শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার অপ্রকাশিত ফোনালাপ
দেশের সর্বত্রই বর্তমানে একটাই আলোচনা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ফোনালাপ। সাধারণ, অসাধারণ সব মানুষের আগ্রহ, কৌতূহলের পরিধি এতটাই ব্যাপক- সূর্য পশ্চিমে উঠলেও আরো কম ‘পাত্তা’ পেতো। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ফোনালাপটি গুরুত্বের সাথে প্রচার প্রকাশ করেছে। কিন্তু তা খণ্ডিত, ভগ্নাংশমাত্র। শুধু ৩৭ মিনিট নয়, তারা আলাপ করেছেন আরো বেশি সময় ধরে। মিডিয়ার অগোচরে। কথোপকথনের বাদ পড়া অংশটুকু স্বপ্নলোক থেকে জানাচ্ছেন কল্পলোকের বাসিন্দা শফিক হাসান
শেখ হাসিনা : হ্যালো! কেমন আছেন?
খালেদা জিয়া : আবার হেলানোর ফন্দি! হেলাতে হেলাতে আমার পীঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিলেন। আর কত হেলাবেন?
শেখ হাসিনা : ছি ছি, এভাবে বলছেন কেন? হাজার হলেও আপনি আমার বন্ধু মানুষ।
খালেদা জিয়া : বন্ধুত্বের দরজায় আপনি খিল লাগিয়ে রেখেছেন। নইলে এডিসিকে দিয়ে ফোন করাতেন না। নিজেই করতেন!
শেখ হাসিনা : এডিসি আপনার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ফোনে...।
খালেদা জিয়া : আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন না বলে সরাসরি ফোন না করে বিশ্বাস সাহেবকে মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন! বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে আপনি হচ্ছেন প্রথম পক্ষ, আমি দ্বিতীয় পক্ষ। তৃতীয় পক্ষ মানে শিমুল বিশ্বাস আসবেন কেন। এভাবে গোয়ার্তুমি করে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটান! ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনদের সুযোগ দেন!
শেখ হাসিনা : রেড টেলিফোনে ফোন করেছিলাম। আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল আবিষ্কৃত যন্ত্রটা বাজলো, আপনি ধরলেন না!
খালেদা জিয়া : আপনি যদি সত্যিই ফোন করে থাকেন ধরে নিতে হবে, আপনার মতো ওই আলেকজান্ডারেরও বেইল নাই! বেইল নাই আবার নাম রাখছে গ্রাহামবেল! অন্যদিকে আমাদের সাদেক হোসেন খোকা নামে খোকা, কাজে পাকা!
শেখ হাসিনা : গ্রাহামবেল বাংলাদেশের জনগণের মতোই নিরীহ- তাকে দোষারোপ করে লাভ নেই। বাস্তবতা হচ্ছে- আপনার রেডফোনে কল দিয়েছিলাম। ধরেননি...!
খালেদা জিয়া : ধরিনি মানে! আপনি সবসময় আমাকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চান কেন? আমার ব্যর্থতা মানে কি আপনার সফলতা? ভুলে যাবেন না, আমি রাজপথ কাঁপানো লৌহমানবী! ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর থেকে নাকি কানে শোনেন না! ডেড রেডফোন বাজে- ঠিকই শুনতে পেলেন!
শেখ হাসিনা : আমি কিছুই ভুলিনি। আপনি এখনো রাজপথ কাঁপানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন! আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি, রাজপথ কাঁপাকাঁপি বন্ধ করে গণভবনে আসেন। সুখ-দুঃখের গল্প করি!
খালেদা জিয়া : সুখ-দুঃখ? আপনার কাছ থেকে জীবনে দুঃখ ছাড়া সুখ পাইনি!
শেখ হাসিনা : এমনভাবে বলছেন, যেন আমাকে সুখের স্বর্গে তুলে রেখেছেন! বিষের যন্ত্রণা, কাঁটার আঘাত ছাড়া কিইবা দিয়েছেন!
খালেদা জিয়া : দাওয়াত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসবো, দলের আরো লোকজনও থাকবে।
শেখ হাসিনা : রাজাকার-মৌলবাদীদের সাথে আনবেন না তো!
খালেদা জিয়া : রাজাকার-মৌলবাদীদের সাথে আপনি যখন জোট বেঁধেছিলেন...!
শেখ হাসিনা : জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ একটি দল। কিছুদিন আগে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক গুরু আবুল আলা মওদুদী-পুত্র জামায়াতের সব গোমর ফাঁস করে দিলো শোনেননি! তাছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিচার হচ্ছে!
খালেদা জিয়া : প্রহসনের বিচার মানি না! তালগাছটা আমার ভাগেই রাখতে হবে!
শেখ হাসিনা : রাজাকারদের জন্য এত মায়াকান্না কেন! আপনি না একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী? মুক্তিযুদ্ধে আপনিও অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সয়েছেন!
খালেদা জিয়া : আলবদর-আল শামসরাই আমার রাজনৈতিক পার্টনার। বড় শক্তি। এদের সিঁড়ি বানিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে!
শেখ হাসিনা : রাজাকাররাই আপনার আপনজন। এদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নাশকতা ঘটাচ্ছেন। জামায়াত-শিবিরের নালায়েক ছেলেগুলোকে লেলিয়ে দিয়েছেন মানুষ খুনের জন্য!
খালেদা জিয়া : হরতাল করার সুযোগ পেয়েছি- ছাড়বো কেন? আপনার সময়ে ছেড়েছিলেন! উল্টো ক্ষমতায় থাকাকালীন ঘোষণা দিয়েছিলেন বিরোধীদলে গেলেও হরতাল করবেন না! অথচ পরে দেশবাসী ঠিকই আপনার আসল চেহারা দেখেছে!
শেখ হাসিনা : আসল চেহারা মানে! আমি আপনার মতো কড়া মেকআপ নিই নাকি!
খালেদা জিয়া : আপনাদের চেহারা মানে লগি-বৈঠার রাজনীতি, পিটিয়ে মানুষ মারা। ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিশ্বজিৎদের মতো নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের স্বস্তি দিচ্ছে না।
শেখ হাসিনা : ছাত্রলীগ মানুষ খুন করে, ছাত্রদলও- সুতরাং কাটাকাটি! গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কাজ করছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে আপনারা বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন...!
খালেদা জিয়া : বলিহারি আপনার গণতন্ত্রের! হাবভাবে আপনি গণতন্ত্রের সোল এজেন্ট কিন্তু কাজে সম্পূর্ণ উল্টো! বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা আমার স্বামী জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে আপনাদের বাকশালী শাসন...!
শেখ হাসিনা : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী...। আমরা নিশ্চয়ই ঝগড়া করতে চাই না। সেই বয়স আছে!
খালেদা জিয়া : গায়ের সাথে গা লাগিয়ে দিনরাত ঝগড়া করছেন- মুখে বলছেন ঝগড়া চান না...!
শেখ হাসিনা : গণভবনে আসুন। আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজি...।
খালেদা জিয়া : বললাম তো, আসবো। আগে কিছু হরতাল অবরোধ করি। নির্বাচনের মওসুম, দলের নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হোক।
আসার আগে আমার কিছু শর্ত মানতে হবে- তারেক-কোকোকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন, দৈনিক আমার দেশ ও দিগন্ত টিভি চালু করতে হবে, মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে, কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সিকে পুলিশি হয়রানি করা যাবে না- কারণ কিছুদিন পরে সে আমার দলের কর্মী হবে, গণজাগরণ মঞ্চ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে...।
শেখ হাসিনা : হয়েছে, আপাতত আর বলবেন না। আলোচনায় আসুন, নষ্ট রাজনীতি প্রত্যাহার করে দাওয়াত গ্রহণ করুন!
খালেদা জিয়া : দাওয়াত দিচ্ছেন নাকি ধমক...!
শেখ হাসিনা : প্রস্তাব দিচ্ছি। পরে পস্তাবেন...।
খালেদা জিয়া : ধমক দেবেন না। ডরাই না। ভণ্ডকবি এরশাদকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পর ভয়-ডর ভেঙে গেছে।
শেখ হাসিনা : বেহায়া লোকটিকে নিয়ে আর কত খেইল দেখাবো আমরা। রাজনীতির ক্রীড়নক হিসেবে তাকে নিয়ে খেলতে ভালো লাগে। মজাদার পুতুল-। আপনি পুতুলনাচ না দেখে এরশাদকে সরকার পতনের হাতিয়ার বানাতে চান!
খালেদা জিয়া : এরশাদকে পরোক্ষভাবে শেল্টার দিয়েছেন আপনিই। তিনি যখন একটি নির্বাচিত সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিলেন, আপনি বিবিসিকে বললেন- ‘আই এম নট আনহ্যাপি’। এরশাদ আপনাকে আগেও হ্যাপি করেছিলেন, এখনো করছেন! অন্য সবার ক্ষেত্রে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করলেও এরশাদ বিষয়ে আপনি কোকিলকণ্ঠী...!
শেখ হাসিনা : আমার ক্ষেত্রে অন্তত হ্যাপি শব্দটা খাটে না। পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আপনজনদের হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছি। আপনি ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটেন। এমন একটি দিনে- কীভাবে পারেন? ছোট্ট রাসেলের কথা মনে করে হলেও সংযত থাকতে পারেন না?
খালেদা জিয়া : প্রতিটি মানুষের অন্তত ১০টি জন্মদিন পালন করার অধিকার রয়েছে। আমি জন্মদিন পালন করি ৩/৪টা। ১৫ আগস্টে মানুষ জন্মগ্রহণ করবে না? তারা জন্ম-উৎসব করবে না! সেই অধিকার না থাকলে সংসদে আইন পাশ করে ১৫ আগস্ট সন্তান জন্মদানকারীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করুন...!
শেখ হাসিনা : গণভবনে কবে আসবেন?
খালেদা জিয়া : আসার পথ রেখেছেন? নির্বিচারে দলের কর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন। তারা দুষ্টু খোকাবাবুর মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে, গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছে। আমি বিএনপির নেত্রী হলেও এখন দল চালায় জামায়াতে ইসলামী। কাগজে-কলমে আমরা ১৮ দল দলেও সংখ্যাটা আরো বড়। হেফাজতে ইসলামকেও আমলে রাখতে হয়! যদি সত্যিই আলোচনা চান- জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে প্রকাশ্যে আসার সুযোগ দিন!
শেখ হাসিনা : জামায়াতকে দেশপ্রেমিক হিসেবে ঘোষণা দেবো? আপনার মাথা গেছে...!
খালেদা জিয়া : তারা কি পাকিস্তানকে ভালোবাসে না? এখনো পাকিস্তান সৃষ্টির স্বপ্ন দেখে না?
শেখ হাসিনা : তাদের দেশপ্রেমিক ঘোষণা দিতে পারে পাকিস্তান সরকার। আপনিই বা কেন রিস্ক নেবেন?
খালেদা জিয়া : দল বাঁচাতে... জোট বাঁচাতে...।
শেখ হাসিনা : দল বাঁচাতে গিয়ে যদি অস্তিত্বই বিলোপ হয়ে যায়- কী হবে দল বাঁচিয়ে?
খালেদা জিয়া : তারা কথা দিয়েছে- উল্টাপাল্টা কিছু করবে না!
শেখ হাসিনা : তাদের আপনি বিশ্বাস করেন? দেখছেন না, জামায়াত প্রকাশ্যে যা করতে পারছে না, সেটা হেফাজতে ইসলামকে দিয়ে করাচ্ছে, বলাচ্ছে। আপনাকে-আমাকে তেঁতুল বানিয়ে দিচ্ছেন শাহ আহমদ শফীরা...! নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য, নারী নেতৃত্ব বিষয়ে ফতোয়া দিচ্ছে!
খালেদা জিয়া : বাড়াবাড়ি করছে। সময়মতো টাইট দেবো! সরকার পতনের জন্য তারাই বড় শক্তি। ধর্মকে ব্যবহার করে আপনার ভিত নাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম...।
শেখ হাসিনা : পারলেন না তো। উল্টো দেশে মৌলবাদের উৎকট প্রকাশ ঘটালেন...।
খালেদা জিয়া : কথাটা অনেকেই বলছে- বাংলাদেশকে দুই ভাগ করে এক অংশের শাসক আমি অন্য অংশের আপনি...!
শেখ হাসিনা : বাম, ইসলামী দলগুলোকে কীভাবে সামাল দেবো? বহির্বিশ্ব- আমেরিকাকে কীভাবে বোঝাবো- গণতন্ত্র বিপন্নের অভিযোগ উঠলে...!
খালেদা জিয়া : আমেরিকাকে সামলানো আপাতত কঠিন হবে না। তেল-গ্যাস রপ্তানির প্রলোভন দেখানো যাবে। সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি ৫ বছর ক্ষমতায়, আমি ৫ বছর- ভাগাভাগি করে...!
শেখ হাসিনা : স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি হিসেবে জনগণ আওয়ামী লীগকেই বারবার ক্ষমতায় দেখতে চায়!
খালেদা জিয়া : আপনি চাচ্ছেন বিএনপি সবসময়ই মাঠে থাকবে! আমরা প্রস্তুত- জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো...!
শেখ হাসিনা : আগুন জ্বালতে হবে না, আমাদের সমঝোতায় আসতে হবে। আমি ফোন করেছি, পরবর্তীকালে আপনি দ্বিধা করবেন না। ব্যালেন্স না থাকলে মিসড কল দেবেন...!
খালেদা জিয়া : মিসড কল কেন! আমার কি টাকার অভাব? মিস্টার ১০% হিসেবে তারেক হাওয়া ভবনে থেকে যে টাকা লুটপাট করেছে- ফোনকল কেন, সারাবিশ্বের সব ফোন এবং কোম্পানিগুলোকে অনায়াসে কিনে ফেলতে পারি...!
শেখ হাসিনা : আন্দোলনের নামে ঘাম ঝরাচ্ছেন কেন! বিদেশে ছেলেদের সাথে বসবাস করলেই পারেন!
খালেদা জিয়া : কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবেন না। আমার দুই সন্তানকেই দেশে আসতে দিচ্ছেন না, মামলা ঝুলিয়ে রেখেছেন!
শেখ হাসিনা : একদিন ফোন করে গণভবনে চলে আসুন! রাতে ফোন করবেন না। রাত জাগি না। সন্ধ্যার পর নামাজ পড়ে...।
খালেদা জিয়া : আমি জানি। আপনি খুব নামাজ পড়েন, কোরআন পড়েন... সব পড়েন। সবই জানি। ধর্মকে ব্যবহার করে আমরা দুজনেই রাজনীতি করি। আমাকে ধর্মের কাহিনী শোনাবেন না!
শেখ হাসিনা : পার্লামেন্টে আমরা দুজন- আমরা আমরাই তো! পার্লামেন্ট থাকলে কখনো আপনি অপজিশনে, কখনো আমি। পার্লামেন্টই যদি না থাকে... যদি তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটে- আপনার-আমার কোনো দলই লাভবান হবে না! সমঝোতায় আসুন। নইলে...!
খালেদা জিয়া : নইলে? নইলে কী? ধমক দিচ্ছেন? ধমকের প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে লাগাতার হরতালের ঘোষণা দিচ্ছি!
শেখ হাসিনা : আবার হরতাল, আবার ঘোষণা? আপনার ঘোষণাও যেন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মতো বিতর্কিত হয়ে না যায়...!
খালেদা জিয়া : তবেরে...!
শেখ হাসিনা : তবেরে...!
খালেদা জিয়া : মন চাইছে তোর সব চুল টেনে টেনে ছিঁড়ে ফেলি! ধাড়ি শয়তান কোথাকার!
শেখ হাসিনা : মন চাইছে তোর সব চুল টেনে টেনে ছিঁড়ে ফেলি! ধাড়ি শয়তান কোথাকার!
সবটাইতো বাসতব, কল্পনা কোথায়????
পোস্ট করেছেন: (২৪)
কমেন্ট করেছেন: (৪৭)
আপনি এবির মতন পাবলিক ব্লগে কেন লিখছেন বুঝতে পারলাম না!
নিজের প্রাইভেট ব্লগেও তো মানুষ এর চাইতে বেশি মন্তব্য করে!!
বিবা র মন্তব্যই একটি পূর্ন পোস্ট। মজা পাইলাম।
কল্পনা হচ্ছে, কিছুই আমি নিজ কানে শুনিনি! @ তানবীরা
কী বোঝাতে চাচ্ছেন, ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। @ বিষণ্ন বাউণ্ডুলে
না বোঝার কি আছে?!
আপনার নিজের পোস্ট করা লেখা ও আপনার মোট মন্তব্য দেখে যা মনে হল, তাই বললাম।
এটা একটা পাবলিক ব্লগ।
এখানে নিয়মিত লিখলে ভাল, তবে অন্যদের লেখাও পড়ুন - সময় পেলে।
কেবল নিজের লেখা প্রকাশ করতেই এত ভালো লাগ্লে
আপনি বরং ব্লগে না লিখে পেপারে লিখলেই ভালো।
"বিবা র মন্তব্যই একটি পূর্ন পোস্ট। মজা পাইলাম।"
বিবা কী? মন্তব্যই বা কই? @ সামছা আকিদা জাহান
মন্তব্য করুন