ইউজার লগইন

আহসান হাবীব'এর ব্লগ

বুয়েটের বাপ(পর্ব-৬)

অনেকদিন কেটে গেল, ছেলে আবার লিখেছে বাবাকে শহরে এসে কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে যেতে। চাচা তো এটাই চেয়েছিল সেবার বেশী পাওয়ারের চশমা কিনে যে ঠকাটা ঠকেছে তার ব্যাথা আজও মনে হলে কলিজা ফানা ফানা হয়ে যায়। টাকার শোকের চেয়ে বড় শোক আর হয় না, চাচা এটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।
দিনক্ষণ ঠিক করে আবার চাচা শহরে গেলেন। এবার বুড়িকে সাথে নিতে চাইলেও বুড়ি বলল আপনেই যান, আমি দেখি পরের বার যামুনে।

বিজ্ঞান তোমাকে ছালাম(শেষ পর্ব)

প্রথমে চলুন দেখি আগুনের উৎস গুলি কি কি?
ক শ্রেনীর আগুন – সাধারন ধাহ্য বস্তু যেমন, কাঠ,কাপড়, পেপার, খড়, রবার, প্লাষ্টিক ইত্যাদি।
খ শ্রেনীর আগুন- এই ধরনের আগুনের উৎস হল, ধাহ্য তরল পদার্থ যেমন পেট্রোল,কেরসিন,তৈল জাতীয় পদার্থ,গ্রীজ, তেল রং, ইত্যাদি।
গ শ্রেনীর আগুন- এই ধরনের আগুনের উৎস হল ধাহ্য গ্যাস।
ঘ শ্রেণীর আগুন- ধায্য ধাতব শ্রেনীর জিনিস যেমন, ম্যাগ্নেসিয়াম,টিটেনিয়াম, সোডিয়াম, লিথিয়াম, এবং পটাসিয়াম ইত্যাদি।
ঙ-শ্রেণীর আগুন- রান্নার কাজে ব্যবহৃত তেল বা ফ্যাট জাতীয় বস্তু।
চ শ্রেনীর আগুন- বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি, বা বৈদুতিক তারে সর্টসার্কিট জনিত আগুন।
আগুনের উৎস গুলো দেখা হল, এবার চলুন কোন ধরনের আগুন নিভাতে কোন ধরনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা যায়।

ধরন ও যে ধরনের আগুনের উপর ব্যবহার উপযোগী
পানি- ক

ফোম/ক্রিম- ক,খ
ড্রাই পাউডার----- ক,খ, গ,ঘ,ঙ
কার্বন-ডাই- অক্সাইড- খ,ঙ
হেলন ১২১১/বি সি এফ- এখন সাধরনত ব্যবহার করা হয় না।

বাথরুম না রেস্ট রুম ( গল্পটি আমি প্রথমে গেট টুগেদার নামে আরম্ভ করেছিলাম)

আমাদের সমিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র মোক্তাদির (আদরণীয় পূর্নাইয় পণ্ডিত) কে মেইলে প্রেরন করার ক্ষনিক বাদেই,তিনি আমাকে মহান ব্যক্তি হিসেবে ঊল্লেখ পূর্বক পাল্টা মেইল করিলেন। আমি এবার সেল যন্ত্রটি হাতে লইয়া ডিজিটাল যুগের নির্দেশিত ডিজিট গুলোতে অঙ্গুলি নির্দেশ প্রদান করত প্রেরন বাটনে চাপ প্রদান করিলাম। পণ্ডিত অবশ্যই কর্ম ফুসরতে ছিলেন। পিক করার সাথে সাথেই আক্রমন করিলাম। কিরে ব্যটা পাম দিতে তো ভালই শিখিয়াছ। আমি আবার কবে থেকে মহান ব্যক্তি হইলাম। নারে দোস্ত তুই.........।

বিজ্ঞান তোমাকে ছালাম(প্রথম পর্ব)

আগুন আগুন চিৎকার শুনে বাম দিকে তাকাতেই দেখি সহকর্মী রাজিব অ্যাকাউন্ট্‌স এর জি, এম, শ্রী শঙ্কর বাবুর রুমের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। এ সময় অফিসে আমাদের এ জোনে আর কেউ ছিল না। আমাদের এক প্রাক্তন সাইট ফোরম্যান আমাদের কোম্পানির সাথে এখন ছোট খাট ব্যবসা করেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়াতে এম ডি স্যার, ম্যাডামসহ সবাই তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে কিনা এ বিষয়ে ছোট কনফারেন্স রুমে আলোচনায় রত।অ্যাকাউন্ট্‌স এর জি, এম সাবও কোন এক মিটিংয়ে অফিসের বাইরে ছিলেন। আমি রাজিব সাহেবকে অনুসরন করে রুমে ঢুকেই দেখি স্প্লিট এসির ভিতরের ইউনিট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ও এক পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।

মাগো ভাত খাবো

( এটা আমার লেখা প্রিয় কবিতার একটি তাই পুরান হলেও এ ব্লগে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আমার এ ইচ্ছাকৃত অপরাধ কি ক্ষমা করা যায় না!)
লোভাতুর রক্তপিপাসু মাছিগুলো
বারবার কাটাফাটা রক্তাক্ত শরীরে
হানা দেয়।
অবচেতন শরীর ও মন,
নরম ঘুমের বারবার ব্যঘাত ঘটায়।
প্রায় অবশ হাতে মাছিগুলোকে
তাড়াবার ব্যর্থ চেষ্টা?
আর রুক্ষ্ম মরুর দু-স্বপ্নের মাঝে
সু-স্বপ্ন দেখা।
দেশ স্বাধীন হয়েছে, রুদ্ধশ্বাসে সবাই
ছুটে চলেছে গগন বিদারি জয় বাংলা
জয় বাংলা স্লোগানে।
আচমকা নরশ্বাপদের ঊচ্চ চীৎকার,
আর দুপায়ের স্বজোর লাথি,
উঠ শালে, শালে জয় বাংলা ঊঠ।
হরমড়িয়ে তাকিয়ে দেখে-----
কোন কিছু বুজে উঠার আগেই
নাকে মুখে কিল ঘুসি ও থাপর
বাতা শালে বাতা, কৌন কৌন হ্যায়
তোমহারা সাথ..................।
কিন্তু মা যে বলে দিয়েছে
যত নির্যাতনই করুক না কেন বাবা
কারো নাম বলবি না।
তাইতো নিশ্চুপ সব অত্যাচার সহ্য করা।

ধীরে ধীরে ভাঙ্গা জানালা ও ভেন্টিলেটরের
ফাঁক গলিয়ে আসা আলোর রেখাগুলো
ক্ষীন হতে ক্ষীণতর হতে লাগল।
বারবার চোখের পাতা ঘসেও
আলোর রেখাগুলোকে স্বাভাবিক করা গেল না।

জয়া তোমাকে বলছি

তুমি কি সেই জয়া
নাকি পার্বতী যার তপস্যার গুনে
ব্রহ্মার বরে
সোনার রঙ্গে রঞ্জিত হল অঙ্গ
নাম হল পার্বতী থেকে গৌরী।
নাকি তুমি
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের
নীলোৎপল তুল্য
নীলাভ জ্যোতিময় দৃষ্টিতে সৃষ্ট
ব্রহ্মার ত্রিকালেশ্ররী জগদ্ধাত্রী
বিষ্ণুপ্রিয়ার- জগদ্ধাত্রী লক্ষী
শিব শঙ্করের কৃষ্ণবর্ণী পার্বতী বা গৌরী,
তাই জয়া ও সৌন্দর্য অবিচ্ছেদ্য
যেমন
মেঘ ও বৃষ্টি
জল ও শীতলতা
আগুন ও আগুনের তাপ
চন্দ্র ও তার আলো
সূর্য ও তার দৃপ্তি
পৃথিবী ও তার সব কিছুর রূপ রস গন্ধ
জয়া বা পার্বতী হল সাগর
সোন্দর্য হল নদী
নদীর কি সাধ্য!
সাগর পানে ধেয়ে না যায়।
তাই সৌন্দর্যের কি সাধ্য
জয়া থেকে দুরে থাকে।
তবে কোরআন বলে
লাকাদ খালাকনাল ইনশানা
ফি আহসানী তাকবিম(সুরা- ত্বীন, আয়াত-০৪)
আমি অবশ্যই মানুষকে
সৃষ্টি করেছি
সুন্দর অবয়বে।
তাই
আবশ্যকতা আছে কি?
ফেবুতে ষ্টেটাস
দিয়ে জানতে?
তুমি কত সুন্দর!
কারন
তুমি, আমি সকলেই
সুন্দর!!!!

হকির দিনাজপুর ও বান্দরবন

আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ
একদিকে অবহেলিত দিনাজপুর
অন্যদিকে ততোধিক অবহেলিত বান্দরবন
হাতে হকিস্টিক পরনে খেলোয়ারি পোশাক,
এ ষ্টিক নয়তো রক্ত ঝড়ানোর ষ্টিক
এ ষ্টিক যে নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক
এ যে ক্রিকেট ব্যাট বলের পর
আশা জাগানিয়া আর একটি জয়গানের প্রতীক
এ ষ্টিক যে বাঘের হুংকার,
এ ষ্টিক যে বঙ্গোপসাগরের গর্জন,
এ ষ্টিক লক্ষ্য ভেদী আঘাতে
হকি বলটিকে লক্ষে পৌছানোর ষ্টিক
এ ষ্টিকের আঘাতে আঘাতেই
পৃথিবী হয়ত আবার দেখবে বঙ্গ সার্দুলদের
বিশ্ব কাপে
পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ড সহ
রথী মহারথীদের বধ।
সেদিন খুব দুরে নয়----
সেদিনের অপেক্ষায় থাকলাম
সাথে দিনাজপুর ও বান্দরবনকে
জানাই শুভেচ্ছা।
২৮/০৫/১৩

বুয়েটের বাপ(পর্ব-৫)

বুয়েটের বাপ(পর্ব-৫)

নির্জনতায় বসবাস

১৬X১৪ ফুটের একটি কামরা
দুদিকের দেয়ালে
পিলার টু পিলার জানালা
পর্দা সহ খুলে দিলে
বাগানের পুরোটাই নজরে আসে।
অবাধ্য বাতাস
বিনে বাধায় এপাশ খেলা করে
এই রুমটি বাদে পুরো বাড়ীটাই
ভাড়া দেয়া। আজ ভাড়াটিয়ারাও নেই।
আমার পছন্দের এ ঘরটিতে
আমি একা, আমার একাকীত্বের
আমার নির্জনতা উপভোগের
এর চেয়ে উত্তম জায়গা আর নেই।
অমাবষ্যার নিকষ অন্ধকার,
পূর্ণিমায় চাঁদের আলো,
রাত জাগানিয়া পাখির মত
জেগে জেগে নির্জনতা
ঊপভোগ করি।
আজ ভর দুপুর...
বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
মৃদু মন্দ হিমেল হাওয়া।
খোলা জানালায়
এপাশ ওপাশ খেলা করতে
আপন মনে আমাকে ছুয়ে যাচ্ছে।
বাগানের গাছগুলো কৈশোর পেরিয়ে
যৌবনে পদার্পন করেছে।
পরিবেশের সাথে তারাও
প্রকৃতির আপন খেলায় মত্ত
কে কার উপর পড়ছে।
কে কাকে আদর করছে
বলা মুশকিল!
তবে অনেক কিছুই ঘটছে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, হিমেল হাওয়া,
বৃক্ষ রাজির প্রাকৃতিক খেলা,
একটি পরগাছা
কি যে মমতায় আশ্রিতকে জড়িয়ে।।

আমার মন প্রাণ নির্জন সত্তা
শিশ্ন সহসাই—
তারই কি দোষ দেব বল
বাগান বাড়ীর পিছনের অর্ধ উচু
প্রাচীরের উপর দিয়ে
সদ্য প্রস্ফুটিত কলার থোর,

জল্লাদের চোখে একজন তাহের

আপনার জীবনের স্মরণীয়
ঘটনা কি?
কর্ণেল তাহেরের ফাঁসি
কেন?
মৃত্যুর কালো মুখোশ
ছুড়ে ফেলে নিঃশঙ্ক চিত্তে এগিয়ে গিয়ে
কেউ নিজে
ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তে পারে
আমি কখনও দেখিনি , শুনিও নি
আমার জল্লাদি জীবনে,
তাহের
কর্ণেল তাহের,
দেশ প্রেমিক তাহের
বীর যোদ্ধা তাহের,
বীর মুক্তি যোদ্ধা তাহের
একজন ভাই তাহের,
যে বোনের ডাকে
১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে ছুঁটে যায়
বোনাইকে বাঁচাতে
সে বোনাই-ই ফাঁসি দেবার জন্য
আমার কাছে পাঠিয়ে ছিল।
আমি যে দেশ সেরা জল্লাদ।
তাঁকে ফাঁসি দেব
সে সাধ্য আমার কোথায়!
আমি পারিনি,আমি পারিনি
আমি কেন সাড়া পৃথিবীর
কার সাধ্য তাঁকে ফাঁসি দেয়।
সে যে যোদ্ধা, যোদ্ধার প্রতীক
১৯৬৫ র যুদ্ধ বিজয়ী বীর
মেরুন প্যারাসুট উইং খেতাব অর্জন কারী।
১৭৭১ এ ১১ নম্বর সেক্টরে পা হারিয়েও
মৃত্যুকে জয় করে হন বীর উত্তম।
১৯৭৬ সালের ২১জুলাই নিজেই
নিঃশঙ্ক চিত্তে মৃত্যুকে জয় করে হন
মৃতুঞ্জয়।
সাড়া দেশ,সাড়া পৃথিবী
তোমাকে জানে মৃত্যুহীন
ভয়হীন
একটি প্রাণের নাম
তাহের
কর্ণেল তাহের।।
তোমাকে নিয়ে লিখি
সে সাধ্য কি আমার
তাই তোমার বানী দিয়েই

আজ জোনায়েদের জন্মদিন

ফজরের আজান হয়ে গেল
মুসুল্লিগন মসজিদে যাচ্ছেন
দিন শুরুর প্রথম নামাজ
আদায় করতে।
সাত বছরের মেয়ে মৌ
জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে।
কাজের বুয়া ও কয়েকজন আত্নীয়
অপারেশন থিয়েটারের সামনে ।
আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিয়ে গেছে
ওটিতে।
এটা তার দ্বিতীয় সিজারিয়ান।
বগুড়ার মৌ ক্লিনিকের ডাঃ গোলশান আরা
আমার স্ত্রীর শিক্ষক, সব ডাক্তার বিশেষ
পরিচিত ও যত্নবান।
তবু কিছু মুহুর্তে মানুষের মনটা
হয়ে যায় অতি দুর্বল।
আমারও তাই, দোয়া ইউনুস থেকে
যত দোয়া জানি, পড়ে যাচ্ছি।
মিনিট ৪০-৪৫ পর নার্স এসে
তোয়ালে জড়িয়ে আমার কোলে দিল,
পৃথিবীর সকল সুখ,সকল সম্পদসম
আমার ছেলে
জোনায়েদ মাসুদ হোসাইন(শিফাত)কে।
অবশ্য এটা আমার দ্বিতীয় পাওয়া
আমার মেয়ে একি ক্লিনিকে
একই সময়ে আমার কোলে এসেছিল
সাতটি বছর আগে।
একই বা তারচেয়েও বেশী অনুভূতিতে।
ঠিকমত পরিষ্কার হয়নি, রক্ত ও শ্লেষা
লেগে আছে ওর গায়ে,
তাতে কি চুমুর পর চুমু খয়ে যাচ্ছি।
ওর নানি বলল, পাগল হয়ে গেলে নাকি।
আজান দাও,
আমি লজ্জা পেলেও
আল্লাহু আকবার, আলাহু আকবার
আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান
ধ্বনিতে মৌ ক্লিনিকের চারদিকের

বুয়েটের বাপ(পর্ব-৪)

চিফ ইঞ্জিনিয়ারগন কাজে যোগদানের নোটিশ পাবার পার চিফ ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যাটাস কয়েকদিনের মাঝেই তিরোহিত হতে লাগল। আমাদের ক্যাডেট কলেজ বা ইংরেজী মাধ্যমে পড়ুয়া বন্ধুরা তেমন সমস্যায় না পড়লেও আমরা যারা বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা করেছি, তাদের কাছে সব কিছু যেন এভারেষ্টে আরোহণের চেয়েও কঠিন হয়ে দেখা দিল। কার কাছে জানি শুনেছিলাম মরাকে আরও মার, আমাদের মান্যবর স্যারেরা যেন তারই প্রতিযোগিতায় নামলেন। এস, এস,সি ও এইচ এস সি তে যে সব বিষয় গুলো বাংলায় পানির মত সহজ ও অত্যন্ত মজা করে পড়েছি, স্যারদের ইংরেজীর কচকচানিতে তাই যেন ইস্পাত কঠিন দৃঢ় হয়ে সামনে উপস্থিত হলো যা আমাদের/আমার খুপড়িতে ঢুকছিল না। ইংরেজী জানার যে দৌড় ছিল তাতে এক লাইন পড়তে কতবার ডিকশনারি খুলতে হতো হিসেবে নেই। আমার বন্ধুরা সবাই এমন ছিলে তা কিন্তু বলছি না।

সজল খালেদের মৃতু ও বন্ধু শুভ কিবরিয়ার ফেবু স্ট্যাটাস

আজ তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে চমকে গেলাম। আহারে কি সুন্দর একটা মানুষ! ওর এমন অকাল মৃত্যু হবে কেন?
( মাফ করো বন্ধু, তোমাকে জ্ঞান দেবার জন্য নয়, আমরা যে তাঁর কাছে কত অসহায় সেটাই শুধু শেয়ার করছি)
বন্ধু তুমি বা আমি কেউ কি জানি কখন আমদের মৃত্যু হবে। জানিনা, পৃথিবীর কেঊ জানে না কখন তার মৃত্যু হবে। এমন কি নবীরাসুলগনও জানতেন না তাদের মৃত্যু কখন হবে। কারন
নাহনু কাদ্দারনা বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা নাহনু বিমাছবুকিন (সুরা ওয়াক্কিয়া,আয়াত-৬০)
অর্থঃআমি তোমাদের মৃত্যুকাল স্থির করেছি এবং আমি অক্ষম নই।
(৩১৫৯)সহীহ বোখারী শরীফ

ছোট চাচা (শেষ পর্ব) তবু নামটা এখনও ঠিক করতে পারিনি।

স্বপ্নটা ভেংগে গেল

(জোনায়েদ মাসুদ হোসাইন)
বিঃ দ্রঃ (কবিতাটা আমার নয়। আমার ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলে জোনায়েদের লেখা)

বিকালে খেলা শেষে
বাসায় ফেরার সময়
গ্রামীন ফোন বলল, চল বহুদূর।
বহুদূর গিয়ে দেখলাম
অন্ধকার হয়ে এসেছে
তারপর পাশ থেকে “রবি” বলল
জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে।
আমি ভাবলাম, এটি আবার কোন দেশে এলাম
“বাংলালিংক” বলল
এটি হচ্ছে বাংলালিংক দেশ।
আমি পিছন ফিরে বাসায় যেতে লাগলাম,
তখন টেলিটক বলল,
এমন কচ্ছপ গতির ইন্টারনেটের মত হাঁটলে
চলবে না।
আমি দৌড়াতে লাগলাম
ফেরার পথে সামনে
একটি বাধ পড়ল,
পাশ থেকে টেলিটক বলল
বাঁধ ভেংগে দাও।
আমি বাঁধ পেরিয়ে ভয়ে
দৌড়াতে লাগলাম,
বাসায় পৌছলে বাবা বলল
এটি কোন সময় হল বাসায় ফেরার
সময় কি বাংলালিংক দামে বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ একটি জোড়ালো আওয়াজে
আমার স্বপ্নটা ভেংগে গেল।
১৮/০৫/২০১৩ ইং