ইউজার লগইন
ব্লগ
বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন
তাপিত হৃদয়/ যেখানে শীতল হয়/ সেখানে বস্তু রবে জেনো নিশ্চয়...
বাম হাতের মধ্যমা আর অনামিকায় ধরা লাল বেনসনটায় সুখ টান দিতে দিতে নান্নু পাগলা যখন হেঁড়ে গলায় গানটা গেয়ে সামনে দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছিল, তখন রাত প্রায় ১২টা। শাহবাগের সেই রমরমা অবস্থা এখন আর নেই। মেট্টোরেলের লাইন বসার আগে জায়গাটা পুরোপুরি অন্য একরকমের ছিল! কোটি মানুষের শহরের এক বিরাট ব্যস্ত মোড়, তারপরও ওইখানটায় গিয়েই সকলের গতিটা যেন একটু স্তিমিত হয়ে পড়তো! নিন্দুকেরা মোড়ের যানজটকে মুখ্য দায়ে অভিযুক্ত করতে পারেন কিন্তু আমি বলি ওটিই সেই এক্স-ফ্যাক্টর! যার টানে শাহবাগ হচ্ছে শাহবাগ, আর গুলবাগ হচ্ছে গুলবাগ।
নষ্ট ভালোবাসা
নষ্ট ভালবাসা
এ কি বাস্তবতা
নাকি
দুঃস্বপ্নের পাশাখেলা।
কতদিন তোমাকে দেখি না
কতদিন দেখতে পাব না
জানিনা।
আজ ভিন্ন ছাদের নিচে তুমি
পেতেছ তোমার কল্পিত স্বপ্নের
বাস্তব চাদর,
আমিও তথৈবচ।
এমনটি কি হবার কথা ছিল।
মনে পড়ে
সেদিন গুলোর কথা।
অশোক পাপড়ি ভেবে ,
তব
লিপিষ্টক বিহীন রক্তাব অধরের
সুগন্ধে।
ভ্রমরকে হার মানিয়ে তোমাকে
নিষ্পেষণ করার কথা।
ফুলের গন্ধের বিলীনতা
বা সৌন্দর্যের সমাপ্তি
আমি দেখেছি
কিন্তু তোমার ভেজা ঠোটের
রূপ রস গন্ধের কমতি
কি যে বলব,
বেড়েছে বই
কল্পনাতেও ফুরোয় নি।
তাই তো আমার পাগলামো বল
বা তোমার রগে রগে
মম বিচরণের স্মৃতিকাতরতা বল
আজও বেড়েছে বই
কমেনি,
কখনো বাইসাইকেল,
কখনো মটর সাইকেল,
কখনও মার্সিডিসের গতিতে
আবার কখনও হাওয়াই জাহাজ
বা কখনও মহাশুন্য যানের গতিকেও
হাড় মানিয়ে
পাহাড়, নদী, জল
এমনকি কত শত
শিরোনামহীন
শিরোনামহীন (প্রথম পর্ব)
২২/০৭/২০২৩
ক'দিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কিনার সাধ,
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে কোথায় পাওয়া যায় কিছুই জানা নাই।
পাহাড় কেমন হয়, পাহাড়ের গুনাগুন কি, কোনটা ভালো মানের, কোানটা খারাপ মানের,তার কিছুই জানা নাই।
তবু আমার পাহাড় কেনার সাধ হলো।
আমি আকাশ, বাতাস, নদী সাগর অনেককেই জিজ্ঞেস করলাম, কেউ কিছুই বলতে পারলো না।
পাহাড় কেনার সাধ আমার কখনো পূর্ণ হবে না এই ভেবে,
পাহাড় কেনার ভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।
RTR তুর্কি টেলিভিশনে আর্তুগুল সিরিজ দেখছিলাম উর্দু ডাবিং এ।
বাংলা ডাবিং ও আছে কিন্তু ভিডিও ততো ভালো মানের ও ভিজিবল না,তাই উর্দুতেই দেখছিলাম।
হঠাৎ অনুভূত হলো বাতাস বার বার কানের কাছে এসে বাড়ি খাচ্ছে, বুঝলাম কিছু একটা বলবে।
আমার নির্লিপ্ততা দেখে, এবার বেশ জোরে শনশন শব্দে বাড়ি মেরে কানের কাছ দিয়ে বেরিয়ে গেল।
সিরিয়াল দেখা পাওস করে, মনোযোগ দিলাম বাতাসের কথায়।
কোন আকাশে বাস
গীতিকবিতাঃ কোন আকাশে বাস
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল হোসেন
৮/৭/২০২৩
তুমি কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
সেকি সপ্ত আকাশ
সেকি সপ্ত আকাশ।
সেটা কতদুর সেটা কতদুর
জানতে অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
আমি যখন ডাকি তোমায়
শুনিতে কি পাও?
সেকি তুমি শুনিতে কি পাও??
তব তরে কাঁদি যখন
দেখিতে কি পাও?
তুমি দেখিতে কি পাও??
জানার অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস।।
অত্যাচারীর অত্যাচার
তুমি দেখিতে কি পাও?
সেকি দেখিতে কি পাও??
মজলুমের কান্না তুমি
শুনিতে কি পাও?
সেকি শুনিতে কি পাও??
জানার অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
গল্প: কষ্টের রেলগাড়ি
অনেক দিন চিকন চালের ভাত আর মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল দিয়ে রাতে খাওয়া হয় না। ভাবতে ভাবতে যেই না মুরগির তাকের দিকে তাকিয়েছেন মুর্শেদ সাহেব, ভিমড়ি খাবার জোগাড় হলো তার।
এমনিতে দোকানটার তাকগুলো খুব সাজানো-গোছানো, যেকোন কিছু যাতে ক্রেতারা সহজে খুঁজে পেতে পারে, সেদিকে পূর্ণ খেয়াল রেখে বিন্যস্ত; সেটা তার জানাই। নিত্যদিন যে আসা-যাওয়া পেনি নামের সেই ছোট্ট ২৪ ঘন্টার স্টোরটায়। যেটা সপ্তাহে সাত দিন আর বছরে ৩৬৫ দিন খোলা থাকে। শুধু যেসব বছর লীপ ইয়ার অর্থাত ৩৬৬ দিনে হয়, সেসব বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি বন্ধ।
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা আমার লেখা গানগুলো PM SARGAM STUDIO কম্পোজ করছে।অনেকগুলো গান ইতিমধ্যে YouTube এ এসেছে। আমি জানিনা এখান গান আপলোড করার অনুমতি আছে কি না।
আমি চেষ্টা করেও পারিনি। দু'দিন আগে আপলোড হওয়া গানটির লিঙ্ক দিলান নিচে।
গীতিকবিতাঃ মরণরে তুই শ্যাম সমান
ইঞ্জিঃ মোঃ আবুল হোসেন
১২/০৬/২০২৩
যার সাথে হবে সদাবাস
হউক না যতই কালো
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো।
ভালো কিছু ভাবতে গেলে
চোখ করি বন্ধ।
আঁধারেই আলোর সন্ধান মেলে
নয়নতো আলোর পথ বন্ধ।।
যেই কবরে থাকবো আমি
সেও তো অন্ধকার কালো
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো।
ভাবনাহীন নিস্কলুষ মাথায়
কি যে সুখের ঘুম।।
তেমনি কি ঘুম হবে কবরে
নাকি শাস্তি ধুমাধুম।
শুধু শাস্তি হবে মন মানে না
সৃজিলেন যিনি,
অনেক বাসেন ভালো।।
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো
অনেক দিন পর, বন্ধুরা কেমন আছেন?
অনেক দিন পর, বন্ধুরা কেমন আছেন?
অনেক দিন মানে অনেক দিন পর। ২০১৪ সালে শেষ পোস্ট ছিল।
ব্লগটি এখনো আছে, এবং আমার কিছু লেখা, বাহ, বিস্ময় !
ব্লগটিকে এখনো যারা ধরে রেখেছেন, যারা লিখছেন নিয়মিত, তাদের সবার প্রতি অফুরান ভালোবাসা।
আমরা সবাই কালের প্রবাহে হারিয়ে যেতে এসেছি, এই হারিয়ে যাওয়ার মাঝে লেখা হচ্ছে একটি জ্যোতিচিহ্ন, একটি সাড়া...
ফলে, সাড়া দিন প্রিয় বন্ধুরা
অলীক ভাবনার জগতে হারিয়ে যাওয়া - ১
নতুন কোন কিছু অনেকদিন লেখা হয় না। ২০২২ সালের শেষদিকে একটা ডায়েরি শুরু করেছিলাম। সেটা শেষ হয়ে গেছে সেই কবে। তবে তারপর আর নতুন করে কিছুই লিখি নি। মাঝে একটা গল্প লিখেছিলাম। একটা মেয়ের মনের গল্প। সবকিছুর পরও না পাওয়াগুলো যাকে মাঝে মাঝে বিদ্ধ করে। তখন সে একটা অলীক জগতের স্বপ্ন দেখে। যেখানে একটা ঠান্ডা ও নিরিবিলি কাল্পনিক শহরে হারিয়ে যায় সে।
অলীক ভাবনার জগতে এই যে হারিয়ে যাওয়া, এটা বোধহয় আমাদের সবার সঙ্গেই ঘটে। নিজের আশপাশের জীবনটাকে সরিয়ে রেখে একটু হারিয়ে যাওয়া। কিন্তু যথাসময়ে এসব ভাবনার লাগাম পরানোটাও যে জরুরি, সেটাই বোধহয় শেষ গল্পটার প্রতিপাদ্য ছিল। এভাবে প্রতিদিন কত কত স্বপ্নেরা তাদের প্রয়োজনে জেগে ওঠে আবার প্রয়োজনে ডুবে যায় আমাদের মনের মানসপটে!
মাস্টারশেফ
ইহা হয় একটা নতুন লেখা। মনে হলো কতোকাল পরে ছন্দের সাথে আড়ি খেলে লিখলাম।
।।মাস্টারশেফ।।
তেল মসলার এই অলস দুপুর
কেমন ভিনদেশি মোড়কে কাটে।
বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো
একটা রাগী মোটর সাইকেল।
তার চাকার ঘুর্ণনে কিছু রসুনের কোয়া ছুঁড়ে দিলে
সাৎ করে থেমে গেলো মাঝরাস্তায়।
এযেনো এক্সরসিজম!
অলস আমার নোটবুকে টুকে রাখলাম,
যেহেতু ওউইজা বোর্ড ফেলে এসেছি
শৈশবের দম আটকানো অ্যাডভেঞ্চারে।
আমার পাকঘরে স্বপাক আহার,
সব বেপরোয়া বালকদের দেখিয়ে দেখিয়ে
মজাদার রান্না চড়াই চুলাতে।
আমি তাদের অব্যর্থ নার্সিসিজমে জল ঢেলে দিলে
তাদের ফ্যাকাসে মুখ আর বিস্ফারিত চোখ।
আমার তরকারিতে লবন, মসলা কিংবা তেল
সব ঠিকঠাক কষানোয়
লেগেছে রঙের বাহারী ঝলক।
যখন কাটিং বোর্ডে ছিলো চাকুর থ্রিলার
তখন এতোটা বর্ণিল ছিলোনা।
বয়সী বায়সের মতো আমার ভালো লাগে
দরজায় ঝুলিয়ে রাখা অলস সময়।
কি সব দিনরাত্রি
আজকাল কোন স্বপ্ন নিয়ে ঘুম থেকে উঠি না
মিনিমাম ২ ঘন্টা ফোন চালাই বিছানায় শুয়ে শুয়ে
তারপর ক্লান্ত চোখে তাকাই বন্ধ জানালাটার দিকে,
বিচ্ছিরি বিরক্তিরা চারটা পাশ ঘিরে ভিড় করে আসে।
কোথাও একটা ইঞ্চিও ওরা ফাঁকা রাখে না
যেন ফাঁকা কোন বর্গইঞ্চি পেলেই আমি পালিয়ে যাবো
ওইখানে। লুকিয়ে পড়বো সন্তপর্ণে। তারপর বিরক্তিরা আর
আমায় খুঁজে পাবে না।
আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই কলের পাড়ে
পানির ট্যাপ- ওটাকে কলপাড় বলা যায় না,
আবার যায়ও হয়তো কে জানে
ওই কলখানা দিয়েই তো ঠান্ডা,
গরম সবরকমের পানি আসে।
তারপরও কি রান্নাঘরের পানির ট্যাপকে কলপাড়
বলা যায়? না উচিত সেটা বলা?
আমার জীবনটাকেও খানিকটা সাযুজ্যময় মনে হয়।
শুধুমাত্র অলস একটা মস্তিষ্করূপী শয়তানের কারখানা ছাড়া
যার আর কোন কিছু নেই,
মানুষ হতাশ হলে বড় বিচ্ছিরি হয়ে যায়।
একসময় যেটাকে কলপাড় মনে হতো
আজকাল পানির ট্যাপও মনে হয় না
সাজি আপুর জন্মদিনে!
সেহেরীর সময় আমি ব্লগ লাইফকে ভীষন মিস করি। তা কি আজকের কথা। এক যুগ কিংবা তারও আগের সব গল্প। তখন পিসি ছিল বাসায় একটা। সেটা আমার ভাইয়ের। সে বসতো। কাজ করতো। আমি অপেক্ষায় থাকতাম তার উঠার। সে ঘুমাতো সেহেরীর আগে। আমি তখনই বসতাম না। সেহেরী তাড়াতাড়ি খেয়েই সামহ্যোয়ার ইনে বসে পড়া। ব্লগ, ইস্নিপ্স, ইয়াহু মেসেঞ্জার আর অনলাইনে পত্রিকা পড়া আর মেইল চেক এসবই ছিল রিচুয়াল। ব্লগ সেহেরীর সময় জমে ক্ষীর। আমরা যারা রাত জেগে আড্ডা মারতে পারতাম কম তাদের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। কারন তখন ভালো ভালো পোষ্ট আসতো, ধর্ম নিয়ে বাহাস হতো, আড্ডার খোশমেজাজ ও থাকতো। আমি অসংখ্য দিন রাতে অল্প ঘুমিয়ে সেহেরীর পর সারা সকাল জেগে ছিলাম ব্লগের উসিলায়। তখন এত কোয়ালিটি কন্টেন্ট নিয়ে মানুষ ভাবতো না, যার যা মনে আসতো লিখে দিতো। বুঝতে ও বোঝাতে পারলেই হলো। আমাদের অনেকে কবি হয়েছে, গল্পকার হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বুঝতে শিখেছে ব্লগ থেকে। আর সেইসব সেহেরীর
অন্য কোন প্রাণী হলে এত জঘন্য আত্মোপলব্ধি হতো না
পৃথিবীর মানুষের ওপর আমার যে ভয়ংকর রাগ হয়েছে। যদিও চেষ্টা করছি কমানোর। কিন্তু কমছে না। রাগে আসলে কি হয়? নিজের ক্ষতি ছাড়া আর তো কিছু দেখি না। ক্ষতিটাও সহজে বোঝা সম্ভব না। মনের ভেতর গোপনে এ ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। খেয়াল করে দেখলাম, ইদানীং আমার ইতিবাচক মানসিকতা ভয়াবহ হারে নিম্নগামী। রাগ নিয়ে ভাবতে থাকলে, আস্তে আস্তে বেড়ে যায় হৃদকম্পনও। যা শরীরের জন্য ভাল না কোনমতেই। তারপরও প্রায় প্রায়ই মানুষ নামক এই প্রাণীটির ওপর আমার অক্ষম নিষ্ফলা আক্রোশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি রাগ সরিয়ে সঠিক তথ্যের আলোকে বাস্তবের দিকে দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখা যাবে, দোষের মূলভাগটি আসলে আমারই।
এই দোষে দুষ্ট কমবেশি আমরা সবাই
প্রতিটা সকালে আমি সামনের বিল্ডিংয়ের জানালা, পর্দা, দেয়াল ইত্যাদি দেখতে দেখতে ঘুম থেকে উঠি। আগে খোলা আকাশ দেখতে দেখতে উঠতাম। এখন এক চিলতে আকাশ কোনমতে জানালা থেকে দেখা যায়। নামকাওয়াস্তে এসব নিয়ে মাতামাতি যদিও আমি করি, কিন্তু এটাও জানি বিষয়গুলো এককভাবে খুব সামান্যই গুরুত্ব বহন করে জীবনে। খোলা আকাশ দেখতে দেখতে ঘুম থেকে ওঠার সুযোগ হেলায় হারিয়ে কংক্রীটের জঞ্জাল দেখতে দেখতে ঘুম থেকে উঠছি বলে যে খুব কিছু গিয়েছে বা এসেছে জীবনে, তা না। পৃথিবীর সব মানুষই বুঝি এমন, তাই না?
জীবনের অপরিহার্য প্রয়োজনগুলো খুঁজে বের করুন
আজ প্রায় মাসখানেক যাবত কফি পান করা ছেড়ে দিয়েছি। তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। ছেড়ে দেয়ার আগে মনে হতো সকালে এক মগ কফি ছাড়া হয়তো সারাদিন মাথাব্যাথা করবে। দেখলাম তাও করলো না। কফি বাদ দিয়ে প্রতি সকালে এক কাপ করে গ্রিন টি পান করা শুরু করার পর দেখলাম, পানীয়টা শরীরের জন্যও দারুণ। শরীরের ভেতরের অনেক রোগ-বালাইয়ের উপসর্গকে দমিয়ে রাখে। আগে আমার পেটে তৈলজাতীয় খাদ্য থেকে সৃষ্ট জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তিকর অনুভূতি, বুকের কোনায়-কানায় মাঝে মাঝে খেলে যাওয়া ব্যাথা- ইত্যাদি নিয়মিত না হলেও, অনিয়মিতভাবে দেখা দিতে আসতো। গত এক মাসে সেসবের কোন বালাই ছিল না বললেই চলে।
বলতে পারি না কেউ আমরা
দিকে দিকে কত রঙ্গই না ঘটে চলেছে! দেশে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে আবারও খড়্গহস্ত হয়েছে সরকার। রুচির পুলিশেরা মাঠে নেমেছে গণমানুষকে রুচিশীলতার ট্যাবলেট গেলাতে। যারা মাঠে নেমেছে, তারা নিজ নিজ সংস্থা, সংগঠনের উপরের পদে উঠতে কি কি অরুচিকর কাজ করেছে জীবনে, তার হিসেব বেমালুম গাপ করা! আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তুও এটা। মানুষে মানুষে বিভেদ এবং তার কারণে সৃষ্ট অনিবার্য পশ্চাৎপদতা।