দুইটা ছবি
টঙ্গি ফ্লাইওভারের কাছে এক বন্ধু নিয়ে যায় ছবি তোলার জন্য। কিন্তু যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ছবি তুলতে পারি নাই তেমন। সেখানের দুইটা ছবি।
এই ছবিটা তুলেছিলাম তিনটা বাশের পাশে বিশ্রামরত ফিঙেকে সবাজেক্ট করে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে তিনটা বিদ্যুতের খুটি রেখে। কিন্তু আরেকজন ফটোগ্রাফার ছবিটা দেখে চমৎকার আইডিয়া দেয়। তার কমেন্ট -
Mahmudur Rahman: ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে...আমি আমার দৃষ্টকোন থেকে একটা আইডিয়া দেব...ছবি্তে বাঁশ সহ পাখিটিকে ডানদিকে রাখলে কেমন হত...পাখিটির দৃষ্টি বাম দিকে তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে ফোকাস জিনিসগুলকে ডানদিকে রেখে বামদিকে ফাকা জাইগা রেখে যদি ফ্রেমটা তৈরি করা যেত তাহলে কেমন হত??
মাহমুদের প্রস্তাব মত ক্রপ করে ডানদিকে সরিয়ে দেয়া।
ছবি বুঝতে শিখলে সমালোচনা করমুনে... আপাতত সৌন্দর্য্যের কথা কইয়া গেলাম
এই ভিউ টাও দারুন।
ছবি সৌন্দর্য্য হৈছে, তবে অ্যানিমিক মনে হৈতেছে। পেছনের ঘোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডরে কিছু করা যায় না বস?
ঐদিন আকাশটা ডাল ছিল। তারপর সন্ধ্যা হয়ে গেছিল। সাদাকালো করে দেখা যাইতে পারে।
জায়গাটা সুন্দর। ছবিটাও খুব সুন্দর। একলা পাখি।আপনে তো আমার পছন্দের ফটোগ্রাফার, সব ছবিই সুন্দর লাগে।
পাখি আমার নীড়ের পাখি অধীর হল কেন জানি–
আকাশ-কোণে যায় শোনা কি ভোরের আলোর কানাকানি ।।
ডাক উঠেছে মেঘে মেঘে, অলস পাখা উঠল জেগে–
লাগল তারে উদাসী ওই নীল গগনের পরশখানি ।।
আমার নীড়ের পাখি এবার উধাও হল আকাশ-মাঝে ।
যায় নি কারো সন্ধানে সে, যায় নি যে সে কোনো কাজে ।
গানের ভরা উঠল ভরে, চায় দিতে তাই উজাড় করে–
নীরব গানের সাগর-মাঝে আপন প্রাণের সকল বাণী ।।
কাহিনী কিতা? পাখি কারে শিষ দিয়ে ডাকে?
বস রোমান্টিক হয়ে উঠছেন দিন্দিন।
জালের ছবিটা সুন্দর । আর পাখিটা সুন্দর । এই পাখির আরো ছবি নাই?
একটা ছবিই তুলেছিলাম পাখিটার।
৩টি বাশ আর ফিঙ্গে,ব্যাকগ্রাউন্ডের ৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। আপনার থিমটাই বেশি ভাল লাগল।
ধন্যবাদ
কীভাবে ছবি তুলতে হয়- এই বিষয়ে আপনারে যে নিয়মিত উপদেশ দেয় তার কথা তো কিছুই বললেন না! নাহ্ আপনারে আর উপদেশ দিমু না।
ছবি সোন্দর হৈয়েসে!
হায় হায় গৌতম ঠাকুরে উপদেশ না পাইলে ছবি তুলুম কেমনে?
পাখিওয়ালা ছবিটা কথা বলতেসে!
আমি ছবির সাথে সাথে শওকত মাসুম ভাইয়ের কমেন্টেও লাইক দিতে চাই।
ধন্যবাদ আনন্দ।
আমার মনে হলো - দুটো ছবির সাবজেক্টই নিঃসঙ্গতা। প্রথম ছবিতে লোকটি একা, জাল ফেলে দাঁড়িয়ে আছে - যেন অন্ততকালীন এই প্রতীক্ষা।
তুমি এমনই জাল পেতেছ সংসারে, কার বা এমন সাধ্য আছে এই মায়াজাল ছিঁড়ে যেতে পারে...
দ্বিতীয় ছবির পাখিটিও একা। প্রকৃতি-সৃষ্ট বা মনুষ্য-সৃষ্ট (বাঁশ ও খুঁটি) সবকিছুরই সঙ্গী আছে (তিনটে, একসঙ্গে), কেবল প্রাণীরাই নিঃসঙ্গ - মানুষ বা পাখি যাই হোক না কেন!
অসাধারণ রায়হান ভাই।
মাসুম ভাইকেও ধন্যবাদ রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ গানটি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
এত সুন্দর কমেন্ট করেন কীভাবে বস! মনে হয় যে ছবি তোলা স্বার্থক।
জাল ফেলার ছবিটা অসাধারণ।
পাখির অরিজ্যিনাল ছবিটা আর স্বপ্নের ফেরিওয়ালার ক্রপটা বেশি ভালো হয়েছে। নিঃসংগতাটা বেশি ফুটেছে
থ্যান্কু বাজি।
ওস্তাদ মানুষের ছবি নিয়ে সমালোচনা করা পাপ
মাইর খাইবা
আমি ছবি বুঝিনা
ছবি বুঝি না। দেখে ভালোই লাগলো।
জাল এম্নে ফেলে নাকি
চমৎকার ছবি দুটো। প্রথমটা বেশী ভাল লাগল।
দ্বিতীয় ছবিটার এক্সপোজারে কি একটু এদিক ওদিক করে দেখার অবকাশ আছে?
পয়লা ছবিটায় উপরে বামপাশের গাছের ডালটা আমাকে ছবির ভেতর ঢুকতে খানিকটা বাধা দিচ্ছে। দুই তিন স্টেপ এগিয়ে ছবিটা তুললে মনেহয় ডালটা আসতো না, ছবিটাও সর্বাঙ্গসুন্দর হইতো...
জাল ফেলার ছবিটা ভালো লাগছে বেশি। এইটাকে কি জাল বলে? খইয়া জাল নাকি?
প্রথম ছবিটায় ভোট দিলাম।
মন্তব্য করুন