মিশরের দীনা, রানধা কামেল ও আরও কিছু গল্প
দীনার গল্প
মিশরে আমাদের গাইড ছিল দীনা। মিশরের মেয়ে। সে নিজেই জানালো তার বয়স ২৭, বিয়ে করেনি, কারণ একজন পারফেক্ট পুরুষ সে খুঁজে পায়নি। তবে এটা বুঝলাম তার পারফেক্ট পুরুষের খবর আছে। এক সেকেন্ডও কথা না বলে থাকতে পারে না। হয় আমাদের সাথে কথা বলছে, না হয় ড্রাইভারের সাথে, আর তা না হলে ফোনে।
দীনা বেশির ভাগ মিশরীয় মেয়েদের মতো হিজাব পড়ে না। মেয়েরা হিজাব পড়লেও দেখতে অবশ্য খারাপ লাগে না। মুখটা খুবই সুন্দর বলেই হয়তো। আরেকটা কারণ হলো, মিশরের মেয়েরা চুল ঢাকতে যতটা আগ্রহী, বুক ঢাকতে ততটা না। আর এ দিক থেকে তারা যথেষ্ট সম্পদশালী বলা যায়। ডলি পার্টনের যোগ্য অনুসারী। মরুভূমির দেশ, বৃক্ষ কম কিন্তু বক্ষের অভাব নেই।
দীনার কথাই বলি। দুপুরে খেতে গেছি এক অথেনটিক ইজিপশিয়ান রেস্টুরেন্টে। তীব্র ক্ষুধা। সবাই মোটামুটি কব্জি ঢুবিয়ে খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। আমার উল্টো দিকে বসলো দীনা। বসেই সে প্যান্টের বোতামটা খুলে হালকা হল। তারপরই দেখলো যে আমি তাকিয়ে আছি। মনে হলো খানিকটা লজ্জা পাইছে। আমি প্যান্টের বেল্ট খুলে অনেক ছেলেকে খেতে বসতে দেখেছি। কিন্তু কোনো মেয়েকে এই প্রথম দেখলাম।
সিক্রেট অব ডেজার্ট
দীনা আমাদের নিয়ে গেল মিশরের সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত পারফিউমের দোকানে। এসব দোকানে বিক্রির ধরণটা আলাদা। আলাদা আলাদা বিশাল বিশাল রুম, অনেকটা বাড়ির ড্রয়িং রুমের মতো। গেলেই সেখানে বসানো হয়, চা বা পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন হয়। তারপর একজন এসে পারফিউম তৈরির কায়দা কানুন থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য দেওয়া শুরু করেন। হাত বাড়িয়েই রাখতে হয়। একের পর এক ফেভারের পারফিউম হাতে মাখিয়ে দেয়। সেই সুবাস সহজে যায় না।
এক সময় বের করা হলো সিক্রেট অব ডেজার্ট। সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠলো দীনা। এক বাক্যে বুঝিয়ে দিল এটি হচ্ছে আসলে ইজিপশিয়ান ভায়াগ্রা। মানুষজন এটাই কিনতে এখানে আসে। সিক্রেট অব ডেজার্ট মূলত দুটা পারফিউমের একটা প্যাকেজ। একটি ছেলেরা ব্যবহার করবে এবং এর গন্ধে মধ্যরাতে সঙ্গী মেয়েটি হবে ওয়াইল্ড ক্যাট। আর মেয়েদেরটার গন্ধে ছেলেটি হবে ক্রেজি হর্স।
মধ্যরাতে আমরা যারা এমনিতেই ক্রেজি হর্স হই তারা আর এই পারফিউম কিনলাম না।
রানধা কামেল
ভারতীয় হলে অবলীলায় বলা যেত রাধা কামেল। মিশরীয় বলে সম্ভবত রানধাই হবে। রাধা বা রানধা যাই হোক, তিনি যে একজন কামেল মহিলা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একারণেই হয়তো নামের শেষে কামেল যুক্ত আছে।
বিকেলেই দীনা ঘোষণা দিল যে আমাদের ভাগ্যটা খুব ভাল। কারণ আজ নীল নদের রিভার ক্রুজে বেলি ডান্স দেখাবে রানধা কামেল এবং এই কামেল মহিলা মিশরের সেরা বেলি ডান্সারদের একজন। মিশরে গেলে বেলি ডান্স না দেখা অপরাধের মধ্যে পড়ে। আর বেলি ডান্স হলো রিভার ক্রুজের অপরিহার্য অঙ্গ।
আমাদের বুড়িগঙ্গাকে দখল না করে যদি দুপাশ কংক্রিট দিয়ে আটকানো যেতো তাহলে এই নদীকে কোনো মতেই নীল নদের চেয়ে অসুন্দর লাগতো না। আর সেখানে রিভার ক্রুজ করলে পর্যটকও নিশ্চই কম পাওয়া যেতো না।
নীল নদের রিভার ক্রুজ অ্যান্ড ডিনার। অত্যন্ত উচুঁমানের আয়োজন, পাঁচ তারকা বলা যায়। শুরুতে কেবল গান। বেশির ভাগ স্পানিশ গান গাইলেন তিনজন মিলে। সামনে ডান্স ফোর। দর্শকরা এসে নাচলেন প্রতিটি গানের সাথে। এরপর আসলো আরেকজন, ঘাগরা পড়া। অসাধারণ এক পারফরম্যান্স। একটা মানুষ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে টানা ৪০ মিনিট খালি ঘুরলো। সাথে নানা ধরণের কসরত। আর সবশেষ আকর্ষণ হলো রানধা কামেল। আহা! এবার একক বক্ষ মেলা। ছোট একটা কাপড় দিয়ে খানিকটা ঢাকার চেষ্টাটা অবশ্য দেখার মতো। আর বেলির আন্দোলন তো আছেই।
রানধা কামেলের বেলি ডান্স। আমার ক্যামেরায় তোলা। বিমা আনতে বলছিলো তাই আনলাম
মাছময় মিশর
ছোটবেলায় মাছ খেতাম না, মাছের মধ্যে মাছ মাছ গন্ধ। আলেকজান্দ্রিয়া ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত। মাছ ধরা এখানকার একটা বড় পেশা। সাগরের পাশেই রেস্টুরেন্ট। এখানে মন ভরে মাছ খেলাম একদিন। সি ফুড। বরফ দেয়া মাছ রাখা থাকে। এখান থেকে মাছ বাছতে হয়। তারপর তারা সেই মাছ ফ্রাই করে দেয়। প্রচুর সালাত, সামান্য রাইস আর ব্যাপক মাছ-এই হচ্ছে তাদের খাবার। একেকজন মনে হয় ৩-৪ কেজি করে মাছ খায়। আলেকজান্দ্রিয়ায় মাছ খেয়ে মজা পেলেও তিন বেলা নিশ্চই তা ভাল লাগে না।
আসার আগের দিন একটা অফিসিয়াল ডিনার ছিল। কায়রোর সবচেয়ে বড় রেস্টেুরেন্টের একটি। মাছ খেয়ে খেয়ে টায়ার্ড হয়ে গেলাম। একটার পর একটা মাছ আসছেই। সব ফ্রাই। ওরা গ্রেভি খায় না। এতো মাছ কি আর খাওয়া যায়?
লাইট হাউজ, এক সময়ের সপ্তম আশ্চর্যের একটি
কথা বলে জানলাম এই রেস্টুরেন্ট প্রতিদিন ৫ টন মাছ বিক্রি করে, পাইকারী না। এখন বোঝেন কী পরিমাণ মাছ খায় তারা।
সিটি অব ডেড
কায়রো শহরের মধ্যেই একটি জায়গা। মূলত কবরখানা। আগে মিশরীয়রা কেবল সাড়ে তিন হাত জায়গায় কবর দিতো না। রীতিমত কয়েক কামরার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হতো। এক রুমে হয়তো কবর, বাকি রুমগুলো থাকতো খালি।
মিশরে আয় বৈষম্য প্রকট। অনেক গরীব মানুষ সেখানে। থাকার জায়গা নেই। এইসব মানুষ এক সময় থাকা শুরু করলো এই কবরখানায়। পর্যটকদের এখানে ঢোকা নিষেধ। সরকারও আড়াল করে রাখতে চায় জায়গাটা, উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে। গা হিম করা এক পরিবেশ এখানে। এর নাম সিটি অব ডেড। এ যেন এক আরেক মিশর।
ইজিপ্টে যাওনের শখ সেই ছোটবেলায় ইজিপশান সভ্যতার কাহিনী পড়নের সময় থেইকাই...আপনেতো বড়বেলার সভ্যতার কাহিনী শুনাইয়া আগ্রহটা চাগাইয়া দিলেন...
ডান্সের ভিডিও দেইখা?
এইরম বিবরণের পর আবার ভিডিও দেখতে হয়নি...ঐটা হইলো পিৎসার উপর এক্সট্রা চীজ টপিং...
ভাল লাগবে ভাস্করদা। পুরান পুরান গন্ধটা পাওয়া যায়।
কিন্তু আপনার ভিডিও কৈ?
এইটাই আমার তোলা। আমি ইউটিউবে আপলোড করছি। এখানে কী সরাসরি দেয়া যায়?
এখানে এখনো ইউটিউব দেয়া যায় না ... শালীনতা বৈলা একটা কথা আছেনা
কিন্তু আপনার পার্টটা কৈ?
আমি মাসুম, আমি এইসব করি না।
নাউজুবিল্লাহ।
হি হি্ হেতে নিজেরে লুকাইয়া রাখছে। গাধা টুটুল এইটা আবার জিগায়।
টকশোতে আম্রা কি মাসুমভাইরে খুজি না?
তাইলে এইখানে খুজমুনা ক্যান?
আজিপ!!!
টুটলা গাধা, ওইটা তুমি গোপনে কইবা। মেসেন্জারে নাইলে মেইলে তাইলে হয়ত দেখাইতে পারে।
ইশশ
তোমরা কত কিছু জানো
আমি লিটনের ফ্লাট ছাড়া এসব নাচ দেখাই না।
মডু কই?? এইগুলা দেখে না?? জনসম্মুখে এইসব প্রস্তাব!!!!
খারাপ কি কইলাম আবার?
দুলাভাই ভ্রমন কাহিনী সেইরাম হইছে কিন্তু ভিডিও পুরাটা দেন নাই কেন
পুরা তুলতে পারি নাই। জায়গায় দাঁড়িতে তুলতে হয়। সামনে গেলে অন্য মানুষের ডিসটার্ব হয় নাকি!
আহা, লেখাটা কি শেষ নাকি? আরো পড়তে মঞ্চাইতেছিল। ইউটিউব পার্টটা কাইল অফিস গিয়া দেখা লাগবে।
আর বক্ষ কিংবা ক্রেজি হর্স বিষয়ক আলোচনা যেইটা হইব সেইটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। 
দেখছেন? এইটা তো এক ঝলক মাত্র।
৪০ প্লাস ট্যাগ লাগান
তারপর পরের পর্ব ছাড়েন।
এইটা তো নমুনা মাত্র। নমুনায়ই ৪০+ ট্যাগ লাগবো?
ইয়ে, বাসায় কি লোকজনে জানে যে আপনি এইসব করে বেড়াচ্ছেন?
বাসা জানে আমি মাসুম
দুলাভাই , আবার মিশর গেলে কিন্তু পিছু ছাড়ুম না।
রানধা দেখি আসলেই কামেল !!!
বুইঝা শুইনাই তার নাম মনে হয় কামেল রাখা হইছে।
ছি ছি! মাত্র একটা ছবি ক্যান??
এইজন্যই তো ভিডু দিলাম।
হুম...
রানধা কামেলের বেলি ডান্স। আমার ক্যামেরায় তোলা। বিমা আনতে বলছিলো তাই আনলাম
আলেকজান্দ্রিয়াতে আমার ভাই পড়াশোনা করেছে। অনেকদিন পর আপনার লেখায় এজায়গাটার নাম শুনে কেমন যেনো নষ্টালজিক ফীল করলাম
আলেকজান্দ্রিয়া জায়গাটা খুবই সুন্দর। খুব পছন্দ হয়েছে।
কোথাও সিরিজ ট্যাগ দেখলাম না, তবু সিরিজ মনে কইরা পড়লাম।
কে জানি কইল ৪০ পেলাস ট্যাগ দিতে, তাইলে তো আমি বাদে আর কোন পাঠক থাকবে না
আমাদের পড়ার পর এবং আপনাদের পড়ার আগে ৪০+ ট্যাগ লাগাইলে আর কোন সমস্যা থাকপে না
রসালো কাহানী ॥
লোলজ
মাহবুব সুমন বলেছেন,
রসালো কাহানী ॥
লোলজ
বেলি ডেন্স নিয়া এত কম লেখলেন কেন বুঝলামনা। এইটা নিয়াই কয়েকটা সিরিজ হয়ে যাওয়া উচিৎ। ঐদিননা বললেন পাঁচ দিনই
খাইছে !
মিশর না গেলে দেখি জীবনের বারো আনাই মিছা! হে আল্লাহ, মিশর যাইবার চাই।
আমি পরিবেশবাদী। আমি ব্ক্ষ, থুক্কু বৃক্ষ ভালোবাসি। পরিবেশবাদী রানধা কামেলরে দেখতে চাই।
আচ্ছা মাসুমভাই যে ঘোড়া মার্কা সেন্ট আনছে ঐটা কি পরিবেশ সম্মত, তোমার মত কী?
রায়হান ভাই মনোযোগ দিয়া পড়েন নাই। উনি এম্নিতেই ক্রেজী হর্স। তাই ঘোড়া মার্কা সেন্ট আনে নাই।
তাছাড়া ওই বিষয়ে আমার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা নাই। তাই মন্তব্য করলাম না। আপনারাই ভালো কৈতার্বেন।
আমি তো মনোযোগ দিয়াই পড়লাম। আমার মনে হইল উনি বেলি ডেন্স, বক্খ মেলা এইসব চাইখা ক্রেজী হর্স হইয়া পড়ছিলেন। কিন্তু দেশে তো এই সব এভেলেবল না।
এই খানে ক্রেজি হর্সের প্রবলেম নাই, ওয়াইল্ড ক্যাটের আকাল থাকতে পারে।
আপনের অভিজ্ঞতা কি তাই বলে?
হাহাহাহাহাহা। ধারণার চেয়েও মনে হয় বেশি আছে।
৪০+ ট্যাগ লাগালে মাসুম ভাই নিজে লেখাটা পড়তে পারবেনতো ??
একটা কথা না বইলা পারলাম না। রাতে ইউটিউবে নাচ দেখলাম। মাশাল্লাহ। মাসুমভাই নিজের নাচটা কেন দেখাইতাছে না। বুঝলাম না। আমরা কি অবুঝ?আমরা কি দেখে মাশাল্লাহ বলবো না। উনি কিন্তু লিখছে যে দর্শকরা সবাই নাচছে। অতএব উনিও নেচেছে।
আর একটা ব্যাপার। দিনা উনি তাকাইছে দেখে লজ্ঝা পাইছে। এই পর্যন্ত শেষ ? পাঠক আর কিছুই জানব না?
একটা কথা না বইলা পারলাম না। রাতে ইউটিউবে নাচ দেখলাম। মাশাল্লাহ। মাসুমভাই নিজের নাচটা কেন দেখাইতাছে না। বুঝলাম না। আমরা কি অবুঝ?আমরা কি দেখে মাশাল্লাহ বলবো না। উনি কিন্তু লিখছে যে দর্শকরা সবাই নাচছে। অতএব উনিও নেচেছে।
আর একটা ব্যাপার। দিনা উনি তাকাইছে দেখে লজ্ঝা পাইছে। এই পর্যন্ত শেষ ? পাঠক আর কিছুই জানব না?
মিশরে আত্মীয় স্বজন যারা গেছে তারা তেমন কোন ছবি/ ভিডিও দেখায় নাই। পিরামিড কিম্বা উটের ছবি দেখিয়েই মিশর অধ্যায় শেষ করে। আমাদের মাসুম ভাই ভাল, একটু সেন্সর করলেও অনেক কিছুই শেয়ার করেছেন।
সুবর্ণার একটা কাহিনী শুনছিলাম নাইট ক্লাব গোলমাল কইরা ফেলার। ঘটনাটা কি?
কার কাছে শুনেছেন পিয়াল ভাই? সেরকম তো কোন কাহিনীর কথা আমার মনে পড়ছে না।
আমাদের ফেকাল্টির ডিন একজন মিশরী । তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারি । আপনার কাছে শোনে ভালো লাগলো ।
ছি ছি!!! আপনে চায়া থাকলেন ক্যান?? আপনের শরম করে না!!!

নাউজুবিল্লাহ!!!!
কই জানি শুনছি শুনছি লাগে!!!



আমিও কই... মিশর যামু। কি আছে দুনিয়ায়!!!
ভিড্যু তিনবার দেইখা লাইছি!!!
ভিড্যুর তলায় মুকুল ভাই'র কমেন্টে আমিও সহমত জানাইলাম!!
পুরা কস্কি মমিন টাইপ বর্ণনা হঈছে
পুরা কস্কি মমিন টাইপ বর্ণনা হঈছে Wink
নাউযুবিল্লাহ।
কী হইছে আফা?
আহা আহা...কি পড়াইলেন আর দেখাইলেন এইসব...আমি তো আন্ধা হইয়া গেলাম
সিক্রেট অভ ডেজার্ট?????


বেলী ড্যান্স দেখার খায়েশ অনেক দিনের, কিন্তু আইজও দেখা হলো না.....
মিশর যাইতে হবে.....
বেচারা মাসুম!
রানধা কামেল হেতিরে কেবল ভিডিও করতে দিয়াই অফ যাইতে কইছে কারো বুজে আইলোনা!!!!!!!!!!!
খাইসে! মিশরে তো অন্য কামে যাওয়ার প্ল্যান আছিলো! এখন দেখি পারফিউম থেকা শুরু কইরা দীনা গাইড! আহা!
মন্তব্য করুন