বিজয় দিবস ২০২৫
জেলা শহরে এখনো একটু আধটু বিজয় দিবস আছে। দূরে কোথাও মাইকে গান বাজে, গোলাপ গাদা বেলী ফুল বিক্রি হয়, কেউ কেউ জাতীয় পতাকা কিনে। বিএনপির অফিসে বাজে, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ। অনেকদিন পর এই গানটাও শুনতে এত ভালো লাগে। মনে মনে গলা মেলাই, 'মাটির মমতায় ঘাস ফসলে সবুজের আল্পনা/ আমার তাতেই হয়েছে স্বপ্নের বীজ বোনা।'
যতো টাকা ততো চোকা
যতো টাকা
ততো চোকা
অসম্পূর্ণ বিলিম্বি ধরে আছে থোকা থোকা
তারা এখনও পুরোপুরি টক হয়ে উঠে নাই।
আজকাল
খুব অকাল
বিল্ডিং ছেড়ে তাই ফাঁকা মাঠে ছুটে যেতে চাই।
সুযোগ পেলেই বিল্ডিংগুলোর ওপর
এক্স এঁকে দিয়ে রাখে আকাশেরা।
--
১২.১২.২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
রাত্রি ২২:৩৭ ঘটিকা (কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় সময়)
স্থান: উত্তরা, ঢাকা
যতো টাকা
ততো চোকা
অসম্পূর্ণ বিলিম্বি ধরে আছে থোকা থোকা
তারা এখনও পুরোপুরি টক হয়ে উঠে নাই।
আজকাল
খুব অকাল
বিল্ডিং ছেড়ে তাই ফাঁকা মাঠে ছুটে যেতে চাই।
সুযোগ পেলেই বিল্ডিংগুলোর ওপর
এক্স এঁকে দিয়ে রাখে আকাশেরা।
পীচ ঢালা পথে
এহতেশামের ছবির নাম ছিল, পীচ ঢালা পথ। রবিন ঘোষের সাথে এহতেশামের সম্পর্ক সেই 'রাজধানীর বুকে' ছবি থেকে। পুরো ষাট থেকে সত্তর, রবীন ঘোষ প্রচুর উর্দু ছবিতে কাজ করেছেন। বাংলা ছবিতে কাজ হাতেগোনা। তবে পীচ ঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি আমার ধারণা তারও অন্যতম পছন্দের কাজ। কারন তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ছোটবেলায় ছিলেন কোরাস শিল্পী। এই গানের যে কোরাস- লা লালা লালালা কিংবা হায় দিন যায় রাত যায় এমনি করে/ অলিগলি রাজপথ ঘুরে ঘুরে। আমার ধারণা বাংলা সিনেমায় এত ভালো কোরাস স্বাধীনতার আগে আর হয় নি। পরেও হয়েছে কিনা সন্দেহ। আর আবদুল জব্বারের গলা যখন ছিল সবচেয়ে সুন্দর তখন তিনি গেয়েছিলেন এ গান।
মানবজনমের অভিশাপ
কোন এক সময় লিখবো ভেবে অন্তত এক যুগেরও আগে এককালে শুরু করেছিলাম অচল পয়সার জবানবন্দি। দৈনিক পত্রিকা পাঠের মতো একটা বিষয়। প্রতিদিন এক পাতা লিখতাম। এপিঠ-ওপিঠ। রাস্তার বর্ণণা দিতাম শুধু। আর আশপাশে কি দেখা যায়। শিশুকাল থেকে রাস্তার প্রতি আমার আকর্ষণ ছিল মনে হয়। অনেক শিশুকালে আমি ট্রাভেল করতাম। চ্রট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে বগুড়া। ট্রেন, বাস আর ফেরি সহযোগে।
আজকাল খারাপ হতে জানা খুব জরুরি
এরফুর্টের পথেঘাটে যত পুরোনো দালানকোঠা, বাড়িঘর, গীর্জা কিংবা পানশালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তা দুই-তিন বছরে দেখে শেষ করা সম্ভব নয়। দেখার গতি যদি আমার মতো হয়। পুরোনো বলতে, বাড়িঘর বা প্রতিটি স্থাপনাতেই, খুঁজলে সেটা কত সালে বানানো হয়েছিল তা বের করা যায়। সাধারণত গেটের ওপরেই লেখা থাকে। নাহলে ভেতরে কোথাও। কোন সালই চোখে পড়ে নি এ পর্যন্ত ১৮শ বা ১৯শ শতকের। সবচেয়ে নিকটবর্তী সময়কালটি ১৭শ শতকের। এছাড়া বেশিরভাগ দালানকোঠারই নির্মাণকাল ১৬শ, ১৫শ, ১৪শ শতকের ঘরে। এরচেয়ে পুরোনোও আছে।
বলছিলাম দেখার গতি যদি আমার মতো হয়, তাহলে দুই বা তিন বছরেও দেখে শেষ করা সম্ভব না। কারণ আমি কোথাও কোনকিছু দেখতে গেলে, ওই সাল বের করতেই দুই ঘন্টা খরচ করে ফেলি।
নিজেরই ছবি হয়তো
এরফুর্ট শহরে এর আগে এসেছিলাম সেই শুরুতে। ২০১৪ সালে। যখন প্রথম জার্মান দেশে এসে উঠি। এখানে নেমে ট্রেন নিয়ে এক ঘন্টারও কম একটা যাত্রা। পৌঁছালাম ইলমিনাউ। সেখানে পড়াশুনা করলাম চার বছর। মাস্টার্স শেষে এক অক্টোবরে সেখান থেকে বের হয়ে, পরে চলে গিয়েছিলাম অফেনবুর্গে। ছ'শ কিলোমিটার দুরে বিখ্যাত ব্ল্যাক ফরেস্টের ভেতরে একটা শহর। ব্ল্যাক ফরেস্ট বনভূমি ছড়িয়ে আছে জার্মানির দক্ষিণে বাডেন-ভুর্টেমবার্গ রাজ্যের প্রায় পুরোটা জুড়েই। অফেনবুর্গও সেই রাজ্যেরই একটা শহর ছিল। ওখানে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে দেখতাম পাহাড়ের মাথার ওপর দিয়ে বিশাল একটা সূর্য উঠছে। প্রতিদিন। বিরামহীন।
শুভ জন্মদিন আমরা বন্ধু
শুভ জন্মদিন আমরা বন্ধু। এখন সেই ব্লগের পাতার পর পাতা যখন আমার প্রিয় ব্লগারদের ভেতরে মীর ছাড়া কারো লেখা দেখি না, নিজেও লিখি না তেমন, ভারী অবাক লাগে। নিজের কাছে অচেনা লাগে সব কিছু। অথচ আমরা বন্ধু ব্লগ মানেই একটা সময় প্রথম পাতায় আমার লেখাই থাকতো চারটা পাঁচটা। প্রতি পাতায় পাতায় আমার লেখা। এরপর এখন আমি শুধুই পড়তে যাই। হারিয়ে যাওয়া রাসেল ভাইয়ের পুরোনো লেখা পড়তে যাই, মীর কি লিখলো একটু ঢু মারি, আহসান হাবীবের এত কবিতা কই থেকে আসে তা ভাবি, তানবীরা আপুর কোনো পোষ্টের কথা মনে পড়লে দেখি, জেবীন আপু, জ্যোতি আপু, বিমা ভাইয়ের পোষ্ট ও কমেন্ট দেখি, প্রিয় ও বিষন্ন বাউন্ডুলের কথা মনে করি, গৌতম দার আক্ষেপ দেখি, শুভ ভাইয়ের কবিতায় চোখ রাখি, কামাল ভাইয়ের পুরোনো লেখা পড়ি। আমরা বন্ধুর কাছে আমার অনেক ঋণ। এখনো যে ব্লগটা যে বেচে আছে, এটাও এক ধরনের স্বার্থকতা। আমরা বন্ধু আমাকে দিয়েছে অবারিত স্বাধীনতা, মন যা চায় লিখো। সেখ
জীবনটা আনন্দময়, তাই না?
সেদিন একটা আমলকি গাছের নিচে বসে ভাবছিলাম তোমার কথা! জীবনের যে সময়টায় গাছের নিচে, পার্কের বেঞ্চিতে কিংবা রিকশায় চড়ে তোমায় নিয়ে ঘুরে ঘুরে আনন্দ করার কথা ছিল, সে সময়টায় কৈলাশ খেরের গান কানের হেডফোনে, আর অচেনা-অজানা-অগোছালো চিন্তাদেরকে মাথার নিউরণে নিউরণে নিয়ে; অলিতে-গলিতে ঘুরেছি আমি, আর সূর্য্য ঘুরেছে নিজের অক্ষ আর কক্ষপথের ওপর, আহ্নিক ও বার্ষিক গতিতে।
নেপাল ভ্রমণের গল্প: শেষ পর্ব
নেপাল ভ্রমণের পর্ব দুই মূলত পোখরা শহরের অলিতে-গলিতে ঘুরঘুর করে বেড়ানো কেন্দ্রিক। দারুণ সব জায়গা দেখা, প্রকৃতির ভেতর হারিয়ে যাওয়া, আসল নেপালি খাবার উপভোগ করা- এই নিয়ে সাজানো।
যার কেন্দ্রে থাকা কিছু উপাদানের একটি ছিল খাবার। বিশেষভাবে নেপালিদের হাতে সাজানো থালি, যাতে ভাত আর পাঁপড়ের সঙ্গে থাকে পছন্দসই যেকোন রকমের উপাদান। যারা নিরামিশাষী তাদের জন্য ছয়-সাত রকমের নিরামিষের আয়োজন। যার ভেতর ডাল, পুঁইশাক, পালংশাক, উচ্ছেভাজা, ঝিঙ্গেভাজি, আলুর দম, লাউপাতার পাতুরি- ভেতরে ঝুরি করে ভাজা আলুর পুর ছিল প্রায় সবখানেই। মাংষাশীদের জন্য মুরগি কিংবা মহিষ এর কষা, কোথাও কোথাও মুরগীভাজাও ছিল। খাওয়ার পাশাপাশি চলেছে চর্মচক্ষু স্বার্থকায়নের কর্মযজ্ঞ। সুস্বাদু খাবার যেমন পেট ভরিয়েছে, নয়নাভিরাম দৃশ্য তেমন ভরিয়েছে মন। সর্বত্র হয় না দেহ-মনের অমন বিরল মিলন।
আহমদ ছফার দুনিয়া
মরার জন্য ছফা কেন শ্রাবণকেই বেছে নিলেন? এই প্রশ্নের জবাব আমি খুঁজেছি অনেকদিন। নুরুল আনোয়ার লিখিত 'ছফামৃত' বইতে আছে, শরীর যখন খারাপ লাগছিলো, সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো হাসপাতালে নিতে, তিনি নাকি না যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। বারবার একটাই কথা বলছিলেন, 'অযথা পেরেশানী করে লাভ নাই, আমি যাবোগা আজকেই।' এর মাস দুই আগে থেকেই তিনি বলছিলেন, আমার হাতে সময় বেশি নাই। এইজন্য তিনি আত্মজীবনী লেখারও চিন্তা করছিলেন, কিন্তু লিখতে পারছিলেন না, শেষে নুরুল আনোয়ার টেপ রেকর্ডার নিয়ে বসে থাকে। তাতেও উনার সুবিধা লাগে না। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলে রেখেছেন, তার শরীরের সবখানেই রোগ, এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে মন সায় দেয় না। সুতরাং ৫৯ বছরের জীবনে পার করে তিনি মোটামুটি প্রস্তুতই ছিলেন ওপারে যাওয়ার জন্য।
নেপাল ভ্রমণের গল্প: পর্ব ১
ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি নেহায়েত ছোট্ট একটি বিমানবন্দর হলেও মানুষের আনাগোনা কম ছিল না। এক রোববার ভরদুপুরে ময়ুরপঙ্খী নামের উড়োজাহাজে করে বিমানবন্দরটিতে নামতেই আশপাশে প্রচুর মানুষের কোলাহল দেখে থমকে গিয়েছিলাম খানিকক্ষণের জন্য। ঠিক জায়গায় পৌছেঁছি তো? এতো দেশের মতোই অবস্থা চারিদিকে। মানুষের মাথা আর মানুষের মাথা চারিদিকে। ভুল ভাঙতে অবশ্য খুব বেশি সময় লাগে নি। বিমানবন্দরের ছিমছাম, গোছানো বন্দোবস্তের কারণে খুব অল্প সময়ের ভেতরেই আমাদের সব নিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়ে গেল। এক মাসের পর্যটক-ভিসা হাতে নিয়ে পথে নামলাম প্রতিবেশ দেশ নেপাল খানিকটা ঘুরে-ফিরে দেখার উদ্দেশ্যে।
গ্লোরিয়াস বার্থডে অফ তানবীরা আপু!
শহরে বন্দরে গ্রামে যেখানেই যাই আমার ঘুম আসে না। এই যে আমি শুয়ে আছি ও ঢাকায় আসলাম, তিনটা প্রায় বাজলো। ঘুম নেই। শুধু ঢাকাতেও না, এই মফস্বলে কত রাত কেটে গেল নির্ঘুম। কুমার বিশ্বজিতের একটা গান আছে, ঘুম নেই চোখে/ একা জেগে আছি/ স্মৃতি এসে বলে গেল নেই যে তুমি। স্মৃতি ছিল আমার ক্লাসের এক মেয়ের নাম। বাপ মা দুইজনই তাবলীগ করতো। আমার এক বন্ধু তাকে পছন্দও করতো। মেয়েদের তখন একটা ভালো ব্যাপার ছিল, সব জেনে বুঝে খালি চেয়ে চেয়ে থাকতো। ছেলেদের কিশোর বয়স থেকেই ভালোবাসা প্রকাশের যে উদগ্রীবতা, মেয়েদের তা ছিল না। তবুও ক্লাসে আরেকটা মেয়েকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়েছিল। কারন সে প্রেগন্যান্ট বলে। আমাদের স্কুল কলেজ গুলো এত বেশী নৈতিকতা কপচাতো যে এখন বুঝি এ জন্য আমাদের এত সংকট। জোর করে মূল্যবোধ শেখানো যায় না। এমন একটা ভাব ছিল যেন আমরা হবো সব হাজী মহসিন। হাজী মহসিনের মত সম্পত্তি পেলেও হতো। মহসিন ফান্ডের বৃত্তি দেয়া হতো
একই হুড়োহুড়িতে লিপ্ত পিপঁড়ে
সেদিন হঠাত করে কথাটা মনে পড়লো। লেখালেখির অপচেষ্টা করা হয় না অনেকদিন। আদ্যিকালে এই নামেই অভ্যাসটাকে নির্ণয় করেছিলাম। সেই কালে কখনো এমনও হয়েছে যে টানা প্রতিদিন লিখেছি। দিনে একাধিকবার লিখেছি। ব্লগে যদি কখনো দিনে একাধিকবার লেখা প্রকাশের দরকার পড়তো তাহলে পূর্বে খানিকক্ষণ নিজের সঙ্গে যুদ্ধ হতো। কেন একাধিকবার প্রকাশের দরকার পড়লো সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে। কেননা নিজের প্রতি নিজের এক ধরনের মায়া মানুষের কাজ করেই। যার ঊর্ধ্বে ওঠাটা মোটেই সহজ নয়। তাই নিজের কাছে ভাল লাগলেও, আদতেই দু'টো লেখা একদিনে প্রকাশের মতো ভাল কি না- সেই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি ছিল। জেনেও অবশ্য কিছু যেতো বা আসতো না। লেখা খারাপ হলেও প্রকাশ করে দেওয়া হতো। আদ্যিকালে শিশুতোষ আচরণেই জীবনযাপন করতাম।
স্মরণের প্রান্তরে আহমদ ছফা!
আজ আহমদ ছফার জন্মদিন। বড় করে সুন্দর করে একটা লেখার দরকার। শরীরও ভালো লাগছে না, তাই জোশ পাচ্ছি না। যদিও কাল থেকে ভালো মন্দ খাচ্ছি। ছফা নিয়ে আমার কম লেখা নাই। ব্লগে ফেসবুকে বিভিন্ন দৈনিকে। নতুন করে আর কোন কথাটা বলার আছে। বান্ধবীকে ছফার একটা উপন্যাস পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে আনন্দিত। এত বিজি জীবনে যে পড়েছে বাংলা তাই অনেক। এটা আমি সব সময় দেখেছি। কাউকে ছফা পড়তে দিলে যদি পড়ে হতাশ হয় না। এটাই হয়তো আহমদ ছফার চার্ম। ছফা যে মানুষের মুখে মুখে সত্য অসত্য গল্পে কাল্ট হয়েছে এসবই হয়তো ছফাকে প্রাসঙ্গিক রাখবে। আপনি বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক ভার্সিটির দিকে তাকান, খবরগুলো দেখান, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কাজ কারবার, ভিসি ও প্রভাবশালী শিক্ষকদের দৌরাত্ম এসব নিয়ে ভাবলেই তো বারবার প্রাসঙ্গিক হয়, গাভী বৃত্তান্ত। এটা এখন এত বেশী সেলিব্রেটেড উপন্যাস, মাঝেমধ্যে মনে হয় এ উপন্যাসকে ফলো করাই ভিসিদের ডিউটি। তারা খালি গাভীর জায়
'জলজ লকার' এক মায়াময় আখ্যান
স্টিফেন কিং এর একটা কথাকে আমি ভীষণ সত্য মানি। তিনি বলেছিলেন, 'সঠিক বইটা সঠিক মানুষের হাতে পড়লে একটা আলোর জন্ম হয়। যে আলো একজন থেকে আরেকজনের হাতে ছড়িয়ে পড়ে।' এবারের বইমেলায় মাহরীন ফেরদৌস- এর একটা উপন্যাস এসেছিল, যা কথা প্রকাশের অন্যতম বেস্ট সেলার, নামটাও অদ্ভুত, 'জলজ লকার'। বইটা পড়ে অনেকদিন আগে শোনা স্টিফেন কিংয়ের কথাটা মনে পড়লো। উপন্যাসটা পড়েই সেটা নিয়ে লেখা দরকার ছিল। কিন্তু উপন্যাসটা এমন এক ঘোরে ফেলে দেয় কিছুই আর ইচ্ছে করে না নতুন করে বলতে। তাই অনেকদিন পড়ে 'জলজ লকার' নিয়ে কিছু কথা প্রকাশের সাধ জাগলো!