বিষণ্ণ বাউন্ডুলে'এর ব্লগ
বৃষ্টি ও অন্যান্য..
তাড়াহুড়া করে চা'য়ের কাপে চুমুক দিতেই ঠোট পুঁড়ে গেল অনীতার।মেজাজ এমনিতেই খারাপ,আরো খারাপ হয়ে যায়।
মেজাজের দোষ দিয়ে অবশ্য লাভ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছে অনীতা,আজ ছিল তৃতীয় সেমিস্টারের শেষ দিন।আগেই ঠিক করা ছিল,আজ ক্লাস শেষে তিনটা'র ট্রেনে বাড়ি যাবে।ছুটির দিনগুলি হলে বসে বসে পড়াশোনা করে নষ্ট করার কোন মানে হয়না!ট্রেনের টিকেট-ও আগেই কাটা।
ক্লাসগুলো ভালোই মজা করে কাটছিলো,সবার মাঝেই ছুটির আগাম ফূর্তি।শেষ ক্লাসে এসে শুধুশুধুই ঝাড়ি খেতে হল,তা-ও আবার অনীতার সবচেয়ে প্রিয় স্যারের কাছে।কারন কী,অনীতার পাশের সিটের মেয়েটা কি যেন জানতে চাইছিল বারবার।হায় রে বিচার!
যাই হোক,ক্লাস শেষে হলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে বের হতেই।নিমিশেই শরতের আকাশ মেঘে মেঘে অন্ধকার।শাহবাগ পর্যন্ত আসতেই,বৃষ্টিতে একেবারে কুকুর বিড়াল অবস্থা।কেমন যে লাগে।
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে..[এলোমেলো কাব্যকথন]
# # # # #
কাঠফাটা রোদ,
ভ্যাঁপসা গরম..
এলোমেলো চুলে,
ক্লান্তিহীন পথচলা..
গন্তব্যহীন..
উপেক্ষায়,
হারিয়ে যায়..
তপ্ত দুপুর..
ভাবনার বরষায়;
হৃদয় জুড়ানো,
স্বস্তির পরশ..
বিষণ্ণতার চাদর গায়ে..
থেমে থেমে;
পথের ধারে,
এক কাপ বিস্বাদ চা..
ভাবলেশহীন..
দুঃখবিলাসে;
মৃদু হেসে,
হেটে চলে-
বাউন্ডুলে..
# # # # #
রিম ঝিম ঝর ঝর,
তুমুল বর্ষণ..
মন পাগল করা,
আচানক;
বুনো বৃষ্টি..
যেন,
আকাশ ভেঙে পড়েছে আজ..
আকাশ পানে,
আত্ম সমর্পণ..
বাড়িয়ে দেওয়া মুখে,
হাতের মুঠোয় বৃষ্টি..
ভিজে চুল,
পানি যত-
ত্বক বেয়ে নামে..
শান্ত,
শীতল প্রাণ..
বরিষণ পরশে,
আত্ম বিসর্জন..
স্বস্তির স্পন্দন,
শান্তির আহ্বান..
ভেজা মেঘ,
ভেজা বৃষ্টি..
ভেজা চোখ;
স্বচ্ছ,
ভেজা দৃষ্টি..
এভাবেই..
কিছু অসাধারণ ক্ষণ;
কিংবা,
কয়েক আলোকবর্ষের পর..
আঁধার হারিয়ে,
আলোর আকাশ..
বেলা শেষে একদিন..[অণু গল্প]
বাসাটা কেমন যেন অচেনা লাগছে আজ,নিহা'র কাছে..
কেন জানি মনে হচ্ছে,কোথাও কেউ নেই..একদম-ই যে কেউ নেই,তা অবশ্য বলা যায়না।
বারান্দায় ইজিচেয়ারে বাবা শুয়ে আছে আর রান্নাঘরে মা বোধহয় চা বানাচ্ছে বাবার জন্য।
নিহার নিজের-ই জানা ছিলনা,ও যে এত শক্ত ধাতের মেয়ে।এই কয়েকদিন যে কী একটা দৌড়াদৌড়ি গেল..ভাইয়া তো দুবাই,ছুটি পায়নি বলে আসতেই পারলো না।সবকিছু বলতে গেলে নিহাকেই দেখতে হয়েছে।বিকেল পর্যন্ত ঘরভর্তি চেনা-অচেনা যত লোকজন।আর সন্ধ্যার আলো আধারিতে এসেই যেন আজ নিঝুম অন্ধকার..
হাসিমুখেই ছিল নিহা,পুরোটা দিন।কিন্তু সবকিছুর শেষে আর সামলাতে পারেনি নিজেকে,ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছে..
নিজের ঘরটা-ও খুব অচেনা লাগছে আজ।ফিটফাট বিছানা,গোছানো আলনা..কিছুই যেন নিহার সাথে যায়না।এলোমেলো করে দিতে মন চায় সবকিছু..
শারদীয় 'দেশ' ১৪১৮-কিছু কথা:অন্তরাল ও অন্যান্য
[ডিসক্লেইমার:
আমার বই পড়তে খুব ভাল লাগে।হোক গল্প বা উপন্যাস। নতুন বা পুরানো। বই হলেই হয়। মাঝে মাঝেই ভাবি একেকটা বই পড়ে তা নিয়ে আমার ভাবনা টা সবাইকে জানিয়ে দিই। সাহস পাইনা। ভাবি, আমি কে যে এত্ত ভাল বই নিয়ে কিছু বলব! লীনা আপার অসাধারণ গ্রন্থালোচনা আরো দমিয়ে দেয়। এত ভাল ভাবে গুছিয়ে লেখা,বুঝিয়ে লেখা অসম্ভব! আবার,এগুলি পড়তে পড়তে একটু একটু সাহস পাই। মনে হয়, নিজের কাছে নিজেকে কোন কিছুতেই তুচ্ছ ভাবার কোন মানে হয়না। যা ই লিখি, যতটুকই লিখি -চেষ্টা করতে ক্ষতি কি? তাই এই লেখা। বোদ্ধার দৃষ্টি নয়, নিতান্তই এক পাঠকের চোখে দেখা কিছু লেখা নিয়ে কথকতা।]
বেশ কয়েকদিন হ্ল, মাথায় কোন লেখা আসেনা। প্রত্যেকদিন ভাবি আজ একটা কিছু লিখব,কিছুতেই কিছু হয়না। তাই ভাবলাম আর সবাই যা লিখছে, তা নিয়েই বরং লিখি একটা কিছু।
দুই চামচ ভালবাসা!
***ইতি তোমার,'আমি'..***
..তবুও মনে রেখ।
নীলাকাশে চেয়ে..
বিকেল ছাদের হাওয়ায়;
উচ্ছাশে,
মেঘেদের সাথে ভেসে যাবে বলে..
দিবা রাত্রি,
ভর দুপুরে বৃষ্টি ভিজে..
বিষণ্ণতা সারাবেলা..
উষ্ণ জোছনা ছুঁয়ে,
আলো আঁধারির সাতকাহন..
আনমনে,
দুষ্টুমিতে আলতো হেসে..
কেউ একজন ছিল..
তোমায় ভালবেসে..।।
***প্রিয়তমেষু..[ভালবাসা কবিতা!]***
জেনো..
বৃষ্টি নয়,
আকাশ জুড়ে
বিষণ্ণতার নীল..
এলোমেলো যতোসব
স্বপ্ন আমার,
ভেঙ্গে পরে বারেবার..
বেদনার নীল হয়ে,
আকাশ ছুঁয়ে;
অশ্রু হয়ে ঝরে..
জেনো..
না বলা কথা যত,
কথকতা কত শত..
ভালবাসা,
হারায় ভাষা..
মেঘ হয়ে,
উদ্ভ্লান্ত -
ভেসে যায়..
তোমায় ভেবে..
জেনো,
দিনভর সোনালী রোদ্দুর..
বাতাসের গা'য়,
রুপোলি ডানার চীল..
এক পা দু'পা পথ,
অকারনে প্রিয়
ঘাসফুল..
গোধূঁলির লাজ রাঙা,
লাজ ভাঙ্গা আলো..
এটুকুই উপহার,
তোমার..আমার..
আবোল তাবোল -৩
[ডিসক্লেইমার:
আরেকটা হাবিজাবি টাইপ পোষ্ট। ঘুম ঘুম চোখে; ক্লান্ত মস্তিস্কের হাবিজাবি চিন্তার এলোমেলো উপস্হাপন।]
#বিষয়: ভ্রমন, ঘুরাঘুরি ও অন্যান্য হাবিজাবি।
আমি দুঃখবিলাসি মানুষ। খুব ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে। বাঊন্ডুলের মতন। যখন ইচ্ছা, যেভাবে ইচ্ছা।
পারি না। তাই, বিষণ্ণ লাগে। রয়ে যাই, যে কে সেই। বিষণ্ণ বাউন্ডুলে।
অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। কোথাও যেতে নিলেই আম্মুর খালি টেনশন। হয় এক্সিডেন্ট হবে আর নয়তো মরে টরে যাব। একটা কিছু হবেই!
কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ,ডুলাহাজরা,হিমছড়ি আরো কত কী জায়গা ভাইয়া ঘুরে এসেছে বন্ধুদের সাথে। তখন কিছু না, আমার বেলাতেই যত আপত্তি।
এত্ত বড় হইয়া গেলাম, এখনো কক্সবাজার-ই দেখা হইল না!
আর বন্ধুগুলাও জানি সব কেমন কেমন! প্ল্যান ট্যান সব ঠিক-ই হয়, কিন্তু শেষে এসে সব হুট্ করে ভন্ডুল।
বুকওয়ার্মস!(বই নিয়ে কথকতা!)
আমার ছেলেবেলা আর বড় হয়ে ঊঠার সময় টা কেটেছে নানাবাসায়,সাহিত্যিক নানার ছায়ায় নানান রকম বইয়ের সাথে।
বাসা ভরা ছিল গল্পের বই। ছোটদের আর বড়দের সব বই, আলাদা করা ছিল তিনটা ইয়া বড় বই এর আলমারীতে। বেড়ে উঠার একেকটা ধাপে হাতে আসা একেকটা জগতের চাবি,অনুভূতিটা বলে বোঝানোর নয়।
বাসার সবাই-ই বেশ পড়ুয়া, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে আমারও তাই খুব বেশি সময় লাগেনি। আম্মু তো এখনো বই পড়তে বসলে রান্নার কথা ভুলে যায়,এরকম অবস্থা! আমার আর কী দোষ!
নাকের ডগায় ঈদ! [ঈদ নিয়ে হাবিজাবি/খোঁজখবর পোষ্ট!]
আজকে একুশ রোযা শুরু হয়ে গেল!
দেখতে দেখতে, কথা নাই বার্তা নাই ২০ রোযা শেষ!আর কয়দিন গেলেই, হুট্ কইরা দেখা যাইবো ঘুম থিকা উঠলেই ঈদ!
রমজানের এই একটা মাস ক্যামনে যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হইয়া যায়, এইটা আসলেই একখান গবেষনার বিষয়।
এই রোযার মাস টা আইলেই বোঝা যায়,
ভাল জিনিস বেশিদিন থাকেনা!
এখনো কয়েকদিন বাকি আছে তাই ভাবলাম, ঈদ লইয়া সবার লগে একটু আড্ডা মাইরা লই।
আশা করি, সবার রোযা ভালই চলতেছে। সাথে, ঈদ প্রস্তুতি ও।
গত দুইবারের মত এইবার ও রোযা ঢাকাতেই কাটাইতে হইব।মহা বিরক্তিকর ব্যাপার।ঢাকায় তো ঈদের ফিলিংস ই খুঁইজা পাওয়া যায় না।আমাদের বিল্ডিঙেই ঈদের দিন অনেকের ঘুম ভাঙে দুপুর বেলা।চাঁনরাতে পার্টি সার্টি করেই তো টায়ার্ড, ঈদের জামাত ধরবে কে?!শুধু মাছবাজার টাইপের চিরায়ত জ্যাম হারিয়ে গিয়ে রাস্তাঘাট মরুভূমি হয়ে যেতে দেখলেই বোঝা যায়, ঢাকায় এখন ঈদ।
আরেক ঝামেলা হল টাইম কাটানো।
আবোল তাবোল - ২
[ডিসক্লেইমার :হাবিজাবি টাইপ পোষ্ট।অলস সময়ের এলোমেলো চিন্তাভাবনা।যুক্তি খুঁজে লাভ নাই,মন চলে আবেগের রেলগাড়িতে!করার মত কোন কাজ থাকলে ইহা না পড়াই উওম]
#বিষয় ¤
আশা - নিরাশা, হতাশা ও ভালবাসা :
বাংলাদেশের 'ট্যুর অফ জিম্বাবুয়ে '।
আমি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নই।অনেক কিছুই ভাল ভাবে বুঝি না,নানান পরিসংখ্যান তো মনে থাকেই না।
বরং ক্রিকেট ভালবাসি বলা যায়।ছোট থাকতে ওয়াসিম আকরাম,সাঈদ আনোয়ারের পাকিস্তানের খেলা দেখেই ক্রিকেট ভালবাসা।মনে আছে,স্কুল লাইফের অনেকটা সময় কেটেছে বাসার ছাঁদে গনগনে রোদের মধ্যে ভাইয়ার সাথে ৫০ ওভারের ওয়ান ডে আর দিনে ৯০ ওভার করে ৫ দিনের টেষ্ট ম্যাচ খেলে!এখন সময় অনেক বদলে গেছে।আগের মত ক্রিকেট খেলা তো দুরের কথা,বাংলাদেশ ছাড়া আর কারো খেলা টিভিতেও দেখা হয়না খুব একটা।
তাই বরং বলা ভাল ক্রিকেট না,বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ভালবাসি।
বৃষ্টি ও জোছনা..[অলীক কাব্য - এলোমেলো কাব্যকথন!]
[পুর্বকথন :
বৃষ্টি,
তোমারো কী 'মন ভাল নেই' হয়?
যায় কী ছুঁয়ে বিষণ্ণতার হাওয়া?
তোমার আকাশ যায় কী ঢেকে মেঘে?
যাও কী ভুলে ভিতর বাহির যাওয়া?
'নীল বেদনা' সে-ও কী তোমার চেনা?
তুমি-ও বুঝি হুট্ অভিমান কর?
নীল আকাশে ভাসিয়ে মনের তরী,
নীল জোছনায় অঝোর ধারায় ঝরো?]
বন্ধ দুয়ার খোলেনি আজো,
আঁধারের কোলাহলে..
ডেকে যায়;
নিঃশব্দে,
তীব্র জোছনাপ্রহর..
মেঘের গা'য়ে জল,
জলস্পর্শে জোছনা
মেঘে ভিজে যায়,
ভেসে যায় জোছনা..
ভোরের আঁধার হয়ে;
ছুঁয়ে যায় জোছনা,
অগাধ বিশ্বাসে..
আরো একবার -
ভেসে যাক চরাচর,
রুপোলি স্নিগ্ধতায়..
..
ফিরে এসো জোছনা..।।
নিবর্ষা শ্রাবণ(অলীক কাব্য!)
[কোন এক শ্রাবণ দিনের শেষে,
প্রখর রৌদ্রদিনের স্মৃতি তখনো উজ্বল।
প্রতি পদক্ষেপে তার দিনান্তের ক্ষয়,
ক্লান্ত পথিকের পথ ভোলা দু'টি চোখ।
সেথায় দেখেছিলেম;
পড়েছে,
মেঘেদের ছাঁয়া..]
কালো পিচ ঢালা রাস্তা,
বিক্ষোভে ম্রিয়মান..
যেন ফেটে পড়বে সে,
আর একটুতেই..
ক্ষনিকের বাতায়ন,
নাড়া দিয়ে যায়;
বদ্ধ জীবনদ্বারে..
কেঁপে উঠে শিহরনে,
বয়োঃবৃদ্ধ গাছের;
শুশ্ক পাতা যত..
সময়ের মরচে পরা দেয়ালে,
একটা দু'টা চড়াই;
কাকে যেন ডেকে ডেকে ক্লান্ত..
নির্জন শহরতলীর;
কানাগলি রাস্তায়,
ধূলিঝড়..
ঘূর্নিপাকে উড়ে যায়,
পুরানো চিঠি -
ডায়েরির ছেড়া পাতায়;
সুসময়..
দুরে কোথাও..
চিরচেনা ছোট্ট নদীর;
নিঃশ্বাসে বিষ-
বালুকাবেলা রুক্ষ,
নদী তীর চৌচীর..
অথচ সেদিন বরষা..।
আবোল তাবোল-১
[ডিসক্লেইমার:
পুরাই হাবিজাবি টাইপ পোষ্ট।অলস সময়ের আজগুবি চিন্তাভাবনা।করার মত কোন কাজ থাকলে ইহা না পড়াই উত্তম।
তবুও যারা সময় করে পরবেন তাদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।চিন্তাগুলো আমার নিজের কাছেই বেশ এলোমেলো তাই লেখাটা খুব একটা গোছানো হবে না বলেই আমার ধারনা!]
বিষয় : বর্ষা ও মৃত্যুচিন্তা ।
বৃষ্টি পড়ছে।দিন রাত কোন বিরাম নেই। এই কমে তো এই আবার বেড়ে যায়।ছাতা ছাড়া বাইরে যাওয়া যায়না, এমন বিরক্তিকর অবস্হা।একেই বোধহয় বলে বর্ষার 'গাদলা'!
এইরকম দিনগুলো আসলেই, বিশেষত রাতের বেলা।জানি না কেন, আজগুবি একটা চিন্তা মাথায় এসে জ্বালিয়ে মারে।
চিন্তাটা আমাদের কবর জীবন নিয়ে!
আমরা জানি আমাদের মৃত্যুর পর যখন আত্মা শরীর ছেড়ে চলে যায়.তখন ওই শরীরের আর বিশেষ কোন মূল্য থাকেনা।ওই শরীরের আর কোন অনুভূতি ও থাকার কথা না।
কিন্তু হাদীসে এসেছে,
গ্রহান্তরী বৃষ্টি..(আধুনিকাব্য!)
সারারাত বৃষ্টি ঝরে গেল,
অঝোরে..
তমসাচ্ছন্ন নগরীর
অন্ধকারে,
মৃত্যুর ছায়া..
সময়ের নির্মমতায়,
বিমর্ষ প্রহর..
শেষরাতের ঘুমন্ত প্রহরী,
বরই গাছের পাতায় জল-
ল্যাম্পপোষ্টের নিয়ন আলোয়;
রুপোলি ঝিলিক..
স্তব্ধ সময়ের সাক্ষী;
বাতাসের গায়ে ভাসে,
কর্পূরের গন্ধ ভরা জল..
অসময় সময়ে;
সমুদ্দুরের অশ্রু ছুঁযে,
মেঘ হয়ে নামে..
বৃষ্টি,
গ্রহান্তরের চিরচেনা অচেনা আগন্তুক..।।
[ভাল লাগলে জানাবেন,
না লাগলে আরও বেশি করে..
ভাল থাকুন সবাই,
অনেক ভাল..সবসময়।।]
**আর কি লেখবো বুঝতে পারছিনা,৫০ টা শব্দ যে এত বেশি জানা ছিলনা!
জম্মদিনে..[-আবোল তাবোল!]
তেইশ!তেইশ হয়ে গেল?!
ভাবা যায়?এইতো মাত্র কয়েকদিন আগেই দেখতাম(আয়নায় আর কী!)
ছোট্ট নিরীহ শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্ট একজন!
ইস্কুল যায়,চুপচাপ বসে ক্লাস করে।বাদাম খায়,জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে।
বাসায় ফিরেই স্বমূর্তি!বাকি সারা দিন বাসার সবাইকে জালিয়েই দিন কেটে যায়।(এখনো!)
সেই পুঁচকার কী না বয়ষ এখন তেইশ!
বাপরে..!কত্ত বড় হইয়া গেছি!
অবশ্য লাভ নাই কোন।ছোট ছেলে তো,সারাজীবন ছোটই থাকতে হইব!
কী আর করা..
সারা দিন রাত দৌড়াদৌড়ি;চা কফি,পড়াশোনায় ফাঁকিবাজি আর দুষ্টামি!
এভাবেই চইলবে,
এই আমার কপাল!
বাহ,কত্ত বড় বড় কথা ভাবতে শিখে গেছি।কী দারুন নিদারুন অবস্হা!
মাঝে মাঝে একটু খারাপ-ই লাগে,
আমার সাথের পোলাপাইন সব পড়াশোনা প্রায় শেষ,দুইদিন পর চাকরিতে ঢুইকা যাইব।আর আমার সামনে এখনো অকুল দরিয়া অগাধ সমুদ্দুর ইত্যাদি ইত্যাদি..!
তার উপর যা একখান শহরে থাকি,
কোনদিন জানি ঠুস্ করে মরে যাই ভয়-ই করে।
আজ আমার মন ভাল নেই..
আজ সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর থেকেই মন খারাপ হয়ে আছে।বারবার শুধু নানার কথা মনে পড়ছে।কত্ত দিন হয়ে গেল নানাকে দেখিনা।নানা নেই এতদিন হয়ে গেল তাও ভাবতে অবাক-ই লাগে যে নানা নেই।কিছু কিছু মানুষ তাদের না থাকার মাঝেই অনেক বেশি করেই থেকে যায়।
নানার কথা মনে পড়লেই কিছু গান মাথায় ঘুরঘুর করতে থাকে।
এই যেমন,
হেমন্তের গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন।
অর্ণবের গলায়, নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে।
অথবা শাফাকাত আমানাত আলী খানের মোরা সাইয়ান মোসে বোলে না।