর করবেন, তোমরা ভয় পেওনা। উনি তোমাদের অনেক চকলেট দিবেন ইত্যাদি। কিন্তু খুব একটা কাজে দিলো না।

আবার একুশে

কালকে থেকে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুতে। বন্ধুরা সবাই এক হয়েছে, একই দাবীতে দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু আমি যেতে পারছি না। অসুস্থ হয়ে বারো দিন টানা বিছানায় পড়ে থাকা আমার ভাই সন্ধ্যায় যখন বলল - ‘যাবি? রেডি হ এখনই’ তখন মনে হলো - ভাইয়ের মতো ভাই। এরকম ভাই তখনো ছিলো, এখনো আছে। তাই আজকে আমরা এখনো বেঁচে আছি। তখনি আর যাওয়া হলো না তবে ঠিক হলো কাল, কাল ঠিক পৌঁছে যাবো শাহাবাগ।

পরশুও যাবো। যেতেই হবে। কারণ আমার ভাইয়ের মতোই আর একজনও আছে যার অবদান আমার জীবনে অনেক। আমার বাজি। তার জন্য পরশু আমার গন্তব্য হবে শাহাবাগ থেকে বইমেলা।

সেদিন দুপুরে ফেসবুকে বাজির বইয়ের কভারপেজ দেখে আধা ঘুমে থাকা আম্মুকে ডেকে দেখালাম, বললাম। আম্মু আমার উত্তেজনা দেখে নির্লিপ্ত ভাবে বলল, গতবারওতো ছিল। আমি আরো জোরে ডেকে বললাম, গতবার তো ছিল কিন্তু এবারে আস্ত একটা বই।

হ্যাঁ, এবারে আস্ত একটা বই। আর তাই আমার উত্তেজনাটা একটু বেশীই। আমার নাচ, গান, পড়া-লেখা, লক্ষ্ণী হওয়া, বান্দর হওয়া সব কিছুরই শুরু তার কাছ থেকেই কিনা। তাই আমি একটু বেশীই উত্তেজিত।

আমার সিসিমপুর (৬)

১।
অনেকদিন সিসিমপুর লেখা হয় না। এই পোস্ট কত নাম্বার হবে দেখতে গিয়ে মনে হল বছর খানেক আগে লিখসিলাম। এরপর আর না লিখতে পারার অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে।

মেঘলা এসে ঘুরে গেলো। কোনদিক দিয়ে যে সময় গেল বুঝতেই পারলাম না। আর আরভিন, তাহিয়া এখন অনেকটা বড় হইসে। বড় বলতে বকা খাওয়ার সময় চলতেসে ওদের। বেশীর ভাগ সময় ঝাড়ির উপর রাখতে হয়। নাহলে তেলেসমতি কারবার শুরু করে দেয়। ঝাড়ি বলতে চিৎকার করে ধমক দেয়া না। বরং ওদের ঝাড়ি দিতে হয় মিজান ভাইয়ের সেই চোখের ভাঁজে ভাঁজে কবিতা পড়ার মত।

২।

ছায়াবাজির পুতুল (৩)

১.
‘বাম চোখ লাফালে খারাপ খবর পাওয়া যায়। ডান চোখ লাফানো ভালো’। ছোটবেলা থেকে অনেক শুনসি এই কথাটা। এই কথার ভিত্তি কতটুকু আর যুক্তি কি জানি না। কিন্তু গত প্রায় এক মাসেরও বেশি হবে আমার বাম চোখ অনবরত লাফায়। সারাদিনে এক মূহুর্তের জন্যও যেন থামে না। ঈদের আগে ভাইয়া একটা বড় দূর্ঘটনা থেকে ফিরে আসছে। আল্লাহই জানেন আর কি অপেক্ষা করতিসে। মাঝে মাঝে অবশ্য ডান চোখও লাফায়। এই লাফালাফির কারণে কেমন কোরবানির গরুর মতো একটা ফিলিংস হচ্ছে। কোরবানির পর মাংস পিস করে বাসায় আনার পরও পিস গুলা যেমন কাঁপতে থাকে তেমন লাগতিসে।

২.

আমার সিসিমপুর (৫)

১.
বিরতি আমার জন্য ভালো না। দীর্ঘ তিনমাস পর নেটের লাইন পেয়ে ব্লগ, ফেসবুকে বসে মনে হয় যেন এখানে আমি ছিলামই না। এমন না যে এ কয়দিন একেবারেই নেট এক্সেস ছিল না, সময়েরও অভাব ছিল। দিন গুলো কাটসে যেন সুনামীর গতিতে। এর মধ্যে কত কাহিনি যে করল আমার সিসিমপুর বাহিনী!!!

২.
এই বাহিনীর সবচেয়ে ছোটটা হচ্ছে আমার ভাইয়ের ছেলে 'শ্রেয়'। আমাকে আশেপাশে দেখলেই হলো। দু হাত তুলে, আ আ আ করে চিৎকার করবে কোলে আসার জন্য। আমি ডাকি ওরে 'রাজা বেটা'। আমার ধারে কাছে আর কাউকে আসতে দেখলে সে অভিমানী চোখ করে তাকাবে। দ্রুত হামাগুড়ি দিয়ে কাছে এসে তাকে টেনে সরাবে। আর নাহলে কান্না শুরু করবে। আমি তাই ভাবি মেঘলা এসে যখন দেখবে এই কান্ড তখন মেঘলার অবস্থা কি হবে!!

আর বইমেলা

সেদিন বই মেলায় গেলাম বড় সাধ নিয়ে, আড্ডাবো। সবাই প্রতিদিন কত কত আড্ডায়!!! আর আমি আড্ডাবো তো দূরে থাক ব্লগ বা খোমাখাতায় সে সব আড্ডা নিয়মিত দেখতেও পাই না। কারণ বাসার নেট কানেকশন কাট করা হইসে। আপুর বাসায় আসলে বা ক্যাম্পাসে ল্যাব থেকে একটু আধটু দেখি, বইমেলা কড়চা পড়ি, আফসোস করি।

যাই হোক মেলার কথা বলছিলাম।। আড্ডানির আশা নিয়া আমি আর সুমি আপু গেলাম মেলায়। নিজেরা প্রথমে একটু ঘুরাঘুরি আর কয়েকটা বই কিনে গেলাম লিটলম্যাগ চত্বরে। কিন্তু হায় কারো দেখা নাই। আমাকে কেউ না চিনলেও আমি তো মোটামুটি সবাইকে চিনি। চারদিকে খোঁজ দ্যা সার্চ দিয়ে দেখলাম, কেউ নাই। এরপর একদফা মোবাইলেও খোঁজ দ্যা সার্চ দিয়ে বুঝলাম কারো নম্বরও আমার কাছে নাই। এমনকি ম্যুরালও খুঁজে পেলাম না। তারপর আর কি, সুমি আপু একটু ঝাড়ি দিল কারণ তারও-
অনেক সাধ ছিল মনে,
আড্ডাবে সবার সনে।

ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসি

সেদিন এক ক্লাসমেটের সাথে দেখা হওয়া মাত্র কি খবর, কেমন আছো কোনো কিছুর ধারধারি নাই জিজ্ঞাসা করলো এই তুমি কি এখনো ক্লাসে ঘুমাও?
আমিও স্বীকার করলাম হ্যাঁ। আগের মতোই ঘুমাই।

ক্লাসের ফার্স্ট বেঞ্চে বসে ঘুমানোর প্রতিভা আমি খুব ভালো ভাবেই আয়ত্ব করে নিসি অনেক আগেই। পড়তে বসলে বইয়ের উপর মাথা রেখে ঘুমানো সহ অনেক বিচিত্র ঘুম ঘুমানোর অভ্যাস থাকলেও স্কুল লাইফে ক্লাসে বসে কোনোদিন ঘুমাই নাই।

স্কুল লাইফের ফার্স্ট বেঞ্চার কলেজে উঠে হয়ে গেলাম ব্যাক বেঞ্চার শুধু মাত্র ঘুমের জন্য। আমার কলেজ লাইফের একমাত্র এবং অন্যতম বান্ধবী মীমের সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার সাথেও আছে আমার ঘুমের গল্প।

আমার সিসিমপুর (৪)


আমার মায়ের কাছে তাদের ছোটবেলার অনেক গল্প শুনছি। হুজুরের কাছে মাইর খাওয়া, আম-বড়ই কুড়ানো, মাছ ধরা, এমনই বহু হল্প। আজকের কাহিনি যুগে যুগে হুজুরের কাছে পড়ার কাহিনি।

আম্মু, ওনার ভাই-বোনরা যখন ছোটবেলায় হুজুরের কাছে পড়ত, পড়া ভুল করলেই হুজুর মারতেন। হুজুরদের মোটামুটি কমন একটা ব্যাপার হলো ওনারা ছেলেমেয়েদের পড়া দেখিয়ে দিয়েই ঘুমাতে বা ঝিমাতে শুরু করেন। আর হেলেদুলে পড়তে পড়তে একসময় বাচ্চারা ভুল পড়তে শুরু করে। আর হুজুর যখন ঘুম থেকে উঠে ভুল পড়তে শুনেন তখন তিনি মারতে শুরু করেন।

ছায়াবাজির পুতুল (২)

পরীক্ষা চলাকালীন সময় ভাবসিলাম পরীক্ষাটা শেষ হলে ব্লগে নিয়মিত হবো। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখতিসি অবস্থা উল্টা। তখন যা হোক কমেন্ট না করতে পারি ব্লগে রোজ ঘুরে যাইতাম। এখন আরো সময় পাই না। পুরাই ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলা দশা। কি করে দিন যাচ্ছে তারও কোনো ঠিক নাই।

মৌসুম আপুকে বলছিলাম আমি এখন ফ্রি, কোনো কাজ নাই। যেকোনো দিন ডাকলেই আসতে পারি। কিন্তু সেদিন সবাই আড্ডাইলো আমি আবারো মিস। কিছুই করার ছিল না। আম্মার ডাক্তারের এ্যপয়েন্টমেন্ট ছিল। ডাক্তার দেখানোটা যে কি ঝামেলার কাজ! ডাক্তার বসবেন সন্ধ্যায়, টেস্ট হবে সকালে। কিছু টেস্ট হবে খালি পেটে তো কিছু ভরা পেটে। তার উপর আবার ডাক্তারের সিরিয়াল নিতে হয় অন্তত তিনমাস আগে।

তিনমাস পরে আমার কোনো শারিরীক সমস্যা হবে কিনা তা তিনমাস আগে কেমনে জানা যাবে জানি না। নাকি ডাক্তারের কাছে নাম লেখানোর আগে জ্যোতিষীর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে! যাই হোক এটাই এখন নিয়ম।

আমার সিসিমপুর (৩)

১। গতকল বিকালে আমি আমার বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। ভাইয়া আমাকে বলল আসার সময় আরভিনকে নিয়ে এসো। আজকে ওদের রাতে বাইরে খেতে নিয়ে যাবো। তো আমি আসার সময় নিয়ে আসলাম আরভিনকে।
সন্ধ্যায় আরভিন, তাহিয়া খেলছে। নিজেদের মতো গল্প করছে।

আরভিনঃ তাহিয়া, তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?
তাহিয়াঃ আমি!!! আমি বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। তুমি কি হতে চাও আরভিন?
আরভিনঃ আমি? হিরো!! একটা হিরো হতে চাই। Cool তুমি কি হতে চাও তোম্মা?
আমিঃ আমি তো বড় হয়েই গেছি আব্বু। কিন্তু কিছুই হতে পারি নি।
আরভিনঃ কেন তোম্মা?
আমিঃ ছোটবেলায় যে আমি লক্ষী হয়ে পড়াশুনা করিনি। তাই আমি বড় হয়ে কিছুই হতে পারিনি।
আরভিনঃ তাহলে কি তুমি ফকির তোম্মা?
আমিঃ Shock হ্যাঁ বাবা আমি ফকির। দেখোনা বাইরে যাওয়ার সময় আমাকে দিদু, দাদানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতে হয়?
দুইজনঃ ওহ। আচ্ছা। Puzzled

আমার সিসিমপুর (২)

১।
আমার সিসিমপুরের সব চরিত্রের একটা করে জাতীয় সঙ্গীত আছে। জন্মের পরপরই তাদের পছন্দের তালিকায় কয়েকটা গান যোগ হয় যা শুনে উনারা খায়-ঘুমায়-কান্না থামায়। তো সবচেয়ে শেষে যিনি যোগ দিলেন, শ্রেয় (আমি অবশ্য রসগোল্লা ডাকি) ভদ্রলোকের বয়স এখন সাত মাস। প্রথম প্রথম তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে শাহরুখ খানের একটা গান শুনতেন। বেশ কতগুলো গান যাচাই-বাছাই করে শেষ পর্যন্ত যেটাকে তিনি উনার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনোনীত করেছেন সেই গানটা হলো
এক জীবনে

যত জোরেই কান্না করতে থাকুক আমার রসগোল্লা এই গান শোনা মাত্র সে চুপ হয়ে যায়। এমনকি তার মায়ের কোলেও যখন থাকে এই গান শোনা মাত্র সে আমার কোলে চলে আসে। কি হাসি যে দেয় গানটা শুনে!!!!

২।