প্রিয়'এর ব্লগ
আমাদের ক্যালকুলাস
নানুর বাসা বলতে বেশীর ভাগ মানুষের হয়তো গ্রামের বাড়ি, মেঠো পথ, চারদিকে সবুজে ঘেরা সুন্দর কোন প্রকৃতির কথা মনে পড়ে। কিন্তু আমার কাছে নানুর বাসার কথা মনে হলে কোন সুন্দর প্রকৃতি, চাঁদের নরম আলো গায়ে মাখা কিংবা মজার কোন খাবারের কথা মনে পড়েনা। আমার কেবলই মনে পড়ে একটি মুখ। খুউব সুন্দর দেখতে একটি মুখ। যে মুখটি এই ইট, পাথর, সিমেন্টে ঘেরা জরাজীর্ণ ঢাকা শহরের একাকীত্ব গায়ে মেখে সারাক্ষণ শুধু আমাদের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনতো। মাফ করে দিও নানু আমাকে। যে তুমি আমাকে এতো বড় করেছো সেই তোমার বৃদ্ধ বয়সে তোমার জন্য আমার হাতে কোন সময় ছিলোনা।
তোমায় ভালোবেসে
আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে
আমার দিনগুলো সব রঙ চিনেছে তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে
তুমি চোখ মেললেই ফুল ফুটেছে আমার ছাদে এসে
ভোরের শিশির ঠোঁট ছুঁয়ে যায় তোমায় ভালোবেসে
আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
আমার ক্লান্ত মন ঘর খুঁজেছে যখন
আমি চাইতাম পেতে চাইতাম শুধু তোমার টেলিফোন
ঘর ভরা দুপুর আমার একলা থাকার সূর
রোদ গাইতো আমি ভাবতাম তুমি কোথায় কত দূর
আমার বেসুর গিটার সুর বেঁধেছে তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে
আমার একলা আকাশ চাঁদ চিনেছে তোমার হাসি হেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
অলস মেঘলা মন আমার আবছা ঘরের কোণ
চেয়ে রইতো ছুটে চাইতো তুমি আসবে আর কখন
শ্রান্ত ঘুঘুর ডাক ধুলো মাখা বইয়ের তাক
যেনো বলছে বলে চলছে থাক অপেক্ষাতেই থাক
আমার একলা আকাশ থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে
আমার দিনগুলো সব রঙ চিনেছে তোমার কাছে এসে
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
হারিয়ে গিয়েছি এইতো জরুরী খবর
ইদানীং আমার একটা সমস্যা হয়েছে। কোন কিছুই এখন আর বিশ্বাস করতে পারিনা। চোখের সামনে যা দেখি সব কিছুকেই ভন্ডামি মনে হয়। আরেকদিন এক প্রোগ্রামে গেলাম বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক নারী নির্যাতনের উপর একটা রিপোর্ট এর কথা বলছিলেন যে রিপোর্টে বলা আছে, বাংলাদেশের নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয় তার গৃহে, তার স্বামীর দ্বারা।রিপোর্টটি শুনছিলাম আর মনে হচ্ছিলো যে এই লোক আজকে সকালে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছেন। জানিনা এটা কেন মনে হলো। হয়তো আমার এই মনে হওয়াটা অমূলক হয়তো বা না। কেননা আমার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ঘরে স্ত্রীকে এমনভাবে পিটায় যে মারের চোটে স্ত্রীর দাঁত নড়ে যায়, ঠোঁট খুব বাজে ভাবে কাটে। এবং সেই কাটা ঠোঁটে আবার হয়তো সেলাইও পড়ে। অথচ এই মানুষগুলো বাইরের দুনিয়ায় এসে প্রগতিশীল সেজে বড় বড় নীতিবাক্যের ধুয়া তুলে, নারী অধিকার বিষয়ে তারা সবসময় সোচ্চার, বিভিন্ন সামাজিক সাইটগুলোতে তাদের প্রেরণা সবাইকে খুব অনুপ্রানিত করে। কি আশ্চর্য এই পৃথিবী, এই মানুষগুলোর হয়তো দিন শুরু হয় স্ত্রীকে পিটানোর মধ্য দিয়ে। স্ত্রীকে পিটিয়ে পরিবারের সবার কাছে নিজের পৌরষত্ব জাহির করে এরা আরামসে ব্রেকফাস্ট
মতিকণ্ঠের হাস্যরস
মতিকণ্ঠ মেধাবীদের কার্যক্রম। দারুণ লাগে লেখাগুলি পড়তে। লাস্ট কয়েকটাদিন যা একেকটা লেখা আসছে না, লাড্ডু একেবারে
শাহবাগে রেপ হচ্ছে লেখাটা পড়ে হাসি কোনোভাবেই চেপে রাখতে পারলাম না। লেখা আছে-
চোরাবালি
মা- বাবার ঝগড়া একদম ভাল লাগেনা অথৈ এর। কিছুদিন যাবত প্রতিনিয়ত তাদের ঝগড়া করতে দেখে হাপিয়ে উঠেছে সে। এইতো কিছুদিন আগেও তারা খুব সুখী একটা পরিবার ছিল। মা, বাবা, অথৈ তিনজন মিলে বেড়িয়ে এল মালয়েশিয়া থেকে। সেখানে কত্ত মজা করলো তিনজন মিলে। কিন্তু হঠাত করেই কেন সবকিছু এত দ্রুত বদলে গেল সে বুঝতে পারেনা। বাইরে থেকে দেখলে অবশ্য কখনোই কিছু বোঝা যায়না। এক সপ্তাহ আগেই তার বাবা- মা খুব জমজমাট করে তার জন্মদিন পালন করল। সেখানে দুজনই এমন ব্যবহার করল যেন কিচ্ছু হয়নি, তাদের মধ্যে কোন সমস্যাই নেই। তবে যতোই আড়াল করুক অথৈ জানে যে তারা কেউই এখন ভাল নেই।
একটি সুইসাইড নোট এবং কিছু অভিযোগ
প্রিয় শাদল,
কেমন আছো তুমি? কি করছো এখন? খুব ব্যস্ত হয়ে অফিসের কাজ করছো নাকি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছো? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। কয়েকদিন তোমাকে না দেখলেই আমার মধ্যে যে কী ভীষণ এক অস্থিরতা তৈরী হয় তা তো তুমি জানোনা। তোমার কাছে আমার দরকার ফুরিয়ে যেতে পারে, আমি একটা ঝামেলায় পরিণত হতে পারি কিন্তু আমার কাছে তুমি সবসময়ই দামী, অমূল্য। সারাদিন, রাত তোমার কথা ভেবে আমার আর কিছুই করা হয়ে উঠেনা। অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে শাদল, কি করি বলতো?
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি
আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি,
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
শিশু না কাল গেলো মাটি আর ধুলাতে, যৌবন কাল গেলো রঙ্গে
আমার একপাটি ঘুঙ্গুর ছিলো। সেই একপাটি ঘুঙ্গুর একপায়ে পড়েই শুরু হল হুমায়ুন স্যারের ক্লাসে আমার নাচ শেখা। এরপর রাজু স্যার, রূপা আপু, রামকান্ত স্যার অনেকের কাছেই নাচ শিখেছি। হুমায়ুন স্যার এবং রাজু স্যারকে আমি খুব পছন্দ করতাম। কারন উনারা দুজন আমাকে অনেক চকলেট খাওয়াতেন। আর খুব কষ্টকর ব্যাপার হচ্ছে এই দুজনেরই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। শৈশব বলতে অনেকের মাঠ দাপিয়ে খেলাধূলা করার অনেক রকম স্মৃতি থাকে। কিন্তু আমার শৈশব ছিল শুধুই পড়ালেখা আর নাচ এই দুই গন্ডিতে সীমাবদ্ধ। আমার মাঠ দাপিয়ে খেলাধূলার সৌভাগ্য ছিলনা। ছিলো নাচ শেখার সুযোগ।
মনে আছে, এক শুক্রবার বিকেলে আব্বু আর ছোট খালা আমাকে নিয়ে গেলেন নাচের স্কুলে। তারপরে অনেক বছর আমি একটানা নাচ শিখেছি। তবে আমার নাচের মুল ক্রেডিট দিতে হয় ছোটখালাকে। কারন আমাকে নাচ শেখানোর ব্যাপারে ওই ছিল সবচেয়ে বেশী ইন্টারেস্টেড।
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই ............
অনেকক্ষন যাবৎ আমি ডাক্তারের চেম্বারে বসা। ডাক্তার আমাকে মুখে কিছু না বললেও তার চেহারায় চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। তিনি বার বার রিপোর্ট দেখছেন আর জিজ্ঞেস করছেন, আপনার সাথে কি আর কেউ আসেননি?
জোয়ান অফ আর্ক
ইতিহাস ঘাঁটাঘাটি করলে যে কয়জন সাহসী, যোদ্ধা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী পাওয়া যায় তাদের মধ্যে জোয়ান অফ আর্ক ছিলেন অন্যতম। তিনি ছিলেন পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য এক নেত্রী। মিউজ নদীর তীরে দঁরেমি গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে ১৪৪২ সালের ৬ই জানুয়ারী এই বীর নারীর জন্ম। ফ্রান্স তখন ইংরেজদের শাসনাধীন ছিল। ইংল্যান্ডের রাজপুত্র ষষ্ঠ হেনরি ফ্রান্সের সিংহাসনে আরোহন করলে ফ্রান্সের রাজা সপ্তম চার্লস পালিয়ে যান। মাত্র তের বছর বয়সে মাঠে ভেড়ার পাল চড়াবার সময় জোয়ান দৈববাণী শুনতে পান যে তাকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার ও ফ্রান্সের প্রকৃত রাজাকে ক্ষমতায় পূনর্বহাল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। দৈববাণী শুনামাত্রই জোয়ান অনেক চেষ্টার মাধ্যমে ফ্রান্সের পলাতক রাজা সপ্তম চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য তার কাছে সৈন্য প্রার্থনা
হিস্ট্রি বিহাইন্ড দ্যা সিক্সটিন ডেইজ এ্যাকটিভিজম
প্যাট্রিয়া মিরাবাল, মিনার্ভা মিরাবাল এবং মারিয়া তেরেসা মিরাবাল নামের তিনবোনের জন্ম ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের সিবাও অঞ্চলে। ত্রুজিল্লোর একনায়কতান্ত্রিকতার বিপক্ষে শক্ত অবস্থান এবং নারীর অধিকার আদায় বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের জন্য এই তিন বোনকে স্প্যানিশ ভাষায় ডাকা হতো "লাস মারিপোসাস" (প্রজাপতি) নামে। রাফায়েল লিওনিদাস ত্রুজিল্লো ছিলেন তৎকালীন সময়ে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের একজন সামরিক শাসক যিনি সম্পূর্ন অগনতান্ত্রিকভাবে নিজেকে রাস্ট্রপতি ঘোষনা করেছিলেন। তার শাসনামলকে ২০ শতকের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী শাসনামল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গনতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এবং নারীর প্রতি শোষনরোধে বিভিন্ন বৈপ্লবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য স্বামীসহ মিরাবাল ত্রয়ীকে বহুবার কারাবরন করতে হয়েছিল। ১৯৬০ সালের ২৫ শে নভেম্বর কারারুদ্ধ স্বামীদের সাথে দেখা করার জন্য রুফিনো থেকে পুয়ের্তোপ্লাতায় যাওয়ার
শুধু শারীরিক নির্যাতন না বন্ধ করো মানসিক নির্যাতন
কয়েকদিন ধরে মিডিয়ার কল্যানে আমরা সবাই খুব রোমানা মঞ্জুরের কথা বলছি। যেখানেই যাই সেখানেই আলোচনার টপিক দাঁড়ায় রোমানা মঞ্জুর। কিন্তু আমাদের এই সো কলড শিক্ষিত সমাজে এরকম কত হাজার হাজার রোমানা মঞ্জুর আছে আমরা কেউ তার খবরও রাখিনা। আরেকদিন অফিসের কাজে একশন এইডে গেলাম। ওখানে গিয়ে দেখি খুব সুন্দর দেখতে একটা মেয়ের ছবি বড় করে টানানো। মেয়েটি কে জিজ্ঞেস করতেই ওদের একজন জানালো, মেয়েটি আমাদের সহকর্মী ছিল, ওকে ওর স্বামী মেরে ফেলেছে। শুনে আমার একটা ধাক্কার মত লাগলো। আরও কষ্ট পেলাম যখন জানতে পারলাম মেয়েটা ইউনিভার্সিটিতে আমার ডিপার্টমেন্টেরই সিনিয়র ছিল। সব শুনে আমি আমার কলিগকে বললাম আমরা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের মেয়েরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে এত কাজ করি অথচ আমাদেরইতো কোন ক্ষমতা নাই। আমাদের মেয়েরাইতো বাসায় স্বামীর হাতে নির্যাতিত হয়, তাহলে আমরা আর মানুষকে কি শেখাই?
ভালবাসার স্পর্শ কোথা পাই
প্রতি রাতে আমি একটা স্বপ্ন দেখি। দেখি কনডেম সেলের মতন একটা ঘরে হাত পা শেকল দিয়ে বাধাঁ অবস্থায় আমি পড়ে আছি আর কেউ আমার গলা টিপে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। স্বপ্নটা দেখে রোজ শেষ রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। প্রচন্ড ভয়ে আমি ঠান্ডা হয়ে যাই, পানির তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় কিন্তু আমি নড়তে পারিনা। আমার হাত পা সব অবশ হয়ে আসে। আমার কেবলই মনে হতে থাকে এটা মনে হয় আমার ভবিষ্যত। আমি বোধ হয় এমন অন্ধকারের দিকেই ক্রমাগত এগিয়ে চলছি। যেখানে কেউ একজন আমার স্বত্তাকে ঠিক এভাবেই মেরে ফেলতে চাইবে, আমার "আমি"কে গলায় ফাঁস পরাবে, আমার হাত পা বেধেঁ ফেলবে যাতে বাইরের দুনিয়াটা আমার কাছে অস্পৃশ্য হয়ে যায়। আমি সত্যি সত্যি আমার গলায় ফাসিঁর দড়ি অনুভব করি। আজকে সকালে অফিসে গিয়ে কথাটা আমি লিন্ডার সাথে শেয়ার করলাম। সব শুনে ও বলে, তোর শরীরটা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রাতে ঘুমাসনা ঠিকমতো এইজন্য এরকম উলটাপালটা স্বপ্ন দেখ