কম্পিউটার গেমস
আনইন্সটল করে দিলামEmpire Earth III। তিন সপ্তাহ ধরে এটা আমার মাথা খেয়ে আসছিল। এর আগে গিলেছিলাম Empire Earth II,সবচেয়ে বেশী আসক্ত ছিলাম Empire Earthএ। এই গেমসটি অফিসে বসেও খেলেছিলাম কয়েকদিন
ভার্সিটিলাইফে ফিফা ৯৮ থেকে ২০০৬ সবগুলো খেলেছি, এরপর খেলেছি FIFA 11।ভার্সিটিতে উঠেই খেলেছিলাম Need for Speed II, Underground, Hot Pursuit । Need For Speed III খেলার সময় শ্রীকান্তের রবীন্দ্রসংগীত ছেড়ে দিতাম আর রেসিং খেলতাম।
Commandos1শেষ করার পর দেখলাম এটা আমার অনেকগুলো রাত নষ্ট করে দিয়েছে,তাই কমান্ডোস ২,৩ এর প্রচুর সুনাম শোনার পরও আর ওইদিকে যাইনি। রাত জেগে জেগে খেলতামDesperados: Wanted Dead or Alive।খেলতে খেলতে কখন যে রাত পেরিয়ে যেত খেয়াল হতনা। তিন চারটাTomb Raiderঅর্ধেক শেষ করার পর আর এগুতে পারিনি। হয়ত প্রোগ্রামিং এরর ছিল। মাঝখানেJames Bond 007এর একটা গেইমস পুরো শেষ করে ছিলাম।
House of Death, @Road rash, @FIFA 98 আর @NFS II দিয়ে গেমিং জীবনের হাতেখড়ি হয়। ২০০২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত কতগুলো গেম কতবার ইন্সটল আর আনইন্সটল করেছি তা এখন ভালভাবে মনেও করতে পারছিনা।
ক্লাস নাইন ও টেনে @mustofaয় আসক্ত ছিলাম খুব। এই গেমটা খেলার পরিসমাপ্তি হয় একটা করুণ ঘটনার মাধ্যমে। সেটা অন্য কোন পোষ্টে স্মৃতিচারণ করা যেতে পারে। ইন্টারে আর কোন গেইমস না খেললেও এই সময় ফিফা৯৮ এবং ব্রায়ানলারা গেমসের সাথে পরিচিত হই।এরপর আর থেমে থাকিনি
চলো বন্ধুরা দেখে নিয়ে কয়েকটা পপুলার কম্পিউটার গেমের ধরনঃ
একশান গেইমঃ
এই প্রকৃতির গেইমস সবচেয়ে বেশী গেইমস আছে। একশান গেইম হল যেখানে একুরেসি, টাইমিং এবং কুইক রিফ্লেক্স বা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে হয়। যারা স্লো খেলে তারা সাধারনত এইধরনের গেইমস খেলতে পারে না।একশান গেইমসের আরো অনেক প্রকার আছে, যেমন- ফার্স পারসন শুটিং গেমস, ফাইটিং গেমস।
ফাইটিং গেমস হল যেখানে কেরেকটার তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে যুদ্ধ করে বিরুদ্ধ পক্ষের সাথে। যেমন মর্টাল কমবেট, স্ট্রিট ফাইটার ইত্যাদি। আর শুটিং গেমস হল যেখানে কেবল শুট করতে হয়। যেমন- হাউস অফ ডেথ। একশান গেইমগুলো মাল্টি প্লেয়ারও খেলা যায়।
একশান গেইমের আরো বেশ কয়েকটা ভাগ আছে। তারমধ্যে একটা হল মেইজ। মেইজ মানে ধাঁধা। এগুলো প্রথম দিককার বোর্ড গেমস।
একশান গেইমসের একটা পপুলার জেনার হল থার্ড পারসন শুটিং গেইমস। এইধরনের গেমসে কেরেকটারকে পুরো দেখা যায়। সে ক্লল করতে পারে, দৌড়াতে পারে। এরকম কিছু গেইমস হল- মেক্স পাইন।
একশান এডবেঞ্চারঃ
এইধরনের গেমসেও কেরেকটারকে পুরো দেখা যায়। সে ক্লল করতে পারে, দৌড়াতে পারে, লুকিয়ে থাকতে পারে, খুঁজে বের করতে পারে এমনকি সাতারও কাটতে পারে। কোন কোন থার্ড পারসন শুটিং গেমসে কেরেকটার জানবাহন চালাতে পারে। এই ধরনের গেমসে প্রায়ই পাজল সলভ করতে হয় পরের স্টেজে যাওয়ার জন্য। এরকম কিছু গেইমস হল- টুম্ব রেইডার, আলাদিন, গ্রেন্ড থেফট অটো বা GTA। বর্তমানে এইধরনের গেইমসে গ্রাফিক্সের ব্যাবহার খুব বেশী।
রোল প্লেয়িং গেইমস(Role Playing Games):
এই ধরনের গেমসে অনেকগুলো কেরেকটার থাকে। একেকজনের এক এক স্পেশালটি বা রোল থাকে। এই গেমগুলো স্ট্রং স্টোরির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। প্রায় সময় দেখা যায় কোন ঐতিহাসিক যুদ্ধ বা কোন এলাকার শত্রু মুক্তির অভিযানে চলছে ৫-৬ জনের একদল কমান্ডার বা যোদ্ধা। এইধরনের গেমস বেশ জনপ্রিয়, যেমন- কমান্ডোস, ডেসপারেডস ইত্যাদি। কিছু কিছু রোল প্লেয়িং গেমস আবার মাল্টি প্লেয়ার খেলা যায়।
সিমুলেশান গেইমসঃ
এইধরনের গেমসে সাধারনত যানবাহন সিমুলেশান করা হয়। যেমন হেলিকপ্টার চালানো, রেসিং কার চালানো ইত্যাদি। এগুলো সাধারনত বাহন চালানো শেখার জন্য খেলা হয়। কিছু আছে কন্সট্রাকশান ও ম্যানেজমেন্ট সিমুলেশান গেমস, যেমন- সিটি বিল্ডিং গেমস।
স্ট্রেটেজি গেমসঃ
এইধরনের গেমস এডভান্সড গেমাররা পছন্দ করে। এই গেমগুলোতে গেমার নিজেকে ঈশ্বরের মত পজিশানে রেখে খেলে। তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্ট্রেটেজি বা প্লেন নিতে হয় এই গেমস খেলার সময়। প্রায় স্ট্রেটেজি গেমসেই টেকনোলজি রিসার্স, এইজ আপডেট, বিল্ডিং কন্সট্রাকশান, সৈন্য(ইউনিট) তৈরি করতে হয়। এদেরকে আবার 4X Gameও বলা হয়। 4X হলো eXplore, eXpand, eXploit and eXterminate।
কিছু পপুলার স্ট্রেটেজি গেইমস হল এইজ অফ এম্পায়ারস, এম্পায়ার আর্থ ইত্যাদি।
এছাড়াও আছে- পাজল গেমস, কার্ড গেমস, বোর্ড গেমস।
বর্তমানে কোন কোন গেমস বিল্ট ইন গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে খেলা যায় না বা রেম কম হলেও চলে না। গেমসের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে কোন গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে হবে, অস্থাইয়ী মেমোরি(RAM) ও হার্ড ডিক্স সাইজ কত হতে হবে ইত্যাদি। যারা গেমিঙের জন্য কম্পিউটার কিনেন তারা যেন অবশ্যই এনভিডিয়া জিফোর্স বা এটিআই রেডন ব্যবহার করবেন। এই গ্রাফিক্স কার্ড দুটার মধ্যেও আবার ভেরিয়েশান আছে। সবচেয়ে ভাল গ্রাফিক্স কার্ডের লিস্ট পাবেন এখানে। বন্ধুরা গ্রাফক্স কার্ডেও কিন্তু রেম(RAM) থাকে। কোন কোন গেম আবার গ্রাফিক্স কার্ডের রেম কম হলে খেলা যায় না।
সতর্কতাঃ
যারা গেমস খেলে নিয়মিত তাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয় যেমন ঘাড় ধরা,কোমর বা মেরুদন্ডের ব্যাথা ইত্যাদি। তাই প্রতি আধ ঘন্ট থেকে এক ঘন্টা অন্তর চেয়ার ছেড়ে উঠে পাঁচ মিনিটের হাঁটাহাঁটি ও ওয়ার্ক আউট করা জরুরি।
বাহ! ভালো পোস্ট।
আমি ইদানিং খেলতাছি ফিফা ১৩ আর কিছু নিড ফর স্পিড গেমস।
ফিফা ১২ আমার রূমমেট খেলছে। তার পিসিতে দুইটা ম্যাস খেলেছি। ভাল লেগেছে। কিন্তু ওই যে বললাম আমার আসক্তি! সেই কারনে আর ইনস্টল করি নাই।
কল অফ ডিউটি আর এনএফেসের গেম খেলতেই ভালো লাগে। কিন্তু এখন যে পিসি চালাই তাতে এইসব খেলা দায়!
রেম বাড়াতে হবে বস। যদি গ্রাফিক্স কার্ড সাপোর্ট না করে তবে এক্সটার্নাল গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে হবে।
শিখলাম বহু কিছু
মন্তব্য করুন