নিভৃত স্বপ্নচারী'এর ব্লগ
ধূসর গোধূলিঃ ২২ - তারুণ্যের জয়গান...
কলাবতী বাজারের ক্লাবঘরটিতে তরুণদের আনাগোনা শুরু হয় বিকাল থেকেই। বিজয় দিবসের খুব বেশী দেরী নেই। ওরা প্রত্যেকেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেবার জন্য তাড়া অনুভব করে। শ্যামল আর তাপসের গ্রামে আসার খবর পেয়ে আজ একটু আগেই ক্লাবে এসেছে আসাদ আর সজল। ক্লাবের সব অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হল শ্যামল। ও না থাকলে কোনকিছুই যেন জমে না ঠিকমত।
ধূসর গোধূলিঃ ২১ - আজ গাশ্বীর রাত...
শিউলির শহরে যাওয়ার দিন ঠিক হয়ে গেছে। আর মাত্র এক সপ্তাহ, তারপর সবাইকে ছেড়ে ও চলে যাবে বহুদূরে। চলে যাবার আগে কয়েকটা দিন মা-বাবার সাথে কাটাবে ও। মেয়েটা চলে যাবে তাই মষ্টারসাব আর সালমা বেগমের মনটা খুব খারাপ। এতদিন শ্বশুরবাড়িতে ছিল, ইচ্ছে হলেই গিয়ে দেখে আসতে পারত। দূরে চলে গেলে মনটা বড় কাঁদবে।
অয়ন বড়দি আসার পর থেকেই বলে আসছে, ওকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। শহর সম্পর্কে ওর কথার উত্তর দিতে গিয়ে শিউলিকে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
-বড়দি, তুমি কবে শহরে যাবা?
-এই তো আগামী সপ্তায়
-তুমি একলা যাবা শহরে?
-না, কাইল তোর ভাইয়া আইব। আমারে লগে কইরা নিয়া যাইব
-আমারেও কিন্তু তোমগো লগে নিতে অইব
ভাইয়ের আবদার শুনে শিউলি হাসে। তারপর বলে- বাবা, মা, বকুলরে ছাইড়া তুই থাকতে পারবি অনু?
-আমি তো শহরে ঘুইরা আবার চইলা আমু
-ও আইচ্ছা, শুধু শহর দেখতে যাবি, আমার লইগা তোর কোন মায়া নাই, তাইনা?
-আমি কি তাই কইছি? তোমার কাছে কয়দিন থাইক্যা বাড়ি চইলা আমু, আমার স্কুল আছে না?
ধূসর গোধূলিঃ বন্ধন মুক্তির ডাক...
পড়ন্ত দুপুর। সুর্য্যের কড়া তেজ কমে গেছে অনেকটাই। জানালা দিয়ে তাকিয়ে সুবলকে আসতে দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো অয়ন। আজ স্কুল থেকে ফেরার পথে মিরাজ বলছিল- উজানগাঙের ওপাড়ে অনেক কাশফুল ফুটেছে। বিকালে ঝাঁকে ঝাঁকে বকের মেলা বসে। তখনই ওরা ঠিক করেছিল আজ নদীর ওপাড়ে যাবে। মিরাজদের বাড়ির সামনে আসতেই দেখে ও রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে আছে। তিনজনে ছুটতে থাকে নদীর দিকে। কোটাখালী খালের পাড় ধরে সরু রাস্তার দু’পাশে বুনো ঝোপঝাড় আর মাথার উপর বড় গাছের ছায়ায় ছায়ায় ওরা এগিয়ে চলে উজানগাঙের দিকে। গ্রামের মধ্য দিয়ে একেবেঁকে খালটি যেখানে এসে নদীর সাথে মিশেছে, সেখানটাতেই একটি কাঠের ব্রিজ। এলাকার লোকজন এই জায়গাটিকে বলে- তেমাথার পুল। এই ব্রিজ পার হয়েই সরু রাস্তাটা নদীর পার ধরে চলে গেছে বহুদূর। এই ব্রিজের পরের গ্রামটির নাম ভবানীপুর। তারপর গৌরীপাশা, চন্দ্রপাশা, ইন্দ্রকাঠী এবং সর্বশেষ প্রান্তে একবারে নদীর পাড় ঘেঁষে গ্রামটির নাম কমলডাঙা।
নতুন বাংলাদেশ
পৃথিবী আজ জেনে যাও
আমরা প্রতিদিন রচনা করছি
সভ্যতার নতুন ইতিহাস
আমরা প্রতিদিন শিখছি
শান্তির নতুন মন্ত্র!
আগুনে ভস্মীভূত মুখগুলো
আজ আর আমাদের ব্যথিত করেনা,
সন্তানের জন্য মায়ের আকূল আর্তি
আজ আর আমদের মনে দাগ কাটে না,
স্বামীর জন্য স্ত্রীর প্রতীক্ষাও তাই,
এমনকি, ঝলসে যাওয়া মুখগুলো দেখে
কেমন নির্বিকার হয়ে যাই!
আমরা শিখে গিয়েছি
কেমন করে ব্যথা ভুলতে হয়,
আমরা শিখে গিয়েছি
কি করে নীরব থাকতে হয়,
আমরা শিখে গিয়েছি
কি করে প্রতিদিন মৃত্যুর
নতুন ইতিহাস গড়তে হয়!
আমরা জয় করেছি ভয়,
জেনে গিয়েছি কি করে
আতঙ্ক নিয়ে পথে নামতে হয়,
আমাদের মহান নেতারা
আমাদের শিখিয়েছেন
কি করে সভ্য হতে হয়।
আমরা প্রতিদিন গড়ছি
সভ্যতার নতুন ইতিহাস!
আমরা প্রতিদিন গড়ছি
শান্তির নতুন বাংলাদেশ।।
ধূসর গোধূলিঃ খেলা...
বটতলার হাটের ইজারা নিয়ে হাঙ্গামা আজ নতুন নয়। গত কয়েক মাস ধরেই ঘাটের মাঝি কিংবা হাটের দোকানদারদের সাথে বাদলের বাক-বিতণ্ডা যেন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। বিনা নোটিশে ঘাটের টোল বাড়ানোর প্রতিবাদে খেয়া নৌকার মাঝি, মাছ ধরার নৌকার মাঝিরা কয়েক দফায় নৌকা বাওয়া বন্ধ রেখেছিল। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ইজারাদার বাদল আর হারু মেম্বরের ভাই মজনুর রেষারেষি লেগেই আছে। ঘাটের মাঝিরা তাদের দাবীতে অনড়, তারা বাড়তি টোল দিবে না। দরকার হলে তারা নৌকা বাওয়া ছেড়ে দিবে। বাদলের অভিযোগ মজনু নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে।
অনেকদিন ধরে জমাটবাধা বরফ গলাতে আজ দুই পক্ষকে একসাথে বসানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বশিরুল্লাহ পাটোয়ারীকে আনা হয়েছে একটা শান্তিপূর্ণ ফয়সালা করতে। নৌকার মাঝিদের অভিযোগ জানতে চাইলে কাজেম মাঝি বলে ওঠে,
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১৫)
মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো, সাবেক যুগোস্লাভিয়া
সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো ১৮৯২ সালের ৭ মে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একাধারে তিনি যুগোস্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৪৫ থেকে মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত দুর্দণ্ড প্রতাপে দেশ পরিচালনা করেন। কমিউনিস্ট নামীয় রাজনৈতিক দলের তিনি সদস্য ছিলেন। তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বলয়ে অবস্থান করে যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠন করা। পরবর্তীতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। যুগোস্লাভিয়ার বিবাদমান বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীকে একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর এক দশকের মধ্যে তা গৃহযুদ্ধের রূপান্তরিত হয়ে দেশটি ভেঙ্গে যায়।
ধূসর গোধূলিঃ বিপ্রতীপ...
স্কুলে আসার পর থেকেই উৎসবের আমেজে থাকে অয়ন। বন্ধুদের সাথে হেসে খেলে আনন্দে মেতে থাকে পুরোটা সময়। স্কুলের মাঠের পাশের একটা পাকুড় গাছ। গাছটা ছায়া দিয়ে কেমন ঢেকে রাখে মাঠটা। এটার নিচে একটা লোক প্রতিদিন আইসক্রিম বেঁচে। ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে লোকটা মিহি করে বরফ কেটে একটা ছাঁচের মধ্যে পুরে কেমন লম্বা আইসক্রিম বানিয়ে ফেলে, তারপর তাতে লাল, সবুজ রঙ লাগিয়ে দেয়। আজ বাবার থেকে পয়সা নিয়ে কিনেছিল ও, খুব মজা খেতে।
ধূসর গোধূলিঃ সবুজ জমিনে বর্গী...
সেদিন কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায় বিভার। ঘরে ঢুকে দেখে মন খারাপ করে বসে আছে প্রভা। কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করে-
-কি হইছে প্রভা? মুখটা এত কালা কইরা বইসা আছস ক্যান?
মাকে দেখে সারাদিনের জমিয়ে রাখা কষ্টগুলো বুকের ভিতর থেকে যেন বেরিয়ে আসে এক নিমেষেই, কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রভা বলে,
-আমি আর ইশকুলে যামু না মা
-ক্যান, কি অইছে?
তালুকদারের হাটখোলার ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে প্রভা।
-তুই এতদিন আমারে কস নাই ক্যান?
-তুমি চিন্তা করবা হেইলইগ্যা এতদিন তোমারে কইনাই।
ধূসর গোধূলিঃ আলোর নীচের অন্ধকার...
প্রতিদিন সকালে, সুর্য্য ওঠার পর পরই মসজিদের সাথে লাগোয়া ছোট একটি ঘরে ছেলেমেয়েরা উচ্চস্বরে আরবি পড়ে। শ্যামলপুর গ্রামে এটাই একমাত্র মসজিদ। মসজিদের পাশে একটি আলাদা ঘর, বাঁশের খুঁটির উপরে গোলপাতার ছাউনি দেয়া ঘরটার চারপাশে কোন বেড়া নেই। সেই ঘরের মেঝেতে খেজুর পাতার পাটিতে বসে সকাল থেকে বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েরা আরবি পড়ছে। অয়নও প্রতিদিন আসে এখানে। বয়সে বড় ছেলেমেয়েরা কোরাণ আর অপেক্ষাকৃত ছোটরা পড়ছে আমপারা। অগ্রহায়নের হাড় কাঁপানো শীতে কিংবা গ্রীষ্মের মাঠ ঘাট ফেটে চৌচির হওয়া গরমে, কখনই বন্ধ হয়না মাদ্রাসা। সবাই এতটাই উচ্চস্বরে পড়ছে যে কারো উচ্চারণই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছেনা। লম্বা একটা বেত নিয়ে মৌলভীসাব মাঝখানে বসে সবার পড়া দেখছেন, মাঝে মাঝে ওটার ব্যবহারও করছেন।
ধূসর গোধূলিঃ মৌমাছি
বাড়ি এসে অয়ন দেখে বাবা ফেরেনি তখনো। মা উঠান ঝাড়ু দিয়ে এসে বলে,
-তোদের কি নাওয়া-খাওয়া লাগব না?
-একটু পর যাই মা, দুই একদিন দেরীতে খাইলে কিছু অয়না, শিউলি বলে।
-আপা দেখ, ঐ ডালটায় কত্তবড় দুইডা সপরি! ঘরের সামনের পেয়ারা গাছটার মাথার দিকে আঙ্গুল তুলে শিউলিকে দেখায় বকুল। অয়ন গলা বাড়িয়ে বকুলের দেখানো হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে বড় দু’টো ডাঁসা পেয়ারা যেন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। একলাফে সিঁড়ি থেকে উঠানে নেমে পেয়ারা গাছটার কাছে গিয়ে বলে,
-এইডা আমার গাছ, ছোটদি তুই আমার গাছের পেয়ারা ধরবি না কইলাম। এই দুইডার একটা আমার আরেকটা বড়দির।
-ক্যান, তুই আমার গাছ থেইক্যা বড়ই খাস না?
-হ খাই, তোরটা তো আমি খামুই কিন্তু আমার গাছের পেয়ারা তুই ধরতে পারবি না, বাবা কইছে এইডা আমার গাছ।
-দ্যাখ আপা, কেমন হিংসুইটে অইছে!
-থাউক, অরে খ্যাপাইস না। যা পাইড়া নিয়া আয়, একটা অরে দে আরেকটা তুই আর আমি ভাগ কইরা খামুনে।
ধূসর গোধূলিঃ চেনা পথের গল্প...
ব্রিজ থেকে নেমে তিন ভাইবোনে হরিপদর বাড়ির দিকে এগোতে থাকে। মূল ফটক দিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই শিউলি দেখতে পায় বিজয়া কাকী বাড়ির উঠানে নানান ধরনের আচার শুকাতে ব্যস্ত। ওকে দেখে কাকী অবাক হয়ে অনেকক্ষণ ধরে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে, মুখে চিরচেনা সেই স্বভাবসুলভ হাসি। কাছাকাছি যেতেই ওকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-আরে, এ কারে দ্যখতাছি! নতুন মানুষ আমগো বাড়ি?
-আমি নতুন মানুষ কাকী? আমারে এতো তাড়াতাড়ি পর কইরা দিলা?
-আমরা পর করুম ক্যান? বিয়ার পর মাইয়ারা আর নিজেগো থাহে না রে মা! শ্বশুরবাড়িই তার আপন হইয়া ওডে। এই দ্যাখ, আমি তো বাপের বাড়ির কতা ভুইলাই গ্যাছি। একটা সত্যি কতা কমু?
-কও! শিউলি হাসতে হাসতে বলে
-তুই আগের চাইতে অনেক সুন্দর অইয়া গ্যাছোস
শিউলি যেন কিছুটা লজ্জা পেল। বিজয়া এগিয়ে এসে কানে কানে কিছু একটা বলতেই শিউলীর গাল দু’টো ক্রমশ লাল হয়ে উঠলো। কিছুটা কপট রাগের ছলে হাসতে হাসতে বলে, যাও কাকী, তুমি যে কি না! তারপর চারদিকে তাকিয়ে বলল, আইচ্ছা মালতি কই?
থ্যালাসেমিয়াঃ ভয় নয়, প্রয়োজন সচেতনতা, পর্যাপ্ত প্রচারণা। (শেষ পর্ব)
হিমোগ্লোবিন-ই ডিসঅর্ডারঃ
বিটা থ্যালাসেমিয়ার মত হিমোগ্লোবিন-ই ও আমাদের দেশে বেশ দেখা যায়। এটাও এক ধরনের হিমোগ্লোবিন ডিসঅর্ডার এবং বংশগত রোগ। এই হিমোগ্লোবিন-ই ডিসঅর্ডার দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১. হিমোগ্লোবিন-ই ট্রেইট ২. হিমোগ্লোবিন-ই ডিজিজ। যে সন্তানের পিতা-মাতার যে কোন একজন থেকে হিমোগ্লোবিন-ই এর জিন পায়, তাদেরকে হিমোগ্লোবিন-ই এর বাহক (Hemoglobin E-Trait) বলা হয় আর যারা বাবা-মা দু’জনের কাছ থেকেই উত্তরাধিকারসূত্রে এই জিন পায় তারা হিমোগ্লোবিন-ই ডিজিজে আক্রান্ত হয়।
হিমোগ্লোবিন-ই ট্রেইট কিংবা হিমোগ্লোবিন-ই ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তি যদিও হিমোগ্লোবিন-ই জিন সারাজীবনের জন্য বহন করে, তবুও এদের ক্ষেত্রে তেমন কোন উপসর্গ দেখা দেয় না। এরা অনেকটা বিটা থ্যালাসেমিয়ার বাহকের মতই, সামান্য রক্তশূন্যতায় ভুগতে পারে। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে যদি এদের কারো সাথে বিটা থ্যালাসেমিয়ার বাহকের সাথে বিবাহ হয়, তবে তাদের শিশুর হিমোগ্লোবিন-ই বিটা থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
থ্যালাসেমিয়াঃ ভয় নয়, প্রয়োজন সচেতনতা, পর্যাপ্ত প্রচারণা। (প্রথম পর্ব)
এইচআইভি কিংবা হেপাটাইটিস নিয়ে মানুষের মাঝে যতটা সচেতনতা আছে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে তেমনটা এখনও গড়ে ওঠেনি। একমাত্র যারা ভুক্তভোগী তারাই এই রোগ সম্পর্কে জানেন। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হারটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় দেশে আনুমানিক ৫০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ারের সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ এবং বছরে প্রায় ছয় হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার হয়ে জন্মগ্রহণ করছে। থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার তুলনায় প্রতিরোধই শ্রেয়। আর এই রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা।