গো.আযমের ভাষাসৈনিক স্ট্যাটাস এবং উমরের কলাম 'ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভেলকিবাজি'
দৈনিক আমাদের সময় গু.আযম বাংলাভাষা আন্দোলনের একজন সেনানী কিনা এবিষয়ে জরিপ পরিচালনা করে। ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকুক আর না থাকুক ভোটিংয়ে জয়লাভ করায় (জরিপে ছাগুরা অংশ নিয়েছে এটা বলাবাহুল্য) ছাগুরা চ্রম অর্গাজম লাভ করছে এবং ব্লগাস্ফিয়ারে (বিশেষত সামুতে) জাবর কাটছে ।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন নিয়ে নিয়ে স্বয়ং গূ. আযমের বক্তব্য দেখা যাক ( দৈনিক পাকিস্থানের ১৯শে জুন ১৯৭০ সংখ্যায় প্রকাশিত) -"পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন (১৯৭০) এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা। তিনি বলেন, ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ভুল হয়েছিল।"(সূত্র - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস - ড. মোহাম্মদ হাননান পৃষ্ঠা ৩৯৯)
ভাষা আন্দোলনে ঘটনাচক্রে অংশ নেয়া এবং পরে সেই অবস্থানের জন্য দুঃখিত হওয়া গূ.আযমের চামচা ও ছাগুরা আজ তাকে আবার ভাষাসৈনিক বানানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত কেন ? রাজাকার শিরোমনির গ্রহযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা ? ভাষাসৈনিক হলেই কি একাত্তরের পাপমোচন হবে ?
নিচের ছবির কথা কি মনে পড়ে-
একে নিয়ে আর লিখার রুচি হচ্ছে না বিধায় ২৭ জুলাই ২০০৮ তারিখে যুগান্তরে প্রকাশিত উমরের প্রাসঙ্গিক কলামটি শেয়ার করে শেষ করছি -
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভেলকিবাজি
বদরুদ্দীন উমর
বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদী নামে পরিচিত জামায়াতে ইসলামী সংগঠন ও এর নেতাদের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান ও মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী মৌলবাদীদের একটা বড় পার্থক্য এই যে, শোষোক্তরা ধর্মীয় মৌলবাদী হিসেবে প্রতিক্রিয়াশীল হলেও তারা একটা দৃঢ় আদর্শগত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এদিক দিয়ে তারা সৎ। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এবং এদের মতো ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সেরকম কোন দৃঢ় আদর্শ নেই। ঘোষিত আদর্শ অবশ্যই আছে, কিন্তু বাস্তবত সেরকম কিছু নেই। এরা সুবিধাবাদী এবং সে কারণে এদের দ্বারা অনেক কিছুই সম্ভব এবং অনেক কিছুই হয়ে থাকে যার ফলে বোঝা যায় যে, এরা সুবিধাবাদী এবং অসৎ। নিজেদের স্বার্থের কারণে এরা এমন সব কাজ করে থাকে যার সঙ্গে এদের ঘোষিত আদর্শগত অবস্খানের সম্পর্ক সামান্য অথবা নেই বললেই চলে।
এরা মিথ্যাবাদী। এদের মিথ্যাবাদিতা ও প্রতারক চরিত্র এরা নিজেরাই জনগণের কাছে এখন তুলে ধরছে ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এদের নিজেদের ভূমিকা নিয়ে যে প্রচারণা এরা শুরু করেছে তার মধ্যে। বিষয়টি চরিত্রের দিক দিয়ে এত কদর্য যে এর উল্লেখ করা এক বড় সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব।
নব্বই দশকের প্রথমদিকে যখন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গোলাম আযমের শাস্তির দাবিতে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছিল, তখন ঢাকার দেয়ালে দেয়ালে গোলাম আযমকে ‘ভাষাসৈনিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে চিকা মারা হয়েছিল। সে সময় আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এর মিথ্যা চরিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, শুধু ইসলামের নাম নিয়ে এখন নিজেদের রাজনৈতিকভাবে রক্ষা করা সম্ভব না হওয়ার কারণে তারা ভাষা আন্দোলনের মতো একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনে তাদের নিজেদের সম্পর্ক জাহির করে বাঁচার চেষ্টা করছে।
এ কাজ তারা এখন আবার নতুন করে শুরু করেছে। সম্প্রতি তারা ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’ নামে একটি ভিডিও ক্যাসেট প্রকাশ করেছে। এতে সিডির কভারে লেখা আছে ‘মাতৃভাষা বাংলা ভাষা খোদার সেরা দান’। সবকিছু ছেড়ে দিয়ে এরা এখন মাতৃভাষাকে খোদার ‘সেরা দান’ হিসেবে জনগণের কাছে উপস্খিত করার চেষ্টা করছে। এদের নেতাদের বক্তৃতায় এবং এদের সমগোত্রীর লোকদের ওয়াজের মধ্যে খোদার ‘সেরা দান’ বলে যেসব বিষয়ের উল্লেখ করা হয় তার সঙ্গে বাংলা ভাষার কোন সম্পর্ক থাকে না। এর কোন উল্লেখ করা হয় না।
যাই হোক, ক্যাসেটটিতে ভাষা আন্দোলনের ওপর কিছু কথাবার্তা থাকলেও বিশেষভাবে লক্ষণীয় হল জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের দু’দফা সাক্ষাৎকার, যাতে তিনি নিজেকে ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করেছেন। এই প্রচেষ্টা যে কত অসৎ ও হীন এর একটা প্রমাণ হচ্ছে, এ ক্যাসেট তৈরির সময় তথ্য সহায়তা যারা করেছেন তাদের মধ্যে আমার নাম উল্লেখ। এ কাজ করার উদ্দেশ্য যে এই প্রতারণাপূর্ণ ব্যাপারটির প্রামাণ্যতা নিশ্চিত করা এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার তথ্য সরবরাহ করার বিষয়টি সর্বৈব মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। এক বন্ধু ক্যাসেটটি দেখার জন্য আমাকে দেয়ার আগে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের ভূমিকা সম্পর্কে প্রচার কাজে আমি তথ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে সহায়তা করেছি এটা প্রচার করা থেকে বড় ধৃষ্টতা আর কি হতে পারে? কতখানি নৈতিক অধ:পতন ঘটলে এ কাজ কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব, সেটা বলাই বাহুল্য।
আমি আমার ভাষা আন্দোলনের বইটির প্রথম খণ্ডে একবারই মাত্র গোলাম আযমের উল্লেখ করেছি। ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। আসলে এটি পাঠ করার কথা ছিল ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ বোসের। কিন্তু লিয়াকত আলীকে ভাষা আন্দোলনের দাবি সংবলিত মানপত্র পাঠ একজন হিন্দু ছাত্রকে দিয়ে করালে তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং মুসলিম লীগ সরকার এ নিয়ে নানা প্রকার বিরূপ প্রচার শুরু করবে এ আশংকা থেকেই একজন মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযমকে সেটা পাঠ করতে দেয়া হয়েছিল। এই হল ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের ‘বিরাট’ ভূমিকা।
যাই হোক, এ বিষয়টি আমি আমার ভাষা আন্দোলনের ওপর লেখা বইটিতে স্বাভাবিকভাবেই উল্লেখ করেছি। বইটি থেকে অন্যান্য তথ্যের মতো এ তথ্যও যে কোন লোক ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আমি গোলাম আযমকে ভাষা আন্দোলনের একজন নায়ক হিসেবে উপস্খিত করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর এই প্রতারণাপূর্ণ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে কোন তথ্য সহায়তা প্রদান করেছি। মানুষ হিসেবে এদের চরিত্র কত কলুষিত এই প্রতারণা তার এক প্রামাণ্য দৃষ্টান্ত।
এ তো গেল বিষয়টির একটি দিক। এর অন্যদিক হল, মহামান্য গোলাম আযম সাহেব ভাষা আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ ও নায়কোচিত ভূমিকা পালন করা সত্ত্বেও তাতে নিজের এই অংশগ্রহণকে সুবিধাবাদী কারণে অস্বীকার করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। আজ নয়, পাকিস্তানি আমলে ১৯৭০ সালের জুন মাসে, পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক বক্তৃতা প্রসঙ্গে এই জামায়াত নেতা ‘খোদার সেরা দান’ বাংলা ভাষা ও ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল এবং তিনি নিজে এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য দু:খিত। গোলাম আযম ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে গিয়ে বলেন, উর্দু হচ্ছে এমন একটা ভাষা যার মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষার উপযুক্ত প্রচার ও প্রসার সম্ভব। কারণ ‘উর্দু পাক-ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারণ ভাষা এবং এতে তাদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পদ সংরক্ষিত রয়েছে।’ নিজের ভ্রান্ত ভূমিকা সম্পর্কে খেদোক্তি করতে গিয়ে গোলাম আযম আরও বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিকোণ থেকে মোটেই সঠিক কাজ হয়নি। (দৈনিক আজাদ, ২০ জুন, ১৯৭০) শুক্কুরে দেয়া গোলাম আযমের এই বক্তৃতা পত্রিকায় প্রকাশের পর আমি আমার সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘গণশক্তি’ পত্রিকায় এর ওপর লিখেছিলাম। (২১.৬.১৯৭০) গোলাম আযম এসব কথা বলছিলেন এমন এক সময়ে যার অনেক আগে ভাষা আন্দোলনের দাবি অনুযায়ী ১৯৫৬ সালের পাকিস্তান সংবিধানে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিল।
দেখা যাচ্ছে, জামায়াত নেতা গোলাম আযম সাহেবের কথাবার্তার ভেল্কিবাজি ও নৈতিক অধ:পতনের তুলনা নেই। ভাষা আন্দোলনে তার অংশগ্রহণের কাহিনী, তারপর ১৯৭০ সালে তাতে অংশগ্রহণে দু:খ প্রকাশ ও ভাষা আন্দোলনকে বেঠিক কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা, ১৯৯২ সালে নিজেকে ‘ভাষাসৈনিক’ হিসেবে প্রচার করা এবং এখন আবার বাংলা ভাষাকে ‘খোদার সেরা দান’ হিসেবে গৌরবান্বিত করার জন্য মিথ্যায় পরিপূর্ণ ক্যাসেট বের করা সবই হল জামায়াতে ইসলামীর জাদুর খেলা। এর সঙ্গে যে প্রকৃত ইসলামী নৈতিকতার কোন সম্পর্ক নেই একথা বলাই বাহুল্য।
শুধু ভাষা আন্দোলনই নয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও জামায়াতে ইসলামী এখন একটা জাদুর খেলা দেখাচ্ছে। ১৯৭১ সালে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে নানা চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। তারা সামরিক বাহিনীর সহায়ক শক্তি হিসেবে এমন ক্রিমিনাল কাজ নেই যা করেনি, ডিসেম্বর মাসে তারা এদেশের অনেক গুণী বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সে সময়ে এদের অপকীর্তি ও গণশত্রুতার শেষ নেই। অথচ এরাই এখন মাঠে নেমেছে নিজেদের একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য। এ উদ্দেশ্যে এরা কিছুসংখ্যক বেইমানকে দিয়ে গঠন করেছে এক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
এই সংক্ষিপ্ত লেখা শেষ করার আগে এটা অবশ্যই বলা দরকার, জামায়াতে ইসলামী এখন ‘বিশুদ্ধ ইসলামী লাইনের’ বাইরে এসে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেদের ভূমিকা প্রমাণ করার চেষ্টার মূল কারণ, ইসলাম দিয়ে এখন আর তাদের বড় বেশি সুবিধা হচ্ছে না। এজন্য এ দেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক, মিথ্যার ভিত্তিতে হলেও প্রচার করে, এরা নিজেদের পায়ের নিচে মাটি খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু যে মাটি তাদের পায়ের তলায় নেই, সেটা খোঁজ করে কোন লাভ নেই। জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে অনেক আগেই ঐতিহাসিকভাবে নির্ধারিত হয়ে গেছে
(পোষ্টটি একইসাথে ফেসবুকে নোটাকারে প্রকাশিত )
ধন্যবাদ। ভাল লিখেছেন। এ ধরনের জরিপ চালানোর জন্য দৈনিক আমাদের সময়ের বিচার হওয়া উচিত। ফালতু কাজে সময় ক্ষেপন! আসলে ওরা স্যান্টবাজী করছে জাতির সাথে।
দৈনিক আমাদের সময় এ কাজটা কেন করল? একটু ব্যাখা করবেন কি? পুরানো গু কাঠি দিয়ে নাড়াচাড়া করল কেন?
বিশেষ ভাবে জানতে পারলাম দৈনিক আমাদের সময় নাকি বেক্সিমকো কিনে নিয়েছে। কথাটা কতদুর সত্য। জানেন কিছু!
বদরুদ্দীন উমর জামাতিদের প্রিয় লেখক নাকি ? আমার জানা মতে তিনি বামপন্থী, তার লেখা বই-পুস্তক পড়ে তো তা-ই মনে হয়।
হ , তিনি বামপন্থী । উমরের লেখা (বই, কলাম ),চিন্তা ও রাজনীতির সাথে আমি ভালভাবেই পরিচিত । তিনি আমার প্রিয় লেখকদের একজন ।
উমরের লেখা ছাগুদের এতই প্রিয় যে তিনি কিছু লিখলে সেটা সামু, নুনু ও ছাগবান্ধব ব্লগগুলিতে কপিপেষ্টের জোয়ার দেখা যায় । জামাতি সোনারবাংলাদেশ সাইটে তার কলামলিঙ্কে মারহাবা মারহাবা কমেন্ট দেখা যায় ।
আওয়ামী লীগের বুর্জোয়া চরিত্রের কারণে কিংবা আওয়ামী বিদ্বেষ কিংবা মুজিবফোবিয়ার (আওয়ামী ভাড় কলামিষ্ট আগাচৌর মতে ) কারণে তিনি এন্টি আওয়ামী । শত্রুর শত্রুর বন্ধু এই সুত্রে তার এন্টি আওয়ামী লেখাগুলি জামাতি ছাগুদের অর্গাজম ঘটায় । তাছাড়া , যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে তার কিছু লেখায় ছাগবান্ধবতা পাওয়া যায় । এটাও একটা কারণ হতে পারে ।
তবে, জামাতিদের প্রিয় মানে এই নয় উমর জামাতি ছাগু । উমর ইজ উমর ।
তিনি আমারও প্রিয় লেখকদের একজন । আর তাই তো আমি একটু দ্বিধায় পড়েছিলাম- আমি কী তা'হলে জামাতী হয়ে গেলাম ! তবে জামাতীদের বুঝা উচিৎ যে শত্রুর শত্রু হলেই বন্ধু হয়না।
আপনার লেখাটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই প্রাসঙ্গিক হয়েছে, সুন্দরভাবে বক্তব্য তুলে ধরবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের সময়ের উদ্দেশ্যটা কি? নাঈমুল ইসলামও কি ছাগুর খাতায় পাকাপাকি নাম লিখিছে ফেলেছে?
এটা নিয়ে জরিপ হয় কীভাবে? এটা তো ইতিহাসের বিষয়, মতামতের ব্যাপার নয়। কারো মনে করা-না করায় ইতিহাসের কী আসে যায়?
এটা যদি ছাগুরা বুঝত তবে কি আর ব্লগে জাবর কাটত
ছাগুগুলার অর্গান কেটে দেয়া হোক। তাহলে আর অর্গাজম পাবে না
তাহলে গেলমানগিরি কেমনে করবে
@ নুরুজ্জামান মানিক
"১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। "
তার মানে কি গোআ সেইসময় বাম ছিলো ?
গুয়া সেই সময় ডাকসু'র সেক্রেটারী আছিলো।
হ
১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। আসলে এটি পাঠ করার কথা ছিল ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ বোসের। কিন্তু লিয়াকত আলীকে ভাষা আন্দোলনের দাবি সংবলিত মানপত্র পাঠ একজন হিন্দু ছাত্রকে দিয়ে করালে তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং মুসলিম লীগ সরকার এ নিয়ে নানা প্রকার বিরূপ প্রচার শুরু করবে এ আশংকা থেকেই একজন মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযমকে সেটা পাঠ করতে দেয়া হয়েছিল। এই হল ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের ‘বিরাট’ ভূমিকা।
মূলত: মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযমকে লেখায় আপনি কনফিউজ হইছেন। উনি তখন ডাকসুর সেক্রেটারি ছিলেন
FYI: বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন' ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল অসাম্প্রদায়িক ও ভাষা আন্দোলনের চেতনায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
জনাব মানিক, অপনার এই উক্তির তীব্র নিন্দা করছি। কারো সঙ্গে মতাদর্শের অমিল হলেই তাকে রাজাকারের দলে ফেলে দেয়াটা তো সস্তা আওয়ামী পলিসি....।
উমরকে আমি জামাতিদের প্রিয় লেখক বলেছি (উপরে নাজমুল ভাইয়ের কমেন্টে আমার জবাব দেখুন) কিন্তু আমি তাকে জামাতী বলিনি কারণ জামাতিদের প্রিয় লেখক মানে এই নয় যে , ঐ লেখক জামাতী মতাদর্শের । জামাতিদের প্রিয় লেখক জামাতী হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন । উমরকে যারা জামাতি বলেছে (যেমন আইজু ) আমি নিজে তাদের সাথে বাহাসে লিপ্ত হয়েছিলাম ।
আবার উমর জামাতিদের প্রিয় লেখক -আমার এই কথার মানে এ নয় যে , শুধু জামাতিরাই তাকে ভালু পায় কিংবা তার পাঠক কেবল জামাতি ছাগু । আমি নিজে উমরের নিয়মিত পাঠক এবং উনি আমার প্রিয় লেখকদের একজন ।
জামাতিদের প্রিয় লেখক উমরের প্রাসঙ্গিক কলামটি শেয়ার করে শেষ করছি-এ লাইনটি আমি ইচ্ছা করেই লিখেছি । ধরেন আগাচৌ যদি উমরের লেখাটির অনুরুপ লিখত জামাতিরা সেটা ইগ্নোর করতে আগাচৌ আম্বালীগের কলামিষ্ট বলে । কিন্তু উমরের লেখা এরা ভালু পায় তাই তাদের প্রিয় লেখকের কলাম দিয়েই তাদের ঘায়েল মানে কাটা দিয়ে কাটা তোলা আর কি >:)

উমরকে তো আমি জামাতি বলিনি , রাজাকার তো দুর কি বাত তবে আপনার এই কথার সাথে আমি একমত । আম্বালীগ করলেই মুক্তিযোদ্ধা (একাত্তরে যুদ্ধ না করলেও কিংবা রাজাকার হলেও ) আর বিরোধী হলেই রাজাকার (এমনকি মুক্তিবাহিনীর সেক্টর কমান্ডার হলেও ) -এই সস্তা পলিসি লীগ ফলো করে ।
যা হোক আলোচনা গূ আযম , ছাগু বা নাইমুলকেন্দ্রিক না হয়ে উমরকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে বিধায় আমার ’জামাতিদের প্রিয় লেখক' লাইনটি মুছে দিলাম পোষ্ট থেকে ।
দোস্ত, এবার নতুন বই বের হয়েছে নাকি তোর, জানি নাতো। ভাষা আন্দোলনের ওপর? কিছুইতো আজকাল জানাস না আর
নতুন বই বের হয়নি
(
( 
গুলামরে ধইরা
দেয়া উচিৎ। মানিক ভাই উল্লেখিত ক্যাসেটে আপনার নাম ব্যবহার করার জন্য কী ব্যবস্হা নিলেন? এই চুরিধারির তীব্র প্রতিবাদ করা উচিৎ..ব্যাটারে আবারও ধইরা
ব্যাপারটি আমাদের সাথে শেয়ার করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকা হোক।
দূর্দান্ত মানিক ভাই... আপনার লেখালেখি মিসকরি
এই পোস্টটা ফেসুবকে শেয়ার করা যায়না ক্যান
ধন্যবাদ। নতুন করে কোথাও লিখছি না মেলাদিন থেকে । বন্ধাত্য কাটিয়ে উঠলে হাজির হবো আবার ।
এসব করে বাঁচতে পারবে না জামাতী কুকুরের দল। বাংলার মাটিতে এইসব হারামখোর, বেজন্মা, পাকি হায়েনাদের পায়ূজাত, ঘৃণ্য কীটস্য কীটদের বিচার হবেই।
যতদিন বাঁচি এদের ঘৃণা করে যাব।
হ
এই ব্যাটা বাংলাদেশ বইলাই বাইচা আছে এখনো । অরে গুলি করতে পারলে শান্তি পাইতাম ।
কিংবা এর উপ্রে দিয়া গাড়ি চালায় দিতে পারলে।
এ প্রসঙ্গে শওকত ওসমান একবার বলেছিলেন, পতিতারাও একসময় সতী ছিল।
সেইটা আবার মনে পড়লো।
গু আজম যে ৭০ এ এই বক্তৃতা দিয়েছিল সেটা জানতাম না। মানিক ভাই অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয়তে রাখলাম পোস্ট।
ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো আপনাদের আলোছানা.আমি বাংলা ফোনট শিখে নেবার ছেষটা কোরছি তাহোলে নিয়মিত পোসট কোরতে পারবো
তথ্যগুলার জন্য ধন্যবাদ।।
মন্তব্য করুন