একটি খারাপ দিন (২য় পর্ব}
[১ম পর্ব পড়তে হলে ক্লিক করুন এখানে।] অফিস ছুটির পর রিকশা নেয়ার চেষ্টা না করে এবার বাসে উঠি। প্রচন্ড ভীড়ে কে যেন জুতা দিয়ে আমার পা মাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠি, ‘আমার পা পিষ্ট করেছে কোন পাপিষ্ঠ রে’। কথাটি বলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির দিকে তাকাই। ‘এমন মাগুর মাছের মতো কুত কুত কইরা চাইয়া থাইকেন না ভাই, গা শিরশির করে। বাসে উঠলে একটু আধটু লাগবোই, সহ্য না হলে নাইমা ট্যাক্সি ক্যাবে গিয়া উঠেন’। এক নি:শ্বাসে কথা কয়টি বলে দম নেন ভদ্রলোক।
‘ভাই, পকেটে ট্যাক্সি ক্যাবের ভাড়া থাকলে কি আর বাসে উঠে ছাগলের সঙ্গে ঝগড়া করি’ ! আমার নির্লিপ্ত বলার ভঙ্গিতে সারা বাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে যায়। একটু পর কন্ডাক্টর এসে ভাড়া চায়। কিন্তু প্যান্টের পেছনের হাত দিয়েই মাথায় যেন বাজ পড়ে আমার। হিপ পকেটে মানিব্যাগটা নেই। বাসে উঠার মুহূর্তেই কেউ...।
‘কী হইলো ভাইজান, ফ্রীজ হইয়া গেলেন ক্যান ! ভাড়াটা দেন’। কন্ডাক্টরের তাগাদা শুনে আমি মিন মিন করে বলি, ‘ইয়ে- আমার মানি ব্যাগটা...’।
‘কি গায়েব হইয়া গেছে’ ? আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলে কন্ডাক্টর। ‘এই ধরনের কথা আমরা অন্তত ডেইলি দশবার শুনি, ধান্ধাবাজি ছাইড়া ভাড়া বাইর করেন’। ওর কথা শুনে রাগে পিত্তি জ্বলে যায় আমার। ‘ওই ব্যাটা, তোর পাঁচ টাকা ভাড়ার জন্যে আমি মিথ্যে কথা বলছি ? এক চড়ে চৌষট্টিটা দাঁত ফেলে দেব বদমাশ কোথাকার’! আমার মুখে কড়া ঝাড়ি খেয়ে এবার চুপসে যায় কন্ডাক্টর। কিন্তু পাশ থেকে একজন টিপ্পনী কেটে বলে, ‘ভাইজান, চৌষট্টি দাঁত পাইলেন কই ? রাগের মাথায় নিজের বত্রিশটাও গোনায় ধরছেন নাকি’? আমি ঠান্ডা গলায় বলি, ‘আমি জানতাম আমাদের কথার মধ্যে তৃতীয় কোন গর্দভ নাক গলাবেই, তাই তার দাঁতও হিসেবে ধরে...’।
মালিবাগ মোড়ে বাস থেকে নেমে দেখি, কথিত এক ছিনতাইকারীকে ধরে বেধড়ক পেটাচ্ছে পাবলিক। এই ছিনতাইকারী সম্প্রদায়ের ওপর আমার ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। বিয়ের পর কোন এক লোডশেডিংয়ের রাতে নবপরিণীতা স্ত্রীকে নিয়ে নির্জন রাস্তায় একটু হাওয়া খেতে বের হয়েছিলাম। এমন সময় অন্ধকারে যেন মাটি ফুঁড়ে বের হয় তিন ছিনতাইকারী। নতুন বউয়ের গা থেকে ওরা জোর করে গয়না খুলে নিচ্ছিল। ওদের নিষ্টুর হাতের ছোঁয়ায় বউয়ের কান দুটি রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। আহত কার আর গয়না হারানোর শোকে ডুকরে কেঁদে ওঠে বউ। ছিনতাইকারীদের এই অভদ্র নির্দয় আচরণে ওদের জম্মের বৈধতা নিয়ে আমার মনে গভীর সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই আমি সাহস করে প্রশ্ন করি, ‘হারামজাদারা, তোদের কি মা-বোন নেই’? আমার এই ধৃষ্টতায় ওরা যার পর নাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং নববধূর সামনে আমাকে দশ-দশবার কান ধরে ওঠ-বস করতে বাধ্য করে। সে দিনের সেই বেইজ্জতি হওয়ার ব্যথাটা এতোদিন পর চাগিয়ে ওঠে। অতপর জামার গুটিয়ে আমিও গণধোলাই তে অংশ নেই। হঠাৎ পুলিশের হুইসেল বেজে ওঠে। পুলিশ দেখে জনতার ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। ছিনতাইকারীর ‘ত্রানকর্তা’ হিসেবে চিহ্নিত করে জনতা অতপর পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ক্ষেপে গিয়ে পুলিশও পাল্টা অ্যাকশন নেয়। শুরু করে ‘মৃদু লাঠিচার্জ’। পুলিশের এই ‘মৃদু লাঠিচার্জ’ যে কতটুকু ‘মৃদু’ তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। সেই ‘মৃদু লাঠিচার্জের’ একটি হঠাৎ করে এসে পড়ে আমার কোমরে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি আমি। সে অবস্থাতেই আমাকে জাপটে ধরে দু-তিনজন পুলিশ। অতপর চার হাত-পা ধরে চ্যাংদোলা করে ছুঁড়ে মারে ভ্যানের ভেতর, যেন আমি রিলিফের মাল।
‘ছিনতাই করেন কবে থেকে’? থানার ডিউটি অফিসারের মুখে এমন অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে আমার।
‘দেখুন আজে-বাজে প্রশ্ন করবেন না, আমি একজন সম্ভ্রান্ত ভদ্রলোক’। আমার কণ্ঠে জোরালো প্রতিবাদ। ভিতরে ভিতরে অবশ্য অসম্ভব ঘাবড়ে যাই আমি। হায় আল্লাহ ! কেন যে ছিনতাইকারী পেটাতে গেলাম ! এখন পুলিশ কিনা আমাকেই ছিনতাইকারী বলে ফাঁসাতে চাচ্ছে ! রাগের মাথায় নিজের পাছাতেই কষে লাথি মারতে ইচ্ছে করে।
‘হ্যাঁ, দেখেতো অবশ্য ভদ্রলোকই মনে হচ্ছে। তবে এখন ভদ্রবেশেও অনেকে ছিনতাই করে। প্রথমে এসে বিনীতভাবে সালাম দেয়, কেমন আছেন-বলে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে। অতপর মামা, চাচা, খালু অথবা বড়ভাই সম্বোধনে আত্মীয়তার সম্পর্কও স্থাপন করে। তারপর পেটে ছুরি ঠেকিয়ে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে হ্যান্ড শ্যাক বা কোলাকুলি করে হাসিমুখে বিদায় নেয়। সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে খুবই ভদ্রভাবে কাজ সারে এরা। যাওয়ার সময় গাড়িভাড়া বা রিকশা ভাড়াটা অন্তত ফেরত দিতে ভুল করে না’। আমার চোখে চোখ রেখে ঠান্ডা গলায় কথাগুলো বলে থামেন অফিসার।
‘দেখুন স্যার, আমি মোটেও ছিনতাইকারী নই, আমি একজন চাকুরিজীবী। কণ্ঠ নামিয়ে বিড় বিড় করে বলি আমি। ইশ্ এমুহূর্তে পরিচয় পত্রটা যদি সঙ্গে থাকতো। কিন্তু ওটাতো মানিব্যাগের সঙ্গে এখন পকেট মারের পকেটে। উপায়ান্তর না দেখে বসের নাম আর ওনার বাসার টেলিফোন নম্বর উগরে দেই আমি।
আমার বসের নাম শুনেই একটু যেন থমকে যান ডিউটি অফিসার। তারপর ফোনের রিসিভার তুলে আমার দেয়া নম্বরে ডায়াল করেন। লাইন পেয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘স্যার, আমরা রাস্তা থেকে এক ছিনতাইকারী ধরেছি। সে বলছে, সে নাকি আপনার অফিসে চাকুরি করে, নিন স্যার কথা বলুন’। আমার দিকে রিসিভার এগিয়ে দেন অফিসার।
‘স্যার, আমি ভুঁইয়া স্যার’। নার্ভাস কণ্ঠে বলি আমি।
‘ভুঁইয়া ! কোন ভুঁইয়া ? বার ভুঁইয়ার কথা অবশ্য শুনেছি, কিন্তু তারাতো এখন ইতিহাসের পাতায়’। বসের কণ্ঠে রসিকতার সুর।
‘আমি রহিম ভুঁইয়া, আপনার অফিস সহকারী স্যার’।
‘ও-ভুঁইয়া সাহেব ! আপনি থানায় কেন ! অফিস ছুটির পর এক্সট্রা ইনকামের ধান্ধা শুরু করলেন নাকি’? বসের ব্যাঙ্গাত্মক খোঁচা শুনে কাটা ঘায়ে যেন নুনের ছিটা পড়ে আমার। ‘না-মানে স্যার, আসলে হয়েছিল কি...’। বিড় বিড় করে পুরো ঘটনাটির একটি ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বস আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে ভুঁইয়া সাহেব, কাল অফিসেই না হয় আপনার ‘অ্যাডভেঞ্চার বৃত্তান্ত’ শুনবো, এখন অফিসার কে দিন’।
আম কল্পনার চোখে দেখতে পাই পরদিন সারা অফিস আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। বিশেষ করে মিস পুদিনার উঁচু দাঁতের বিশ্রী হাসির কথা ভাবতে গিয়ে লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করে আমার।
থানা থেকে বের হয়ে দ্রুত রিকশা নেই। গভীর রাতে গলির মুখে রিকশাঅলা আমাকে নামিয়ে দেয়। অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও সে গলিতে ঢুকতে সাহস করে না। এই গলিতে বাস করে এক ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’। আমার জন্য সে রীতিমতো এক মূর্তমাণ বিভীষিকা। অথচ আমি কখনোই তাকে দেখে লাথি মারার জন্য পা তুলিনি কিংবা তার মুখ থেকে হাড্ডি কেড়ে নেইনি। তবুও অজ্ঞাত কারনে সে আমাকে দেখলেই তেড়ে আসে। এই মহল্লায় বাসা নেয়ার পর থেকেই এই নতুন শত্রু জুটেছে আমার। ওর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে এক বন্ধুর পরামর্শে সিটি কর্পোরেশনের ‘কুকুর নিধন বিভাগে’ গিয়েছিলাম অভিযোগ করতে। এক ভদ্রলোক খাতা-কলম হাতে নিয়ে আমাকে রীতিমতো জেরা করার ভঙ্গীতে প্রশ্ন করা শুরু করেন। তার প্রশ্ন গুলো ছিল নিম্নরূপ।
‘নাম’?
‘রহীম উদ্দীন ভুঁইয়া’।
‘আপনার নাম না, কুত্তার নাম বলেন’।
‘বেওয়ারিশ কুকুরের আবার নাম কি’? আমি অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি।
‘আচ্ছা, ঠিকানা বলেন’।
‘ঠিকানাও নেই, রাস্তা-ঘাটে ঘুরে বেড়ায়’।
‘যে রাস্তায় ঘুইরা বেড়ায়, তার লোকেশন বলেন’।
‘শান্তিবাগ ৩ নং গলি’।
‘কি জাতের কুকুর’?
‘কুত্তার আবার জাত কি’?
‘কি বলেন ! জাত আছে না ? ব্লাড হাউন্ড, অ্যালসেশিয়ান, বুলডগ, বুলটেরিয়র, ফক্সটেরিয়র, ডোবারম্যান, পিল্ক শার্ফ-এমন কতো জাতের কুকুর আছে দুনিয়ায়। আমাদের দেশী কুত্তা হইলেও জানা দরকার, সরাইলের না নড়াইলের ?
‘দেখুন, কুকুরের জাত নিয়ে গবেষণা করা আমার কর্ম নয়, সেটা ধরার পর আপনারাই জেনে নেবেন’। চড়া গলায় কথাগুলো বলি আমি।
‘দেখুন মিস্টার, ধরার আগে আমাদেরকে তো কুকুরটাকে সনাক্ত করতে হবে, নাকি ? ঠিক আছে, গায়ের রঙ বলুন’।
‘শিয়ালু কালার’। নির্বিকার ভঙ্গিতে বলি আমি।
‘মানে’?
‘মানে বুঝলেন না ? শিয়ালের মতো গায়ের রঙ’।
‘মেল না ফিমেল’?
‘দেখেতো মরদা বলেই মনে হয়’।
‘উচ্চতা’?
‘এই ধরুন দেড় ফুট’।
‘দৈর্ঘ্য কতো’?
এবার সত্যি মেজাজটা চড়ে যায় আমার। ঠান্ডা গলায় বলি, ‘ভাইজান কি আমার সঙ্গে মশকরা করতেছেন’?
‘আপনি কি আমার বোনের হাজবেন্ড যে আপনার সঙ্গে মশকরা করবো ? সঠিক কুকুরটাকে সনাক্ত করার জন্যই আমাদের এই সব তথ্য জানা জরুরী’।
‘কিন্তু আমি কি গজ-ফিতা নিয়ে দৈর্ঘ্য মাপার জন্য একটি পাগলা কুকুরের সামনে যাবো, যে কুকুর আমাকে দেখলেই ধাওয়া করে’।
‘সেটা আপনার ব্যাপার। তবে শুধু দৈর্ঘ্য মেপে আনলেই চলবে না, লেজ সহ এবং লেজ ছাড়া-দুটি মাপই আনতে হবে’। ভদ্রলোকের কথা শুনে আমি হাসবো না কাঁদবো-বুঝতে পারি না। ‘সরি, আমি সম্ভবত ভুল করে পাগলা গরাদে চলে এসেছি’। কথা কয়টি বলে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে আসি আমি।
গলির মুখে রিকশা থেকে নামার পর আতঙ্কে পা চলেনা আমার। সন্ত্রাসীটা কোথায় ওঁৎ পেতে আছে কে জানে ! ভয়ে ভয়ে বাসার উদ্দেশে হাঁটতে থাকি আমি। কিন্তু কোথায় আছে যেখানে ডাকাতের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। হঠাৎ করে মাটি ফুঁড়েই যেন রাস্তার ওপর উদয় হয় ওটা। এক মুহূর্ত আমার চোখে স্থির চেয়ে থাকে। ওয়েস্টার্ন ছবিতে ‘ড্র’ করার আগে দুই প্রতিদ্বন্ধী যেভাবে একে অন্যকে যাচাই করে, অনেকটা সেরকম করে আমাকে জরিপ করে ওটা। তারপর হঠাৎ ঘেউ ঘেউ করে কলিজা কাঁপানো ডাক ছেড়ে চিতা বাঘের মতো তেড়ে আসে আমার দিকে। আমিও পড়িমরি করে ছুটতে শুরু করি। এক দৌড়ে বাড়ির কাছে এসে দেখি মেইন গেট বন্ধ। অতপর এক লাফে দেয়াল টপকে ওপাশে গিয়ে পড়ি। বেকায়দা ভঙ্গিতে শক্ত কংক্রিটের ওপর আছড়ে পড়ে জ্ঞান হারাই আমি।
হুঁশ ফিরে পেয়ে দেখি, আমার মুখের ওপর বউয়ের অশ্রুসজল উদ্বিগ্ন মুখ। আমার বুকটা হু হু করে ওঠে। সত্যি আজ খুব বাজে একটা দিন গেছে আমার। হাতের আঙ্গুল দিয়ে বউয়ের চোখের অশ্রু মুছে দেই আমি।
পর্ব দুইটাই সমান ভালো হয়েছে।
হাহাহাহাহাহাহহাহা।
লীনা, তোমারে অনেক...
:clap: :clap: :clap:
:
মীরের সাথে একমত। দুইটা পর্বই ভালো লাগছে।
না গুরু রম্য-টম্য বোধ হয় আমার দ্বারা হবে না, পাবলিক খাইতেছে না। ভাবতেছি ১৮+ শুরু করবো কিনা।
এইটা তাহলে রম্য!!!
প্রথম পর্ব পড়ে আমি ভাবছিলাম, সত্যিকার ঘটনা। আমার অবশ্য বেশির ভাগ জিনিস বুঝতেই কিঞ্চিৎ টাইম লাগে। যাক, ব্যাপার না। ঈশান, চালায়ে যান।
রম্য লিখে থাকেন মাসুম ভাই, রায়হান ভাই। রম্য জিনিসটা ওনাদের স্বভাবজাত। ওনারা যা লেখেন, তাহাই রম্য। ওনাদের দেখাদেখি আমিও একটু রম্য লেখার অপচেষ্টা করেছিলাম মাত্র। আসলে রম্য হয় নাই। ভবিষ্যতে এই দু:সাহস করবো কিনা ভাবতে হবে। ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
লিখতে লিখতেই হবে
... ব্যাপার্না
... থাইমা যাইয়েন্না... আর মনে রাকপেন.. লেখা পাঠের জন্য আম্রা আছি... ছো নো চিন্তা ডু ফুর্তি 
যাক কনফার্ম পাঠক পাওয়া গেলো ।
নো চিন্তা ডু খানা-পিনা। 
প্রথম পর্বটা বেশী ভালো লেগেছে।কিন্তু এই পর্ব বেশী আরোপিত লেগেছে।
লিখে যান ভাইজান পড়ার জন্য আমরাতো আছিই।
ধন্যবাদ রাসেল আশরাফ। এটা শেষ করতে আমার এক মাস লেগেছে। আইলসা মানুষতো ! শেষের দিকে এসে উৎসাহ এবং খেই, দুটোই হারিয়ে ফেলেছিলাম।
বেশ লিখেছেন, লোভ থেকেই গেলো....
দু:খিত জনাব, আপনাকে তৃপ্তি দিতে পারলাম না। আসলে আমি তেমন ভালো লেখক নই। দুটি পর্ব ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

বউয়ের পা টিপা দিয়া দিনের শুরু আর চোখ মোছা দিয়ে শেষ!!!! দারুন একটা বউময় দিন গেলো দেখি
দারুন বলেছেনতো ! কিন্তু বউময় কি ! আসলে তো ঝামেলাময়।
ওহ এটা রম্য!! আমি ভাবছিলাম আত্নজীবনী
ভাল হয়েছে।
দুইটা পর্বই ভালো লাগলো!.।। মজার হইছে লেখা!
আর মায়াবতী কি আসল কথা কইয়া দিলো?
মন্তব্য করুন