আমার আত্মজীবনী পাঠ
আমার পছন্দ আত্মজীবনী। কিন্তু সব আত্মজীবনী পড়ার মতো নয়। কেউ কেউ নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যে, ফেরেসতা বললেও কম বলা হবে। আবার অনেকেই আছেন অকপটে অনেক কিছু লিখেছেন, নিজেকে নিয়ে। সেগুলো পড়তেই আমার আগ্রহ বেশি। রাজনীতিবিদদের আত্মজীবনী পড়লে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা জানা যায়। লেখক-সাহিত্যিকদের আত্মজীবনী মনের অনেকগুলো জানালা খুলে দেয়। আত্মজীবনীর কিছু কিছু অংশ পড়লে মনে হয়, প্রিয়জনদের জানাই।
১.
পুলক বন্দ্যোপধ্যায় গান লেখেন। বিখ্যাত হয়ে আছেন স্মরণীয় কিছু গান লেখার জন্য। তখন তার লেখা গান 'কে প্রথম কাছে এসেছি' গানটা প্রচার হলো। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'তখন আমার একজন মহিলা ফ্যান বা অনুরাগীর আবেগ-ভেজা কন্ঠের ফোন পেলাম।' এরপর থেকে রোমান্টিক কোনো গান হিট হলেই সেই মহিলা তাঁকে ফোন করতেন। কিন্তু কখনো নাম ঠিকানা বলতেন না। তারপর তিনি লিখলেন, 'এক বৈশাখে দেখা হল দুজনায়/জষ্টিতে হলো পরিচয়'। আবার সেই ফোন। 'তিনি ফোনে বললেন, আজ বিকেলে ঠিক সাড়ে পাঁচটায় আমি এলগিন রোডের এক জায়গায় এই রঙের শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে থাকব, আপনি আসুন। আপনাকে দেবো আমার লাগানো গোলাপ গাছের প্রথম ফোটা গোলাপ।'........
তারপর পুলক গাড়ি মুছলেন, সাজলেন। তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে রইলেন। 'ফোন বাজল। হেমন্তদার গলা।' ঠিক পাঁচটায় যেতে হবে। প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, পুজোর গান ঠিক করতে হবে। অনেক চেষ্টা করেও এড়াতে পারলেন না। যেতেই হলো। তারপর পুলক লিখেছেন, 'সারা রাস্তা গাড়ি চালাতে চালাতে গানের মুখড়া ভেবে হেমন্তদার বাড়িতে ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটায় হাজির হয়ে লিখেছিলাম-বড় সাধ জাগে/ একবার তোমায় দেখি/কতদিন দেখিনি তোমায়।'
আমি ধরেই নিয়েছিলাম, আমার অনুরাগি মহিলাটি আর জীবনে আমার ফোন করবেন না। করেনও নি। আজ আমার লেখা পড়ে যদি আমার সেদিনের সময় না রাখার আসল কারণ জেনে রাগ-অভিমান ভাঙতে পারেন, সেই আশাতেই নিজের মনে মনে গাইছি, 'বড় সাধ জাগে/একবার তোমায় দেখি'।
২.
এবার মোগল সম্রাট বাবরের আত্মজীবনী। বইটির নাম বাবুরনামা। ১৭ বছর বয়সে বিয়ে করতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু নারীতে অনাগ্রহী ছিলেন তিনি। লিখেছেন, 'সেটি ছিল আমার প্রথম বিবাহ। বড় লাজুক ছিলাম আমি। স্ত্রীর সঙ্গে ১০, ১৫ বা ২০ দিন পরপর মিলিত হতাম। পরে তার প্রতি সকল আগ্রহই আমি হারিয়ে ফেলি। আমার মা ৩০ বা ৪০ দিন পরপর দারোগার মতো কঠোরতা দিয়ে আমাকে তার কাছে ফেলে পাঠাতেন।'
তাহলে কিসে আগ্রহ ছিল বাবরের? অল্পবয়সী এক বালকের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। লিখেছেন, 'তার জন্য অদ্ভুত এক অনুরাগের জন্ম আমার মধ্যে। বলা যায়, নিজেকে রীতিমতো দিওয়ানা করে ফেলি আমি তার জন্য। এর আগে কখনোই কারো প্রতি কামবোধ জাগেনি আমার। ভালোবাসা বা প্রেম বিষয়ে কোনো আলোচনায় আমি যোগ দিতেও ভালবাসতাম না। সে সময়ে এক বা দুই চরণের ফার্সি কবিতা লিখতাম। তার জন্য দুটি চরণ লিখি:
প্রেমে আমার মতো দু:খী যেন না হয় কেউ
না হয় যেন কোনো প্রেমাস্পদ তোমার মতো নিস্করুণ
৩.
রবিশঙ্করের রাগ অনুরাগ অনেকেই পড়েছেন। সেখানেও তিনি অনেকটাই খোলামেলা।
'শুনতে হয়তো একটা বাহানা বা ক্লিশের মতো শোনাবে, তবু বলছি। আমার মনের চাহিদা মনে হয় অশেষ। চেয়েই চলেছি ক্রমান্বয়ে। যেহেতু একটা মানুষেল মধ্যে সব কিছু পাই না তাই অনেকের ভেতর থেকেই টুকরো টকরো সৌন্দর্য নিয়ে আমার সেই পূর্ণ প্রতিমাটা গড়ে তুলি।-----এই দুর্বার চাওয়া ও চাওয়ার বহুদিন পর কমলাকে পেয়ে আমার সেই খুঁজে বেড়ানো মানুষটার কিছুটা পেয়েছি। এতোটা পরিণত, স্নিগ্ধ ভালবাসার মানুষও।
এই রবিশঙ্করই আবার লিখেছেন, 'আমার আরও এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আছে-মার্কিন মেয়ে স্যু জোনস। এক অদ্ভুত প্রাণবন্ত স্বভাব ওর। ----অত্যন্ত প্রেম, সোহাগ এবং যত্ন দিয়ে আমাকে দেখে। ওকেও বড় ভালবাসি। কমলা এ ব্যাপারে বেশ কষ্ট পায় এবঙ পুরোটা মেনেও নিতে পারে না। এই দুজনকে নিয়ে আমার বর্তমানের জীবন ভরে রয়েছে।'
৪.
নিজের কথা অকপটে বলার ক্ষেত্রে সেরা মানুষটি সম্ভবত রুশো। তাঁর দি কনফেশানস অসাধারণ একটি আত্মজীবনী। অসাধারণ এব অভিজ্ঞতা তাঁর আত্মজীবনী পড়া।
তিনি লিখেছেন, 'জীবনে কম মেয়েকে আমি ভোগ করিনি। কিন্তু এ জীবনে সেদিন এ মেয়েটির পায়ের কাছে উপবিষ্ট হয়ে যে সুখ ও তৃড্তি আমি লাভ করেছিলাম, সে অনুভূতির তুলনা আমি আর কোনোও ঘটনাতে লাভ করিনি।'
কখন কি মিথ্যা বলেছেন, কাকে নিয়ে কি ভেবেছেন, কি পাপ করেছেন, কি তার দোষ ছিল সবই মন খুলে লিখেছেন রুশো।
৫.
পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের একটা আত্মজীবনী আছে। সেখানে পাকিস্তানের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অনেককে নিয়ে বিস্ফোরক অনেক তথ্য আছে। কে কে ম্যাচ পাতাতো, কিভাবে করতো, কোন প্লেয়ার একবার একটা মেয়েকে ধর্ষন করেছিল, কিভাবে ড্রেসিং রুমে মারামারি হতো-এসব অনেক কিছুই আছে বইটিতে।
'পাকিস্তানে ম্যাচ গড়াপেটার মূল এত গভীরে প্রবেশ করেছে যে মনে হয় প্রত্যেকে এতে জড়িত।'
'এসব অভিযোগের বেশিরভাগই ঘটেছে ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে। এর ফলে আমি বেশির ভাগ সিনিয়রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলি।'
৬.
পাবলো নেরুদার আত্মজীবনী অনুস্মৃতির গমক্ষেতে প্রেম পর্বের অংশটুকু এখানে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঠিক সাহসে কুলালো না। আগ্রহীরা পড়ে নিতে পারেন।
বাহ অনেক কিছু জানলাম....১ নং টা বেশী ভালো লাগলো..... আপনাকে
আমি কিছু পড়িনাই
আমিও না!
আমিও না
আপনার লেখা আত্মজীবনি পড়তে চাই ( )
সহমত
সহমতে একমত!
একজন ঘোস্ট রাইটার খুঁজছি
আমিও আত্মজীবনী পড়তে দারুন ভালবাসি। বিল, হিলারি এগুলো পড়া হয়ে গেছেতো, পরেরটাই ওদের নিয়ে লিখেন
আমি একজন ক্ষুদ্র পাঠক। তারপরো আত্মজীবনী নিয়ে আরো লিখতে মনচায়
পাবলো নেরুদার আত্মজীবনীটা আমার পড়া সবচেয়ে চমৎকার আত্মজীবনি।
তবে সবচেয়ে এডভেঞ্চেরাস যদি বলেন তবে বিদিশার আত্মজীবনীকে বলবো আমি যাকে ফেল করাতে পারে একমাত্র হোমো এরশাদের জীবনী যা সে মরেও লিখবে না
তসলিমার আত্মজীবনী এডভেঞ্চারাস না?
সহমতের একমতের সাথে সহমত।
পাবলো নেরুদার মতো করে না হোক, : : :
তয় রুশোর মতো বোল্ডলি লিখবেন।
দুইটাই অসম্ভব বোল্ড। এভাবে লেখা মোটেই সহজ না।
নেরুদাকে নিয়ে অন্তত এই অংশটুকু বলুন: কবিতা নিয়ে এক ঘরোয়া আলোচনায় নেরুদা, লোরকাসহ অন্যান্য কবিদের সাথে এক দীর্ঘাঙ্গিনি কবিও ছিলেন। কি ছিল বিধাতার মনে-- আলোচনার এক পর্যায়ে দীর্ঘাঙ্গিনি এবং নেরুদা উঠে পাশের আরেক ঘরে ঢুকে গেলেন। আর সিঁড়ির পাশে পাহারায় রেখে গেলেন কবি লোরকাকে। ভেতরে কি চলছিল কে জানে। কিন্তু বাইরে ধপাস করে প্রচন্ড শব্দ হলো। পাহারাদার কবি লোরকা পড়ে হাত-পা ভেঙেছেন। হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীতে একজন কবির জন্য আরেকজন কবির এই আত্মত্যাগের মহিমা আমরা কি মনে রাখবো না? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন। জবাব চাই।
হাহাহহাহাহাহাহাহা।
আত্মজীবনী পড়তে ভালো লাগে । কিন্তু সেইসাথে মনে হয়, এনারা পিচ্চিকাল থেকে শুরু করে বুড়াকালের এত এত ঘটনা পরিষ্কার মনে রাখেন কিভাবে ? তাছাড়া আশেপাশের, পরিচিত, পরিবারের লোকেদের যে সব গোপনীয় ঘটনা বলেন, এগুলি জানলেন কিভাবে ?
আপনি টুকরো টুকরো অংশ দিয়ে আত্মজীবনীগুলি পড়ার আগ্রহ তৈরী করে দিলেন । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
এতোকিছু মেনে রাখতে পারে বলেই তো এরা লেখে, আর আমরা পড়ি।
শিরোনাম দেখে ভাবলাম আপনার আত্মজীবনী ছাড়ছেন...
~
হবে হবে, একদিন সব হবে
আত্মজীবনী পড়িতে ভালো লাগছে কিন্তু আমি ভাবছিলাম আপনার আত্মজীবনী
আমার আত্মজীবনী পইড়া কি হবে???
সবগুলাই ভালো লাগলো। পড়ার আগ্রহও হয়। একদিন আপনার আত্নজীবনীও লেইখেন।
আমার জীবন পানসে, লেখার মতো কিছু নাই।
ভাই, এই রকম আরো কিছু পোস্ট দেন না......
দিতে চেষ্টা চলিবে
আত্মজীবনী পড়তে কি আমার ভালো লাগে কিনা জানি না। কারণ সর্বশেষ কবে কার আত্মজীবনী পড়েছি মনে নেই। আসলেই কারো আত্মজীবনী পড়েছি কিনা তাও মনে নেই। সর্বশেষ বইটা কিছুদিন আগে পড়েছি বলে সেটার নাম মনে আছে, কিন্তু তার আগের বইটা পড়েছিলাম কত বছর আগে তা মনে নেই
পুরোটা পইড়া কি লিখবো ঠিক করছিলাম তা আউলাইয়া ফেলছি
বাবর নামা পড়ে চেয়ার থেকে পড়ার উপক্রম!
মোঘল সম্রাট বইলা কথা
এক্টাও পড়িনাই
বাবরের কাহিনি তো সেইরকম!!
মাসুম ভাইয়ের আত্মজীবনী জানতে চাই ।
জানার কোনো শেষ নাই
আত্মজীবনী গুলাতে নারী ভোগের পার্ট গুলাই কী খালি পড়েন?
আপনার জন্য তো বাবুরনামার ওই অঙশটুকু দিলাম
অনেক কিছু জানলাম। সবাই দেখি আপনার আত্মজীবনী পড়তে চায়, ব্যাপারখানা কি?
এটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধা দিতে ষড়যন্ত্রের অংশ
জীবনীওয়ালারা অনেক কথাই গোপন রাখে। জীবনে তাদের অনেকেই আকাম করার তথ্য উল্লেখ করেন নাই। মানুষ অবশ্যই ফেরেশতা না।
ব্যকিক্রম রুশো, নেরুদাসহ কয়েকজন
পুলক বন্দ্যোপধ্যায় এর বই টার নাম কি বলবেন একটু।
কথায় কথায় রাত হয়ে যায়-বইটির নাম
আমি অতি আগ্রহের সহিত শওকত মাসুম ভায়ের আত্মজীবনী পড়া শুরু করছিলাম...অমনি রুশো শোয়েব আকতাররা ঢুকে পড়লো!! আপনার আত্মজীবনী লিখ্যা ফেলেন।
================
পোস্ট ভালো লেগেছে।
আমার আত্মজীবনীতে কিছু নাই, বড়ই সাধারণ
বিখ্যাতরা কি সংসার ভাঙার পর আত্মজীবনী লেখেন, নাকি লেখার পর সংসার ভাঙে?
এ বিষয়ে কোনো তথ্য আছে মাসুম ভাই?
আত্মজীবনী পাঠ আমার প্রিয় বিষয়। আপনার লেখার বেশীরভাগই পড়া। রুশোর অনুবাদটা অন্য কেউ করলে আবার সংগ্রহ করবো, সরদার ফজলুল করিমেরটা আমাকে টানেনি। মার্কেজের আত্মজীবনীর অনুবাদও আবার সংগ্রহের অপেক্ষায় আছি।
সিরাজী ভাইর কথার প্রেক্ষিতে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে (মাসুম ভাই উত্তর করেন, আপনার অভিমত জানার আগ্রহ আছে)।
আমাদের দেশের বিখ্যাতরা অকপটে সবকিছু আত্মজীবনীতে বলেন না। সৈয়দ হকের আত্মজীবনী পড়ে হতাশ হয়েছি। তিনি তো সাহসী মানুষ, লিখতে পারতেন কিছু। বরং তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক দারুণ খোলামেলাভাবে তাঁর আত্মজীবনী লিখেছেন। শামসুর রাহমান তাঁর বিবাহিত জীবনে বারবার প্রেম আসার ঘটনা বলেছেন। নির্মলেন্দু গুণ গোপন ঘটনা পুরোই তুলে দিয়েছেন (আমার কণ্ঠস্বর)। তবে আমার মনে হয়, আমাদের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার জন্যই সম্ভবত বিখ্যাতরা সব ঘটনা সামনে আনেন না। এসব ঘটনা আনলে যে বিয়ে ভেঙে যাবে এটা আমার কাছে অভিপ্রেত আর গুরুত্বপূর্ণ লাগেনি। তসলিমা নাসরিন ইমদাদুল হক মিলনের কাহিনি ফাঁস করার পর তো মিলনের বিয়ে ভাঙেনি।
ভার্গোস ইয়োসা বালক বয়সে নিয়মিত ব্রথেলে যেতেন। খুশবন্ত সিংও ব্রথেলে গিয়েছেন। বহু লেখকের একাধিক প্রেমজ ঘটনা তাঁদের আত্মজীবনীতে পড়েছি, তাঁদের বিয়ে তো ভাঙেনি। আর প্রেমইতো তাঁদের জীবন নয়! কত কি আছে!
আত্মজীবনীতে কেউ মিথ্যে কিছু লিখুক আপত্তি নেই। নিজেকে ফেরেশতা বানাক আপত্তি নেই। বিখ্যাত লোকটি কিভাবে আমার নজর কাড়লেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কেনো তাঁর আত্মজীবনী পড়ছি, সেই লোকটির ফেলে আসা দিনগুলো জানতে পারছি কিনা, তাঁর জীবন দর্শন, তাঁর সফলতার গল্প জানতে পারছি কিনা, তা-ই গুরুত্বপূর্ণ। আর তিনি বললেইতো হয়ে গেল না! তিনি যেহেতু বিখ্যাত, ভুলভাল তথ্য কেউ ঠিকঠাক জানেই, এবং পাঠকের চোখ ফাঁকি দেয়াও খুব সহজ নয়।
আত্মজীবনী নানা ধরণের হয়। যেমন এখন পড়ছি ইরানের শিরিন এবাদির আত্মজীবনী। এখানে এমন কোনো গোপন কথা লেখা নেই। কিন্তু যা আছে তা হচ্ছে ইরান। সেই মোসাদ্দেককে সরানো থেকে শুরু করে এখনকার ইরানের একটা চমৎকার বর্ণনা আছে। আমি যে কোনো উপন্যাসের চেয়েও বিপুল আগ্রহে পড়ছে।
মন্তব্য করুন