ক্যু ও পাল্টা ক্যু
তাও অনেকদিন হয়ে গেল, নুরুজ্জামান মানিক ভাই এসএমএস করেছিলেন কিছু বইয়ের নাম চেয়ে। বাংলাদেশে ক্যু নিয়ে বইয়ের তালিকা। নানা ধরণের ব্যস্ততার কারণে কাজটি আর করা হয়নি। আর সব বইয়ের নাম আমার জানা আছে তাও না।
বইয়ের একটা তালিকা করবো করবো করেও করা হচ্ছিল না। এরই মধ্যে পড়ে ফেললাম নতুন একটা বই, কর্ণেল হুদা ও আমার যুদ্ধ। নীলুফার হুদার লেখা। নীলুফার হুদা কর্ণেল খন্দকার নাজমুল হুদার বীর বিক্রমের স্ত্রী। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হল এবার মানিক ভাইকে বইগুলোর নাম দিতেই হয়। বিশেষ করে বইয়ের শেষ অংশটা পড়ে বেশি করে মনে হল। এই অংশে কর্ণেল হুদা কিভাবে মারা গেলেন তার একটি বর্ণনা আছে।
আমরা জানি যে, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ, কর্ণেল হুদা ও কর্ণেল হায়দার একসঙ্গে মারা যান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, তথকাকথিত সিপাহী বিপ্লবের সময়।
কর্ণেল হামিদের ভাষ্যটা পড়া থাকলে পুরোটা বুঝতে সুবিধা হবে। কর্ণেল হামিদ লিখেছেন,
'৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাত ১২ টায় বঙ্গভবনে সিপাহী বিপ্লবের খবর পেয়ে জেনারেল খালেদ কর্নেল হুদা ও হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামানের বাসায় যান। সেখান থেকে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ১০ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে যেতে সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, ১০ম বেঙ্গলকে বগুড়া থেকে খালেদই আনিয়েছিলেন তার নিরাপত্তার জন্য। পথে ফাতেমা নার্সিং হোমের কাচে তার গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে তিনি হুদা ও হায়দারসহ পায়ে হেটেই ১০ম বেঙ্গলে গিয়ে পৌছেন। উক্ত ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন কর্নেল নওয়াজিস । খালেদের আগমনের খবর পেয়ে তৎক্ষণাত তিনি টেলিফোনে টু ফিল্ডে সদ্যমুক্ত জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার ইউনিটে খালেদের উপস্থিতির কথা জানান । তখন ভোর প্রায় চারটা। জিয়ার সাথে ফোনে তার কিছু কথা হয় । এরপর তিনি মেজর জলিলকে ফোন দিতে বলেন। জিয়ার সাথে মেজর জলিলের কথা হয়।
ভোরবেলা দেখতে দেখতে সিপাহী বিদ্রোহের প্রবল ঢেউ ১০ম বেঙ্গলে এসে পড়ে। পরিস্থিতি কর্নেল নওয়াজিসের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। আফিসার মেসে বসে খালেদ-হায়দার -হুদা সকালের নাস্তা করছিলেন। হুদা ভীত হয়ে পড়লেও খালেদ ছিলেন ধীর, স্থির, শান্ত। হায়দার নির্ভীক নির্বিকারভাবে পরাটা মাংস খাচ্ছিলেন। এমন সময় মেজর জলিল কয়েকজন উত্তেজিত সৈনিক নিয়ে মেসের ভিতর প্রবেশ করে। তার সাথে একজন বিপ্লবী হাবিলদারও ছিল।
সে চিৎকার দিয়ে জেনারেল খালেদকে বলল-"আমরা তোমার বিচার চাই"! খালেদ শান্তকণ্ঠে জবাব দিলেন," ঠিক আছে , তোমরা আমার বিচার করো। আমাকে জিয়ার কাছে নিয়ে চলো।"
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বাগিয়ে হাবিলদার চিৎকার করে বললো-"আমরা এখানেই তোমার বিচার করবো।"
খালেদ ধীর স্থির । বললেন, " ঠিক আছে , তোমরা আমার বিচার করো ।" খালেদ দু'হাত দিয়ে তার মুখ ঢাকলেন।
ট্যারর-র-র-র ! একটি ব্রাস ফায়ার । মেঝেতে লুটিয়ে পড়লেন সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার জেনারেল খালেদ মোশাররফ যার ললাটে ছিল বীরযোদ্ধার জয়টিকা , মাথায় ছিল মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তমের শিরোপা আর মাথার বাম পাশে ছিলো পাকিস্তানী গোলন্দাজ বাহিনীর কামানের গোলার গভীর ক্ষতচিহ্ন।
কামরার ভেতরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণত্যাগ করলেন আগরতলা ষড়যন্ত্রমামলার অন্যতম আসামী, মুক্তিযুদ্ধে ৮নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার বীর বিক্রম কর্নেল নাজমুল হুদা।
কর্নেল হায়দার ছুটে বেরিয়ে যান কিন্তু সৈনিকদের হাতে বারান্দায় ধরা পড়েন । উত্তেজিত সৈনিকদের হাতে তিনি নির্দয়ভাবে লাঞ্চিত হন । তাকে সিপাহীরা কিল ঘুষি লাথি মারতে মারতে দোতলা থেকে নিচে নামিয়ে এনে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে।'
নীলুফার হুদা এসময়ের কথা জানাতে গিয়ে নতুন কিছু বলেছেন। এর মধ্যে দুটি তথ্য এখানে বলা যেতে পারে।
১. কর্ণেল নওয়াজিস জিয়াকে ফোন করেন সে তথ্য নীলুফার হুদাও একই ভাবে দিয়েছেন। তারপর বলেছেন, 'এই সময় সেই কক্ষে অবস্থানরত কর্ণেল তাহের বাইরে যান এবং মিনিট ১৫ পর ফেরত আসেন। এর আধ ঘন্টা পর সেখানে আবার টেলিফোনে খবর এলো, নওয়াজেসের ব্যাটেলিয়ানের বাইরে থেকে কিছু পোশাকধারী এসে খালেদ মোশারফ, হুদা ও হায়দারকে হত্যা করে বেয়নেট চার্জ করেছে।'
নীলুফার হুদা খালেদ, হুদা ও হায়দারের হত্যার জন্য এখানে সুস্পষ্টভাবেই কর্ণেল তাহেরকে দায়ি করেছেন।
কর্ণেল তাহের তাঁর সেই বিখ্যাত জবানবন্দিতে কি বলেছিলেন মনে আছে? বলেছিলেন-, 'তেসরা নভেম্বরের পর কি ভয়ার্ত নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এ জাতির জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল তা সবারই জানা।......এটা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, খালেদ মোশাররফের পেছনে ভারতীয়দের হাত রয়েছে।’
২. নীলুফার হুদা শেষ পর্যায়ে এসে লিখেছেন, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানও নিহত হলেন। তিনিও বাঁচতে পারলেন না। জিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে নওয়াজিশদের ফাঁসির আদেশ হলো, তখন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁদের স্ত্রীরা, পরিবারের সদস্যরা অনশন করলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার পর একজন হঠাৎ করে আমার পায়ের ওপর মাথা রেখে অঝোরে কাঁদতে লাগলো। তাকিয়ে দেখি এক মেয়ে। সে কাঁদছিল আর বলছিল, 'ভাবি, আপনি আমাদের মাফ করে দেন। ওরা যে অন্যায় করেছিল, তার ফল আজকে আমরা পাচ্ছি। আমাদের মাফ করে দেন।' সে বললো, সে নওয়াজেশের স্ত্রী।
আদালত কর্ণেল তাহেরের বিচার নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। বঙ্গবন্ধূ হত্যার বিচার হয়েছে। তাহলে খালেদ-হুদা-হায়দারের হত্যার বিচার কেন হবে না?
খালেদ মোশাররফ প্রায়ই বলতেন, “স্বাধীন দেশের সরকার জীবিত গেরিলাদের চায় না, নো গভর্নমেন্ট ওয়ান্টস অ্যান অ্যালাইভ গেরিলা, নিতে পারে না………”।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর হুদা একবার তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন, 'কোনো দেশ স্বাধীণ হলে সেই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ বাঁচতে দেয় না। ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচিয়ে রাখার নজির কম। আমাদের তারা বাঁচতে দেবে না।'
এবার বইয়ের কিছু তালিকা (আমার যা জানা আছে)
আমার জানা মতে, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ক্যু নিয়ে তিনটা বই আছে
১. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ: রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর-কর্ণেল শাফায়াত জামিল। সাহিত্য প্রকাশ
২. বাংলাদেশ:রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১-ব্রি. জে. এম সাখাওয়াত হোসেন। পালক প্রকাশনী।
৩. তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা-লে. ক. এম এ হামিদ। শিখা প্রকাশনী
এছাড়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন
১. এক জেনারেলের নিরব সাক্ষ্য: স্বাধীনতার প্রথম দশক-মে.জে. মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.)। মাওলা ব্রাদার্স।
আরও আছে (এসব বইয়েও ক্যু নিয়ে বেশ কিছু জানার আছে)
১. সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা: ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১-আনোয়ার কবির। সাহিত্য প্রকাশ
২. বাংলাদেশের রাজনীতি: ১৯৭২-৭৫-হালিম দাদ খান। আগামী প্রকাশনী
৩. সৈনিকের হাতে কলম-নায়েক সুবেদার মাহবুবর রহমান। আলীগড় প্রকাশনী।
৪. অসমাপ্ত বিপ্লব: তাহেরে শেষ কথা-লরেন্স লিফসুলৎস। নওরোজ কিতাবিস্তান
৫.বাংলাদেশ রক্তের ঋণ-অ্যান্থনি মাসকারেনহাস। হাক্কানী পাবলিশার্স
৬. কর্ণেল হুদা ও আমার যুদ্ধ-নীলুফার হুদা, প্রথমা প্রকাশনী
৭.শতাব্দী পেরিয়ে-হায়দার আকবর খান রনো। তরফদার প্রকাশনী।
৮. বলেছি বলছি বলবো-শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। ঐতিহ্য
৯. বঙ্গভবনে পাঁচ বছর, মাহবুব তালুকদার, ইউপিএল
১০. রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রবন্ধ-আহমদ ছফা (মুজিরহত্যার নীলনক্সা: আমি যতটুকু জানি)
১১. স্বৈরশাসনের নয় বছর:রফিকুল ইসলাম, ইউপিএল
বইয়ের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়। আসুন তালিকাটা পূর্ণাঙ্গ করি। যার যে বইয়ের নাম জানা আছে এখানে দিলে সবারই কাজে লাগবে।
উৎসর্গ-মানিক ভাই
আপনার লেখার গুনে সিপাহীদের হত্যাযজ্ঞ যেনো দেখতে পেলাম চাক্ষুস !
ধন্যবাদ আপনাকে মাসুম ভাই। অনেক কিছু জানা গেল...
বইগুলো আমাদের পড়া দরকার, সবার।
সমস্যা হলো ঘটনার ব্যাপকতা এতো বেশি ছিল, আর এতো মানুষ সংশ্লিষ্ট ছিল যে, মোটামুটি একটা ধারণা পেতে সবগুলো বই পড়তে হয়।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাসুম ভাই ।
হাওয়ার থিকা নুরু ভাই হাজির
কর্ণেল তাহের নিয়ে একটা লেখা শুরু করেছিলেন, শেষ করলেন না। আবার লিখেন। আর একটা বই চেয়েছিলাম, সেটাও ভুলে গেলেন।
ক্রাচের কর্ণেল দেবো পড়তে। তবে এটি আদতে উপন্যাস। সুতরাং এর সাথে আরও কিছু বই পড়তে হবে।
বেঁচে থাকলে তাহের আরেক গাদ্দাফী হতেন
আজকাল এটাই সত্য মনে হয় ! অথচ একসময় তাহের সম্মন্ধে আমার অন্যরকম ফ্যাসিনেশন ছিল ।
~
তাহের বিপ্লবী ছিলেন, দেশপ্রেম ছিল। স্বপ্ন দেখতেন, ব্যক্তিস্বার্থে কিছু করেননি সবই ঠিক। তবে বিপ্লবের সময়টা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল ছিল। আর তাকে অনেকেই দেবতা টাইপ জায়গায় নিতে চান, সেখানে আমার আপত্তি আছে।
রনোর শতাব্দী পেরিয়ে আমার কাছে গ্রহনযোগ্য কিছু মনে হয় নি, অনেকটা আত্মপক্ষ সমর্থন আর দায় এড়ানোর লেখা মনে হয়েছে, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত যদিও। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ইতিহাস জানবার জন্য এই বইয়ের দারস্থ হবো না।
মেজর জলিল, যদি ভুল না হয় তাহলে সেক্টর কমান্ডার জলিল , যাকে বিজয় দিবসের পরপরই গ্রেফতার করা হয়। পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতিতে কিংবা আঙুলবাজীতে আমরা জানতে পারি জলিল নিজেই লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন, অবশ্য তিনি নিজে জানিয়েছেন তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর লুণ্ঠনের প্রতিবাদ করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
আমাদের বেজন্মা এবং এতিম ইতিহাসের অংশগুলো এমনই, সেখানে সুতো জোড়া দিয়ে, একটা তথ্যের পেছনে ছুটে আসলে নতুন একটা গর্তে পড়তে হয়। কর্নেল তাহেরের প্রতি একটা মোহ কাজ করছে সবার, উর্দিধারী বলে এই মোহ না কি সত্যি সত্যি তার ফ্যানক্লাবের তার প্রতি অন্ধ ভক্তি আছে আমার জানা নেই, তবে যে আদর্শবাদী তাহেরকে আমরা বিভিন্ন গল্প উপন্যাস মীথে পাই তার ভাইয়েরা সেই আদর্শ থেকে অন্তত দুইশ হাত দূরে সরে আছে,
খালেদের খুনি মেজর জলিল সেক্টর কমান্ডার জলিল নন (উনি তখন জেলে ছিলেন )
FYI: খুনি জলিল ও আসাদ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে রয়েছেন ।
বেশিরভাগ আত্মজীবনীই গ্রহণযোগ্য হয় না। শাহ মোয়াজ্জেমেরটা পড়লে তো মনে হবে এই লোক না থাকলে বাংলাদেশেরই জন্ম হতো না।
শাহাদুজ্জানের একটা উপন্যাস পড়ছিলাম 'ক্রাচের কর্ণেল' । এইটা পড়লে তাহেরকে খুবই ভালো একজন লোক বলে মনে হয় । আসলে মনে হয় প্রত্যেক সেনা অফিসারের ভিতরেই একটা স্বৈরাচারী মনোভাব থাকে । এরা এক বনে দুই বাঘ পছন্দ করে না ।
সময়টা ছিল অস্থির। মানুষগুলোও অস্থির।
দারুণ একটা লেখা! বইগুলো আমাদের সবার পড়া দরকার।
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা মাসুম ভাই।
এইটা ১০০তম পোস্ট? আমি খেয়ালই করি নাই। সাব্বাস মাসুম।
আরে না মীর ভুল কয়ছে।এটা ১০১ তম পোস্ট।
জ্বি না। এইজন্যই আগের পুস্টে মাসুম ভাইরে জিগায় নিসি কয়খান ড্রাফটে আসে
@ রাসেল ভাই
তুমি মাসুম ভাইয়ের মাধবীলতার পোস্ট থেকে ঘুরে আসো।ওখানে আমি একটা কমেন্ট দিয়েছি আর এখন উনার প্রোফাইলে গিয়ে চেক করো দেখো কি কয়।

ওইখানে আপনে ভুল লিখেছেন। মাধবীলতা পোস্টের পর মাসুম ভাইএর পাতায় পোস্ট করেছেন ১০০ দেখাচ্ছিলো। তখন আমি ড্রাফট পোস্টের সংখ্যা জানতে চাই। সে সময় তার একটা পোস্ট ড্রাফটে ছিলো। যে কারণে পরের পোস্টটা (ক্যু ও পাল্টা ক্যূ) সেঞ্চুরী পোস্ট।
ভাই ভুল করছেন, স্বীকার খান।
আমি উনার পোস্টগুলা এখন গুনে দেখলাম। ১০০ টা আছে। পোস্ট করেছেন ১০২ টি। তারমানে আরো একটি পোস্ট রিসেন্টলি ড্রাফট হয়েছে।
লিস্টের জন্য ধন্যবাদ। এখানে মাত্র তিনটা বই আমার পড়া, কত বই যে সংগ্রহে রাখা দরকার
সময় করে যোগাড় করে ফেলবো।
নীলুফার হুদার বইটা পড়ার আগ্রহবোধ করছি।
নীলুফার হুদার বইটা পড়ো। পড়া প্রয়োজন।
প্রিয়তে।
হুমম, এগুলো পড়লে মাথা ঘুরে।
মন্তব্য করুন