আবারও পেচ্ছাপেচ্ছি
১.
আবহাওয়া খারাপ। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় পানি জমে আছে।
দুই ভিক্ষু হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে কোথাও। পথে দেখে খুব সুন্দরী একটি মেয়ে, রাস্তা পার হতে পারছে না। সামনে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। মেয়েটিকে দেখে ভিক্ষুদের একজন মেয়েটাকে কোলে করে নিয়ে রাস্তা পার করে দিল। মেয়েটাও কৃতজ্ঞতা জানালো।
তারপর আবার হেঁটে হেঁটে দুজনে আগের মতো পথ চলতে লাগলো।
অনেকক্ষণ, অনেকক্ষণ পরে দ্বিতীয় ভিক্ষুটি হঠাৎ বললো,-এটা কী করলা তুমি। মেয়েটা সুন্দরী দেখে এভাবে তাকে এতোটা রাস্তা কোলে বহন করে রাস্তা পার করে দিলা?
প্রথম ভিক্ষুটি তখন একটু হেসে বললো,-আমি তো মেয়েটাকে ওখানেই রেখে এসেছি। বহন তো করছো এখন তুমি।
এই গল্পটা আমার অনেককেই আজকাল শুনাতে ইচ্ছা হয়।
২.
চট্টগ্রামের অনেক বদল হয়েছে। দীর্ঘসময় পার করে খুব দ্রুতই দুবার গেলাম চট্টগ্রাম। ভাল লাগছে। ট্রাফিক জ্যামটা অবশ্য ঢাকার মতো অসহ্য। এবার ছিলাম, হোটেল লর্ডস ইন। ভালই লাগলো। চিটাগং-এ হোটেলে থাকা নিয়ে অবশ্য আমার মজার দুটো অভিজ্ঞতা আছে।
নতুন বিয়ে করেছি। হানিমুনে গেছি কক্সবাজার। উঠলাম হোটেল শৈবালে। রুমে গেছি। রুমে টুইন বেড। একটা মেয়েকে নিয়ে হোটেলে গেছি, অভ্যস্ত ছিলাম না বলে অস্বস্থি হচ্ছিল। রুমে ঢুকেই হোটেলের বয় লাগেজ রেখে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, টুইন বেড কি একসঙ্গে করে দেবে।
আমি কিছু না বুঝেই বলেছিলাম-না না দরকার নাই। হোটেল বয়টা আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো।
তারপর?
তারপর আমরা দুজনেই টেনে টেনে বেড জোড়া লাগালাম।
আরেকবার গেছি একটা প্রোগ্রামে। এক সঙ্গে অনেক সাংবাদিক। একটা রুমে দুজন করে থাকতে হবে। ঠিক করলাম আমি আর মিরাজ (বিবিসিকে আছে এখন) এক রুমে থাকবো। রিসেপশনে গিয়ে আমরা চাবি নিচ্ছি। হোটেল সেন্ট মার্টিনে উঠেছিলাম। আমি আর মিরাজ চাবি চাইতেই আমাদের জিজ্ঞেস করলো,-আপনাদের কি ডাবল বেড দেবো না টুইন বেড?
আমরা কিছুটা সময় তব্দা খাইয়া বললাম, টুইন বেডই দেন।
আমাদের সঙ্গে ছিল মোয়াজ্জেম, (এখন বিবিসিতে) ওর বাড়ি চট্টগ্রামে। ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, এই প্রশ্ন খালি চিটাগং-য়েই করবে, আর কোথাও না।
৩.
এবার সময়ের অভাবে নীড় দা ও রুমিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি। এয়ারপোর্ট থেকে ফোন করেছিলাম। রুমিয়াকে বললাম ঢাকায় আসতে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, সহজে আসা হবে না। আমি বললাম, তাহলে ঢাকার একটা পাত্র দেখতে হয়। রুমিয়া দেখলাম বেজায় খুশী। বললো, তাহলে তো ভালই হয়, আমাদের সঙ্গে আড্ডা মারা যাবে, খিচুরি খাওয়া যাবে
রুমিয়ার অনুরোধে এই অংশটুকু.........
রুমিয়ার জন্য পাত্র প্রয়োজন। প্লাস্টিক, স্টেইনলেস স্টিল, লোহার পাত্র কোনোটাতেই রুমিয়ার আপত্তি নাই। কেবল ঢাকার হলেই হবে।
এবিবাসী অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ বলে আমার সুপারিশ।
অতএব-আগ্রহীরা......................
৪.
ইন এ বেটার ওয়ার্ল্ড ডেনমার্কের ছবি। এবার সেরা বিদেশি ভাষার ছবি হিসেবে অস্কার পেয়েছে। ডেনিশ ভাষায় মূল ছবিটির যা নাম তার অর্থ রিভেঞ্জ। ছবিটার সাথে এটাই অবশ্য মানায়।
ছবিটিতে একাধিক ঘটনা আছে। আমি ছোট্ট অংশটুকু বলি। এন্টন একজন ডাক্তার, সুদানের এক রিফিউজি ক্যাম্পে চিকিৎসা দেয়। তার রুগিরা মূলত মেয়েরাই, একটা স্যাডিস্ট যুদ্ধবাজের নানা ধরণের বিকৃতির শিকার।
সেই যুদ্ধবাজ একদিন ক্যাম্পেই আসলো পায়ের চিকিৎসা করতে। একজন চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া তার কর্তব্য। কিন্তু সবার আপত্তি। তাও চিকিৎসা দেওয়া হল।
একদিন একটা কিশোরী আসলো, মারা গেলো অপারেশন টেবিলে। আর যুদ্ধবাজ সেই নেতা চাইলো মৃত কিশোরীটাকে। এবার ডাক্তার সেই যুদ্ধবাজ নেতাকে ছেড়ে দিল ক্ষুব্ধ যারা তাতের হাতে।
ছবিটা বেশ ভাল। দেখতে পারেন।
৬.
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান দমিনিক স্ত্রস কান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। গত ১৪ মে আইএমএফের প্রধানকে নিউইর্য়কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর আটক করে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিউইয়র্কেরই একটি হোটেলের নারীকর্মী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে।
আজ তাকে নিয়ে একটা মেইল পেলাম। বাইরে থেকে একজন বড় অর্থনীতিবিদ পাঠিয়েছেন।
কিছু না বলে সেইটাই না হয় তুলে দেই........
No one told Dominique Strauss-Kahn that being Director of the IMF doesn't mean you get to do to people what the IMF does to countries . . .
like korlam. banglish likhe psot er soundorjo noshto korte chai na
আসলে অফিস তোমারে ব্যান মারছে। অফিসরে জিগাও
মসুম ভাই, আপনার জন্য দেশি ওপেন পিট
একটা কলম থাকলে সার্কেলটা আইকা দিতাম। ছোটবেলায় জ্যামিতি ক্লাশে গোল আঁকতে কষ্ট হইতো।
আপনার জন্য একটা খারাপ খবর আছে। আপনি বিদ্যা বালানের যে ছবিটা দেখাইছিলেন ওইটা ফেইক বইলা প্রমানিত হইছে (
থাইক কষ্ট নিয়েন্না
আরে সাবারে দেখি সুন্দর লাগতাছে। ব্লাউজের ডিজাইনটা তো ব্যাপক..............!
হ, সার্কেল টা পছন্দ হইছে
যা দিলেন তাতে কষ্টে কেমনে থাকি?
নাউজুবিল্লাহ!
শুনছিলাম, এখানে প্রগতিশীলতারে বোরকা পরাইয়া শরিয়ত মোতাবেক জামাতি থুক্কু জামাতে ব্লগিং করা হয়! কিন্তু একি হাল! নাম ডুবাইলেন দেখছি তাদের।
সাবা ড়ে দেইখা মাথা ঘুরায়া পইড়া গেছলাম... ইলেকট্রিফায়িং ব্যাপার স্যাপার
"সাবারে দেইখা হাবার মত তাকাইয়া থাকা" উপমাটা কেমন?
বিলাইরে আজকাল দেখি না যে? উপমাটা ব্যাপক পছন্দ হইছে
মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানে সাবা আমাদের হাবা বানাইতে এই ড্রেসে গেছিল। আমিও ঐ অনুষ্ঠানে ছিলাম। টের পাইলে সামনা সামনি থুক্কু পিছন-পিছন দেখতাম
এইডা আবার কেডা? খালি মুখ কেন?
সাবা কে ?
@শাওনমিয়া, উপমা তো খাসা.। মাগার নিজের ক্ষেত্রে ব্যাভার করাটা ইট্টু ড্যানজারাস হয়া যায়... আমি বরং কমু ''সাবারে দেইখা বোবা হয়া যাওয়া''.. সত্যিই বোবা.. ছবি দেইখা তৈরী হওয়া মনোভাব সবার সামনে প্রকাশ করতে না পাইরা বোবা হয়া আছি ...
@ মাহবুব ভাই- তিনি একজন অ-হিট নায়িকা, বর্তমানে ওপেন পিট পদ্বতিতে কয়লা উত্তোলন বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়ার জন্য জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন; আর জানেনইতো যা কিছু ভালো তার সাথে পিআলো... হেরা প্রচারের দায়িত্ব নিছে ... দ্রস্টব্য যে , এবি ব্লগের ব্লগাররা ওপেন পিট নীতির সাথে নীতিগতভাবে একমত
বুক কিপিং এর শর্ট কোর্স কর্তে হপে
এইটা কে জানি?
মেয়েটারে সুন্দর লাগতেছে!
হ, বড়ই সৌন্দর্য।
ইহা তো দেখি পুরাই "ডিজিটাল ড্রেস"...একটা "শুন্য" আর অনেকগুলান "এক"!!!!
~
একের মধ্যে আপনেও চইলা যান
বরাবরের মত মজার
ডাবল প্লাস
প্লাস? কই প্লাস? আমিও দেবো।
অনলাইন-অফলাইন
কিন্তু প্লাস কিভাবে দিবো? আমি তো শুধু পছন্দ করতে পারি।
কতদিন প্লাস-মাইনাস দিই না সামহোয়্যারিনে প্রচুর দিতাম।
তা ঠিক এবিতে প্লাস অপশনটা নেই। সামহোয়্যারে মাইনাস প্লাস...আহা কি মজার অবশ্য মাইনাসটা এখন নেই ওখানে।
প্লাসও নাই। শুধু পছন্দ করা যায়। সবাই উত্তরাধুনিক হয়ে গেছে। ওল্ডিশদের টেনশন বাড়ছে।
আপনাদের পেচ্ছাপেছি দেখে একটা কথা মনে পড়লো, সামুতে এক লোক ইংরেজীতে পোষ্ট দিতো আর আমরা দলবেঁধে তাকে মাইনাস দিতে যেতাম। যে নেটে থাকতো না তাকেও ফোন করে নিয়ে আসতাম। মাঝে মাখে সামী বান্দরামী করে ওই পোষ্টে একটা প্লাস দিয়ে যেতো আর আমরা তখন ক্ষেপে বোম! আহারে কি দিন ছিলো!
সামুর মাইনাস প্লাস........কত মজার আর করুণ স্মৃতি যে আছে। একবার তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে লিখা আমার একটা পোস্টে এত মাইনাস পড়েছিল যে দেখে আমার কান্না চলে আসছিল মনে হচ্ছিল যারা মাইনাস দিচ্ছে তাদের হাতটা কেটে ফেলি
পুরো হাত না কেটে শুধু অনামিকা কাটতে চাইলেও চলতো কিন্তু। মাউস দিয়েই তো মানুষ মাইনাস দেয়। এক আঙ্গুলের কারবার।
আমার অভ্যাস ছিলো পোস্ট পড়া হলে একটা প্লাস দিয়ে যাওয়া। মানুষকে একটু উৎসাহ দেয়া- এই আর কি। তো একবার এরকম প্লাস দিয়ে কমেন্টে লিখেছি 'পোস্টে প্লাস'; আর সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো দুর্মুখ জাপটে ধরেছে, কে হে এই আংড়েজী পোস্টে প্লাস বর্ষণকারী? আমি অবশ্য চোটপাট খুব কম করতাম তখন।
সামুতে শেষ দিকে দেখলাম, আমি যাই লিখি কে যেন একটা মাইনাস দিয়া যায়।
৩নং নিয়া কিছু বলতে গেছিলাম, কইলাম নাহ!
আরে বইলা ফালাও..
বলো, ভয় কিসের?
Dominique Strauss-Kahn-এর বিষয়টা আমি বুঝি নাই ঠিক। ফ্রেঞ্চরা বিষয়টারে মার্কিনী আর সারকোজির কন্সপিরেসী বলার চেষ্টা করতেছে। এই লোক আইএমএফ'এর মতোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলো আবার দেশে সে সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা।
এই লোক নেক্সট ইলেকশনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী
সিনেমাটা নামাইলাম।রাতে দেখুম।
=====================
আর তিন নাম্বার নিয়ে কিছু বলার নাই।
কেমন লাগছে সিনেমাটা?
যা বলার বইলা ফেলান। এইটাই সুযোগ
........... বাহ বাহ ... লাইক।
রুমিয়ারে দৃষ্টিটা বড় করতে হবে। খিচুড়ি না আরো ভাল জিনিস খেতে হবে। যেগুলো ঢাকায় পাওয়া যায় না
পোষ্টটা মজার হয়েছে শখত মামা
হ, আবার ঢাকার ভালো ছেলেদেরও আবার বিয়ে হয়ে গেছে। রুমিয়ার কী হবে?
চট্টগ্রামের সবচেয়ে অসহ্য জিনিস হচ্ছে ৯৫% গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বের হয়।
@ রায়হান ভাই এইরকম আরো কিছু পোস্ট দেন
চিটাগং-এ পেছন থেকে কালো ধোয়া বের হবে এইটাই তো স্বাভাবিক
সিনেমাটা দেখবার ইচ্ছা হইতেসে!
দেখো, ভাল লাগবে
পহেলা বৈশাখে খিচুড়ী রানছিলাম, রুমিয়া জানলো কি করে ???
শখত মামা চিটাগাং থেকে আসলেই কেমুন জানি পোষ্ট দেয়
নতুন ফ্লাটে ওঠার খবরটাও এই সুযোগে দিয়া দেন সাঈদ
মাসুম ভাই ঘনঘন চাটগা যাচ্ছেন... দিক ভুল না করলেই হয়
ডমিনিক স্ট্রস-কান আগেও ইরাম কারবার করছে... সবগুলা ফ্রেন্চম্যান ইতো দেখি কিরাম জানি ঘপলাবাজ.. বারলোসকুনি, স্ট্রস-কান.. .। এরা চাটগা গেলে কি করত কে জানে!!
দিক ভুল হবে না। কথাটা স্ট্রেইট জানাইলাম আবারও
ফোন করার জন্য মাসুম ভাইরে বিরাট ধইন্না
এবার তোমার সঙ্গে দেখা হল না, আর রাস্তাও পার হইতে পারলাম না
পরের বার অবশ্যই দেখা হবে।রাস্তা ও পার করে দিব।মানে আপনে পার করাই দেবেন
আপনাদের কি ডাবল বেড দেবো না টুইন বেড ? এই প্রশ্ন খালি চিটাগং-য়েই করবে, আর কোথাও না !
এটা চাঁটগাঁয়ের সর্বত্র নাকি , মাসুম ভাই !?
লেখা ভালু হইছে . . .
চিটাগং ছাড়া এই প্রশ্ন আর কোথাও শুনি নাই
প্রথম গল্পটা অসাধারন, আমিও শুনাইতে চাই এখন থেইকা, অনেক কেই।
আপনে দেখই লাজুক ছিলেন, হোটেল বয়ের সামনে বেড জোড়া লাগানের কথায় শরমে ভ্যাবাচ্যাকা!!!!
আমি এখনও লাজুক, মাসুম।
প্রথম ভিক্ষুটি তখন একটু হেসে বললো,-আমি তো মেয়েটাকে ওখানেই রেখে এসেছি। বহন তো করছো এখন তুমি।
তাহলে, ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? এইসব ব্যাপারস্যাপার শরীর বহন করে না, বহন করে মন?
আপনি কিভাবে বহন করেন? ইয়ে মানে কিভাবে বহন উচিৎ সেইটা জিগাইলাম আর কি।
"বিবাহ" মানেও কিন্তু "বিশেষ ভাবে বহন" করা
~
রাষ্ট্রগুলারে এতদিন ধইরা আইএমএফ যা কইরা আসছে সেইটা মাইনষের সাথে করতে গেলেই যত সমস্যা! ইকোনোমিস্টদের এইটা নিয়া সোচ্চার হওয়া উচিত।
আমারও...
একটা মেয়েকে নিয়ে হানিমুনে গেলেন, কক্সবাজারে ?
আমি একজন এবিবাসী হিসাবে আগ্রহী। আমার বাসায় বিভিন্ন রকমের অনেক পাত্র আছে...
আমার ছবি দেখে সবাই হিন্দী ফিল্মের নায়িকা বলে ভুল করে। যখন জানতে পারে আমি আসলে বাংলাদেশের তখন দারুন অবাক হয় -- সোহানা সাবা
সেই কবে নামাইছি আর আজ দেখলাম।যথারীতি ভালো লাগছে।
মন্তব্য করুন