ইউজার লগইন

জ্যোতি'এর ব্লগ

খুঁজি তোরে আপন মনে

ঘুম হয়নি রাতে।চোখ জ্বলছে। এ আর নতুন কি!ঘুমের সাথে মন এবং রাত কোন একটা গোপন সন্ধি করে নিয়েছে।আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে জাগিয়ে রাখে।প্রতি রাতের মতো ইচ্ছে করছিলো তোমাকে একবার ফোন করি কিন্তু আমি জানি তুমি ঘুম ঘুম গলায় বলবে, 'হ্যালো! কি হইছে?'আমি বলব 'কিছু না। এমনি।' তাই শুনে তুমি অতীব নীরস মানুষের মতো বলবে 'ও আচ্ছা! ঘুমাও। ' মাঝে মাঝে এত রাগ হয়! এত বুদ্ধু কেন তুমি? আরো একটু ক্রিসপি, আদুরে, গুডিগুডি হলে কি এমন ক্ষতি হতো! Sad

সকাল হওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম সারারাত।ভাবছিলাম দিনটা কিভাবে কাটাবো :SS। একবার মনে হচ্ছে বইমেলায় যাই, হাত ধরে হাঁটব আর বই কিনব, তারপর রিক্সায় ক্যাম্পাসটা একবার ঘুরবো।আবার মনে হচ্ছে দূরে কোথাও যাই, নিরিবিলি কোন একটা যায়গায় ছুঁয়ে বসে থাকি চুপচাপ।ফাল্গুন এলেই মন এমন অস্থির হয় কেন কে জানে! হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে চায়।

কবিতা পড়ার প্রহর

চোখের উপর হাত উল্টো করে চেপে শুয়ে আছে অদিতি। ঘড়ির কাঁটা টিকটিক করে বাজছে। একটু আগেই সে ঘড়িতে সময় দেখলো রাত ১২.৪০ মিনিট। অদিতি ভাবছে, প্রতিদিন অরিত্রর সাথে তার দেখা হয় না, তবু একই শহরে থাকে, অকারণেই একটু পর পর কথা হয় ফোনে, অকারণ এস এম এস। মনে হয় দুজন দুজনের পাশেই আছে।অরিত্র গতকাল রাতের বাসে চট্রগাম গিয়েছে তার অফিসিয়াল কাজে।ঢাকায় না ফেরা পর্যন্ত অদিতির মন অস্থির থাকবে।মোবাইল ফোনটা আরেক হাতে ধরে আছে। ফোন করতে ইচ্ছে করলেও করতে পারছে না কারণ অরিত্রর সাথে তার দুজন সহকর্মীও আছে। তারা রাতের খাবারের পর আড্ডা দিচ্ছে, সেটা অদিতিকে এস এম এস করে জানিয়েছে।হাত সরিয়ে চোখ মেলে দেখতে ইচ্ছে করছে না কত রাত হলো।হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠলো।অদিতি খুব আদুরে গলায় বললো...
-হ্যালো!
-কি করো?ঘুমাওনি কেনো?
-তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো যে!মনে হচ্ছে অনেক দূরে তুমি।

দূরে কোথাও আছি বসে

কোন একসময় ভাবতাম, কবে বড় হবো?পড়াশোনা করতে হবে না,বাবা-মায়ের কড়া শাসন থাকবে না, ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াবো,প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়বো।মনের ক্যানভাসে যত রং আছে, সব রং মেখে নিজেকে রাঙাবো।বড় হতে হতে বাবা-মায়ের সেই কড়া শাসন হারাতে গিয়ে টের পেলাম উচ্ছলতার যে পাখাটায় ভর করে উড়তে চাইতাম সেই পাখাটাই আমি হারিয়ে ফেলছি।আমার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য সব পেছনে পড়ে যাচ্ছে।শৈশবের সময়টা মমতা মাখা, সেই সময়টায় মন ফিরে যায়, মন সিক্ত হয়।কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যে আসার দিনগুলিতে যদি ফিরে যাওয়া যেতো! আমার বন্ধুরা, আমার উচ্ছলতা কোন চোরাবালিতে যে দূরে চলে গেলো! আমি দূরে কোথাও বসে হাত বাড়াই, ছুঁতে পারি না। সেই সময়ের সাথে যোজন যোজন দুরত্ব আমার।

বন্ধু বেঈমান

২০১০ সালের শেষ সপ্তাহে মেসবাহ ভাই গেলেন সেন্টমার্ন্টিন , সাথে নিলেন রাম রাম রাম। টুটুল-নাজ-ঋহান গেলো সিলেট। আমি গেলাম বান্দরবান।লীনাপা একদিনের জন্য তসলিমা নাসরিনের বাড়ি বেড়াতে গেলেন, মাসুম ভাই ইলেকশন নিয়ে মহা ব্যস্ত।মেসেন্জারে কনফারেন্স নাই, ফেসবুকে খোঁচাখুঁচি নাই, ঢাকায় আড্ডা নাই। একজনের মেজাজ বিলা হয়ে গেলো।কারণ অফিসে সারাদিন কি করবেন?এভাবে কি কাজ করা যায়? বান্দরবান থেকে আসার পথে ফেসবুকে গিয়ে দেখলাম আমাদের সেই প্রিয় বন্ধু লিখেছেন...'কাল মানকিগঞ্জ যাবো Big smile ।' দেখার সাথে সাথে আমি এসএমএস করলাম যে কাল যাওয়ার প্রোগ্রাম বাতিল করেন,আগামী সপ্তাহে যান, সাথে যাবো।তিনি নিশ্চুপ। ভাবলাম এস এম এস দেখেন নাই অথবা ভাবে আছেন। পরদিন রাতে জিজ্ঞেস করলাম, মানিকগঞ্জ গেছেন কিনা। তিনি নিশ্চুপ। বুঝলাম বিরাট ভাবে আছেন।তবে আমাদের ফেলে ঘুরতে যাওয়ার মতো নিশ্ঠুর হবেন এটা কল্পনাও করিনি।

ভুং ভাং ফটো ব্লগ

সবাইকে ২০১১ এর শুভেচ্ছা এবং সবার জন্য শুভকামনা। নতুন বছর সবার অনেক ভালো কাটুক।
হঠাৎ করেই ২৭ ডিসেম্বর, ২০১০ ঘুরতে বের বান্দরবন, কক্সবাজার। ব্যাপক ঘুরাঘুরি করে গতকাল ফিরে এলাম।আমি ছবি ভালো তুলতে পারি না আর আমার খুব ভালো ক্যামেরাও নেই। তবু সাহস করে কয়েকটা ছবি দিলাম।

NILGIRI
নিলগিরি

nilgirite amra
নিলগিরিতে আমরা সবাই

Nilachol
নীলাচল

meghla
মেঘলা, বান্দরবন

meghla
মেঘলা, বান্দরবন

জেবীনের জন্মদিনে ঝুড়ি ভর্তি শুভেচ্ছা

অফিস এসে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম , আজ জেবীনের জন্মদিন।খুবই অবাক হলাম। জেবীনের জন্মদিন আর আমি জানি না? ফেসবুকে না ঢুকলে তো জানাই হতো না। সারারাত যেহেতু ফোন করিনি, এসএমএস পাঠাইনি, জেবীনের তো উচিত ছিলো আমাকে ফোন করে বলা যে তার আজ জন্মদিন.... আর আমি কেন উইশ করলাম না? Angry

আমরা বন্ধুর ফটোগ্রাফী দল এবং তাদের ফটো ওয়াক

ব্লগে, ফেসবুকে রায়হান ভাই এর তোলা ছবি দেখে ভাবি, এত সুন্দর ছবি তুলে কিভাবে? এক্টু আগেও নীড়দার পোষ্টে রায়হান ভাই এর তোলা এক্টা পাহাড়ের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকলাম। প্রায়ই উনাকে বলি , ছবি তুলতে কোথাও যাবেন?আমরা সঙ্গী হবো।উনি বেশীরভাগ সময়ই ভাবের উপড়ে থাকেন। অবশ্য তা না হলে কি আর মানায়?
এই ব্লগের অনেকেই দারুণ ছবি তুলে। ভাস্করদা, সাঈদ ভাই , মীর, বৃত্তবন্দীর এর ছবি দেখেও মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকি। মুক্ত, বোহেমিয়ানকেও দেখি ক্যামেরা হাতে। তবে এদের ফটো ব্রগ দেখি না। বিরাট ফাঁকিবাজ পুলাপাইন।আরো হয়ত অনেকেই আছে , যাদের কথা জানি না। সব ফটোগ্রাফাদের নিয়ে যদি একটা এবি ফটোগ্রাফী দল হয়, তাহলে কেমন হয়?ফটোগ্রাফাররা দলবেঁধে কোথাও ছবি তুলতে গেলো, আমার মতো ভক্তরা সঙ্গী হলো একদিন! এটা ব্রগার হিসেবে আমার ভাবনা, প্রস্তাব। দেখি কে কি বলে! আদৌ বাস্তবায়ন হবে কি হবে না সেটা ফটোগ্রফাররাই বলুক!

*******

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভূমিষ্ট হয়। বাংলাদেশের এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তাক্ত যুদ্ধ করেছে এ দেশের দামাল ছেলেরা।এ যুদ্ধ ছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ,পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ। মাতৃভুমির কপালে বিজয়ের লাল টিপ পড়াতে লাখো শহীদ তাদের বুকেরে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে,হাজারো মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন । আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি লাখ লাখ বীর শহীদের যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য এনে দিয়েছে স্বাধীনতা।

শিরোনামহীন-১

বিকেলটা ছিলো বিষন্ন। অফুরন্ত সময়, কারো জন্য অপেক্ষা নেই, চোখে ক্লান্তি নেই, কারো জন্য কোথাও যাওয়া নেই। শুধুই ঘরে ফেরা, নিজের জন্য...আর কোথাও যাওয়ার নেই বলে।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো, হেঁটেছি একা পথে। যেনো শুধু শূন্যতার দিকে যাওয়া।আকাশজুড়ে মেঘেরা থমথমে, কোথাও পাখিদের কিচিরমিচির নেই, গায়ে এক্টুও ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা নেই। বিকট শব্দ করে পাশ ঘেষে কিছু গাড়ি চলে গেলো। আমার একাকিত্বরা বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকায়।ঘোর আমাকে নিয়ে গেলো ঘরের দরজায়। আজ তালা খুলতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম, হাত থেমে থাকলো কিছুক্ষণ। কিছু ভাবিনি আমি। ভাবনাগুলোও ডানা মেলতে পারছে না।তালা খোলার শব্দটাও কানে বাজলো ভীষণ।ঘরের ভেতর জিনিসগলো আগেও তো এমন ছিলো, তবে এমন জড়পদার্থের মতো তো লাগেনি আগে!

বৃষ্টি ঝড়ে ঝিড়িঝিড়ি, মন চায় খেতে খিচুড়ী

কাল ফেসবুকে দেখলাম একবছর আগে আমাদেরকে আমাদের মহান মেসবাহ ভাই দাওয়াত করে খিচুরী খাইয়েছিলেন। তারপর দিন মাস পেড়িয়ে বছর হয়ে গেলো। ফেসবুকে সেই খিচুরী খাওয়ার ছবি কাল থেকে আবার দেখতে পাচ্ছি।


ল্যাব এইডের মজার খিচুরী


একবছর আগের ছবি দেখছি কাল থেকে

আমার ঈদ

ঈদ উপলক্ষ্যে ছুটি পেলাম মোট ১১ দিন।৭ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত। ৭ তারিখের জন্য অপেক্ষা করছিলাম সারা রোজার মাসের প্রতিদিন। সবকিছু মিলিয়ে কেমন দমবন্ধ লাগছিলো অনেকদিন ধরেই। ৬ তারিখ রাতে ঘুমালাম না তেমন।অনেকদিন ধরেই নির্ঘুম রাত কাটছিলো, যার চিহ্ন কিশোরী বয়সের মত হাজার হাজার ব্রণের উৎপাত। ৭ তারিখ সকালেই ছোট একটা ব্যাগ গুছিয়ে বের হলাম বাসা থেকে। বাড়ী যাবো ভাবতেই খুব ভালো লাগছিলো, আমার শান্তির জায়গা। দ

শিরোনামহীন

বারান্দার গ্রিলের ফাঁকে, সামনের খোলা জায়গায় সোনালু গাছটায় চড়ুই পাখিদের ঘর। সকালবেলায় জানালায়, বারান্দার গ্রিলে উড়ে এসে বসে, ছুটোছুটি করে অনেক পাখি আর এদের মিষ্টি কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে প্রায় প্রতিদিন। তবু চোখ বুজে থাকি, খুব কম দিনই এমন হয় যে উঠে বারান্দায় যাই। তাই মিষ্টি সকালের দেখা পাই না খুব একটা। অফিস যেতে হবে বলে ঘুম ঘুম চোখে যখন বের হই বাসা থেকে তখন বাইরে প্রখর রোদ। চোখ মেলে তাকানো যা

আমরা বন্ধু'র ইফতার আড্ডা

সবাই একসাথে বসে একদিন ইফতার করবো বলে ২৯/০৮/১০ তারিখ রবিবার নিকেতনে ভাস্করদার অফিসে আয়োজন করা হলো জম্পেস এক ইফতার আড্ডার। ভাস্করদা আগেই ছিলো অফিসে। অফিসটা দারুণ পছন্দ হইছে। রায়হান ভাই, টুটুল খাবার দাবার নিয়ে আগেই চলে গেলো। বিলাই ও এর মধ্যেই চলে এসেছিলো। মাসুম ভাই আর বিমা একা চিনবে না বলে আমি আর তাতাপু তাদের দুজনকে কাওরান বাজার থেকে নিয়ে গেলাম, পৌঁছলাম ইফতারে ২০ মিনিট আগে।মেসবাহ ভাই লালদা কে নিয়ে হল

শুভজন্মদিন টুটুল <:-p <:-p <:-p <:-p

গতকাল একজায়গায় দেখলাম তানবীরা আপু লিখছে যে, আজ টুটুলের জন্মদিন। সাথে সাথে ফেসবুকে টুটুলের প্রোফাইলে গেলাম, সেখানে জন্মতারিখ দেয়া নাই। মেসেন্জারে জিজ্ঞেস করলাম টুটুলকে। সে একটা মাথা ঘুরানির ইমো দিলো, বললো “কে বলছে ? না তো?

রেসিপিঃ ফ্রাইড রাইস ( উৎসর্গ -শাতিল)

আমি মোটেও রান্না ভালো পারি না। ফাঁকিবাজি করে রান্না করি খুব প্রয়োজন হলে। শাতিল সেই ফাঁকিবাজি পদ্ধতিতে ফ্রাইড রাইস রান্না করবে বলেছে এবং আমাদের মতো আনাড়ী যদি আরো কেই থাকে যারা পারে না তাদের জন্য একটা পোষ্টও দিতে বললো। সাহস করে দিয়ে ফেল্লাম।সাহস দিয়েছেন শাতিল আর জেবীন। তবে যেভাবে সাহস দিয়েছে তাতে একটু ভয়ও পেয়েছি। জীবনে প্রথম খাবারের রেসিপি দিলাম। আল্লাহ ভরসা।

উপকরণঃ
১. পোলাওর চাল ২ কাপ