লিমন দিয়ে শুরু করেছেন, এখনও বাকিগুলোও পারলে করেন..........
অবশেষে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকার ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারার পর বুঝতে পারছে মানুষের অসন্তুষ্টির এটিও একটি কারণ। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা তুলে নিয়েছিল ব্যাপক সমালোচনার মুখে। কিন্তু লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেনি র্যাব। এমনই দম্ভ ও ক্ষমতা তাদের। ১৬ বছরের একটি গরীব ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দেখানো হল। নির্বাচনে ভরাডুবি না হলে, সামনে জাতীয় নির্বাচন না থাকলে আমি নিশ্চিত যে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা চলতো।
অনেক দেরী হলেও সরকারের এই সিন্ধান্তে ধন্যবাদ জানাই। তবে লিমন দিয়ে বৈতরণী পার পাওয়া যাবে না। আরও কিছু কাজ করতে হবে। তার একটা তালিকা করা যায়।
১.
পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। এখনও হচ্ছে। অথচ মাত্র একটি মানুষের জন্য বাংলাদেশের এতো বড় দুর্নাম হল। বিশ্বব্যাংকের ওয়েব সাইটে আজীবন ঝুলবে যে, বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কেবল একটি লোককে বাঁচাতে গিয়ে সর্বনাশ করা হয়েছে মূলত দলের। এখন পিঠ বাঁচাতে প্রথম যে কাজটি করা প্রয়োজন তা হল, দ্রুত সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার। সরকার দেখিয়ে দিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারই পারবে হারানো ভাবমূর্তি খানিকটা রক্ষা করতে।
২.
সেদিনও প্রধানমন্ত্রী বললেন, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী ফালু ও বাদল। অর্থাৎ দায়ী বিএনপির নেতা ও বন্ধুরা। ধরে নিলাম দায়ী ফালু-বাদলরা। কিন্তু এই দুইজনের মূল পার্টনার কে?
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটিও একজনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। সে কে?
সেই লোকটি হলেন সালমান এফ রহমান। আওয়ামী সভানেত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা। আওয়ামী লীগের আমলে ৯৬ এর কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তার নাম যুক্ত ছিল।
অথচ এবার কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। অর্থমন্ত্রী ক্রমাগত বলে আসছেন মামলা করা যাবে না। কারণ সাক্ষী নেই। সাক্ষীর চেষ্টা সরকার কবে করলো?
শেষ সময় যদিও। তবুও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী সবার বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করুক সরকার।
৩.
হলমার্ক কেলেঙ্কারির জন্য নাম এসেছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর। এই কেলেঙ্কারির দায় নিতে হবে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন সদস্যকে। বিশেষ করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইমুম সরওয়ার। সবার বিরুদ্ধে মামলা করুক সরকার। কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা মিলে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের সুযোগ দিয়েছে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। সম্ভবও না। মামলা করুন, গ্রেপ্তার করুন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বাদ দিন।
৪.
কালো বিড়ালের জনক সুরঞ্জিত সেন গুপ্তকে দ্রুত মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দিন। দুদক পুরোনো ভোল পালটে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করুক। গ্রেপ্তার করুক। এতো বড় প্রকাশ্য দুর্নীতির পরও বড় বড় বুলি ঝাড়ছে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। একটু লজ্জাও করে না।
৫.
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার চার বছরে যা করেছে তার একমাত্র কারণ প্রতিহিংসা। একটা রাষ্ট্রযন্ত্র পুরো ব্যবহার করা হয়েছে এ কাজে। একটা অথর্ব কমিশন গঠন করেছে সরকার। তাদের হাস্যকর সুপারিশ সরকারকে আরও ডুবিয়েছে। একটা পাগলও বলবে না গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯ টুকরা করার কথা।
দ্রুত কমিশন বাতিল করা হোক। বলা হোক সরকারের কেউ গ্রামীণ বা ইউনূস নিয়া আরেকটা কথাও বলবে না।
এরই মধ্যে সরকারের বিপাক অবস্থা দেখে ইউনূস পালটা আঘাত করার একটা পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। সুতরাং সরকার সাবধান।
৬.
শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি, গ্রামীণ ব্যাংক ঘটনা-সব কিছুর দায় দায়িত্ব অবশ্যই অর্থমন্ত্রীর। তিনি হয় কারো নির্দেশে করেছেন অথবা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনিই বা কেন থাকবেন?
৭.
আর আছে ছাত্রলীগ আর যুবলীগ। আছে টেন্ডারবাজি। আপনাদের মনে আছে? এই সরকার এসেই দরপত্রের নিয়ম পালটে ফেলেছিল। বলেছিল, অভিজ্ঞতা যাদের নাই তারাও টেন্ডার দাকিল করতে পারবে। বিধিটি বদল হয়েছিল দলের লোকজনের জন্য। এর ফলাফল খারাপ হবে বলে সেসময়েই লেখালেখি হয়েছিল। ফলাফল তো দেখাই যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কে? কার বুদ্ধিতে তা করা হয়েছিল। দলের লোকেরা অনেক পেয়েছে, দল কি পেল? পরাজয়ের আশঙ্কা।
৮.
মন্ত্রীসভায় কচি কাচার আসর বসানো হয়েছিল। তারা নাকি শিখবে কাজ। কি শিখলো? সেই মূল্যায়ন কই? বলেছিলেন মন্ত্রীরা সম্পদের বিবরণী দেবেন? সেটা কই?
ভাল কথা। মুজাহিদ আর গো আজমের রায় প্রস্তুত। এখন আর রায় হয় না কেন? রাজনৈতিক কারণে? রায়টা দিয়ে দিন দয়া করে। যে কোনো কাজ অর্ধেক করে রেখে দেওয়া আরও খারাপ।
তালিকা আরও বাড়ানো যায়। লিমন দিয়ে শুরু করেছেন, এখনও বাকিগুলোও পারলে করেন..........
আমার মনে হয় সরকার দেরী করে ফেলেছে... ফিরে আসার সুযোগ কম।
তাইতো মনে হচ্ছে
সময় গেলে সাধন হবে না!
একমত
Thanks of your solid and clear proposition of the failure of present Awami League government.
Thank your for your clear ideas
এই লেখাটা আওয়ামী কারোও কাছে পৌঁছানো দরকার, পয়েন্ট ধরে ধরে সল্ভ করা উচিৎ বাকি যেই সময় আছে তার মধ্যে! আমি আশাবাদীদের দলের লোক, তাই মাসুম ভাইয়ের কথাটাই আবার বলিঃ
সব কাজই পারতেন বা পারেন বা পারবেন একমাত্র শেখ হাসিনা। আমার কেন জানি মনে হয় উনিই চান না। আর উনি চাইলে এইসব সমস্যা দুইদিনের ব্যাপার ঠিকঠাক করার।
সবাই জানে ইস্যু গুলো শুধু জানেনা তেনারা
গলুই পর্যন্ত ডুবে গেছে । এ অবস্থায় অত্যন্ত অভিগ্গ মাঝির পক্ষেও কুলে নাও ভিড়ানোর মরিয়া চেষ্টাও অনেক সময় সফল হয়না । আর এতো শেখ হাছিনা ! আপনার পরামর্শ তার কান পর্যন্ত যাবেনা, ধরেই নেয়া যায় । অতীতে শুভার্থী কারো কথা ধরেছেন এমন নজির নাই ।
বোধোদয় হবে কি? মনে হয় না!
্কখনো কারোই বোধোদয় হয় নাই, হবেও না। মাইর ছাড়া উপায় নাই, মাইরের উপর অষুদ নাই।
লিমন: ‘আমার মা হেনোয়ারা বেগম র্যাবের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, সেই অভিযোগ সত্য। সেই মামলার বিচার হলেই আমি প্রকৃত বিচার পাব বলে মনে করি।’
http://www.dainikamadershomoy.com/index.php/editor-s-column/item/20187-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A7%8B-%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6...
সুশাসনের যে বিকল্প নেই এরা কবে বুঝবে? সুশাসন থাকলে ভোটের জন্য ১টাকাও খরচ করতে হত না।
কিছু ভুল তো থাকবেই। কোটি কোটি মানুষের গরিব দেশ।
আসুন আমরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি ধারণ করি। চলেন তাদের মাফ কইরা দেই।
খুবই দরকারী পোষট। কাজ কি কিছু হবে???
মন্তব্য করুন