আগুনের পুরাণকাহিনী
কিছুদিন আগে একটা বই পেলাম-- আদিবাসী আমেরিকানদের পবিত্র গল্প (Native American Stories of the Sacred)। লোককাহিনী/রূপকথা/ধর্মকথা আমার আগ্রহের জায়গা। তাই অনেক কাজের চাপের মধ্যেও সময় পেলেই চট করে একটা গল্প পড়ে নেই। আমাদের দেশের প্রাচীন লোককাহিনীগুলোর মত এগুলোও বিনোদনের সাথে সাথে গভীর উপলব্ধির তৈরী করে। সহজিয়া কথক ঢংয়ে বলা গল্পগুলোর মধ্যে দিয়ে পাওয়া যায় সামাজিক, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের গুরুত্বপূর্ন প্রমান। “পৃথিবী কিভাবে তৈরী হলো”, “প্রথম আগুন” বা এজাতীয় অন্য গল্পগুলো শুধুমাত্র তাদের সামাজিক জীবন বা চিন্তাধারাই ব্যাখা করেনা সাথে সাথে তুলে ধরে নেটিভ আমেরিকানদের বিশ্বাসের একটি বিশেষ দিক, যাতে প্রকৃতি, মানব, ঈশ্বর, পশুপাখি সবাই একে অপরের পরিপূরক, সবাই পবিত্র আত্মার অংশ।
এই যেমন আগুনের গল্পটাই ধরা যাক। হিন্দুপুরানে দেবতা অগ্নি ইন্দ্রের জমজ। প্রখর তার রূপ। তার মাধ্যমেই দেবতার কাছে নিবেদন আবেদন করা হয়। তাই অগ্নিতে ঘৃতাহূতি বিনা পূজা হয়না। ইন্দ্রবিনা আর কারো দ্বিতীয় নয় অগ্নি, অনেক ক্ষমতা তার। অন্যদিকে গ্রীকপুরান আনুযায়ী টাইটান দেবতা প্রমিথিউস মৌরি গাছের ডালে করে লুকিয়ে স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে আনে মানবজাতির জন্য। তাতে ভীষন ক্ষেপে যান দেবরাজ জিউস। প্রমিথিউসের থেকে আগুনপ্রাপ্ত মানুষের জন্য তিনি পাঠান “প্যান্ডোরার বাক্স”- যা শত মানা করা সত্তেও জিউসেরই কন্যা প্যান্ডোরা খুলে ফেলেন। প্যান্ডোরার কৌতুহলের বলি হয় সমগ্র মানবজাতি। বাক্স থেকে একে একে বের হয়ে আসে- দুঃখ, জরা, ব্যাধি, হিংসা, ইর্ষা, লোভ, ক্রোধ, লালসা, এবং আরো যত খারাপ জিনিষ আছে সব। তবে ঈশ্বর যেহেতু একেবারে নিরাশ করবেন না মানুষকে তাই শেষ বের হয়ে আসে “আশা”; তাই আজও দুঃখ, জরা, ব্যাধি সবকিছুর পরেও আশায় আশায় বেঁচে থাকে মানুষ। এদিকে ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি বিদ্রোহ করার দায়ে প্রমিথিউসকে বন্দী করা হয় ককাসস পাহাড়ের মাথায়, শাস্তিস্বরুপ এক ক্ষুধার্ত ঈগল পাখি এসে প্রতিদিন তার হৃদয়কে ঠুকরে খেয়ে যায়। পরদিন তৈরী হয় আরেক হৃদয়, কিন্তু পরদিন আবারো উড়ে আসে সেই ঈগল, আবারো তার একই শাস্তি। বহু প্রজন্ম পরে হেরাক্লেস মুক্তি দেয় এই গ্রীক পুরানের এই বীর বিপ্লবীকে।
চেরোকি’ জাতির মতে পৃথিবীতে শুরুর দিকে আগুন ছিলোনা, পৃথিবী ছিলো ভয়ানক ঠান্ডা। আকাশবাসী বজ্র একদিন আগুন পাঠালেন দ্বীপের মধ্যে একটি ফাঁপা সিকামোর গাছের ভিতরে। পশুপাখিরা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আগুনের কাছাকাছি যেতে চায়, তাতে শীত মরবে। কিন্তু গাছটাতো সেই নদীর মধ্যে দ্বীপে। যাবে কিভাবে ভেবে না পেয়ে সকল পশুপাখিকে নিয়ে সভা ডাকা হয়। যে পাখিরা অনেক দূর পর্যন্ত উড়তে পারে তাদের উপরে দায়িত্ব পড়ে আগুন আনার। একে একে জমায়েত হল পশুরাজ্যের সকল গন্যমান্য বীরপুরুষ পাখিগন।
প্রথম রওনা হল বীরপুরুষ শকুন। তার মাথার ঝাঁকড়া পালকের জন্য সবাই তাকে খুব সমীহ করতো। তো উড়ে গিয়ে ছোঁ দিয়ে আগুন নেয় সে। কিন্তু রাখবে কোথায়? অনেক ভেবেচিন্তে মাথায় করে আগুন নিয়ে রওনা দেয় শকুন। মাঝপথে হঠাত মাথায় আঁচ লাগে তার। “ওমাগো” বলে মাথা ঝাড়া দিতেই আগুন পড়ে যায় সেখান থেকে। শকুন ফিরতে তার ন্যাড়া মাথা দেখে সবাই অবাক। আগুন আনেনি তো এক কথা, কিন্তু সেই সুন্দর ঝুঁটি গেল কোথায়?
দাঁড়কাক এসে জানালো, এবার সে চেষ্টা করে দেখতে চায়। তার মত সুদর্শন, বীর, ও বুদ্ধিমান পুরুষ পশুমহলে বিরল। সবাই তার ঝকঝকে পালকগুলো দারুন পছন্দ করতো। সে অনেক উপরের দিকে উড়ে খুব দ্রুত পৌছে গেলো জ্বলন্ত সিকামোর গাছের কাছে, এরপর ভাবতে লাগলো, কিভাবে আগুন আনা যায়। ভাবতে ভাবতে একটু বেশি সময় বুঝি খরচ করে ফেলল দাঁড়কাক। ততক্ষনে তাপে তার রংবেরংয়ের পালকগুলো কুচকুচে হয়ে গেছে। ভয় পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে এল সে। পশুরা আবারো হতাশ হলো আগুন না পেয়ে।
এরপর গেল ছোট্ট লাল প্যাঁচা। দ্বীপে নিরাপদে পৌঁছে গাছের সিকামোর গাছের ফাঁপা অংশ দিয়ে ভিতরে দেখার চেষ্টা করছিল সে। হুশ করে এক ঝলক ধোঁয়া এসে চোখে লাগলো তার। দৌড়ে ফিরে এল সে। ধোঁয়ার জ্বালা যেতে বহুদিন লেগেছে, আর চোখ তো তার এখনো লাল। এরপরে গেল লক্ষীপ্যাঁচা আর হুতোমপ্যাঁচা। তাদেরও দৃষ্টি নিয়ে গর্বের অভাব ছিলোনা। গাছের কাছে যেতে গনগনে আগুন আর ধূসর ছাই লাগল তাদের চোখে। চোখ রগরাতে রগরাতে ফিরলো দু’জন। খেয়াল করলে দেখতে পাবে, আজও তাদের চোখের চারপাশে সাদা বৃত্ত আছে।
পাখিদের মধ্যে বীর বলতে আর কেউ বাকী নেই, তাই ডাক পড়লো বীরপুরুষ সরীসৃপদের। রঙ্গিন সাপ এলো প্রথমে। পানি দিয়ে সাঁতার কেটে, ঘাসের ভিতর দিয়ে সে ও পৌছালো সিকামোরের শিকড়ের কাছে। আগুনে পুড়ে তার গা কয়লার মত কালো হয়ে গেল। ছুটে পালালো সে। এখনো যখন সে দ্রুত চলার চেষ্টা করে, দেখে মনে হয় কে যেন আগুন নিয়ে তাড়া করেছে।
এরপরে যাবেন ক্লিম্বার নামের বিশাল কালোসাপ। ধীরে ধীরে নদী পার দিয়ে সিকামোরের গায়ে পেঁচিয়ে উঠে গেল সে। দেখে মনে হল এবার বুঝি আগুল নিয়েই আসবে সে। কিন্তু কিসের কি! ফাঁপা কান্ডের মধ্য দিয়ে দেখতে গিয়ে টুপ করে ভিতরে পড়ে গেল সে। দৌড়ে বের হবার আগে তার শরীর পুড়ে রঙ্গিন সাপের মত ছোট্ট হয়ে গেল।
পশুরা আবার সভা ডাকলো। পৃথিবী এত ঠান্ডা, এদিকে আগুন আছে, কিন্তু কিছুতেই তা আনা যাচ্ছে না। কি করা যায়! পশু-পাখি- সরীসৃপ সব বীরপুরুষেরা একের পর এক আজুহাত দেখাতে লাগল না যাবার। আসলে তাদের মনে ভয়, আগুনের কাছে গেলে অন্যদের মত অবস্থা হবে তাদেরও। কি করা যায়! কি করা যায়! ভাবতে লাগলো সবাই।
সব কিছু দেখে শুনে এগিয়ে এল ছোট্ট মেয়ে পানি-মাকড়সা। তার মাথায় লম্বা ঝাঁকড়া চুল আর সারাগায়ে লাল লাল ডোরাকাটা দাগ। সে তরতর করে সাঁতার কাটে পানির উপরে, আবার এক ডুবে চলে যায় গভীরে। দ্বীপে যাওয়া তার জন্য কোন ব্যাপারই না। কিন্তু আগুন আনবে কি করে? “আমি বুদ্ধি করে বের করবো” বলে রওনা দিলো সে। দ্বীপে পৌঁছে চুলগুলো দিয়ে পিঠের উপরে একটা শক্ত ঝাঁকা বানালো মেয়েটি। এরপর পা টিপে টিপে আগুনের কাছে গিয়ে আলতো করে ঝাঁকায় তুলে নিলো একটা জ্বলন্ত কয়লা। এরপরে সাঁই-সাঁই করে সাঁতরে নিমেষেই নদীর এপারে আগুন এনে দিল সবার কাছে। এরপর থেকে আমাদের কাছে আছে আগুন, আর পানি মাকড়সার পিঠে আজও আছে সেই ঝাঁকা।
---------------------------------------------------------------------------------
পুরান/ রূপকথা ইত্যাদিকে সরল মনে করার সুযোগ নাই। বরং এগুলোর মধ্য দিয়ে সমাজের এমন সব সত্য বেরিয়ে আসতে পারে যা সাহিত্যের অন্যান্য ফর্মে অনেকসময় পাওয়া যায়না। যেমন ধরুন, গ্রীকপুরানের আগুন এনে দেয় একজন পুরুষ, হিন্দুপুরানে আগুনের দেবতা নিজেই পুরুষ। দু'খানেই নারীর কোন অবদান নেই, সে অনুপস্থিত একেবারেই। গ্রিকপুরানে যখন নারী উপস্থিত তখন সে চটুল, বিপদজনক, ও অবাধ্য। সে খুলে ফেলে নিষেধ করা বাক্স, আনে দুঃখ ও জরা। তবে পুরুষ যখন চুরি করে তখন সে মানুষের জন্য নিয়ে আসে আগুন। কি দারুন কন্ট্রাস্ট!! এদিকে মেয়েমানুষের কৌতুহলের ফলে মানবজাতির করুণ পরিনতির কথা বারবার বাইবেল/ কোরানে, ঈভের অতিকৌতুহল, শয়তানের সাথে আঁতাত, ও মানুষের পতনের কথা মনে করিয়ে দেয়। যে সমাজে এই পুরান তৈরী হয়েছিল, সেখানে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিলো বা তার অবস্থান কেমন ছিলো তা একটু ভাবলেই পরিস্কার হয়। জিউসের প্রচন্ড রাগ মনে করিয়ে দেয় বাইবেলের রাগী ঈশ্বরের কথা, প্রমিথিউসের শাস্তির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকা মনে করিয়ে দেয় দোজখের শাস্তির নিয়ম। আর এদিকে মানবজাতির জরাপ্রাপ্তি আর আদমের স্বর্গচ্যুতি খুব একটা আলাদা মনে হয়না।
কিন্তু চেরোকিদের গল্পে আগুন আনে সবচে’ ছোট ও কুৎসিত মেয়েটি। নারী ও প্রান্তিক দুটাকেই একসাথে গল্পের মধ্যমনি বানানো হয়। আগুনের মত একটা গুরুত্বপূর্ন উপাদান মানুষের অবদান না, তা এনে দিয়েছে বনের পশুপাখি। তাদেরকে ভালবাসা, ও তাদের জন্য সহানুভূতি ফুটে উঠে গল্পের মধ্যে। আরেকটা ব্যাপার খুব মজার। আগুনকে যদি ঐশ্বরিক উপহার বলে ধরে নেওয়া হয়, তাহলেও দেখুন তথাকথিত হোমরা-চোমরা, বীর, সুদর্শনরা কিন্তু পাননা তার নাগাল। পশুসমাজের নিম্নবর্গীয়, নারী, সাদামাটা, সাধারন, ছোট্ট একটা মাকড়সার কাছে ধরা দেয় আগুন। এখানে সমাজের লোভী, অহঙ্কারী হামবড়াদের প্রতিও আছে কটাক্ষ। মোটকথা, চেরোকি’দের আগুনের গল্পটাতে সামাজিক ক্ষমতা সকলের হাতে। পরবর্তীতে ভারতীয় ও পশ্চিমা জ্ঞানের ধারায় সামাজিক ক্ষমতা পুরুষ ও বড়লোকের কুক্ষিগত হয়ে যায়।
[নোটঃ গ্রীক গল্পটা কিছুটা স্মৃতি থেকে, কিছুটা ইন্টারনেটের সাহায্যে লেখা হয়েছে। চেরোকি'দের "প্রথম আগুন" প্রায় আনুবাদ। কিছু কিছু জায়গায় ভাবানুবাদ করতে হয়েছে।]
Reference
Pritchard, E.T (2005). Native American Stories of the Sacred. Vermont: Skylight Paths Publishing. 43-54
প্যান্ডোরার বাক্সের কাহিনীতে না জরা-হিংসা-মহামারী এগুলো বেরহতে দেখে বাক্স বন্ধ করে দেয়া হয়, আর সেই বাক্সের তলাতেই আশা আটকা পড়ে যায়?
চেরোকী গল্পটা শিক্ষনীয়...
প্যান্ডোরা যখন দেখে যে দুঃখ, জরা, শোক ইত্যাদি বের হয়ে পড়েছে, তখন ছুটে এসে বাক্সটা বন্ধ করে দিতে যায় সে। কিন্তু তলা থেকে ডাক দেয় "আশা"।
তখন তাকেও বের করে দেইয়া হয় পৃথিবীতে।
তবে পোস্টমর্ডান রিমেইক করলে "আশা" কে আটকায়ে ফেলার আইডিয়াটা খারাপ না।
মিথলজি পছন্দের। হিন্দু পুরান সবচেয়ে। তবে যুক্তিহীনতা মাঝে-মধ্যে পীড়া দেয়।
গ্রীক বলো আর হিন্দু-সবই ভয়ানক মনগড়া। যুক্তি সেখানে উবে গেছে।
আমার সব পুরাণই পছন্দ।
নতুনও খারাপ না।
ওরা ১১জন সিনামায় নতুন আছিলো না?
ছিলো নাকি?
আচ্ছা একজন তো হইলো। আর বাকী দশ জন জানি কারা কারা ছিল?
আরেকজন আছিলো খস্রু। আর কে কে আছিলো ভুইলা গেছি। ভাস্করদা জানলে জানতেও পারে
ওরা এগারো জন সিনেমাটা দেইখা নিতে পারেন ইউটিউবে...
আচ্ছা।
চেরোকিরাই বোধহয় আমেরিকার আদিবাসীদের মধ্যে সবচে আগাইয়া থাকা গোত্র। তাদের নিজেদের স্ক্রিপ্ট আছে বইলা শুনছিলাম। আদিবাসীদের উপর স্ট্রাকচারাল বা কালচারাল ভায়োলেন্সের উপর করা একটা গবেষণা পত্রে পড়ছিলাম এখনো কেমনে বর্ণবাদের শিকার হয় তারা। চেরোকী গোত্রের আদিবাসী আমেরিকান কবিরা নাকি ইংরেজী সাহিত্যেও বেশ সমাদৃত হইছে বইলা পড়ছিলাম কোথাও। আর আগুন সংগ্রহের মীথে নারী চরিত্রের উপস্থিতি থাকাটাই অবশ্য স্বাভাবিক, কারণ যদ্দূর জানি চেরোকীরা মাতৃবর্তী সমাজ কাঠামোতে পরিচালিত হয়...
লেখাটা পইড়া মনে হইলো আপনার বড় কোনো প্ল্যান আছে এই বিষয়ে। যদি আমার অনুমান ঠিক হয় তাইলে বেশ ভালো লেখা হওয়ার কথা।
বড় প্ল্যান একদমই নাই। আমার সব প্ল্যানই ছোট ছোট। নেটিভ আমেরিকানদের প্রতি আগ্রহ তৈরী হয় ওকলাহোমা'র মাস্কগি কবি জয় হার্জো'র লেখা পড়ে। তারপর এখন ইতিহাস, পুরান, সংস্কৃতি, ইত্যাদি নিয়ে সময় পেলে জানার চেষ্টা করি।
চেরকিরা বড় গোত্রগুলোর একটা। তবে আগায়ে থাকা/ পিছায়ে থাকা গোত্র কথাটা পারস্পেকটিভের উপ্রে নির্ভর করে। চেরোকিদের ছাড়াও আরো আনেক গোত্রের (নাভাহো, হোপি, বা আপাচে) নিজস্ব স্ক্রিপ্ট থাকার কথা। তবে চেরোকিরা মনেহয় সবচেয়ে প্রথমদিকের সেই গোত্রগুলো যারা ইউরোপীয়ান বেনিয়াদের কাছে হার স্বীকার করেছিলো।
ট্রাডিশনালি চেরোকি'রা মাতৃবর্তী সমাজ ছিলো।
১৮'শ শতকের শুরুর দিকে আইন করে তা নিষিদ্ধ করা হয়। এবং পুরুষকে সম্পত্তি ও পরিবারের কর্তা বইলে ঘোষনা দেয়া হয়।
ছুডুকালে একটা গ্রীক পুরান পড়সিলাম। সেই বইটা হারায় ফেলসি। ওইটার মধ্যে সবগুলা কাহিনীই ছিলো। সহজভাষায় বর্ণিত। বুদ্ধ মিথগুলা ভাল্লাগে বেশি। যদিও বিশ্বাস স্থাপনের কষ্ট স্বীকার করি না কখনোই। অলস মস্তিষ্কে চলে শয়তানের খুটখাট। চেরোকী উইজডম কি বলে? শয়তানের উপাসকদের কখনো কোনো কিছুতে খুশি হওয়া উচিত না। আহা মিলে গেলো নিজের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে।
এত বেশী জানিনা। খোজ নিয়ে দেখব।
আচ্ছা আগের কমেন্তের লাস্ট লাইনের 'বর্তমান অবস্থার' শব্দ দুইটা বাদ। আমি শয়তানের উপাসক সবসময়েই
উপাসনার সময় পান খখন বস?
আমার তো খাওয়া আর ঘুম হইলেই দেখি দিন শেষ।
হ আমারও তো।
খালি যেসব দিনে খাওয়া-ঘুম ঠিকঠাকমতো হয় না, সেইসব দিনে জ্বলতে থাকি।
হুম
অস্ট্রেলীয় আদিবাসীদের আগুনের পুরাণকাহিনী পাবেন এখানে।
যে কোন পুরান কাহিনীই আমার অসম্ভব প্রিয় ।
ভাল হইছে লেখাটা। আরো লিখ এইগুলা।
জ্বি ছার!!!
লাভিউ দোস্ত
লাভিউ টু!
বেশ ইন্টারেস্টিং !
লেখাটা পইড়া ভাল্লাগছে
ধন্যবাদ বিমা।
প্রিয়তে রেখে দিলাম। খুব ভাল হয়েছে কাজটি
সুপার্ব
অনেক ধন্যবাদ। :\
(আপনার কমেন্টের জন্য মনে মনে ওয়েটাচ্ছিলাম।)
একটানে পড়লাম।
ধন্যবাদ।
দোস্ত!
আপু আমার ব্লগে স্বাগতম www.amrabondhu.com/ananna/

অহ আইচ্ছা, তোমার ব্লগ তোমার ব্লগ।
হে, শর্মি! তব পুরাণকাহিনী তো মাসাধিকাল পুরানকাহিনী হইছে, নতুন কিছুর দেখা কি হইবেক? কবে ? কবে? কবে? (প্রতিধবনি চলিতেই থাকিবেকঅনন্ত জলিলকাল .... )
আমাকে একেবারে ভুলিয়া যান নাই দেখিয়া প্রীত হইলাম!
একাধিক অসম্পূর্ন লেখা হাতে লইয়া অযথাই কালক্ষেপন করিতেছি। কোন এক অজানা কারনবশতঃ কিছুই শেষ করিতে পারিতেছিনা। তবে আশাপোষন করিতেছি অতি শ্রীঘ্রই আপনার অপেক্ষার ইতি ঘটাইয়া একটি যুগান্তকারী পোস্টের অবতারনা করিতে সক্ষম হইবো।
মন্তব্য করুন