ইউজার লগইন

চেনা মুখের চেনা কথা, অজানা অচেনা দূঃখ ব্যাথা !! ( উৎসর্গঃ কাওছার)

আমার লাষ্ট পোষ্টটা আমার একটা ফিলিংসের বহিঃপ্রকাশ ছিলো! একেক সময় একেকটা ভাব কাজ করে । তখন যা মনে আসে লিখে ফেলি । এটার মাঝে গোপন কোন অর্থ থাকে না , যা মানুষকে আহত করতে পারে । আমি সৃষ্টিকর্তার চেয়ে মানুষকে বড্ড বেশি ভয় পাই। কখনো কেউ আমার দ্বারা কোনো কষ্ট পেলো কী না ইদানিং ভাবতে থাকি। এটা মনের এক অবস্থা বৈ কিছুই না ।

এই যে ধরেন , সত্যি কথা বলতে কি, আপ্নি যে ষ্টাটাস লিখেছেন , বিশ্বাস করেন , আমি পড়েই গেছি কিছুই বুঝতে পারি নাই। এটাতে কি মিন করেছেন । ইদানিং কালের মত খারাপ সময় এই লাইফে যায়নি আমার । ঠিক মত খাই , ঠিক মত ঘুমাই , ঠিক মত টিভি দেখি । ঠিক মত রান্না ঘরে সবাই মিলে আড্ডাও দেই । আবার বরফের মাঝে হেটেও আসি ।

শুধু যা করা হয়না , তা হলো ............ পরিচিত কোনো মানুষের খোঁজ নেয়া । মোবাইল অফ থাকে ২৩ ঘন্টা ।

মানুষ যে ইচ্ছা করলেই নিজের মাঝে ডুবতে পারেনা, তা বুঝার জন্য বিশাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই । আমাদের বাধ্য বাধকতা, আমাদের পিছুটান, আমাদের কারো জন্য না কারো জন্য এক মুঠো ভালোবাসার খাতিরে ডুবতে ডুবতে ভেসে উঠতেই হয় । নিজের মাঝে ডুবা আর হয়ে উঠে না ।

খুব মনে পড়ে, মেম এর সাথে যখন প্রেম করেছিলাম। তখন আমার ডুবে যাবার ইচ্ছেটাই হয়েছিলো প্রবল । ইচ্ছে ছিলো মজনু টাইপ একটা রেকর্ড টেকর্ড হয়ে গেলে মন্দ হয় না । এই প্রেমটার মাঝে হয়তো কোনো পাপ ছিলো না ।হয়তো দেহের কারনে আকৃষ্ট হইনি । মেমে ছিলো আমার চেয়ে নয় বছরের বড় । তারপরও ইচ্ছে করলেই ভুলে থাকতে পারতাম না ।

তার গান আমার কানে আজ অব্দি বেজে চলে , আপনি তো সবই জানেনে । সব কিছুই আপনার সাথে শেয়ার করা হয়ে গেছে । মেম কিভাবে হাসে , তাঁর কপালের কতটা ভাজঁ পড়ে, কিভাবে ভ্রু কুচকায়। ঠোঁট গুলো কত ঢঙ্গে নড়ে আজো চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারি যেমনটা পারতাম মেমে এর সাথে কথা বলার আগেও । তখনও মেমকে বলা হয়ে উঠেনি মেম আপনাকে আমি ক্যানো যেনো ভালোবাসি বলে মনে হয় । ।

আমি হয়তো ডুবেই থাকতে চেয়েছি মেম এর মাঝে । ৫ বছর তার ধ্যান করেছি । তাঁর প্রেমের উপাসনা করেছি । আমার অনার্সের ২য় বর্ষই শেষ হইনি তখনো অথচ আমার ক্লাশমেট গুলো দিব্বি তখন অনার্স শেষ করে বসে ছিলো, আমি মেম এর মাঝেই ডুবে ছিলাম । আজো হয়তো মাঝে মাঝে তাকে ভেবেই বসে থাকি । আমি কি পেরেছি তাঁর মাঝে ডুবে থাকতে । পারিনি ।
ঐ যে পিছুটান ।

আমরা আমাদের নিজেদের জন্য বাচিনা , বাচি মায়ের জন্য , বাবার জন্য, ভাই বোন আত্মীয় স্বজন, দেশ সারা পৃথিবীর জন্য । একেক সময় একেকটা এসে আমাদের কাদের উপর ভর করে ।

বাবা চলে যাবার বেলা, বুঝতেই পারিনি , সে চলে যাচ্ছে । মাস গেলো মিস করিনা । বছর গেলো মিস করি না । আরে আজব!! আমি কি পশু নাকি ? হাহাহা এখন তো আরো মিস করি না । এখন শুধু কাদি । ক্যানো কাদি জানি না ।। ডুবতে ইচ্ছা করে , ভাবতে ইচ্ছা করে , বাবাকে নিয়ে । তা আর হয়ে উঠে না । আমরা মানব কুলের প্রানী হবার সুবাদে সামান্য প্রেম কাজ করে আমাদের মাঝে । এবার মানুষটা যতই খারাপ হোক না ক্যানো । কারো জন্য না কারো জন্য তার প্রেম আছেই । হোক সে সিরিয়াল কিলার , হোক সে হিরোসিমা নাগাসিকা ধ্বংস কারী ।

দিনে দিনে হারিয়েছি অসংখ্য কাছের মানুষ । হারিয়েছি চেনা চেনা কথা, যে কথা গুলো রাত বিরাতে সুর হতো , যে সুর গুলো কোনো তাল,লয়,ছন্দ বিনেই বাজতো মনে প্রানে , সমস্ত ইন্দ্রিয়ে । আজও দোলা দিয়ে যায় , পাইনা সেই আসল মানুষগুলোর মৃদু ষ্পর্ষ ।

এতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই । জন্মের পর থেকেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি । ক্লাশ থ্রীতে পড়া কালীন ঘর হারিয়েছি , আজো বাউন্ডুলে । দিনে রাতে ঘর থেকেও রাস্তায় বড় হয়েছি ষ্ট্রিট বয়ের মত ( নীড়-দার মতে ভ্যাগাবন্ড টুরিষ্ট) । রাস্তার ছেলেদের সাথে আমার ভাব ছিলো বিশাল ।

টোকাইদের নিয়ে গোল হয়ে বেনসন টেনেছিলাম সেই ফাইভ এ থাকতেই, লুকিয়ে লুকিয়ে এক টান এক টান করেই পাস করতাম । আইস্ক্রীম ওয়ালার আইসক্রীম বিক্রি করে দিয়ে যা পেতাম তা ভিডিও গেমসের পিছনে ব্যয় করতাম । মানুষের বিল্ডিং্যর ছাদের গিয়ে রড চুরি করতাম , আম, জাম , জলপাই, কাঠাল , মুরগী , হাস, কোনোটাই বাদ যায়নি চুরি থেকে । মায়ের ব্যাংক একাউন্ট থেকেও বাদ রাখিনি । খালের ওপারে চিতা থেকে পূঁজোর ডিম , কবুতর , এনে বাজারে বিক্রি করা ছিলো নিয়মিত রুটিন । ক্লাশে পড়া না পাড়ার কারনে মার খেতামনা , মার খেতাম মাসে দুইদিন স্কুলে যেতাম কি না সন্দেহ ছিলো । মায়ের খুব ভয় ছিলো , ছেলেটা মানুষ হবে কী না , আজো বুঝতে পারিনি কিভাবে মানুষ হয় ।

হয়তো আমার বেড়ে উঠা অন্য সবার মত হয়ে উঠেনি । আমি বেড়ে উঠেছি আমার মত করে । আমি নেচেছি আমার মত । আমি খেলেছি আমার মত করে , মেয়েদের খেলাগুলোও ক্যামন করে যেনো ভালোই আয়ত্ব করেছিলাম , পাঁচ গুটি , দড়ি লাফ , কুতকুত , বউচি, গোল্লাছোট, কানামাছি , রাতে বিদ্যুত চলে গেলে লুকোচুরি খেলতাম , মনে পড়ে নুরনাহার নামের একটা মেয়ের সাথে আমি লুকিয়েছিলাম খাটের নীচে । এটা দেখেই পরের দিন সবাই আমাদের নিয়ে হাসি তামাশা করতো । আজো মনে পড়ে । এখন বুঝি ক্যানো হাসি তামাশা করতো ।

বিড়ির প্যাকেট, ম্যাচের ঠোসা ছিড়ে লাল না সাদা খেলতাম , মার্বেল , লাটিম , আর ঘুড়িতে ছিলাম পারদর্শি, তেতুলের বিচি, বড়ই বিচি, চারা দিয়ে খেলতাম । দিনে দিনে ভুলে গিয়েছি সব । পরে আছে শুধু কিছু কিছু মরা স্মৃতি । আজ সে স্মৃতিগুলো কাজে দেয়না । কিন্তু একটা সাহস যোগায় । একটা শান্তি এনে দেয় ।

লন্ডনের অধিকাংশ সময়টা আপনার সাথেই ব্যয় হয়েছে । আজো ষ্টিপ্নীর রোড দিয়ে গেলে ঐ বাসায় দিকে তাকিয়ে থাকি । আজো মাইলেন্ড পার্কে গেলে আপনার গাঞ্জা খেয়ে চিত হয়ে পড়ে থাকাটা ভাবতে থাকি । আজো উইংস চিপ্স খেতে বসলে ভাবতে থাকি কতো রাত বিরাতে আমরা বের হয়েছি । আজো কোনো হুইস্কি কিংবা ব্রান্ডিতে চুমুক দিলে ভাবতে থাকি, আপনি দুই তিন পাউন্ডের বেশি শেয়ার করতেন না । আর বলতেন আপনি দুই তিন পাউন্ডেরই খাবেন । আপনি খেতেনও তা । বেশি টানতেন না ।

আজো সানী যুবায়েরের গান শুনলে দু জনের চিত হয়ে শুয়ে থাকাটা মিস করি । “ভাবতেই পারো ক্লান্ত কোনো দুপুরে” কিংবা সুমনের কোনো গান শুনলেই আমি ভাবতে থাকি আগের বাসার কথা । দিনে দিনে বদলায় অনেক কিছুই । থেকে যায় অযত্নেই সেই স্মৃতি । যা বিশেষ কিছু মুহুর্তেই যত্নের ভান ধরে মনে পড়ে ।

আমি কোনো সময়েই হয়তো বাধা ধরা কোনো নিয়মে চলতে পারিনি । আমাকে দেখে হয়তো তা মনে হয় না । দেখতে হয়তো হাবলা গুবলা লাগে , কেহ কেহ বলে রাগী রাগী লাগে , কেহ কেহ বলে আমি ভালো অভিনয়ে লাইফ পার করছি । কেহ কেহ বলে আমার জন্ম কারো না কারো অভিশাপের ফলে । আবার কেহ কেহ এত খারাপ জেনেও করুণা করে ভালবাসে । আর আমি আটকে যাই এই করুনার ভালোবাসায় ।

ক্যানো জানি এই ভালোবাসার কাঙ্গালটা আমি বরাবরই । লুফে নেই করুনার ভালোবাসা হোক কিংবা ছলনার । কিংবা বলতে পারেন লোকদেখানো । সে দিন মা'কে বলেছিলাম , এখন টাকা দিতে পারি না । তোমার কোনো আক্ষেপ নেই । আমি যদি বিয়ে করে আসতাম তুমি তো বলতা আমি শশুর বাড়ি টাকা জমাই । মা হাসে । তার হাসির মাঝে নিজের কিছুটা হয়তো খুঁজে পেয়েছে ।

ইদানিং শুনি ভিন্ন সুর । তোর টাকা লাগবেনা । তোর প্রতি আমি এম্নিতেই খুশি । তোরে জন্ম দিতে অনেক কষ্ট হইছে । তুই সবচেয়ে বেশি জ্বালাইছস । বলে হু হু করে কেঁদে দেয় । বললাম মা আমারে মাফ কইরা দিও । মা কয় আরে পাগল , যে পোলায় মায়েরে বেশি জ্বালায় মা বাপে ঐ পোলারেই বেশি মিস করে । এখন তো কেউ জ্বালায় না তাই । হাহাহা ।।

এভাবে চলে লাইফ । আরো অনেক কিছুই হয়তো লিখতাম । মায়ের জায়গায় এসে আমার আর হাত চলেনা ... হয়তো এইটাই আমার শেষ গন্তব্য । এটাই আমার বিশেষ পিছুটান । হয়তো এই পিছুটান এর কারনে আমি কাউকে খুন করতে পারি আবার কাউকে ভালোবাসতে পারি । হয়তো ,কে জানে ।।

বিঃদ্রঃ বুঝিনি আমার আগের পোষ্টটা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে নাকি আহত করেছে ।। আজকাল মাথায় কিছু কাজ করে না ।। কষ্ট পেয়ে থাকলে সরি ।।

হাহহাআ উৎসর্গে বার বার কায়সার লিখে ফেলছিলাম । আপনি বলতেন কাওছার লেখতে পারেন না ? লিখতে গিয়ে মনে পড়লো ।

পোস্টটি ৭ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

সোহেল কাজী's picture


(ও আইচ্ছা, শেষ লাইনে টের পাইলাম।)

মাঝে মাঝে বিবেকার পার্ট নিতে ভালো লাগে, মানুষেরে মুরুব্বির মত জ্ঞানের বাণী দেই। কিরাম একটা আত্মপ্রশাদ।
কয় দিন আগে এক কাছের লোকের সাথে এমন কিছু ভাব বিনিময় করছিলাম।
এক পর্যায়ে বললাম। "মানব জীবন পুরাটাই একটা ট্রেনের সফর, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্লাটফরম আসবে ট্রেন কিছুক্ষনের জন্য থামবে আসবে নতুন সম্ভাবনা। প্রতিটা প্লাটফরমেই কিছু যাত্রী নামবে কিছু যাত্রী উঠবে। এতে আমার কিছু আসে যায় না। সহযাত্রীদের সাথে ক্ষণিকের পরিচয় ক্ষনিকের ভাব বিণিময় ক্ষণিকের ভালো লাগা। সবই ক্ষনিকের। কিছুক্ষন পরই আবার হয়তো যাত্রী বদল হবে। কয়েক মুহুর্তেই ভুলে যাবো আগের যাত্রীকে। হয়তো এতোক্ষণ পাশে বসে থাকা লোকটা প্লাটফরমে নামার সময় হোচট খেয়ে পড়েগেল, তার জন্য আমার হৃদয় খান খান হবেনা। শুধুই বলব, আহারে বেচারা!!!!"

এই ধরনের জ্ঞানী কথা কইতে ভালো লাগে। তবে এইটাও ঠিক যে, একদিন আমারো প্লাটফরম আসবে, আমাকেও ট্রেন থেকে নেমে যেতে হবে। হয়তো সেখান থেকেই শুরু হবে অজানা কোন গন্তব্যের।

আমার কোন পিছুটান নাই ভাবতেই একটা বাউলা সুখ লাগে। আবার যখন মাঝে মাঝে মাইগ্রেনের ব্যাথায় কিংবা কোন অসুখে বিছানায় পইড়া কো কো করি তখন পাশের রুমের ফ্লাটমেট ধইরা নিয়া যায় ক্লিনিকে।
মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কটা আসলেই অদ্ভুত। ঠিক বুঝতে পারিনা।

সোহেল কাজী's picture


পোষ্ট দিয়া কৈ দৌড় দিলেন আবার?

অতিথি পাখি's picture


আছি আশে পাশেই !! মনটা ভালো না ।
তাই কমেন্টের জবাব না দেয়ার জন্য লজ্জিত !!

সোহেল কাজী's picture


হাঃহাঃহাঃ লজ্জার কি আছে?
মনের অবস্থা কৈতে হইবেনা, পোষ্ট পইড়াই বুঝছি।
আজকা কি বাইরে টাইরে যান্নাই?

অতিথি পাখি's picture


কাল রাতে গেছিলাম ............
আজ আর বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছা করতেছে না !!

সোহেল কাজী's picture


মালেকায় হামিরার ব্যাপারে আপডেট জানিনা।

কন্টাক্ট থাকলে কতখোন হুদাই গেজাইতে থাকেন।

পরথম ভালো লাগলেও পরে উদাসী হৈয়া যাইবেন।
গেরান্টেড, বিফলে কমেন্ট এডিট

নজরুল ইসলাম's picture


লেখাটা ভালো লাগলো। আমারও বাউণ্ডুলে জীবন ছিলো, আমিও চতুর্থ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে প্রথম ধূমপানস্বাদ উপভোগ করেছিলাম। তবে বাবার মৃত্যুটা আমার জন্য ভীষণ বেদনাদায়ক ছিলো। আমি এখনো তাঁকে মিস্ করি খুব।
আর আমার উল্টো। আমি থাকি বাংলাদেশে, মা থাকে আমেরিকা। কবে যে আবার দেখা হবে। মনটা খারাপ হয়ে যায়।

যাহোক, বুঝতে পারছি আবেগের ঘণঘটায় লিখে ফেলেছেন, দ্বিতীয়বার চোখ দেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না। তবু পড়ার সময় বানান ভুলটা খুব বেশি চোখে পড়লো। কিছু নিচে উল্লেখ করে দিলাম। রাগ করলে মুছে দিবো।

লাষ্ট, পোষ্ট, ষ্টাটাস = বিদেশী শব্দের বানানে 'স' লেখাটাই রীতি
রান্না ঘরে, এক মুঠো, ঠোঁট গুলো, সুর গুলো= রান্নাঘরে, একমুঠো প্রভৃতি
হেটেও= হেঁটেও
কিভাবে= কীভাবে
বাচি= বাঁচি
কাদের উপর= কাঁধের উপর
কাদি= এখানেও একটা কেবল চন্দ্রবিন্দুরই কমতি, নয়তো কান্না হয়না যে
প্রানী= র থাকলে তারবাদে ণ হওয়াই রীতি
থ্রীষ্ট্রিট বয়ের, টুরিষ্ট= 'ষ' না 'স'
হাস= হাস আর হাঁস দুটো কিন্তু পুরোই আকাশ পাতাল উল্টোপাল্টা। অর্থই পাল্টে দেয়।
গোল্লাছোট= গোল্লাছুট
ছিড়ে= আবারো সেই চন্দ্রবিন্দু
ভান= ণ
বাধা ধরা= বাঁধা-ধরা
করুনা= ণ
শশুর বাড়ি= শ্বশুড়বাড়ির বানানটা অন্তত শ্বশুড়বাড়িতে যাবার আগেই ঠিক করে নিন, নইলে ঢুকতে নাও দিতে পারে।

আর যতি চিহ্নের আগে কোনো স্পেস হয় না, পরে অবশ্যই স্পেস দিতে হবে।

ভালো থাকবেন। সানী যুবায়ের আমারও প্রিয় শিল্পী।

নুশেরা's picture


নজরুলভাই, ভান বানানটা দন্ত্য ন দিয়েই হয়। কাজেই লেখায় "ভান" ঠিক আছে। আর "শ্বশুর" বানানে র হবে, ড় না। শ্বশুরের শূঁড় থাকেনা, হা হা হা।
আপনার তালিকায় আরেকটা বাদ পড়ে গেছে মনে হয়। পূঁজো। হয় পূজা (দীর্ঘ ঊ-কার), নয়তো পুজো (হ্রস্ব উ-কার) হবে।

নজরুল ইসলাম's picture


অনেক ধন্যবাদ দিদি। বানান ভুলের রোগটা যে কীভাবে সারাই। অনেক সময় জানা বানানগুলোও ভুল করে ফেলি।

১০

তানবীরা's picture


নুশেরা / নজরুল ভাই, মধ্যন্ন আর দন্ত্য ন ব্যবহারের কি কোন নিয়ম আছে? আমার এ জিনিসটায় খুব সমস্যা হয়।

১১

নজরুল ইসলাম's picture


মধ্যন্ন আর দন্ত্য ন ব্যবহারের কি কোন নিয়ম আছে?

খালা গো, মধ্যন্ন বইলা তো কোনো বস্তু নাই।

তবে আপনে কী বলতে চাইছেন তা বুঝছি। নিয়ম আছে। সেটা অচিরেই আপনাকে জানানো হবে। এখন আছি কুত্তা দৌড়ে। ১০ মিনিটের চোখের দেখা দিতে নেট অন করছিলাম।

১২

অতিথি পাখি's picture


বানানগুলো আসলেই জান্তাম নাহ, হয়তো এভাবেই লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে গেছে ......

দুই তিন আবার আপনার কমেন্ট পড়লাম । ইভেন , কাজিসাবের পোষ্টেও আপনার কমেন্ট পড়লাম । বানানগুলো দেখে নিলাম ।

ইদানিং আপনার কমেন্টগুলো পড়বো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।। বানানটা শুদ্ধ লেখতে তো আমার সমস্যা নাই। জানতে হবে এই যা ।

অনেক ধন্যবাদ বানানগুলো ঠিক করে দেবার জন্য ।

১৩

নজরুল ইসলাম's picture


অনেক ধন্যবাদ অতিথি পাখি।
প্রথমেই বলে রাখি আমি বানান বিশারদ না। কিছুই জানি না। উপরে দেখেন নুশেরাদি আমার কয়েকটা বানানের ভুল ধরেছেন।

তবে আমি চেষ্টা করি। আগে বেশি ভুল হতো, এখন কম হয়। এই চেষ্টা চলছে। আশাকরি আগামী ১ বছর পর শতভাগ ঠিক বানানেই বাংলা লেখতে পারবো।

এই চেষ্টা করতে গিয়েই অন্যের বানান নিয়েও মাথা ঘামাই। তাতে নিজের সচেতন হতে বেশি সাহায্য হয়।

আমার কাছে এটা একটা খেলার মতো। মনের আনন্দে খেলে যাচ্ছি।

ভালো থাকবেন

১৪

নুশেরা's picture


আপনার নিকটা সার্থক। সত্যিই বাউণ্ডুলে জীবন। লেখাটা চমৎকার।

১৫

নীড় সন্ধানী's picture


.......................................
.......................................

এরকম মন খারাপীয় পোষ্টে কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। আপনার অনুভুতির একাংশ বুঝতে পারছি, তাতেই ভার হয়ে গেছে। পোষ্ট নিয়ে কিছু না বলি বরং নিজের খানিক অনুভুতি বলি।

আমার যখন খুব মন খারাপ হয় আমি উপরের আকাশে ভর করি। ভারটা আকাশের দিকে চালান করি, আর ভাবি সমগ্র বিশ্বজগতের আর কোন গ্রহে এত সুন্দর আকাশ আছে? এরকম সুনীল আকাশ? চাঁদের আকাশটা কালো, মঙ্গলের লাল, শুক্র বুধের আকাশ কটকটে, বাকী সব গ্রহের আকাশও কুচকুচে কালো মাঝখানে জ্বলজ্বলে ঠান্ডা সূর্য, কি বিশ্রী ব্যাপার। তার চেয়ে কত সৌকর্যময় গ্রহ আমাদের এই পৃথিবীটা। কত বিচিত্র উপাদানে ভরা। সবচেয়ে আশ্চর্য ওই আকাশটা। ওই আকাশটার মালিক নাই, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত। আমি রাস্তার ফকির হই আর বিল গেটস হই, আকাশে আমাদের দখল এক। মাত্র দুই চোখের দখল। নিজেকে তখন খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় যে আমি অন্ধ হয়ে জন্মাইনি। মনটা ভালো হয়ে যায় আমার।

১৬

লোকেন বোস's picture


ভালো লাগলো লেখাটা। ধন্যবাদ।

১৭

জ্যোতি's picture


সকালবেলায় মন খারাপের পোষ্ট পড়ে গরম চা ঠান্ডা লাগছে।চমঃকার একটা লেখা মুগ্ধ হয়ে একটানে পড়লাম।কিছু মানুষ কেন যে দুৎখ বিলাসী হয়!

১৮

সাঈদ's picture


মন টাই খারাপ হয়ে গেল।

আমি কখনই বাউন্ডলে ছিলাম না , বরং চুপ চাপ । আর আমার মনে হত - আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল , আমার দেউল আমার এই আপন দেহ।

১৯

আত্তদ্বিপ's picture


কি কমেন্ট করব বুঝতে পারছি না। শুধু বলি ভাল থেকেন আর আবারো বছি যত তারাতাড়ি পারেন দেশ থেকে একবার ঘুরে যান।

২০

তানবীরা's picture


নানীর বাড়ির দেশের মানুষের এতো মন খারাপ হলে হয়। আবার এতো মন খারাপ না হলে হয়তো এমন লেখাও হয়তো হয় না।

কেহ কেহ বলে রাগী রাগী লাগে , কেহ কেহ বলে আমি ভালো অভিনয়ে লাইফ পার করছি । কেহ কেহ বলে আমার জন্ম কারো না কারো অভিশাপের ফলে । আবার কেহ কেহ এত খারাপ জেনেও করুণা করে ভালবাসে ।

এ জায়গাটাতে আমার মনে হচ্ছিল কেহ কেহ না লিখে কেউ কেউ লিখলে আপনার পুরো লেখাটার মতো আরো মিষ্টি শোনাত। পুরো লেখাটা আবৃত্তি করার মতো একটা পিস হয়েছে।

বাই দি ওয়ে, হল্যান্ডে এসে ঘুরে যান, হয়তো মন ভালো হয়ে যেতে পারে।

ভালো থাকবেন।

২১

বাউল's picture


মন খারাপ করা লেখা, অসম্ভব মন খারাপ করিয়ে দেওয়া লেখা!

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.