অবিশ্লেষ্য জীবনধারা
হৃদয়ের একলা প্রান্তরে স্বপ্নের চিবুক ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি মহাকালের পথে । হয়তো পৌছুতে পৌছুতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে । নি:স্তব্ধ আকাশের একমাত্র ধ্রুবতারাটি হয়তো আক্ষেপের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে করুনা করবে ।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে পথ চলছিলো শ্রাবণ । হঠাত একটি দামি গাড়ি প্রচন্ড শব্দে থামলো, ঠিক শ্রাবণের পায়ের কাছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হুশ ফিরলো শ্রাবণের । তাকিয়ে দেখলো গাড়ীর জানালা দিয়ে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে দুটি চোখ। আর ঠিক তখনই চোখের ঠিক নীচ থেকে কর্কশ শব্দের আস্ফালন ওই মিয়া দেইখা চলতে পারেন না ? চোখের মাথা খাইছেন নাকি ?
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে শ্রাবণ রাস্তা পারহয়ে মেট্রোতে ঢুকলো , এক্সেলেটর বেয়ে সোজা চারতলায়। গন্তব্য একদম কোনার টেবিল , যেখানে অপেক্ষা করছে ওর প্রানের প্রিয়তমা ।
মাঝেমাঝে ওকে মনেহয় প্রচন্ড ঝড়ের পরের এক পশলা বৃস্টি । মাঝেমাঝে মনেহয় শরতের শুভ্র মেঘ । নাহ ও আসলে অতুলনীয়, ও প্রানের প্রিয়া অবর্ণনীয় । ওদের সম্পর্কের বয়স দুই বছরেরও বেশি । কিন্তু এই সম্পর্কটিও অপ্রকাশ্য থেকে গেছে সবার কাছে । শ্রাবনের খুব কাছের কয়েকজন ব্যাতীত আর কেউই জানেনা এই সম্পর্কের কথা।
কিন্তু এই অজানা সম্পর্কের উপরেই ওরা বুনে চলেছে ওদের স্বপ্ন। ওরা ওদের একটি দিনও বৃথা যেতে দেয়নি । প্রতিদিনই ওরা দেখা করে । ওদের ধারনা প্রতিটি দিনই আফসোসের হবে যদি চলে যায়। ওরা ওদের সম্পর্কের একমুহুর্ত সময়ও নষ্ট হতে দিবেনা , কি পাগলাটে আচরন রে বাবা ?
হবেনাই বা কেনো , প্রতি মূহুর্তের ভালোবাসাদিয়ে যে তৈরি ।
এইসব ভাবতে ভাবতে শ্রাবণ চলে এলো তার পছন্দের কর্নারের টেবিলে । এসে বসলো প্রিয়ার পাশে, তাকালো চোখের দিকে । আসলেই ওই চোখে যাদু আছে। শুধুই তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে, অপলক দৃষ্টিতে ।
শ্রাবণ অর্ডার করলো, দুটো কোল্ড কফি । অর্ডার করে এসে আবারও হারিয়ে যেতে লাগল ওই চোখের তারায় । বললো কি আর দেখবো বল । যা দেখি তা তো ঠাকুর মশাই বহুকাল আগেই বলে গেছেন । কেন তুমি জানোনা কি বলেছিলেন ? আচ্ছা ঠিক আছে তবে শোন,
"প্রহর শেষে আলোয় রাঙ্গা সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ । "
মামা ও মামা আফনে কি পাগল হয়ে গেছেন নি ? পত্তিদিন বিকালে এইহানে আইস্যা একলা একলা বকবক করেন। খান একটা আর অর্ডার করেন দুইডা, সেইডা আবার আমারে খাওয়ান । আমার ডেইলি কোল্ড কফি খাইতে ভালা লাগেনা। আফনের কি হইছে মামা ?
আফনের কি হইছে মামা, আমারে কন !!! আফনে আগের মত লাফালাফি না করলে, আমারে ঝাড়ি না মারলে আমার ভালা লাগেনা। আমি কোল্ড কফি খামুনা একটা কইস্যা ঝারি দেন। ও মামা এমনে চায়া আছেন ক্যান কিছু কন । যাইগা শালা টাকলু ডাকতাছে , পরে আমুনে ।
শ্রাবণ পিচ্চির কথা শুনে হাসলো, ওর ঠোটের কোনে মৃদু হাসি ।
এটা কেউ ওর জন্য মায়া করলো সেই সুখের কারনে, নাকি কেউ আজ ওর খোজ নেবার প্রয়োজনও বোধ করেনা সেই দু:খের কারনে সেটাও অবিশ্লেষ্য থেকে গেলো ।
আমিও!
মি টু
কড়া লিকারের দুধ চিনি কম গরম চা ই ভালো লাগে বেশী!
ভাইছা আমি গরীপ জানুয়ার। আমার্লেইগা কি এক্কাপ লাল ছা হইবো এইখেনে?
লেখা ভাল লেগেছে।
পড়ে খারাপ লেগেছে
জানোয়ার আবার চা খাওয়া শুরু করল কবে ?
ভালো লেগেছে শুনে খুশি হওয়ার পর খারাপ লেগেছে শুনে অনুভুতি মিশ্র হয়ে গেলো তো
মন্তব্য করুন