পেচ্ছাপেচ্ছি্ আবারও
১.
আমাদের সবচেয়ে পছন্দের কাজ আড্ডা। কিন্তু মেসবাহ ভাই ঐতিহাসিক ল্যাব এইড ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা আড্ডার সংকটে ভুগছি। আড্ডার নতুন জায়গা বের করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কাজ আড্ডার জায়গা খুঁজে বের করা। এরই মধ্যে কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
একদিন কমিটি গেল নিকেতনে। মৌসুম থাকে বিরাট এক বাড়ি নিয়ে। ফুটবল খেলাও সম্ভব। সমস্যা একটাই। একটু দূরে। মৌসুমরে একটা অনুরোধ। বাসাটা একটা এদিকে আনা যায় কী না ভেবে দেখতে পারেন। আপনে না লক্ষী। 
আরেকটা জায়গা দেখতে গেলাম গত বৃহস্পতিবার। শ্যামলী, টুটুলের বাসায়। এইটাও মন্দ না। যাওয়ার সময় টুটুলদের বাসার জন্য আইসক্রিম নিয়ে সেই আইসক্রিম নিজেরাই খেয়ে শেষ করা যায়। নাজ না থাকলেও যাওয়া যায় কীনা সেটা পরীক্ষা করে আসলাম। এখন টুটুল না থাকলেও যাওয়া যায় কী না পরীক্ষা করে দেখতে হবে। 
আজ আরেক বাসায় গেলাম। নাজদের বাসায়। বসুন্ধরায়। এসি রুম, উত্তম খাওয়া, দারুণ লোকেশন। তবে একটু বেশি দূর।
২.
আফসুসের কথা বলি। নাজের কেন একজন ছোট বোন নাই। কেনু? কেনু?কেনু? নাজ না হয় আমার বোন কিন্তু অন্য এবিবাসী কী দোষ করলো?
টুটুলরে দেখে আর সবাই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
আহা! আহা!
চক্ষে পানি আইসা পড়লো, চোখের অপারেশন করার পরেও।
৩.
বৃত্ত বা শুভ একটা পোস্ট দিতেই পারে। বৃত্ত আমাদের সাথে খিচুরি খাইলো না, আড্ডা দিল না। চলে যাওয়ার আগে এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়া গেল। কাহিনী কী?
শুনতে পেলার পোস্ত গিয়ে
বৃত্তর নাকি শিঘ্রই বিয়ে!
কাল এসেছিল পাত্রী পক্ষ বৃত্তকে দেখতে। বৃত্ত মিষ্টি নিয়ে পাত্রীপক্ষের সামনে গেল। তারপর কী হলো খুব জানতে ইচ্ছা করতাছে।
আশা করি এইটা নিয়া বৃত্ত একটা কবিতা লিখবে না। সহজ গদ্যে লিখবে। দেখা গেল কবিতার ভাষায় লিখলো, কিন্তু কিছুই বুঝলাম না!
৪.
বিয়ের কথা যখন উঠলোই, তখন সাঈদের কথা বলি। নাজের বাসায় গিয়ে দেখি সাঈদ শুয়েই আছে। ভাবলাম কেউ হয়তো টুটুলের বদলে সাঈদরেই মাইর দিছে। পরে মনে হলো ক্ষুধায় এই অবস্থা। কিন্তু পরে শুনি কোমরে ব্যাথা।
আচ্ছা বৃত্তের কথা বলতে গিয়ে সাঈদের কোমরের ব্যাথার কথা মনে পড়লো কেন?
ব্যবহার না করতেই ব্যথা! আহারে! আহারে!
৫.
নাজদের বাসায় খাবারের রেসিপি নিয়ে এখন দুই খান কথা। একটা হইল ডিম। আমরা গেছি সকাল সাতটায়। তারপর বাজলো ৩টা। কিন্তু খাওয়া আসে না। শুনলাম ডিম ভাজা বাকী। ডিমের অপেক্ষায় কাটাইলাম আরও তিন ঘন্টা। এর মধ্যে অবশ্য মুরগী ডিম পারলো। ডিম ভাজা হইল আর আমরা খাইলাম।
সিলেটি মুরগী এতো দেরিতে ডিম পারে কেন?
কই ঋহান তো তারাতারিই আসলো!
আজব তো।
৫.
গরুটার কথা আর কী বলবো। অসাধারণ বললে কম বলা হয়। শ্যামলীর গরু বলে কথা। 





আড্ডার জন্য যতগুলা লোকেশন দেখলাম সবগুলাই জোশ। দূরে হলেই আর কি করা!
নাজ আজ যা মজার রান্না করলো! বীফ আর পায়েশ তো জোশ! ডিমের কথা আর কইলাম না, সবাই খাওয়ার আশা ছাইড়া দিয়া ঘুমায়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতেছিলো।
শুভ কাল কেমনে যে পিছলাইলো!
ল্যাবএইডের পাশে আনিকার বাসা। আনিকা বেহেসতি কাস্টার্ড বানায়। আমাদের শীঘ্রই যাইতে কইছে।
জ্বরের কী অবস্থা? ভালো হয়ে ওঠো। ম্যালা আড্ডা বাকী আছে।
কয় কী?
১। এই আড্ডানির স্থানের চিন্তায় আমি শুকায়া যাইতেছি মাসুম্ভাই। মৌসুমের লাইগা এক্টা ইনফো দিয়া যাই এইখানে
আমাদের পাশের ফেলাট খালি হৈতেছে। দুই রুম, বড় এক্টা ড্রয়িং+ডাইনিং... ভাড়াও কমসম আছে। ভেজাল শুধু এক্টাই। আপ্নের এক্টা আইপিএষ কিন্তে হৈবো।
২। নাজের ছুটু বৈন্নাই কেন এই দুখ্খু আমারো
৩। ইয়ে মানে আপ্নেই যখন পোস্টে কৈলেন তো এই খানেই জানায়া যাই কি হৈছিলো সেইদিন...
আমি তো মিস্টি লয়া বাসায় আইলাম। তাপ্পরে সেই মিস্টি আর শর্বত ট্রেতে লৈয়া গেলাম পাত্রী & কোম্পানীর সাম্নে। তারা আমারে হাটায়া দেখলো, জিন্স তুইলা গোড়ালী দেখলো, মাথা নিচু করায়া টাক পর্ছে কিনা দেখলো, আমারে পাত্রীর খালা জিগায় বাবা তুমি কি রান্তে পারো? আমি কৈলাম জ্বি খালা আমি ভাত রান্তে পারি আর ডিম ভাজতে পারি। পাত্রী জিগাইলো চা বানাতে পারেন? আমি বল্লাম না, তবে শিখে নিবো। পাত্রীর বাবা বল্লেন কি ছেলে? সামান্য চা বানাইতে শেখে নাই, যাও তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়া দিমু না। টানেলের ঐপারে আমার বিয়ার এক্টু যে আলো দেখতে পাইছিলাম সেইটাও নিভ্ভা গেলো

আমি মনে বড়ৈ আঘাত পালাম। সের্পর সেইযে গিয়া বিছানায় পর্লাম, উঠছি সন্ধায়। আপ্নেগো সাথে আর দেখা কর্তে পার্লাম না
৪। অভাগা জাতির বিবেক ওবেরয়ের কাছে এই কুচ্চেন্তো আমারো
৫। ইয়ে মাইনে আমি আর্কিছু না বলি

৫। (এইটা মোনায় ৬ হৈবো
) হ শ্যামলীর গরু বৈলা কথা

শুভর জন্য সমবেদানা।
তবু তো আপনের ইজ্জত বাঁচলো। শুকরিয়া করেন মিয়া।
মৌসুমরে শ্যামলী নিয়া আসেন ।যে প্রকারের ষড়যন্ত্র করার দরকার, করেন।
বৃত্তবন্দী পুং না স্ত্রী এ ব্যাপারে বিশাল কনফিউশনে ছিলাম, এখন ব্যাপারটা ফকফকা পরিস্কার। ' আমি যে আঁধারের বন্দিনী...' এই গান শুনে আমার ভেতর এই ধারণা গেঁথে গিয়েছিল বন্দী শব্দটার সাথে নারীভাব আছে। তাই বৃত্ত একটা মেয়েমানুষ হতে পারে।
জিন্স খোলার পর আপনারে বাতিল করছে?
সিলেক্টই তো করে নাই, বাতিলের কথা আসে কেমনে?
সিলেক্ট না করার আসল কারণ জিগাইলাম খালি
শওকম মাসুম বলেছেন,
কী-বোর্ডে তো খ ও ত বসে পাশাপাশি। সেইটা কি এই বাক্যকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে থাকতে পারে?

মীর, ছিঃ ছিঃ ছিঃ বালকদের এসব পড়তে হয় না। আর পড়ে ফেললে বানানের ভুল ধরতে হয় না।
আর্রে বালক দাবি তো আপনের। আমি তো এখনো শিশুত্বই দাবি করি।
তাহলে বড়দের ব্যাপার-স্যাপারে নজর দেন কিল্লাই?
এইটা ছুডুকালের বদভ্যাস গো আফা। পাল্টাইতে পারি নাই। এখন সময় গেছে গা।
তাহলে তো বিপদ! আপনের সামনে কি বালিকারা বোরকা পরি নি যায়?
প্রো-পিক মুছলেন ক্যান? ভালোই তো আছিলো আগেরটা।
ভাবলাম বর্ষা তো শেষ, এবার একটা শরতের পিক দেই। কিন্তু পিকটা নাকি সাইজে বড়। (আরো ভাবছিলাম, শিশুরা এই পিকের দিকে নজর দিতেছে কী না...)
নজর দিলে তো ভালুই। আপনে তো খালি কন কেউ নজর দেয় না বলে!
ইয়ে মাইনে খোলা আর তোলা লৈয়া আপ্নে এরম কনফুসেড হৈয়া গ্যালেন কেন সেইডা বুঝতে গিয়া আমি নিজেই কনফুসেড হয়া যাইতেছি

কনফিউজড হই নাই, আপনে এড়াইয়া গেলেন যে, তাই ফাঁস কইরা দিলাম
আমি তো লুংগী পড়ি না। লুংগি হৈলেও নয় বুজতাম তোলা আর খোলার ভিত্রে সেরম কোনৈ পার্থক্য নাইক্কা

বৃত্তর ইজ্জত তো পুরাটাই গেছে তাইলে!!
মাসুম ভাই, আপ্নে ব্লগে খুব কম আসেন। আপনের আরো প্রচুর আসা প্রয়োজন।
মাসুম ভাই, আপ্নে ব্লগে খুব কম আসেন। আপনের আরো প্রচুর আসা প্রয়োজন।
মাসুম ভাই, আপ্নে ব্লগে খুব কম আসেন। আপনের আরো প্রচুর আসা প্রয়োজন।
মাসুম ভাই, আপ্নে ব্লগে খুব কম আসেন। আপনের আরো প্রচুর আসা প্রয়োজন।
সবাই ব্লগে খুব কম আসেন। আপনাদের সবার আরো প্রচুর আসা প্রয়োজন
মুরগ কি সিলটি ছিল নি? আমি তো ভাবছি মেঘালয় বা আসাম থেইকা ডিম আসছে। ডিম ভাজাটা খাইয়া আনন্দ পাইছি...পরে পিয়াজ, মরিচ আর লবন ছাড়া ডিমের আরেকটা আইটেম খাইছি ঐটাও ভালো ছিলো। তয় সবশেষের পায়েশটা মনে হয় মারদাঙ্গা হইছে, আইজকাল তো ফিরনি রাইন্ধা বাঙালি পায়েশের প্রতারণা করে। কিন্তু নাজের উসিলায় অরজিনাল পায়েশ খাইলাম বহুকাল পর, এখনো স্বাদ লাইগা রইছে জিভে।
আর যখন শুনলাম দাওয়াতের সমস্ত মেন্যু নাজ একা রান্না করছে তখন রীতিমতোন টাশকি খাইছি...তখন বুঝলাম নাজ ক্যান সবার খাওয়ার সময় খাইতে বসে নাই। কিন্তু তারে অভয় দিয়া বলি খাওন জব্বর হইছে...আমি ডায়েট-টায়েট ভুইলা এমন খাইছি যে রাইতে ক্যান্টোনিজ রেস্তোরাঁর লোভনীয় খাবারেও অরুচী লাগতেছিলো। টাকার মায়া ভুইলা খাবার ফালাইয়া আসছি। অসাধারণ!
মাসুম ভাই ফটো ওয়াকটা মিস করছেন...আপনে সাথে থাকলে সোবহান সাব আজকে স্পেশাল র্যাব পাঠাইয়া আমাগো নকল হাত-পা কিন্না দিতো...আপনের চোখে আরেকটা অপারেশন কইরা পাত্থর বসাইয়া দিতো নির্ঘাত...
শেষের কাহিনী ডিটেইলস জানতে পারলাম না। ব্যাপক ঝামেলা করছিল?
মানুষের সুখ শুন্তেও থুক্কু পড়তেও সুখ
তোমার সুখের দিন ফিরছে?
সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছে করে।।

সুখ না সখ?
ভাস্কর যেমন বলল আপনে ছবিহাটায় গেলে খবরই আছিল। আপনে ছাড়াই মাইক্রো, হোন্ডা ও পরে থ্রি নট থ্রি নিয়া পিকআপ আসছিল। আপনে গেলে মিসাইল আসত নিশ্চয়ই।
পুরা কাহিনী লেখেন, ছবি সহ
চলে আসেন আড্ডা্ মারতে
পেচ্ছাপেচ্ছি ভালু না
কেডায় কয়?
কিছু পয়সা জমাইয়া একটা তাবু কেনা যাইতে পারে। তারপর যেইখানে রাইত ঐখানে কাইত আইমিন আডডা

বুদ্ধি খারাপ না। ভোট দিলাম।
দুলাভাই, আপনে যদি ফটো তুলার সময় আমাদের সাথে থাকতেন তাইলে "সোনীয়া এভিনিউ এ হার্টএ্যটাকে কতিপয় যুবক রহস্যজনক ভাবে মিসিং হৈয়াছে " শিরোনাম হৈতো।
দেশ জুরে ব্যাপক আলোচনা হইতো... বিষয়টা কিন্তু ভালু
তোমরা নাকি আমার প্লটে যাওয়ার ৩০০ ফিট রাস্তায় গেছিলেন। ফুটু দেও
মন্তব্য করুন