মানুষ ও অন্যান্য
এদেশে বসবাস করে
মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, সংখ্যালঘু আর উপজাতি।
মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
বাকিদের সংখ্যা দ্রুত হারে কমছে, মূল্য হ্রাস প্রোডাক্টের মত।
জনশক্তি বাড়ার কারণে
বড় বড় লেকচারার ও সচেতন লোকের পরিমাণ বাড়ছে।
শক্তি পরিমাপের বিষয়
শক্তির প্রমাণ দেখাতে মল্লযুদ্ধের ব্যবস্থা করা হয় ঘোষণা দিয়ে।
শরীরে রক্ত টগবগ
হাত নিশপিশ, কসরত হয় ছুড়িকাচির ব্যবহারে।
গাছপালা কমে গেছে
ইদানিং তাই গাড়িঘোড়া পোড়ানো হয়, এমনকি মানুষও।
লাঠির জোর পরীক্ষায়
মাটির তৈরি সংখ্যালঘু এক ঘায়ে ভাংতে হবে, নইলে ফেল।
মূর্তি ভাঙার কারণ আছে-
এমনিতেই সংখ্যালঘু কমে গেছে, শরীরের তাগোদ কম
যদি এক ঘায়ে অক্কা যায়,
বাকিদের তাদের চিড়িয়াখানায় পুষতে হবে, খরচ বাড়বে।
সার্কাস খুব মজার
গুটি কয়েক মানুষ জ্বালাও পোড়াও করে বাকিরা সার্কাস দেখে।
ছাগল একটি জনপ্রিয় ক্যরেক্টার
না না পশু হতে যাবে কেন? এরা মানুষ দুই পায়ে খাড়ায়
ম্যা ম্যা করে ল্যাদায়;
কাগজের ডকুমেন্টে প্রমাণ নেই, মোবাইলের ভিডিও লাগবে।
এক প্রকার অনুভুতি আছে
যা কেবল মানুষের থাকবে অন্য করো থাকা কবিরা গুণা।
ধর্মগ্যালভানাইজড চশমা আছে
যা দিয়ে মানুষের গুরু মানুষদের চাঁদে দেখা যায়।
মানুষেরা সাংঘাতিক
তারা ধরে ধরে ধরে না, ধরলে তারা ছাড়ে না।
কাকের মাংস কাকে খায় না
মানুষ তো কাক না, তারা নিজেদের মাংসও খায়।
তাদের অনেক দল আছে
দলের ভিতরে দল আছে তার ভিতরে আছে উপদল।
পোলার বন্ড শক্তিশালী
এটা দিয়ে মানুষেরা অপরকে আঁটকে ধরে যাতে সামনে চলে না যায়।
খেয়েদেয়ে কাজ নাই
তাই বালস্যবাল হরিদাশ পালেরা চশমা পরে কেঁদে যায়।
[স্যাটায়ার কবিতা]
কবিতা ভাল লেগেছে। অতি বেশি সত্যি
মন্তব্য করুন