পাঠ প্রতিক্রিয়া - "সাময়িক শব্দাবলি" , লেখক - তনুজা ভট্টাচার্য্য
বইটা পড়ার পেছনে খুব বেশি যুক্তি আমি দাঁড় করাতে পারবো না ।
নিষিদ্ধ নয় এ বই বাজারে ; বইটার নৈর্ব্যক্তিক ও না-বাচক শব্দের প্রখরতা আপনার অবস্থানকে প্রশ্নের মুখেও ফেলবে না ।রাষ্ট্র ও সমাজের বিরু্দ্ধে গিয়ে খুব কোনো বিপ্লব ও নেই । এমনকী ঘুম ঘুম চোখ বুজিয়ে দেবে - সেই উপকরণও নেই এখানে । এমন চাহিদা রেখা হলে - প্রিয় পাঠক , আপনার আর এগোনো উচিৎ হবে না । আর যদি তা না হয় , চলুন কিছু সময় ঘুরে আসি "সাময়িক শব্দাবলি" বইটার অন্দরমহলে থেকে , ছুরি কাঁচি হাতে কেটেছেঁটে দেখি !
তনুজা লিখছেন । নতুন লিখছেন । কেবল সময়ের দৈর্ঘ্যেই নতুন লিখছেন তা নয় , নতুন করেই লিখছেন । মাত্র উনপঞ্চাশটা বর্ণে ছন্দের পোশাক পরিয়ে হিন্দোল তুলছেন । গৎবাঁধা কবিতার ব্যাকরণে উপমার জঞ্জাল কাটিয়ে লিখছেন । কবিতা সাহিত্যের মানদন্ডে কতখানি উত্তীর্ণ হোলো বা কোন ধাঁচে আর কী কী জড়ালে নিরীক্ষায় দাগ পেরোবে , সে প্রশ্ন বুদ্ধিবাদীদের কাছে তুলে রাখা যাক । আমার আলোচনা আমার ভালো লাগা / না লাগার নিরেট অকাব্যিক বিচারে সীমাবদ্ধ থাকলো না'হয় । পাঠক চিন্তাকেন্দ্রিক দীনতা ক্ষমা করবেন , ভরসা রাখি ।
"সাময়িক শব্দাবলি" কবিতার বই । নাম ও প্রচ্ছদ দুটোতেই কিছু না-বোধক অনুভূতি ; পেসিমিজম চোখে মেখে বই খুলতে হোলো । তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক কথা নয় ।
"মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান " - দ্বৈরথে তেমনি সমর্পণের গভীর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বইটা শুরু । মৃত্যু জীবনের একমাত্র গন্তব্য সেকথা সত্য কিন্তু কবিতায় তা উদ্দেশ্য নয় । মৃত্যু - মৃত্যু ঘোর কেটে ওঠার আগেই পুণ্যমুখী মনুষ্যত্বের বাজারে তীক্ষ্ম স্বর তুলে দেবে "আমার রক্তের দাগ" । ঘেরাটোপে না ফেললেও , কবিতাগুলো কাব্যবিমুখকেও ভাবাবেই ।
বইটিতে কবিতা আছে ৫৪ টি । আমার আলোচনার সুবিধার্থে স্থূল কিছু কাঁচির দাগ টেনে নিচ্ছি - কমবেশি ৫/৬ টি দাগ কাটা যায় বলে ধারনা করি ।
ক)
প্রবাসী জীবনের চিরাচরিত নস্টালজিক আবেগ নিয়ে দেশ - মাটি - মা জড়ানো যে কবিতাগুলো : ভাসান , সামার , ফেরারি , মাঙ্গলিক ,চিরবসন্তের দেশ , প্রিয়তমা শোনো ।
এই ঘরানার কবিতাগুলোতে দৃশ্যকল্প চেনাজানা পথঘাট থেকে কুড়িয়ে নেওয়া ; কবিতাগুলো গতিতে শ্লথ , গীতল ; তীব্রভাবে রোমান্টিক । জলের হাঁস , মেহগনি পাতা , পাঁকুড় গাছ , সিঁদুর , নিকোনো উঠোন এমনকী বাঙালি ঘর থেকে হারাতে বসা তেঁতুল মাজা পিতলের বাসন পর্যন্ত হানা দিয়ে গেছে শব্দ তার নিজস্ব প্রয়োজনে । যোগাযোগের সিঁড়ি তৈরি করতে মিথ তৈরি করা হয়নি কোনো , আজন্ম চেনা - কিংবা না চিনলেও ভেতরে বসত গড়ে বসা এসব উপকরণে পাঠককে হোঁচট খেতে হবে না কোথাও ।
কবিতায় সার্টিফিকেট দেয়া আমার উদ্দেশ্য না । ভালোলাগার কথাটুকু বলতে গেলে এই ঘরানায় সবচেয়ে স্পর্শ করেছে - "মাঙ্গলিক " ।
খ)
শব্দশক্তিতে তুমুল আস্ফালন নিয়ে যে কবিতাগুলো , প্রচলিত ধারায় যাকে রেভ্যুলশনারি কবিতা বলা হয় : রৈখিক , কি চমৎকার দেখা গেলো , বনস্পতি , প্রতিবাদ , যাবোই তো , নির্মোহ , একান্তর , রক্তবীজ ,সর্বভূক ।
বোধের সীমান্ত জুড়ে অন্ধকার ঠেলে নির্মাণের স্বপ্নে ন্যূব্জ "রৈখিক" । "হত্যাকে হত্যা ছাড়া এ মাটি শুদ্ধ হবে না" - বিপুল তারুণ্য নিয়ে পুনর্জন্মের অঙ্গীকার "পুনর্বার" এ । বিপরীত সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উল্টো স্রোতে চলার ক্ষমতা রাখে এইসব শব্দ । "বন্য কি কোনোদিন বশ্যতায় করেছে সংগীত" দ্রোহের সহজ প্রকাশ । পথশিশুর ভাগ্যবিধাতাদের কটাক্ষে চোখালো আহ্বান "আপনাকে আমন্ত্রণ মহারথী" !
সুখী গৃহকীট দের শিকলবন্দী বনেদীয়ানা থেকে বৈপ্লবিক বিশ্বাস মারি ও মড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছে আবহ - সেখানে দূরত্ব নেই নান্দনিক আভিজাত্যের , প্রান্তিক জীবন সেখানে অস্পৃশ্য নয় ।
গ)
প্রকৃতিবন্দনার কবিতাগুলো আলাদা করা কঠিন হলেও মোটাদাগে : সুগন্ধা , চেয়ে আছি , ঝুলনের চাঁদ , রূপান্তর , কতটুকু পারি , ডুবসাঁতার ।
শতাব্দীভর পরিক্রমণের দায়মগ্ন মানুষ পরিবর্তনহীন বিবর্তনে সৃষ্টির নিগূঢ়
আলাপে ভরে তোলে শস্যের মাঠ ; এই কবিতাগুলোতে স্বপ্নবান মানুষের জাগতিকতা উঠেছে ক্লান্তিহীন প্রেমে । নদী , শস্য , ফুল ও কবিতার জগৎ সেখানে । সেখানে জীবন কেবল বেঁচে থাকাতেই ছলাৎছলাৎ বেজে ওঠে পাখির শিসে , কবির কলমে ।
"হাত ভরেছে জ্যোৎস্না আমার জ্যোৎস্নারাত" । "ডুবসাঁতার" - এই একটি কবিতাই কবিতায় তনুজার প্রস্তুতি বুঝিয়ে দেয় । সেই প্রস্তুতি ব্যাকরণিক নয় , তা আত্মজ ।
ঘ)
একঘেয়ে জীবনের চক্রাবদ্ধ ক্লান্তস্বর উঠে আসে যে কবিতাগুলোতে - বৃত্তে , অভিমুখে , পারস্পরিক , ধুম , শব্দহীন , পাতাঝাঁঝি ।
একই রেখার উপর সতর্ক পা ফেলা কাঠের সাঁকোর মত জীবন , একঘেয়ে জড়তামুখীতা "অদ্ভুত ইঁদুরদৌড় ... / আমি ও সময় -" চক্রে ঘুরতে ঘুরতে শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষ সরিয়ে বেরিয়ে আসে কবিসত্তা - "ছাড়ুন মশাই । / আপনার বাধ্য আমি কোনোকালে নই । "
"উইপোকা লেগে থাকা হাড়" বেয়ে সময়চাকার গায়ে লেগে থাকা ছিটেফোটা জীবন নিয়ে ছন্দের কাজকারবার ; তবু জীবনবিমুখ নয় কোথাও , তাই তো "পাতাঝাঁঝি হয়ে ভাসি বুকের ধারায়" ।
ঙ)
কবিতা লেখার তাগিদ , শব্দের কাছে কেন আর সব শক্তি ম্লান - উত্তর দিতে গিয়ে যে কবিতাগুলো : নার্সিসাস ,পূরবী , পর্ণমোচী কাল , আর তো পারি না , তোমাকে উপেক্ষা করি , চিঠি , কবিতা , অহল্যার প্রাণ ।
"কেন লিখি ?" এক পর্যায়ে গিয়ে সব লেখক ই নিজেকে এই প্রশ্ন করেন বোধহয় । এরকম কিছু তাগিদ থেকেই এই ধারার লেখাগুলো । "কে পারে উদ্ধার করতে শাপগ্রস্ত অহল্যার প্রাণ ? " উত্তরেও কবি দ্বিধাহীন । শব্দ এবং শব্দের কাছেই কেবল আনত সমর্পণ কবিতায় , রঙে , বেঁচে থাকার প্রবল আকাঙ্ক্ষায় ।
তবে এই ঘরানার কবিতাগুলো বিষয় বৈচিত্র্যে কিছুটা ম্লান লাগে , দ্বিরুক্তির ক্লান্তি জমাট বাঁধে কোনো কোনো জায়গায় । বিচ্ছিন্নভাবে কবিতা গুলো পড়লে এই অভিযোগ সত্য নয় অবশ্যই ।
চ)
অ্যান্টি এসটাবলিশমেন্ট ধারার কবিতা , প্রতিষ্ঠান কে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করানো হয়েছে সুস্পষ্ট ভাবে এই দুটি কবিতায় - বাঁশী , আসবেন আরজ আলী ?
বিদ্যমান সব কিছুকে বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়ার নাম কবিতা নয় । চিন্তাকে চিন্তা দিয়ে খারিজ করে যুক্তির পথ প্রশস্ত করাই যে কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মূল ।
এছাড়া অন্য কবিতাগুলোর মধ্যে কৃষকের আজন্ম প্রেম ও ক্রোধ , আবহমান কাল ধরে ফসলের আশ্বাসে চিরাচরিত লাঙলসৈনিক এর স্বাপ্নিক জীবনযাপন উঠে এসেছে "একান্তর" এ । পৌরাণিক প্রেক্ষাপটে লেখা "দক্ষিণায়ন" এ কিংবা "দশা"' তে ছান্দিক প্রবাহ আকর্ষণীয় ।
উত্তরাধুনিক নামের একটা সিন্দাবাদের ভূত যখন সমকালীন কবিতাকে স্বাভাবিক অনুভূতির সীমানা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিতে চাইছে , ধার করা শব্দের বাহুল্যতা কবিতার নান্দনিকতাকে ক্লান্ত করে তুলছে ; তখন তনুজা'র কবিতা একটু আধটু বিকেল বেলার রোদের মত । মিষ্টি , মাটির গন্ধ বেয়ে উঠে আসা । কবিতাগুলোতে আড়াল কম , মুখোমুখি দাঁড়াবার শক্তি আছে ; এড়িয়ে যাবার প্রবণতা নেই ।
ভাষা কিংবা শব্দের উপর তনুজা'র দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই । তবে অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কবিতা সমান মনোযোগ পেয়েছে বলে মনে হয়নি । মাঝপথে এসে টান লেগে থেমে গেছে কিংবা মনে হয় হঠাৎ তাড়াহুড়োতে সময়ের গা বাঁচিয়ে সরে গেছে লক্ষ্য থেকে । কনসিসটেন্সি কখোনো কখোনো আহত করে বিশেষ বোধের মাত্রা স্তিমিত হতে থাকলে । "আসবেন আরজ আলী ? " "নার্সিসাস" এর মত কবিতাগুলো সেই খাঁড়া আর একটু নজর পেলেই পেরিয়ে যেতো হয়তো ।
যতিচিহ্ণে কবির অন্যমনস্কতা পাঠককে কখোনো মুক্তি , কখোনো ভোগান্তি দুই'ই দেবে সমানতালে । আর একটি জিনিস চোখে পড়ার মত , শব্দ ব্যবহারে অনেকসময়ই কৌলিন্যবোধ চিন্তাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে । দৃশ্যকে গড়ে তোলার প্রয়োজনেই শব্দকে ব্রাহ্মণত্বের জায়গা থেকে টেনে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে তনুজাকে দ্বিধাগ্রস্ত মনে হয়েছে । আবার "রমণী" এর মত তীব্র পুরুষতান্ত্রিক শব্দ প্রতিষ্ঠানবাদবিরোধী লেখনীতে মানানসই লাগেনি , বলাই বাহুল্য ।
তনুজার লেখার আনুষঙ্গিক টি পরিচিত , আবহ আটপৌরে , চেতনায় শতভাগ দেশজ । তাঁর উপস্থাপন শৈলীতে আছে নেড়েচেড়ে খুঁটে দেখার
স্পৃহা । সমসাময়িক কবিতার প্রভাব তাঁর উপরে তুলনামূলকভাবে কম , হয়তো এটাই তাঁকে প্রথাগত ধারা থেকে ভিন্ন করবে । আবার এই একই বৈশিষ্ট্য নেতিবাচক কিনা সে প্রশ্নও থেকে যায় । শব্দের ক্ষেত্রে নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে ; প্রয়োজন আছে "যা আছে" তাকে খোলস পালটে দেখার । প্রথম গ্রন্থেই এই প্রশ্নের উত্তরে চলে যাবার মত সময় আসেনা - সময় বলে দেবে কবিতার বাঁক বদলের কথা ।
বুদ্ধদেব বসু আধুনিক কবিতার সংজ্ঞা দিয়েছিলেন , "আধুনিক কবিতায় ,নগরকেন্দ্রিক যান্ত্রিক সভ্যতার ছোঁওয়া থাকবে , থাকবে বর্তমান জীবনের ক্লান্তি ও নৈরাশ্যবোধ , দেখা যাবে আত্মবিরোধ ও অনিকেত মনোভাব এবং রবীন্দ্র ঐতিহ্যের (রোমান্টিকতা) বিরুদ্ধে সচেতন বিদ্রোহ এবং নতুন পথের সন্ধানের প্রয়াস । " - এরকম নয় তনুজার কবিতা ; খোলামেলা সোজাসুজি বলে ফেলার ঋজুতা আছে তাঁর , তটস্থ শব্দের প্রলেপ খামচে ধরেনা কোথাও । তবে কি তনুজা'র কবিতা আধুনিকতার দাঁড়িপাল্লায় মার খেলো ? সে ভাবনার দায় আপনার - চিন্তাবিদ কাব্যসমঝদারদের । আমি পাঠক, তাও বিদগ্ধ নই; কবিতায় "ইজম" খুঁজিনা ।
শেষ পাতা উল্টে ফিরে এসে প্রচ্ছদের ব্যবসায়িক পেসিমিজম এর কারণ খুঁজে পাইনি । বরং বই বন্ধ করার পর কানে কেবল একটাই সুর বেজে উঠেছিলো যেন -
"আকাশ ভরা সূর্য তারা
বিশ্ব ভরা প্রাণ
তাহারি মাঝখানে
আমি পেয়েছি
আমি পেয়েছি মোর স্থান
বিস্ময়ে ........"
কতো কিছু যে জানি না বুঝি না
বিশ্লেষণ পড়তে ভালো লাগছে
এগুলারে ঢং বলে - তবে আমরা বড় বোন দের ঢংগী বলি না । ভদ্র বাচ্চা
---
আর কারো ভালো লাগতেছে না আপু ---
কী অবিশ্বাসের জমানা, সত্য বললেও কয় ঢং
খুব বেশি আনুষ্ঠানিক ভাষায় লিখা পাঠ প্রতিক্রিয়া, সাহিত্য সাময়িকী বা লিটলম্যাগের মতন; আমার নিজের কাছে এসবের চেয়ে ছুটির দিনের "কি দেখছি, কি পড়ছি, কি শুনছি" টাইপ প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি কমিউনিকেটিভ মনে হয়। বইটা পড়া হয় নাই, তবে তনুজার কবিতা ভালো লাগে আরো বেশি আগ্রহ জাগায়ছিলো তার অসমাপ্ত ধারাবাহিক "পরম্পরা"। যাই হোক এবির পাঠকদের জন্য তনুজার মাঙ্গলিক কবিতা টা কপি করে দিলাম:
মাঙ্গলিক
আমি এই মৃত্তিকায় অবনত ...কতদূর যাব!
তোমার গার্হস্থ্য জুড়ে
ফিরে ফিরে আসা
নিটোল দুহাতে লেপা নিকানো উঠোন ...
চৌকাঠ পেরিয়ে ঘর-বৈঠক, কুলুঙ্গি আসবাব
দুগাছা চুড়ির শব্দে ক্রমাগত ফেরা
আমি এই নাকছাবি দুলে ওঠা মাঙ্গলিক চিবুকের কাছে...
ফিরে ফিরে আঙ্গিনার লতানো মাচাতে
লক্ষী পেঁচার ডাক...
বয়সী তক্ষক
উঠোনে গাঁদার ঝোপ
গন্ধতেল
সিথির সিঁদুর
এমন আলতাছাপ
বাড়িময়...
এখানে ওখানে
চালগোলা আলপনায় কূলদেবী মঙ্গল চরণ
দুখানা সধবা হাত
কতদূর যাব.....
লেবু লংকার ঝুরি
দুয়ারেতে সযত্ন পাহারা
তোমার ও ঘরে মাগো অমঙ্গল কখনও যাবে না
হাহাহা কাকন্দি ধরে ফেলছেন -- হুমম ব্লগের জন্য লেখা না ।
কবিতাটা দেয়ার জন্য টেংকু
দুই পর্ব পরপর দেখে আমিও বুঝছি ইহা আঁতেলম্যাগে যাইবে
দুই নাম্বার টায় নিন্দামন্দ আছে কিছু

নিন্দামন্দও নুশেরাপুর নেগেটিভ সাইডের মতন হার্ডলি কাউরে না কইতেপারে
ওইটায় কেউ কমেন্ট করেনা কেন !
ঐটারে এইখানে আইনা দেও। হুদাহুদি পর্থম পাতার জাগা খাওনের কাম কী
জায়গার কি দাম আছে নি আপা ? এত বড় পোস্ট কার ঠ্যাকা পড়ছে যে পড়বে !
দাম নাই মানে কও কী? ফার্স্ট পেইজের পুস্ট মানে রাস্তার ধারের প্লট। মাইনষে প্লট পায় না আর উনি পরপর দুইখান প্লট পায়া বইসা আছেন এইটা কুনো বিচার হইলো!
...ওরে, কঠিন হৈছে...(এইখানে কঠিন শব্দটা আক্ষরিক অর্থে...)...নারে বাপু, এডি আমাদের না...কবিতার চাইতে বেশি ভাব- ভাষাময়ী হৈয়া গেলোতো......তার চাইতে আমি কবিতাডিই পড়ি...
হ তনুজার যেসব কবিতা পড়ছি তার সিংহভাগ এই পোস্টের চেয়ে কম কঠিন
লেকিন ম্যাগে তো এই ভাষার চেয়ে অনেক কঠিন করে লেখে দিদি - আমি তো বরং সোজাই লিখছি
কঠিন সোজা সবি আপেক্ষিক রে বইন
ব্যাপার না
তনুজার কবিতা বেশ ভাল হয়।
বইটা পড়িনি, পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
এই ব্লগখানা পড়ার পর হইতে আমার দাঁত নড়তেছে
নড়া থামছে বড় ভাই ?
কবিতার প্রতি আমার কিঞ্চিত গাত্রদাহ আছে ,এটা আসলে আমার সক্ষমতার অপ্রতুলতা ,তবে পাঠ প্রতিক্রিয়া ভাল্লাগলো ,ভাবছি ,সাহস করে পড়ে ফেলব কিনা ...।
লেখাটা কি এর মধ্যেই প্রিন্টেড ফর্মে চলে এসেছে ?
নাহ ভাই । মাত্র লিখলাম ।
পড়ে ফেলো - ব্লগেই তো আছে সব
হেহে!! আমি সবার আগেই কমেন্টাইছি!! ভালু রিভিউ ।
তুমি আর আমি ছাড়া কারো ভাল্লাগেনাই রে ভাইডি

বুঝি নাই আগে...কোবতে এন্টেনার উপ্রে দিয়া যায়, উহার রিভিউ কেন যাইবে না?
পুরষ্কার পাওয়া মিষ্টি খাইতে রিকুশ কর্ছিলাম... খাওয়ায় নাই
... দিলে চোট। রিভিউ ভালু... তনুজাদি ফচা 
তীব্রভাবে একমত পোষণ করছি ভাইয়া । আমারেও খাওয়ায় নাই
এটা তোমার লেখা!! বিস্ময়কর! আমি তোমাকে আরেকটু কম বিশ্লেষণাত্নক ভেবেছিলাম!
বলাইবাহুল্য, এত চমতকার কবিতা-আলোচনা খুব কমই চোখে পড়ে আজকাল।
কাক্কুরে স্বাগতম জানাইত লগিন করলাম, এই প্রোফাইল পিকটা কেমন যেন লাগতেসে সামহয়ারের পিকটা ভালো লাগতো
ওই মড়া গাছ !!! কি কন দিদি ????
মড়া গাছ না মরা গাছের আগে ওনার খোমার ছবি আছিলো ঐটা কেযেন কইছিলো ঐখানে তারে আজিজুল হাকিমের মতন লাগতেসে
আমি এইসব আলোচনায় নাই, ভালু হয়া গেছি
আইচ্ছা আপা দেখা যাইবো
হ দেইখো
আপসুস, দুইন্যা থিকা বিশ্বাস উইঠা যাইতেছে
আপা ঠাকুর ঘরেই যায় না; কলা কেমনে খাইব
সেইরকম ই তো দেখা যাইতেছে কাহিনি বুঝতেছি না
কামাল ভাই , আপনাকে দেখে আসলে ই অনেক ভালো লাগছে । ( দুষ্টামি করছি না ) । সকালে আপনাকে অনলাইনে দেখেই ঢুকলাম , কিন্তু কোনো পোস্ট নাই দেখে কিছু বলতে পারি নাই - একটা হাই হ্যালো আসলাম টাইপ পোস্ট দিয়ে দেন ভাইয়া ।
অনেক দিন আপনার কমেন্ট মিস করেছি । অন্তত সেই সুযোগ টা পাবো - গ্রেট ! ---- সাথে আপনাকে জ্বালানো টা তো উপরি আছেই ( এই যেমন -প্রোফাইল পিক টা তো --- অসাধারণ লাগতেছে
----------------------------------------------
এটাই আমার প্রথম রিভিউ ভাইয়া । চেষ্টা করেছি আর কি ! পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ......
পুরনো বন্ধুদের এবং কানুগ্রুপের পক্ষ থেকে কামালভাইকে স্বাগতম
খালি স্বাগতম আপু
আর কী দেয়া যায়!

কামাল ভাইকে স্বাগতম !!
লিটলম্যাগীদের ফরমায়েশী ভাষায় পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়লাম। আপনার ভাষায় পড়লে আরো বেশি খুশি লাগতো।
পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর এই ভাষারীতি প্রাচীন হয়ে গেছে। লিটল ম্যাগ হয়তো সে ধারা থেকে জীবনেও বের হতে পারবে না। ব্লগ পারবে।
এবারের বইয়ের জগৎ-এ আহমাদ মোস্তফা কামাল ভাইয়ের 'অপরবাস্তব'এর পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়েন। দেখবেন কতো ঝরঝরে।
যাহোক, কবিতাগুলো এখনো পড়া হয়নি, তাই কিছুই বলার যোগ্যতা রাখি না।
আচ্ছা, আপনি যতিচিহ্নের পরে না দিয়ে আগে স্পেস দিচ্ছেন কেন জানতে পারি?
লিটলম্যাগীদের ফরমায়েসি " - আপনি তো আগে আমার গদ্য পড়েন নি , তাই হয়তো ......... কিংবা --
কাকন দিদি জানতে চাচ্ছিলেন কেন এত আনুষ্ঠানিক ভাষা - ব্লগর ব্লগর এর ভাষা না । কিন্তু ফরমায়েসি ভাষা টাই যে আমার ভাষাই না - একথা ঠিক না । কারণ আমি ম্যাগে রিভিউ পড়ে লিখিনি । আসলে রিভিউ পড়াই তেমন হয়নি ।
এই লেখাটা কেবল ব্লগেই দেয়া । গদ্যই । চাইলে দেখতে পারেন সময় করে ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/ekolobberpunorjonmo/28935139
আমার লেখাই এরকম ।
---------------------------------
লিটল ম্যাগ বনাম ব্লগ এরকম ভবিতব্য করার মত নলেজ আমার নাই ।
----------------------
কামাল ভাই এর এই লেখাটা পড়িনি । পড়বো । কামাল ভাই কামাল ভাই ই । তাঁর লেখা সবসময় ই পাঠক সঞ্চারণের প্রভূত ক্ষমতাশালী ।
------------------
অবশ্য ই বলা যাবে । আমি বেশির ভাগ সময় আগে পরে দুই জায়গাতেই স্পেস দেই । মাঝে মাঝে পরের টা মিস হয়ে যায় । কেবল আমার ভালো লাগার জন্যই - আর কোনো কারণ নেই ।
--------------
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
এমনিতেই কবিতা বুঝি না। আর কবিতার রিভিউ যদি এরম হয় তাইলে কেউ বুঝাইয়া দিলেও বাঝুম না বইলা মনে হয়।
এপুটা আগে কত ভাল ছিল। আস্তে আস্তে কেমুন যেন হইয়া যাইতাছে। কঠিন কইরা লেখে। মহিলা আতেল হওয়ার সব ধরণের লক্ষন দেখা যাইতাছে।
সেই আশায় ই তো ছিলাম মাসুম ভাই
পাচ বছর চশমা লাগায়া ধার করা বই হাতে ঝুলায়া ক্যাম্পাস এ ঘুরে কোনো লাভ হইলো না । একটু দোয়া কইরেন যেন সামনে ----
@ এ.পু. -
ইত্তেফাকে একজন সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। সবসময় হাতে বই রাখেন। এমনভাবে রাখেন যাতে সবাই নাম পড়তে পারে। এবং সবগুলোই হলো বিশ্ব সাহিত্যের কঠিন কঠিন বই। কঠিন বোদ্ধা না হইলে এগুলা পড়ার কথা না।
দুষ্টলোকরা বলে তিনি আসলে এর এক লাইনও পড়েন না।
তুমি তো এই ভাব ধরতে পারবা না। তাই ভয়ে আছি। তোমার না চকলেট খাওয়াবার কথা ছিল?
খাওয়ার কথা ছিল । কেন খাওয়ানোর কথা আসতেছে !! হায় হায় বেকার পোলাপানের কাছে বড় ভাইরা খাইতে চাইলে

হি ইজ বুদ্ধিমান
আমার তো বই ও কঠিন তেমন নাই । তাই অন্যের টা - লাইব্রেরিরটা রাখতে হয় আর কি ! তাও তো মানুষ শয়তান হিসেবেই বেশি চেনে

পাঠ প্রতিক্রিয়া
"পাঠ প্রতিক্রিয়া - 'সাময়িক শব্দবলি'-লেখক তনুজা ভট্টাচার্য্য"-লেখক একলব্যের পুনর্জন্ম। আসিতেছে 
আগে দাত নড়তেছিল এইবার মাথাটাও ফাটায়া ফেলতেছেন

কবিতা পড়লে মাথার উপর দিয়া যায় আর এইটা পড়তে গিয়া কয়টা দাত গেল...
বাকীটুকু পরে কমু, আগে দাত খুঁজি।
তাইলে কি আপনি আমার আগের পোস্টে কমেন্ট বানায়া করছিলেন

ভাই
আপনার লেখা কবিতা সুখপাঠ্য, সহজেই বুঝতে পারি কিন্তু যার কবিতা নিয়া আলোচনা করছেন, তার কবিতার কথা কইলাম...
সবাই আমার টা বেশি কঠিন কয়
আপনাকে স্পেশাল ধইন্যা 
---------

আপনার এক কথায় প্রকাশ পোস্ট টা অনেক ভাল্লাগছে - জটিল লিখছেন
এপু'র এই পোস্ট পইড়া আমার দাঁত নড়ে নাই জায়গা মতোনই বহাল আছে। কবিতা মূল্যায়ণের ভাষা কবিতার ধারে কাছে যাইবো এইটাই স্বাভাবিক। কবিতা পাঠকের অন্তরতো কবির চেতনাই স্পর্শ করে।
কিন্তু সবশেষে মনে হইছে এপু কি বই প্রকাশিত না হইলে কারো লেখায় মন্তব্য করার আগ্রহ পায় না!? নাকি সে নারী কবির লেখা ছাড়া কারো লেখা নিয়া কথা কওনের প্রয়োজন বোধ করে না!? যদি এই দুইয়ের কোনটাই না হয় তাইলে এপু ফাঁকিবাজ...
এই ফাঁকিবাজীর বিচার চাই...
থ্যাংকস ভাস্করদা ।
----------
কিন্তু কেন ? আমি তো অনেক পোস্ট ই পড়ি - সামুতে যখন রাতদিন ব্লগাইতাম তখন তো বিশাল কমেন্ট স্টোর ছিল আমাদের
. এখন কমেন্ট কম করা হয় । অনলাইন হইতে ভাল্লাগে না
নারী কবি কেন হবে ? তাকে তো ওয়েল স্টাব্লিশড রাইটার হিসেবে দেখতে চাই বলেই এত গালমন্দ করলাম ।
ব্লগের আর কাউরে এম্নে ধরলে আস্ত ফিরতে দিবো নাকি দাদা !
-------------
ব্লগের কাওরে ধরলে আস্ত ফিরতে দিবো না এই ধারণা ক্যানো হইলো আপনের?
হাহাহা
ক্রিটিক ও না দাদা - কেবল শব্দের মানে জানি না বলে জিজ্ঞেস করায়ও প্যাদানি খাইছি বিশাল -- সে কি অপমান !
কি দরকার কমেন্ট কম করি নিজেদের লোক ছাড়া । আজকাল বড় লেখক ভাবাটা অনেক সস্তা হয়ে গেছে তো ! মিডিয়ার কারসাজি
আমি জানি না কোথায় অপমানিত হইছেন...তয় আমরা বন্ধুরেও যদি একই মাপকাঠিতে চড়ান তাইলে আর পার্থক্যটা রইলো!?
ঐরম হইলে আমিতো এই খানে না লিখনের সিদ্ধান্ত নিমু...
না কারো জন্য ই একটা ব্লগ পুরো দায়ী না
---
আর নিয়মিত বিরতিতে কবিতা তো একা আমিই পোস্ট করতেছি দাদা -
কবিকুল গেলো কই !
ভাস্কর দা, মানুষ আর মাসুম ভাইয়ের কমেন্টীয় কারবার ... আর এ.পু'র মজার রিপ্লাইগুলা দেইখা হাসতে হাসতে শেষ..।
আপনার মজা লাগলো ! আমার এতদিনের ট্র্যাজেডি শুনে
ঘটনা কিন্তু সত্য --- আমি অনেক হাংকি পাংকি বই নিয়া আইসা পড়তে গেছি - শেষে ঘুমের ওষুধ ছাড়া আর কোনো ভূমিকা পাই নাই -
মাথা ব্যাথায় চোখ লাল হয়ে আছে। এই পোষ্ট পড়ে মাথা ঘুরাইলো। প্রথমে লাইক করছি এমন লেখার জন্য ।জীবনে লেখতে পারমু না।সালাম আফা।
ওয়ালাইকুম আসসালাম ।
আপনাদের লগে থাকতে থাকতে আমার নিয়ত ই খারাপ হ্য়া গেছে - মাথা ঘুরানি শুইনাই মাথায় হাবিজাবি চিন্তা আস্তেছে আপনারা আমারে নষ্ট কইরা ফেলাইলেন
আমি তো কুনোদিন এম্নে ভাবতাম না
ছি ছি ছি। এমুন কথা মাইনসে কয় জনসমাবেশে?মাথা ঘুরাইতাছে লেখা পইড়া। বইন গো জীবনে কত কি বাকী রইলো!
কইলাম তো আপু - আমি জিন্দেগিতে কুনোদিন এম্নে চিন্তা করি নাই

কাইল্কা আপ্নের কথা শুইনা মাসুম ভাইর ০৮ এর পোস্ট বাইর কইরা অফ্লাইনে পড়তে গেছি - আল্লাহ গো মাফ করো । একটা পোস্ট পুরা পড়ছি আরএকটা হাফ দেন তওবা কাইটা বাইর হ্য়া আসছি ছি ছি
হাসতে হাসতে মইরা গেলাম। কইলা কি?আগে পড়ো নাই?আগে পড়ছি তবে কমেন্ট করি নাই। অনলাইনে পড়ি নাই। শরম।
আমি তো নয়া ব্লগার আপু
কি সব কথা আল্লা - মাইনষের কি হায়া লাজ কিছুই নাই !
এপু... তনুজাদিরে আইতে কও এইখানে... রিভিউ সম্পর্কে তার মতামতও জরুরী
রিভিউ নিয়া সে কাটাছেড়া একটা কমেন্ট করছে - এখন খারাপ হইলেই তো আর পোলাপানরে কওয়া যায় না ফাউল হইছে
আপ্নে আইতে কন
বলছে যে রিভিউ টেক্সট বই এর মত লাগছে
আবার ২টা কথা কইতে আসছি ...
১। খুব উতসাহ নিয়া শুরু করসিলাম পড়া, কিন্তুক প্রথম প্যারা পইড়া দাত মুখ ফুটাইতে পারি নাই বইলা পরে কমেন্ট পড়া শুরু করসি ...কমেন্টগুলান ভালা হইসে ...
২। আমার অনেকদিনের আগ্রহ, পুলাপাইন এম্নে কঠিন কঠিন বাংলা শব্দ দিইয়া লেখে কেম্নে? আপ্নারা কি সাথে অভিধান নিয়া বসেন ...?
এনিওয়ে, পুষ্ট মনে হয় ভালাই হইসে ...
পড়েন না বলেই মিয়া - পড়লে আর এই কথা কইতেন না
ইন্ট্রডাকশনে একটু ঢং আছে - বাট তারপর কোনো ---
আর এমনিতেই আমার শব্দ লিমিটেড - অভি , আরো অনেকের স্টক অনেক বেশি
"উত্তরাধুনিক নামের একটা সিন্দাবাদের ভূত যখন সমকালীন কবিতাকে স্বাভাবিক অনুভূতির সীমানা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিতে চাইছে , ধার করা শব্দের বাহুল্যতা কবিতার নান্দনিকতাকে ক্লান্ত করে তুলছে ; তখন তনুজা'র কবিতা একটু আধটু বিকেল বেলার রোদের মত । মিষ্টি , মাটির গন্ধ বেয়ে উঠে আসা । কবিতাগুলোতে আড়াল কম , মুখোমুখি দাঁড়াবার শক্তি আছে ; এড়িয়ে যাবার প্রবণতা নেই ।"
কেবলমাত্র এই লাইনগুলোর জন্য হলেও তনুজার কবিতা গ্রন্থটির প্রতি পাঠকের আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক । আমি নিজে বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেছি বলা যায় ।
আপনি এতো চমৎকার 'পাঠপ্রতিক্রিয়া' লেখেন তাও জানা হলো
অনেক ধন্যবাদ শিপন ভাই ।
আপনাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগলো । কেমন আছেন ?
ভালো । আপনি ভালোতো ?
এখানেতো আরো আগ থেকেই আছি । সময় কম দিতে পারি বলে নিয়মিত হয়ে ওঠতে পারিনা । পোস্ট কিছু দেয়া হয়েছে, দেখতে পারেন, আমন্ত্রণ রইলো ।
অবশ্যই ।
ভালো থাকবেন
চমৎকার পাঠপ্রতিক্রিয়া ... বইটা পড়ার আশা রাখি ।
ধন্যবাদ নাহীদ । ভালো থাকবেন ।
আপনের অভিযোগ পইরা আবার পড়লাম ...
এইবার দাত মুখ একটু ফুটাইতে পারসি মনে হইতেসে ...
আরেকটা ফিলিংস হইতেসে, আপনেরে বিরাট জ্ঞানী মনে হইতাসে ...সত্য কইতাসি ...
হাহাহাহা মজা লাগছে
এইবার আরেকটা কাহিনী কই...আমার শেষের কবিতার কাহিনী ...
নিজের নাম অমিত বইলা শেষের কবিতা পড়া আমার কাছে ফরয একটা কাজ আছিল। তো ক্লাস ৮ এ থাকতে বইটা হাতে নেই। বিশ্বাস করেন, কিচ্ছু বুঝি নাই। খালি শব্দগুলা পইড়া গেসিলাম। মনে একটা অপরাধবোধ আছিল নিজের অজ্ঞতা নিয়া। সেই অপরাধ বোধ থেইকাই ক্লাস ১০ এ আবার পড়লাম। এইবার কিছু কিছু ব্যাপার মাথায় ঢুকল। আফটার অল, প্রেম জিনিষটা বুঝার টাইম ই আছিল ঐটা।
জাউজ্ঞা, তারপর, কলেজে কোন এক বিজ্ঞ বেটি আমার নাম শুইনা আমার সাথে শেষের কবিতা বিষয়ক আলাপ আলোচনা করতে চাইল। কিন্তু আমি তো বেশীদূর আগাইতে পারি না। অতঃপর আবার অপরাধ বোধ। অতঃপর আবার পড়া।
৩ বারের মাথায় বেশ অনেকখানিই বুঝতে পারলাম। কিছুটা হলেও আবেগ স্পর্শ করতে পারলাম। খুব গর্বিত ভংগিতে সেই বিজ্ঞ বেটির সাথে আলাপ আলোচনায় মত্ত হইলাম।
তারপর আরো ৭/৮ বার পড়সি, প্রত্যেকবার ই পড়সি নিজের তাড়নায়। শেষ যেবার পড়লাম সেইবার প্রতিটা শব্দ আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল, এটা মনে আছে।
আপনের লেখা দেইখা হঠাত কইরা শেষের কবিতার কথা মনে হইল...
নাহ আমি অত ছোট বয়সে শেষের কবিতা পড়িই নাই । প্রথম বার ই পড়েছি হোলো কলেজে থাকতে । যে বয়সে প্রথমবার আপনি পড়েছেন সেখানে বুঝলেই বরং অবাক করার কথা
খাইসে, আমি তো পোষ্ট ও এত বড় লেখি না ...

এইটা দিয়া একটা পুষ্ট দিয়া দিমু কিনা চিন্তা করতেসি ...আফটার অল, আমার ষ্টক খুব ই সীমিত ...
বইটা খুব সাধ করে কিনলাম, তনুজাদি সুন্দর একটা অটোগ্রাফ দিয়ে দিলেন, বাসায় এসে পড়তে শুরু করলাম। কবিতার তো 'ক'ও বুঝি না, কিন্তু কবিতাগুলো খুব ভালো লাগলো।
বইমেলায় আসছিলেন নাকি ! আমার সাথে দেখা হইলো না
কবিতা তো ভাল্লাগছে বুঝছি বস - রিভিউটা কেমন লাগলো ?
রিভিউটা বড়ৈ কঠিন হয়া গেসে দিদিমণি (মানে আমার মত নিরেট মাথাওয়ালা লোকের জন্য আর কি)।
আপ্নের লগে দেখা হৈবো ক্যাম্নে? আমরা তো কেউই একজন আরেকজনার খোমা চিনি না।
সেইটা তো চিনিই না আপা - বাট তনুজাদির আশেপাশেই তো ছিলাম । হয়ত ওইদিন যাই নাই
রিভ্যু কঠিন হয় নাই

এছাড়া আর কোন উপায় দেখতেছি না।
এতই খারাপ !!

কান্দনের ইমোর সাথে সাউন্ড ইফেক্ট থাকলে ভালো হইতো
বুঝতেছি না কি কেস ---
কবিত বুঝে পড়ি না তাই রিভিউতো আরো দূরের ব্যপার। যেটা বুঝি ভাবি যাহোক একটা বুঝলাম
আমারো একই দশা আপু
হাল্কার ঊপ্রে ঝাপসা চালায় দেই আর কি
ভালো থাকবেন আপু
মন্তব্য করুন