৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান, মেজর নাসিরের বই ও অনেক অজানা কথা
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর-এই তিনটি দিন নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ। এ নিয়ে কিছু বইও আছে। সাফায়াত জামিল ৪৬ ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন। আবার ৩ নভেম্বরের অন্যতম অভ্যুত্থানকারী। তিনি একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি অনেক ঘটনার কথা বলেছেন। কর্ণেল হামিদ কোনো অভ্যুত্থানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। তিনি পাশে থেকে বা কাছে থেকে দেখেছেন। ব্রি. সাখাওয়াতও অভ্যুত্থান কাছ থেকে দেখেছেন। তিনিও একটা বই লিখেছেন। মে.জে. মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) কিছু লিখেছেন, তবে তিনি সেসময়ে দূরেই ছিলেন। ‘সৈনিকের হাতে কলম’ লিখেছেন নায়েক সুবেদার মাহবুবর রহমান, তিনি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সভাপতি ছিলেন। তিনি যেসব অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন, তা এক কথায় ভয়াবহ। কিন্তু কোনো বইতেই আমি খালেদ মোশারফের অভ্যুত্থানের অনেক কিছুই জানা যায় না। অথচ এই অভ্যুত্থানটি সফল হলে আজ বাংলাদেশের চেহারা অন্যরতম হতো।
পড়া বাকি ছিল একটা বই। মেজর নাসির উদ্দিনের গণতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী। আমার ধারণা ছিল এটি একটি আলোচনাধর্মী বই হবে। পড়ে দেখি তা না। অভ্যুত্থানটি করেছিলেন খালেদ মোশারফ। সঙ্গে মূল ব্যক্তি ছিলেন সাফায়াত জামিল। তবে মাঠ পর্যায়ের সব কাজ করেছিলেন মূলত মেজর হাফিজ, মেজর গাফফার, মেজর ইকবাল. স্কোয়াডন লিডার লিয়াকত এবং মেজর নসির।
কেন অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলো তার বিস্তারিত বিবরণ আছে বইটিতে। অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় বইটি পড়লে। খালেদ মোশারফের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের দূরত্ব কেন হলো তা জানা যায়। জানা গেল, কর্নেল নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে এরাই আবার খালেদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিভাবে ৩ নভেম্বরের পর খালেদ মোশারফ বদলে গেলেন তাও আছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা অভ্যুত্থানের আগে তাহেরের সঙ্গে বৈঠক করে সম্মতি নিয়েছিলেন। রাশেদ খান মেননের সম্মতি নেন। এমনকি এক বোতল হুইস্কি নিয়ে খালেদ ও নাসির রাতে গিয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন মনজুর বাসায়, মোশতাক আহমেদকে একটা বার্তা পৌছে দেওয়ার জন্য।
তাহের সম্মতি দিয়েও ৭ নভেম্বর নিজেই অভ্যুত্থান করেন। এর ফলাফল হয়েছিল ভয়াবহ। প্রাণ দেন খালেদ, হুদা ও হায়দার। এমনকি প্রাণ দিতে হয়েছিল তাহেরকেও। এর ফল বাংলাদেশের জন্য ভাল হয়নি। লিফসুলৎস তাহেরের অভ্যুত্থান ব্যক্তি তাহেরকে মহিমান্বিত করেছেন, কিন্তু নিরপেক্ষ বিচারে এই অভুত্থান বাংলাদেশের জন্য ভাল হয়নি।
মেজর নাসিরের বইয়ের আরেক উল্লেখযোগ্য দিক হল, স্বাধীনতার পর ৭৫ পর্যন্ত জুনিয়র অফিসারদের মধ্যে কী ধরনের আলোচনা ও ঘটনা ঘটতো সেটি জানা যায়। সবাই টপব্রাসদের নিয়ে লিখেছেন, কিন্তু সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের এতোটা খোলামেলা আলোচনা আমি আর পাইনি।
ওয়েবে এক সময় মেজর ডালিমের একটা লেখা পাওয়া যেতো। সেখানে তিনি ১৫ আগস্টের পর থেকে তাদের দেশত্যাগ পর্যন্ত বিস্তারিত বিবরণ আছে, তাদের দৃষ্টিকোন দিয়ে। এখন আর সেই ওয়েবসাইটটি নেই। ফলে কেন প্রিন্ট করে রাখিনি তা নিয়ে আফসুস আছে।
সব মিলিয়ে মেজর নাসিরের বই আমার অনেক কৌতুহল মিটিয়েছে, আবার অনেক কৌতুহল বাড়িয়েও দিয়েছে।
কত কত বই যে পড়া বাকি, লিস্টি খালি লম্বাই হয়ে চলেছে
মেজর নাসির উদ্দিনের গণতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী- বইটি কোথায় পাবো বস ?
আপনি বইটার এক পাতা করে ব্লগে লিখেন ডেইলি ।
আপনি বইটার এক পাতা করে ব্লগে লিখেন ডেইলি ।
এই ইতিহাসটা (১৫ আগষ্ট, ৩ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর) মনে হয় পরিপূর্ন ভাবে কখনই জানা যাবে না
সাফায়াত জামিলের বইটা পড়া শুরু করেও আর পড়া হয়নি। আজ আবার শুরু করব ভাবছি। এই তিনটা দিবসের ঘটনা জানতে খুব ইচ্ছা করে, তবে মনে হয় একটা বই থেকে জানা যেত!এত বই পড়তে তো ইচ্ছা করে না।।:(
এরকম পোষ্ট এতদিন পর পর দেন কেন?
আমি কয়েকদিন আগে পড়লাম রক্তমাখা নভেম্বর- নির্মলেন্দু গুণ।
ডালিমের লেখাটা পড়তে পারছি কিন্তু কপি করতে পারছি না। পারলে কাল পরশু মেইল করে দিবো নি।
লিঙ্কটা দেন তো রাসেল ভাই..
রাসেল, লিংক দেন। পড়তে চাই ।
লিঙ্কটা বোধহয় বাংলাদেশে ব্লক। তাও দেখেন খুলে কী না।
এই লিঙ্কটা পড়তে পারি। কপি করা যায় না। নীচের লিঙ্কটা বাংলাদেশে ব্লক। আপনি পড়তে পারবেন। দেখেন তো কপি করা যায় কীনা
http://www.majordalimbubangla.com/JaDekhesiJaBujesiJaKoresi.html
যাচ্ছে মাসুম ভাই
কপি করা গেলে কপি করে মেইল করে দেন।
কপি করা গেলে কপি করে মেইল করে দেন।
শয়তানটা অনেক কিছু লিখেছে দেখি। ।কালকের মধ্যে পেয়ে যাবেন
massum99@gmail.com
shawkat_palo@yahoo.com
রাসেল ভাইয়ের লিঙ্কটা কাজ করতেসে। তবে ডাউনলোড করতে চাইলে হোস্ট সার্ভার টাকা চায়!
'আমি মেজর ডালিম বলছি' শিরোনামে ছোট সাইজের একটা লেখা অনেক আগে প্রিন্ট করসিলাম। যথারীতি হারায় ফেলসি বা কোথায় রাখছি ভুলে গেসি। এখন দেখতেসি ৩২০ পৃষ্ঠার হিউজ ডকুমেন্ট!
৩২০ পৃষ্ঠার পিডিএফ টা নামানো গেল... কারো লাগলে আওয়াজ দিয়েন
~
massum99@gmail.com
আমি ১৬৭ পৃষ্ঠার মতো নামায়ছিলাম। তা যাক তাহলে আর নামায়লাম না।
রিয়াদ ভাই আমার লাগবে। ashraf3521@gmail.com
রিয়াদ ভাইরে

majordalimbubangla.com বাংলাদেশ থেকে ব্লক করা...বিশেষ কায়দা মিলিয়ে দেখলাম এইটা আর পিডিফ একই জিনিষ।
মাসুম ভাই আর রাসেল মেইল পেয়েছেন আশা করি।
~
:কোক:খান।
ডালিম খান রিয়াদ ভাই

রিয়াদভাই কি কষ্ট করে আমাকে মেইলে দিবেন? পিসিতে পড়তে পড়তে মাথা ব্যথা করতেছে।
আপনাকে এফবিতে মেইল এড্রেস দিলাম।
দিয়েন কিন্তু!মিষ্টি কথায় ভুলে যাইয়েন না।
কোন সহৃদয় ব্যক্তি মেজর নাসির আর নায়েক সুবেদার মাহবুবর রহমানের বই দুইটা মাসুম ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ে স্ক্যান করে নেটে শেয়ার দিলে বিশেষ কৃতজ্ঞ হই...
~
ও অনেক অজানা কথা
সাখাওয়াত,শাফায়াত জামিল, আব্দুল হামিদ এই তিনজনেরটাই পড়ছি। নাসির সাহেবের বইটাও পড়ে ফেলবো!
কেউ আমার মেইল এড্রেসে একটা কপি পাঠালে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
আমার ইমেইল: shatuahaq@gmail.com
আপনারা কি পড়লেন পোষট আকারে আমাদের জানালে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
লেঃ কর্ণেল হামিদের বই মতে, সফিউল্লাহ,জিয়া,খালেদ, শাফায়াত - সবার ভূ্মিকাই রহস্যপূর্ণ ।
তার মতে, “জিয়া চিফ অফ স্টাফ হওয়ায় খালেদ মোশাররফ শঙ্কিত হয়ে পড়লো। তার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। তাকে এবং শাফায়াতকে কলা দেখিয়ে মেজররা বঙ্গভবনে ঢুকে পড়েছে। তাদের দুজনের অবস্থান নাজুক হয়ে উঠল। তাদের এখন প্রেস্টিজ পুনরুদ্ধার করার সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা রইলো না। এই প্রেক্ষাপটেই পরবর্তীতে সংঘটিত হয় খালেদ-শাফায়াতের ৩রা নভেম্বর অভ্যুত্থ্যান।”
~
মন্তব্য করুন